নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঝিনাইদহ এলজিইডি অফিসে ঠিকাদারদের পাওনা টাকা বন্টনে দুর্নীতি, চরম সেচ্ছাচারিতা ও নিয়ম ভঙ্গের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এলজিইডির ঢাকা হেড অফিসের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক আব্দুল ওয়াদুদের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহের ঠিকাদাররা এই অভিযোগ করেন। এদিকে ঝিনাইদহ শহরের আসাদুর রহমান আসাদ ও শৈলকুপার শামীম নামে দুই ঠিকাদারকে টাকা পরিশোধের চিঠি প্রদানের ঘটনায় ঝিনাইদহের ঠিকাদারদের মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। েেসামবার ঠিকাদাররা ঝিনাইদহ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশীর অফিসে উপস্থিত হয়ে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানান। ঠিকাদারদের একটি সুত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহ এলজিইডির কাজ করে স্থানীয় ২০/২৫ জন ঠিকাদার ৬ কোটির বেশি টাকা পাবেন। কিন্তু বেশির ভাগ ঠিকাদারদের পাওয়ানা পরিশোধ না দিয়ে প্রকল্প পরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ মোটা অংকের বখরা নিয়ে মুখ চেনা দুই ঠিকাদারকে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা দেওয়ার জন্য দুইটি চিঠি ইস্যু করেছেন। এই চিঠি আসার ঘটনা ফাঁস হয়ে পড়লে ঝিনাইদহের ঠিকাদারদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। তারা পাওয়ানা টাকার জন্য ঝিনাইদহ এলজিইডি অফিস ঘেরাও করেন। ঝিনাইদহের বৈশাখী ট্রেডার্স, কালীগঞ্জের মোল্লা এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স হুমায়ন কবীর ও হাবিব এন্টারপ্রাইজের ঠিকাদার কাজী মাহবুবুর রহমার রুনু অভিযোগ করেন, এ ভাবে ব্যক্তি বিশেষের নাম উল্লেখ করে টাকা বরাদ্দ নজীর বিহীন এবং চরম অন্যায়। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ঝিনাইদহের ২০/২৫ জন ঠিকাদার প্রায় ৬ কোটি টাকা এলজিইডির কাছে পাবেন। কিন্তু সবার টাকা না দিয়ে হেড অফিস থেকে দুই জনের নাম উল্লেখ করে টাকা দিয়েছেন। ঝিনাইদহের মেসার্স নির্জনা এন্টারপ্রাইজের ঠিকাদার মহাব্বুল আলম জানান, জেলার অনেক ঠিকাদার পওয়না টাকা না পেয়ে দায় দেনায় জড়িয়ে পড়েছেন। কিন্তু টাকা বরাদ্দের ব্যাপারে এই অরাজকতা এলজিইডির ঠিকাদারদের বিস্মিত করেছে। তিনি অভিযোগ করেন, আমি বহুদিন ধরে ঠিকাদারী করছি। কিন্তু এভাবে টাকা বরাদ্দের ঘটনা এলজিইডির ইতিহাসে নেই। মেসার্স মতিয়ার রহমান, সুভাষ চন্দ্র দে, মেসার্স পার্বতী, জননী, মেসার্স সাঈদ এন্টার প্রাইজ, রফিকুল ও মেসার্স রেজাউল ইসলামসহ ২০/২৫ জন ঠিকাদার এ ভাবে টাকা বরাদ্দের ঘটনা নজীর বিহীন বলে দাবী করেন। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী রকিব-উল-আলম জানান, এই চিঠি হাতে হাতে নিয়ে আসার নিয়ম নেই। ঠিকাদার আসাদ ও শামিম হাতে করে বরাদ্দের চিঠি এনেছেন। তবে অফিসিয়ালি আমি কোন চিঠি পায় নি। তিনি আরো জানান পকল্প পরিচালক আব্দুল ওয়াদুষ সোমবার তাকে জানিয়েছেন এ ধরণের কোন চিঠি তিনি দেন নি। এ জন্য দুই ঠিকাদারের পেমেন্ট বন্ধ রাখা হয়েছে। তিনি আরো জানান এ ভাবে কাজের নাম উল্লেখ করে বিল পরিশোধের চিঠি দেওয়ার নিয়ম এলজিইডিতে নেই। ভুয়া বরাদ্দপত্র এনে দুই ঠিকাদার এই টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে মামলাসহ লাইসেন্স বাতিল হতে পারে বলে এলজিইডির একটি সুত্র জানায়। বিষয়টি নিয়ে এলজিইডি হেড অফিসের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক আব্দুল ওয়াদুদের সঙ্গে সোমবার কথা বলেতে তার মুঠোফোনে (০১৭১১৮৫৮৫৬০) একাধিক বার ফেন করলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
©somewhere in net ltd.