| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একবার এক লোক একটা গ্রামে গেলো বেড়াতে। সেখানে গিয়ে দেখে অনেক বানর। গাছে গাছে ঝুলে বেড়াচ্ছে কিন্তু তাদের কেউ ধরছেনা বা ধরার চেষ্টা করছেনা। লোকটা প্রথমে একজনকে ডেকে বললেন একটা বানর ধরে এনে দিতে তার বিনিময়ে তাকে ২০০ টাকা দেয়া হবে। লোকটা আধা ঘন্টার মধ্যে দৌড়ে গিয়ে বানর ধরে নিয়ে আসলো এবং ২০০ টাকা রোজগার করে নিলো। এর পর লোকটা প্রতিদিন সেখানে যেতো এবং ২০০ টাকা দিয়ে বানর কিনতো। আস্তে আস্তে বানর ধরার জন্য অনেক লোক জুটে গেলো। সেই গ্রামের বানরও কমে আসলো। তখন সেই লোক ঘোষণা করলো একটা বানর কিনবে ৫০০ টাকায়। কিন্তু বানরের যে খুব আকাল। কোথাও বানর নেই। তখন সে আরেক লোক কে দিয়ে গোপনে তার ২০০ টাকায় কেনা বানর ৪০০ টাকায় বিক্রি করতে লাগলো। সবাই দেখলো নগদে ১০০ টাকা লাভ। এক দিনের মধ্যে সমস্ত বানর বিক্রি করে দিলো। কিন্তু ৫০০ টাকায় কেউ আর বানর কিনলোনা। গ্রামের বানর গ্রামেই থাকলো মাঝখান থেকে প্রত্যেক বানর থেকে ২০০ টাকা করে লাভ চলে আসলো। এটাকে বলে হচ্ছে পুঁজিবাদি ব্যবসা।
আমাদের দেশের বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ের মানুষ দুর্নীতির টাকা বিদেশী বিভিন্ন ব্যাংক এ রাখে। বাংলাদেশ থেকে অর্থ প্রাচার এর চার্ট টা দেখলে অবশ্যই আপনি অবাক হবেন। কিন্তু কথা হচ্ছে এতো টাকা কার? তারা কারা? এই টাকা গুলোই কোথা থেকে আসছে! আসলে মূল ব্যাপারটার শেষ কথা সরকারকে ঠকানো হচ্ছে। আর সরকার জনগণের প্রতিচ্ছবি সুতরাং জনগণকে ঠকানো হচ্ছে।
চোরা সোনার কথায় ধরা যাক। এয়ার পোর্ট থেকে ধরা যাক ১০০ কোটি টাকার সোনা চোরাই ভাবে নিয়ে আসলো। সে ক্ষেত্রে ১০ কোটি টাকা তারা এয়ারপোর্ট এর নিরাপত্তা কর্মীদের পিছনে ব্যায় করলো। এয়ার পোর্টে ১০ কোটি ভাগ করে সবাই গড়ে ৫০ লাখ পেলো। সেখান থেকে বছরান্তর আরো উচ্চ- পদস্থ লোকের জন্য নিজের ভাগ থেকে ১০ লাখ চলে গেলো। থাকলো ৪০ লাখ। নিম্ন পদস্থ লোকের মিষ্টি খাওয়াসহ অন্যান্য ঝামেলা শেষ করতে আরো ১০ চলে গেলো। থাকলো ৩০ লাখ। এবার এই ৩০ লাখ থেকে কিছু টাকা খরচ করলো বাদ বাকী বীদেশী ব্যাংক এ। একটা চালানে সরকারি বিভিন্ন লোক মোটা অংকের টাকা পেলো যাতে করে তারা এবং তাদের পরিবারের লোক খুব খুশি হলো।
জনগণ মার খেলো কোথায়! যদি এই ১০০ কোটি টাকা ভ্যাট দিয়ে আসতো তবে ২০ কোটি টাকার উপরে ভ্যাট দিতে হতো। আর সরকারের কাছে হিসাব থাকতো সে কত টাকার সোনা ব্যবসা করছে। সোনা ব্যবসায়ীর দুই দিকে লাভ। ইনকাম ট্যাক্স দিতে হচ্ছেনা + ইন্সট্যন্ট ট্যাক্স দিতে হচ্ছেনা।
এখন কথা হচ্ছে সরকারের এতো লস হচ্ছে সরকার কিছু বলছনা কেন? আসলে সরকার কে? who is this government? সরকার কেউ না! জনগণই সরকার।
এই লস তো সরকার প্রধানের পকেট থেকে যাবেনা। লস হচ্ছে জাতীয় আয়ের। তাতে ঠকছে জনগণ। যে টাকা দেশ তথা জনগণের কাজে লাগতো সেই টাকা ব্যাক্তিগত ব্যাংক এ জমা হয়ে যাচ্ছে।
এই টাকা দিয়ে কি করবে তারা? বাড়ি! গাড়ি! সব হবে! কিন্তু তারা কোনদিন দেশের কথা ভাববেনা! আমি আপনি সবাই মারা যাবো। দেশ থাকবে। কিন্তু চলবে কুঁজো হয়ে, খুড়িয়ে খুড়িয়ে। চারদিকে এতো দুর্নীতির মানে হচ্ছে তাজা শরীরে ব্লেড দিয়ে খোচানো। দেশ রক্তাত্ব। একদিন যখন দেশ থাকবেনা তখন আপনার জমানো টাকা তুলতে পারবেন তো? পৃথিবীও কিন্তু পুঁজিবাদি এটা ভুলে যাবেনা না। সব চেয়ে বড় বন্ধু টাকা সব চেয়ে বড় শত্রু টাকা।
এসব লেখা বড় বড় অফিসার কিংবা তার ছেলে মেয়েরা পড়েনা। তারা মার্সিটিস চড়ে। তাদের কাছে এসব লেখা মানে আবর্জনা। তবে পাপের বাপও থাকে। আপন জুয়েলার্স এর কত বছরের ব্যবসা? একদিন সবাই ধরা পরবে। সেদিন এই অসহায় জনগণই বাঁশ ঠেলে দেবে। মনে আছে তো বাংলাদেশে প্রায় ৪২ প্রজাতির বাঁশ পাওয়া যায়।
©somewhere in net ltd.