![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সংবাদজীবী, সংবাদকর্মী, বা সাংবাদিকের প্রতিবেদনে মতামত প্রকাশের কোনো সুযোগ থাকে না। ঘটনা যেভাবেই ঘটুক, কর্মরত গণমাধ্যমের নীতিমালার দিকে তাকিয়ে সারা দুনিয়ার সাংবাদিকরা তা লেখেন। ওই সংবাদকর্মী, সাংবাদিক যখন লেখক, জনসভার আলোচক, ব্লগ বা ফেসবুকের অ্যাকাউন্টওয়ালা, তখন নিজের মতামত প্রকাশ করতে পারেন। '৪৩ বছরে গণমাধ্যমের অর্জন-বিসর্জন' বইয়ে আমিও তাই করেছি। অথচ বইটি প্রকাশ করতে রাজি হচ্ছেন না কয়েক প্রকাশক। কারণ, বইটি নাকি অশ্লীল!
হয়তো তাই এবারের একুশের বইমেলায় প্রকাশ হচ্ছে না '৪৩ বছরে গণমাধ্যমের অর্জন-বিসর্জন' বইটি। দেশের নামকরা তিনটি প্রকাশনী থেকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, এরকম বই প্রকাশ করা বিদ্যমান পরিস্থিতিতে তাদের পক্ষে অসম্ভব। একটা প্রকাশনী এ বইয়ের জন্য আমার পেছনে প্রায় এক বছর পর্যন্ত লেগে ছিল। আর এখন জানাচ্ছে এরকম সিদ্ধান্ত! আরেকটি প্রকাশনী সাফ জানিয়ে দিয়েছে, বইটির দুটি অধ্যায় বাদ না দিলে তারা সেটি ছাপাবে না।
আমার 'গণমাধ্যম নিপীড়ন ১৯৭২-২০১২' বইটি প্রকাশ করে নানা ঝামেলা পোহায় বিভাস প্রকাশনী। এ প্রকাশনীও '৪৩ বছরে গণমাধ্যমের অর্জন-বিসর্জন' বইটি ছাপতে নারাজ! সবকাজ গুছিয়ে, এমনকি ছাপার জন্য প্রেসে পাঠিয়েও বিভাস কার না কার ইশারায় বইটি শেষ পর্যন্ত ছাপাচ্ছে না।
মত প্রকাশের স্বাধীনতার আজব কায়দা বটে! আমার মতো ক্ষুদ্র এক সংবাদজীবীর কী আর করার আছে! এখন শ্রাবণ প্রকাশনীর সঙ্গে বইটি প্রকাশের জন্য কথাবার্তা চলছে। জানি না, শেষ পর্যন্ত বইটি আদৌ প্রকাশ হবে কী না!
'গনগনে আঁচের মধ্যে শুয়ে রুমাল নাড়ছি, এই শিখা নিভে গেলে ছাঁই ঘেটে নেবেন পাপ ছিলো কী না'-
©somewhere in net ltd.