![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন সাধারণ মানুষ। সর্বজন গ্রাহ্য মতামতকে প্রাধান্য দেই।
আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন এখন সময়ের দাবী। অনেকেই আমার সংগে দ্বিমত পোষন করবেন। করাটাই স্বাভাবিক। কারণ দীর্ঘদিনে নির্বাচন ব্যবস্থা বাদ দিয়ে নতুন নিয়ম বড় রাজনৈতিক দল মানতে চাবেনা। বিএনপি ও আওয়ামী লীগ হলো দুটি বড় রাজনৈতিক দল এবং পরিবার কেন্দ্রীক। ছোট ছোট দলগুলো তাদের কাছে কোন পাত্তাই পাচ্ছেনা। বর্তমানে আওয়ামী রাজনীতি বাংলাদেশে অতীত তাই বিএনপিই হচ্ছে একমাত্র বড় রাজনৈতিক দল তারা কোন ভাবে পিআর পদ্ধতি মানতে চাবেনা। বিএনপি মানতে না চাইলেও জোড় করে হলেও মানাতে হবে। তা না হলে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় স্বৈরাচারী মনোভাব তৈরী হয়; জনগণকে বিবেচনায় রাখেনা এবং ফেসিবাদ মনোভাব গড়ে উঠবে। যখন সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহনে পার্লামেন্ট অলংকৃত হবে তখন একক ভাবে কিম্বা বিধি বহির্ভুত ভাবে কোন সিদ্ধান্ত নিতে সরকারকে অন্ততপক্ষে দুবার চিন্তা করতে হবে।
ধরা যাক, বর্তমান পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনে একটি আসনে মোট চারজন প্রার্থী চারটি দল থেকে নির্বাচন করছে। এই নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৮৫ শতাংশ। এর মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় তিনজন প্রার্থীই ২০ শতাংশ করে ভোট পেল। আর চতুর্থ প্রার্থী পেলো ২৫ শতাংশ ভোট। বর্তমান পদ্ধতি অনুযায়ী চতুর্থ প্রার্থীই এই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন। আর ওই তিনটি দলের ৬০ শতাংশ ভোট তেমন কোন কাজে আসছে না। একই ভাবে সারাদেশের ৩০০ আসনে যদি একই হারে ভোট পেয়ে চতুর্থ দলটির প্রার্থীরা জয়লাভ করে, তাহলে মাত্র ২৫ শতাংশ ভোট নিয়ে তারা সরকার গঠনসহ সংসদে একচ্ছত্রভাবে আধিপত্য করবে। অর্থাৎ সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের মতামতে কোন মূল্যই থাকছেনা।
কিছু রাজনৈতিক দল সারা দেশে গড়ে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ভোট পেলেও সংসদে তাদের কোন প্রতিনিধিত্ব থাকে না আসনভিত্তিক একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না হওয়ার কারণে। এই পদ্ধতিতে ভোট হলে সে সব দলের সংসদে প্রতিনিধিত্ব থাকবে।
এখন সময় এসেছে ভাবার। আসুন ভাবি, ভাবতে শিখি।
এবার একটি হুমকি শুনি; তাদেরকে চিরতরে বিতাড়িত করি।
২| ০১ লা জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১:০৫
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: সবদলের প্রতিনিধিত্ব থাকা ভালো। একক কতৃত্ব প্রকাশ পায় যদি সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে কোন সংসদে যায়।
৩| ০১ লা জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১:১৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থায় কোনো একটি দলের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া প্রায়শই কঠিন হয়ে পড়ে। এর ফলে প্রায়শই জোট সরকার (coalition government) গঠিত হয়। একাধিক দলের সমন্বয়ে গঠিত সরকারে বিভিন্ন দলের মধ্যে নীতির ভিন্নতা থাকায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া ধীর হতে পারে এবং আইন প্রণয়নে অচলাবস্থা (legislative gridlock) সৃষ্টি হতে পারে। এতে গুরুত্বপূর্ণ নীতি বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হতে পারে, যা দেশের উন্নয়নের জন্য ক্ষতিকর। আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা চরমপন্থী দলগুলোকে (extremist parties) সংসদীয় মঞ্চে আসার সুযোগ করে দিতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ভাইমার জার্মানির পতনের পেছনে এই পদ্ধতিকে আংশিকভাবে দায়ী করা