![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যুদ্ধাপরাধের বিচার বন্ধে একদিকে জামায়াত হরতাল কর্মসূচী পালন করছে। অন্যদিকে জামায়াতের ডাকা হরতালের দিন ‘জনগণের জানমালের নিরাপত্তা’ রক্ষায় পুলিশী ভূমিকা পালনের ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগ। রাজনৈতিক দলগুলোর পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী ক্রমান্বয়ে রাষ্ট্রবিরোধী হয়ে উঠছে। জামায়াত হরতাল পালনের মাধ্যমে বিচার বিভাগকে অস্বীকার করেছে। আর অন্যদিকে আওয়ামী লীগ জানমালের নিরাপত্তা রক্ষার ঘোষণা দিয়ে আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার মত অগনতান্ত্রিক আচরণ করেছে।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব বলছে, জামায়াত-শিবিরের আক্রমণ থেকে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য দলের নেতা-কর্মীদের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেউ দায়িত্বে অবহেলা করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সবাইকে বলে দেওয়া হয়েছে, নাশকতাকারীদের পুলিশের হাতে সোপর্দ করার জন্য।
আওয়ামী লীগের অপর একটি সূত্র জানায়, পুলিশের ওপর জামায়াত-শিবির যেভাবে হামলা শুরু করেছে, তাতে তাদের মনোবল দুর্বল হয়ে পড়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই দলের নেতা-কর্মীরা পাশে থাকলে পুলিশ ঠিক থাকবে। পাশাপাশি দলের নেতা-কর্মীদেরও চাঙা রাখা যাবে’।
আওয়ামী লীগের নেতাদের বক্তব্যে স্পষ্ট হয়ে উঠে যে- তারা পুলিশের উপর আস্থা রাখেন না এবং পুলিশকে দুর্বল গণ্য করে নিজেরাই পুলিশী ভূমিকা নিতে চান। এইভাবে পুলিশ প্রশাসন গড়ে উঠতে পারে না।দূর্বলতা যদি থেকেই থাকে পুলিশকে আরো শক্তিশালী ও কৌশলী করে তুলার জন্য কাজ করা যেতে পারে। কিন্তু আওয়ামী লীগ এইভাবে পুলিশের ভূমিকায় নামতে পারে না। তাতে আর যাই হোক আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর মেরুদন্ড শক্ত হবেনা। পুলিশ প্রশাসনের সাথে দলীয় বাহিনীর তকমা চিরস্থায়ী হবে।
পাশাপাশি জামায়াতের মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিরুদ্ধে কোন যুক্তি থাকলে তা সংসদে পেশ করার সুযোগ দলটির ছিল। কিন্তু সংসদে না গিয়ে হরতাল, ভাংচুর ও হত্যার মাধ্যমে মূলত রাষ্ট্র ব্যবস্থাকেই অস্বীকার করা হয়েছে। এতে বেড়েছে অপরাধ আর হারিয়েছি সংসদে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে বিতর্কের সুযোগ। এতে করে দিনদিন সংসদের প্রয়োজনীয়তাকে অস্বীকার করল দলটি।
দেশের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো থেকে এই ধরণের আচরণের মাধ্যমে রাষ্ট্রের অস্তিত্বকেই অস্বীকার করা হয়। গড়ে উঠেনা আইনের শাসন। এছাড়া রাষ্ট্রকে একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে চর্চা করার সুযোগটাও নষ্ট হয়।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১৪
সৈয়দ মোজাদ্দাদ আল হাসানাত বলেছেন: