নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রকাশক পপি চৌধুরী

লেখক পপি চৌধুরী

প্রকাশক পপি চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডায়াবেটিস নিরাময় যোগ্যঃ

২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ ভোর ৫:৪২

ডায়াবেটিস নিরাময় যোগ্য- এ সত্যটি আবিষ্কার করেছেন ডেভিড পিয়ারসন নামে একজন বিখ্যাত ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ। ডায়াবেটিসের কারণে বাবার অকাল মৃত্যু গভীর রেখাপাত করে পুত্র পিয়ারসনের মনে। তিনি ডায়াবেটিস নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। তার নিরলস গবেষণায় বের হয়ে আসে চমকপ্রদ কিছু তথ্য। তিনি আবিস্কার করেন যে, অগ্ন্যাশয়ই একমাত্র অঙ্গ নয় যা ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। বরং লিভারও এক প্রকার রাসায়নিক পদার্থ তৈরি করে যা ইনসুলিনের বৃদ্ধি ফ্যাক্টর। লিভার শরীরের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ইনসুলিনের মত কাজ করে এবং লিভারে তৈরি হওয়া এই ইনসুলিন আরও ১০০ গুন শক্তিশালী। পাশাপাশি তিনি আবিস্কার করেন যে, ডায়াবেটিস নিরাময়ের জন্য প্রয়োজন নেই কোন দামী ঔষধের। শুধুমাত্র কয়েকটি প্রাকৃতিক খাবারের মাধ্যমেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। প্রাকৃতিক এসব খাবার গ্রহণ করে দুই সপ্তাহের মধ্যেই ডায়াবেটিস নিরাময় সম্ভব বলে মনে করেন তিনি। ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানীগুলো এ সম্পর্কে পূর্বেই জানতো। ডঃ পিয়ারসনের তথ্যমতে, বিগ ফার্মা এই নিরাময় সম্পর্কে জানার পরও তথ্যটি গোপন রেখেছে কারণ তারা জানতো, এই তথ্য ফাঁস হলে তাদের ঔষধ বাণিজ্যে ভাটা পড়বে। এমনকি ফার্মাসউটিক্যাল কোম্পানীগুলো এখনও বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে ডঃ পিয়ারসনকে থামাতে।

যে ১০ টি খাবার প্রতিহত করতে পারে ডায়াবেটিসঃ

১। দারুচিনিঃ দৈনিক ছয় গ্রাম পর্যন্ত দারুচিনি (সিকি চা চামচ) ২৯ শতাংশ গ্লুকোজ মাত্রা কমাতে পারে। দারুচিনির মধ্যে MHCP নামক একটি পদার্থ রয়েছে যা শরীরের ফ্যাটসেল বা চর্বি কোষকে পুনর্জীবিত করে রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ করে।

২। ভিনেগারঃ খাওয়ার পূর্বে ২ টেবিল চামচ ভিনগার বিশেষ করে আপেল সিডার ভিনেগার ২৫ থেকে ৫০ পার্সেন্ট পর্যন্ত সুগার লেভেল নামিয়ে আনতে পারে। এছাড়া গবেষণায় দেখা গেছে, সকালে হেভী ব্রেকফাস্টের পর ভিনিগার সেবনে টাইপ-২ ডায়াবেটিস আক্রান্তদের সুগার লেভেল ৩৪ পারসেন্ট পর্যন্ত নামিয়ে আনা সম্ভব।

৩। ডালিমঃ বাত ও প্রস্টেট ক্যান্সারের জন্য খুবই উপকারী এই ফলটি ডায়াবেটিসের জন্যও খুব উপকারী।

৪।কাজুবাদামঃ খাদ্যে ইনসুলিন সংবেদনশীলতা হিসেবে এলডিএল (খারাপ) কলেস্টেরলের নত মাত্রা উন্নত করে। অন্যান্য গবেষণায় দেখা যায় যে, মহিলাদের জন্য প্রতিদিন 1.5 থেকে 2 আউন্স এবং পুরুষদের জন্য দৈনিক ২ থেকে ৩ আউন্স হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিস উভয় রোগের জন্য উপকারী।

৫।রসুনঃ রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ করে এবং রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে। এক কোয়া করে দিনে ২ অথবা ৩ বার খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞগণ।

৬।আপেলঃ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় জানা যায় পুরো ফল দুই servings সপ্তাহে, বিশেষ করে আপেল, ব্লুবেরি, আঙ্গুর খাওয়ার ফলে ২৩ শতাংশ ডায়াবেটিস-২ এর ঝুঁকি কমে যায়। পাশাপাশি পেঁয়াজ, টমেটো, berries, এবং সবুজ শাক সবজি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।

৭। সবুজ চাঃ প্রতিদিন দুই থেকে তিন কাপ সবুজ চা রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।

৮। চকলেটঃ ইতালিয়ান গবেষকদের মতে, প্রতিদিন ১০০ গ্রাম ডার্ক চকলেট শরীরের গ্লুকোজ বিপাক গতি বৃদ্ধি করে।

৯। Whole-fat dairy products. দুগ্ধপণ্যে palmitoleic অ্যাসিড নামক একটি ফ্যাটি অ্যাসিড জাতীয় পদার্থ পাওয়া যায়। এটি টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।

১০। কুমড়োঃ পূর্ব চীনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা গবেষণায় দেখেছেন কুমড়ো ইঁদুরের ক্ষতিগ্রস্ত অগ্ন্যাশয়ের সেল নির্মাণে সাহায্য করছে। (সূত্রঃ ইন্টারনেট)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:২৮

যাযাবরমন বলেছেন: দারুন কাজের পোষ্ট, লাইক + প্রিয়তে।

২| ০৭ ই মে, ২০১৫ ভোর ৪:৫৬

প্রকাশক পপি চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ যাযাবরমন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.