হয়, যেখানে চরমপন্থী দলগুলো সংসদে প্রবেশাধিকার পেয়েছিল। PR পদ্ধতিতে ভোটাররা সরাসরি কোনো নির্দিষ্ট প্রার্থীকে ভোট না দিয়ে দলকে ভোট দেন। এর ফলে নির্বাচিত প্রতিনিধির সাথে তার স্থানীয় অঞ্চলের ভোটারদের সরাসরি সম্পর্ক দুর্বল হয়ে পড়ে। ভোটাররা "আমাদের এমপি" বলে কাউকে চিহ্নিত করতে পারেন না, কারণ তারা হয়তো কোনো নির্দিষ্ট এলাকার প্রতিনিধি নন। যেহেতু প্রার্থীরা সরাসরি ভোটারদের দ্বারা নির্বাচিত হন না, বরং দলীয় তালিকা থেকে আসেন, তাই তাদের জবাবদিহিতা দলের কাছে বেশি থাকে, ভোটারদের কাছে নয়।জোট সরকারে যেকোনো ছোট দলের সমর্থন প্রত্যাহার সরকার পতনের কারণ হতে পারে। ফলে ঘন ঘন সরকার পরিবর্তন হতে পারে, যা রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে। নির্বাচনের পর সরকার গঠনে দীর্ঘ সময় লাগতে পারে, কারণ বিভিন্ন দলের মধ্যে ক্ষমতা ভাগাভাগি এবং নীতি নিয়ে দর কষাকষি চলতে থাকে।
৪| ০১ লা জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশে এরকম হবে না।
আমাদের নির্বাচন স্টাইল আলাদা।
৫| ০১ লা জুলাই, ২০২৫ দুপুর ২:২৪
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: আসলে আমাদের দেশে ৭১ সাল থেকে যেভাব নির্বাচন হয়ে আসছে সেই ভাবেই হওয়াই উচিত বলে মনে করি
কোন পদ্ধিত চলবে না আমরা দেখেছি ভোটহীন নির্বাচন কারও ভোট নেই সে % পেয়ে বসে আছে--------
৬| ০১ লা জুলাই, ২০২৫ দুপুর ২:৫০
নতুন নকিব বলেছেন:
খুবই যৌক্তিক ও দরকারি বক্তব্য। আসলে ‘আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক (PR) নির্বাচন ব্যবস্থা’ এখন সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার নামে ২৫-৩০% ভোট পাওয়া দল যদি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয় এবং বাকিদের “শূন্য” গণ্য করা হয়, তবে তা কখনোই গণতন্ত্রের প্রকৃত প্রতিফলন হতে পারে না।
বর্তমান পদ্ধতিতে যে দল রাষ্ট্রক্ষমতায় এসে থাকে, তারা শুধু ক্ষমতায় আসছে না—তারা পুরো রাষ্ট্রযন্ত্র দখল করছে। ফলাফল: ভোটারের ইচ্ছার বিরুদ্ধেও শাসনব্যবস্থা গড়ে উঠছে। এই অন্যায্যতা রোধে পিআর পদ্ধতি কার্যকর হতে পারে। এতে সংসদে সকল দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে, সংলাপের সংস্কৃতি ফিরবে, আর একচ্ছত্রতা বা ফ্যাসিবাদের উত্থান ঠেকানো সহজ হবে।
এই ভাবনার আলোচনার দরকার রয়েছে সমাজের সব স্তরে। আপনার লেখাটি সেই দরকারি আলোচনার একটা জোরালো প্রস্তাব। কৃতজ্ঞতা জানাই এমন লেখা উপহার দেওয়ার জন্য।
৭| ০১ লা জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৩:২১
আমি নই বলেছেন: আমাদের দেশের জন্য আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বই সঠিক। এতে করে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরন হবে। সরকার সহজে ফ্যাসিষ্ট হতে পারবেনা। উপজেলা প্রশাসন আরো কাজ করার পরিবেশ পাবে, এমপি পার্লামেন্টিরিয়াল কাজ করবে উপজেলা চেয়ারম্যান স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে উন্নয়ন করবে। নমিনেশন বানিজ্য অনেকটাই কমে যাবে। ৩০-৩২% ভোট পেয়েই কেউ সরকার গঠন করতে পারবেনা, সরকারে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটারের প্রতিনিধিত্ব থাকবে।
আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যাবস্থায় অনেক ভালো ভালো দিকই আছে, তবে কিছু খারাপ দিকও আছে, কিন্তু বর্তমান ব্যাবস্থায়তো খারাপ দিকই বেশি।
৮| ০১ লা জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৩:৪২
ওমর খাইয়াম বলেছেন:
আপনার সাথে দ্বিমতের কিছু দেখছি না, কিন্তু ত্রিমত হয়েছি; আপনি রাজনীতিতে নবুয়ত পেয়েছেন নাকি?
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১:০২
একজন নিষ্ঠাবান বলেছেন: আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন ছাড়া পরিবারতন্ত্র ভাংবেনা।