নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

চিকিৎসা খাতে সীমাহীন বৈষম্য: গরিবের বাঁচা মরা দুইই সমান

০১ লা জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৯

চিকিৎসা খাতে সীমাহীন বৈষম্য: গরিবের বাঁচা মরা দুইই সমান

ছবি অন্তর্জাল থেকে সংগৃহিত।

বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা এখন যেন ধনীদের বিলাসিতা, আর গরিবের জন্য এক প্রকার প্রহসন। সংবিধানে স্বাস্থ্যকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হলেও বাস্তব চিত্র তার সম্পূর্ণ বিপরীত। দেশের বহু মানুষ এখনও ন্যূনতম চিকিৎসা সেবা থেকেও বঞ্চিত। বিশেষ করে দরিদ্র শ্রেণির মানুষের জন্য এই ব্যবস্থাটি যেন মৃত্যু আর অসহায়ত্বের দ্বারে পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যম হয়ে উঠেছে। এদেশে গরিবের বাঁচা মরা দুইই সমান।

এক সহকর্মীর স্ত্রীর অভিজ্ঞতার কথা যদি বলি—সাধারণ পেটব্যথা নিয়ে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। ডাক্তার ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন। পরিবারটি ডাক্তারকে বিশ্বাস করে তার পরামর্শ অনুযায়ী একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। পাঁচদিন পর ছুটি মেলে, কোনো জটিল অস্ত্রোপচার হয়নি, হয়নি কোনো উচ্চপর্যায়ের চিকিৎসা—তবুও বিল গুনতে হয়েছে প্রায় অর্ধ লক্ষ টাকা! লাভ একটাই হয়েছে, অপ্রয়োজনীয় প্রায় ডজনখানেক ডায়াগনোস্টিক টেস্ট! এমন অভিজ্ঞতা শুধু তার নয়, দেশের হাজার হাজার পরিবারের।

সরকারি হাসপাতালের চিত্র হতাশাব্যঞ্জক। সরকারি হাসপাতালগুলোতে গেলে চোখে পড়ে দীর্ঘ লাইন, সীমিত জনবল, অপ্রতুল যন্ত্রপাতি এবং অধিকাংশ সময় চিকিৎসকের অনুপস্থিতি। চিকিৎসা নিতে এসে অনেকেই দিনের পর দিন অপেক্ষায় থেকে শেষে হাল ছেড়ে দেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটা বড় অংশ দিনের বেশি সময় দেন বেসরকারি ক্লিনিক ও চেম্বারে, আর সরকারি দায়িত্ব পালন হয়ে পড়ে ‘কাগুজে দায়সারা’। হাসপাতালে ওষুধ নেই, ইমারজেন্সি সেবায় গাফিলতি—এসব যেন নিত্যদিনের চিত্র।

বেসরকারি হাসপাতালে চলছে সেবার নামে শোষণ। প্রাইভেট হাসপাতালগুলো যেন ব্যবসার অদৃশ্য চোরাবালি। সেখানে ডাক্তার নেই, মানুষ নেই—কিন্তু বিল আছে। প্রতিটি সেবার জন্য দিতে হয় আকাশছোঁয়া মূল্য। বেশিরভাগ সময় রোগীদের এমনসব পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়, যেগুলোর প্রয়োজনীয়তা প্রশ্নবিদ্ধ। ভুল রোগ নির্ণয়, অপ্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচার, ওষুধের দৌরাত্ম্য—এসবই মুনাফাকেন্দ্রিক চিকিৎসা ব্যবস্থার কুফল।

মানবিকতা নয়, এখন চিকিৎসাও একটি বাণিজ্য। একসময় চিকিৎসা ছিল সেবার ব্রত, এখন তা লাভের পণ্যে পরিণত হয়েছে। চিকিৎসা একটি মৌলিক অধিকার হলেও বাস্তবে তা শুধুই আর্থিক সামর্থ্যের ওপর নির্ভরশীল। নিম্নবিত্ত থেকে শুরু করে নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণিও আজ চিকিৎসা খরচের চাপে দিশেহারা। অনেকে চড়াসুদের ঋণ করে, ভিটেমাটি বিক্রি করে বাঁচার আশায় হাসপাতালে ছোটেন, কিন্তু চিকিৎসার নাম করে তাদের সর্বস্ব কেড়ে নেওয়া হয়।

সমাধান কী? চিকিৎসা খাতে এই বৈষম্য দূর করার জন্য সরকারকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে হবে—

সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো। যথেষ্ট সংখ্যক ডাক্তার, নার্স এবং আধুনিক যন্ত্রপাতি নিশ্চিত করতে হবে। প্রত্যেক নাগরিকের নির্দিষ্ট একটি লিমিট পর্যন্তু সরকারি খরচে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে হবে। বেসরকারি হাসপাতাল নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং। বিলের স্বচ্ছতা, চিকিৎসার মান, রোগ নির্ণয় পদ্ধতির উপর নজরদারি বাড়ানো জরুরি। স্বাস্থ্য বীমা ও ভর্তুকি প্রণয়ন। গরিব ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা গ্রহণ নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বাস্থ্য বীমা চালু করতে হবে। গ্রামীণ চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়ন। প্রত্যন্ত অঞ্চলেও যেন মানসম্মত চিকিৎসা পৌঁছে যায়, সেদিকে নজর দিতে হবে।

চিকিৎসা যেন কেবল ধনীদের জন্য সীমাবদ্ধ না থাকে, বরং প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক অধিকার হয়ে ওঠে—এটাই হওয়া উচিত একটি কল্যাণরাষ্ট্রের লক্ষ্য। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় চলা সরকারি সেবাগুলোতে যখন তারা নিজেই বঞ্চিত হয়, তখন রাষ্ট্রব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। স্বাস্থ্য খাতে এখনই যদি বৈষম্য কমাতে জরুরি পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে এই বৈষম্য শুধু মানবিক নয়, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংকটও তৈরি করবে।

"একটি রাষ্ট্র কতটা সভ্য, তা বোঝা যায় তার চিকিৎসা ব্যবস্থা দেখে। আমরা কোথায় দাঁড়িয়ে আছি, সেটা ভাবার সময় এখনই।"

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৩

ওমর খাইয়াম বলেছেন:




আপনি তাবিজ লেখেন, আমার উপর আমার বিশ্বাস আছে।

০১ লা জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:০৮

নতুন নকিব বলেছেন:



আমার উপর আমার বিশ্বাস মানে?

নির্ভুলভাবে একটা লাইন লেখার ক্ষমতা নেই। তারপরও পন্ডিতির শেষ নেই!!!

২| ০১ লা জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৩

ওমর খাইয়াম বলেছেন:



কোরানে সবই আছে, মুসলমানের চিকিৎসা কোরানে আছে।

০১ লা জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩

নতুন নকিব বলেছেন:



কুরআনে কি আছে আর কি নেই- সেটা নিয়ে কোনো গার্বেজের মাথা ঘামানোর কথা নয়!!!

কুরআন গোবরভর্তি গবেটদের জন্য নহে। কুরআন আল্লাহর প্রতি নিঃশর্ত বিশ্বাসী জ্ঞানীদের জন্য।

৩| ০১ লা জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৮

অপলক বলেছেন: দুর্নীতির একটা উদাহরন দেই। ২০১০ এর পরের ঘটনা। বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিক্যালে একটি বিশেষ চিকিৎসা যন্ত্র কেনা হল । নির্বাহী সূত্রে জানা গেল, ঐ যন্ত্র চালানোর জন্যে দক্ষ অপারেটর নেই। অপারেটর নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েও নাকি কাউকে পাওয়া যায়নি। ৫ বছর পর সেটা মেয়াদকাল শেষ। তখন সেই নির্বাহী অফিসার তার পাতানো নিলামে আনবক্সিং করা ইনটেক মেশিনটি কিনে ফেলেন লোহলক্কর হিসেবে।

তারপর সেই মেশিন টি চলে গেল তার নিজের ক্লিনিকে। লোকাল ডিস চ্যানেলে এ্যাড দিল যে, উত্তরবঙ্গে একমাত্র তাদের ক্লিনিকেই সেই মেশিনটি আছে, ঢাকা বা ইন্ডিয়ায় যাবার আর দরকার নেই।

বোঝেন অবস্থা। আমি অনেক তথ্য গোপন করলাম। হিন্টস দিলাম। কর্তৃপক্ষ চাইলে অনুসন্ধান চালাতে পারে।

০১ লা জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:৩০

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন—যা শুধু দুর্নীতির নয়, পুরো স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ব্যবস্থায় নৈতিক অবক্ষয়ের প্রতিচ্ছবি। এ ধরনের অপকর্ম শুধু রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয় নয়, জনগণের বিশ্বাসহীনতারও কারণ। যথাযথ তদন্ত ও জবাবদিহি ছাড়া এই ধারা থামানো সম্ভব নয়।

৪| ০১ লা জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:৩০

ওমর খাইয়াম বলেছেন:



আমাদের ডাক্তাররা অসৎ, আমরা তাদের উপর নির্ভর করতে পারিনি কখনো; তাবিজে ফাঁকি নেই, আল্লাহের বাণী!

০১ লা জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৩

নতুন নকিব বলেছেন:



বেশি হাউকাউ করলে মডুর নজরে পড়ার সম্ভাবনা কিন্তু ১০০%! আর, তার হাতে ধরা খাইলে যে রক্ষা নেই, তা তো বুঝেনই!!! আইডি গায়েব!!!!

৫| ০১ লা জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৩

ওমর খাইয়াম বলেছেন:



মড়ু এখন সামুর উন্নয়ন নিয়ে চিন্তায় ব্যস্ত।

০১ লা জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৮

নতুন নকিব বলেছেন:



মডু আপনার লুকোচুরি ভালোভাবেই লক্ষ্য করেন। মাঝে মাঝে একটু ছাড় দেন! আপনাকে সংশোধনের সুযোগ দেন! কিন্তু আপনি তো আপনিই!!! মানুষের সাথে বিবাদ করাই আপনার কাজ!!!

৬| ০১ লা জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৪

ওমর খাইয়াম বলেছেন:



তাবিজেও কি ফাঁকিবাজী?

০১ লা জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:৪০

নতুন নকিব বলেছেন:



তাবিজ ১০০% কার্যকর। যদি আবারও দিই, ২৪ ঘন্টা টিকবেন না!!!

৭| ০১ লা জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩৬

নতুন বলেছেন: সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো। যথেষ্ট সংখ্যক ডাক্তার, নার্স এবং আধুনিক যন্ত্রপাতি নিশ্চিত করতে হবে। প্রত্যেক নাগরিকের নির্দিষ্ট একটি লিমিট পর্যন্তু সরকারি খরচে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে হবে। বেসরকারি হাসপাতাল নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং। বিলের স্বচ্ছতা, চিকিৎসার মান, রোগ নির্ণয় পদ্ধতির উপর নজরদারি বাড়ানো জরুরি। স্বাস্থ্য বীমা ও ভর্তুকি প্রণয়ন। গরিব ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা গ্রহণ নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বাস্থ্য বীমা চালু করতে হবে। গ্রামীণ চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়ন। প্রত্যন্ত অঞ্চলেও যেন মানসম্মত চিকিৎসা পৌঁছে যায়, সেদিকে নজর দিতে হবে।

এই কাজ করতে গেলে ক্লিনিক, নার্স, হাসপাতালের স্টাফ, দালাল, ফ্যার্মাসির সবাই মিলে আন্দলোন করে এই পরিবর্তন হতে দেবে না। :|

০১ লা জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২১

নতুন নকিব বলেছেন:



ক্লিনিক, নার্স, হাসপাতালের স্টাফ, দালাল, ফ্যার্মাসির সবাইকে সাইজ করে তবেই এই ধরনের জাতীয় উন্নয়নের ক্ষেত্রগুলোতে কাজ করে এগিয়ে যেতে হবে। দেশকে সামনে এগিয়ে নিতে হলে অনেক জায়গায় কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন হবে।

৮| ০১ লা জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪১

ওমর খাইয়াম বলেছেন:



@নতুন,

আরবের বেদুইনরা তাবিজে বিশ্বাস করে?

০১ লা জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৫

নতুন নকিব বলেছেন:



আমার বিশ্বাস, আপনার শরীর তল্লাশি চালালে গণ্ডাখানেক তাবিজ নির্দ্ধিধায় উদ্ধার হবে!!! :)

ভন্ডামি আর কত!!!

৯| ০১ লা জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৯

নতুন বলেছেন: ওমর খাইয়াম বলেছেন: @নতুন,
আরবের বেদুইনরা তাবিজে বিশ্বাস করে?


আবরের বেদুইনেরা এখন অনেক আধুনিক।

আগে উটে চড়ে খেজুর খাইতো।

মার্সেডিসে চড়ে খেজুর খায় পাশের সিটে উট বসিয়ে রাখে।

তবে আমাদের দেশের মতন এতো ভন্ডামী আবর দেশে নাই।

০১ লা জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪৮

নতুন নকিব বলেছেন:



নতুন ভাই,
উনি মনেপ্রাণে আরবদের প্রতি অন্তঃপ্রাণ। জানেও আরবের সবকিছু। লক্ষ্য করলেই দেখবেন, সারাক্ষণ বেদুইন বেদুইন করে।

আপনাকে প্রশ্ন করছেন মজা নিতে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.