নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কেমন ছিল চরমপন্থি যুগের সেই বিভিষিকা
স্বাধীনতা পরবর্তী ৪০ বছর ঝিনাইদহে রাজত্ব ছিল চরমপন্থিদের। জাতীয় নির্বাচনসহ দেশের প্রতিটি নির্বাচন তরা প্রভাবিত করেছে। গ্রামাঞ্চলের বিচার আচারও করতো তারা। ফলে ঝিনাইদহের জনজীবন ছিল বিপর্যস্ত। মানুষ ভয়ে ভয়ে দিন কাটাতো। অথচ সেই সব চরমপন্থিদের পরিণতি সুখকর ছিল না। গুলি আর ধারালো অস্ত্রের লড়াইয়ে তাদের জীবন সাঙ্গ হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছে জেলার বাঘা বাঘা চরমপন্থি নেতা। এই সব ইতিহাস নতুন প্রজন্মের মানুষ খুব কমই জানেন। হয়তো তাদের কাছে রূপকথার গল্পের মতো শোনাবে। এই লেখায় কিছুটা তুলে ধরার প্রয়াস পাচ্ছি। এই বাইরে আপনাদের কাছে নতুন কোন তথ্য থাকলে জানালে সংযোজন করা হবে।
ঝিনাইদহ জেলার প্রথম ক্রসফায়ারের ঘটনা ঘটে ১৯৯৮ সালে। সদর উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের মাঠে দুই চরমপন্থি সদস্য নিহত হয়। এরপর থেকে একের পর বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটতে থাকে। ইতিহাস ও তথ্য নিয়ে জানা গেছে, চরমপন্থিদের জীবনে কারো স্বাভাবিক মৃত্যু ঘটেনি। আবার অনেকেরই দাফন কাফন পর্যন্ত হয় নি।
স্বাধীনতার পর জেলায় প্রথম চরমপন্থিদের হাতে খুন হয় ১৯৭১ সালে নলডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান চাঁদ আলী। তারপর থেকেই পুলিশের দালাল ও শ্রেনী শত্রু খতমের নামে চলতে থাকে হত্যাযজ্ঞ। ফলে দলীয় কোন্দল ও পুলিশের সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে প্রায় দুই হাজার চরমপন্থি সদস্য নিহত হয়।
চরমপন্থিদলগুলোর শীর্ষ নেতা ক্যাডারদের দিনলিপি পর্যালেচনায় দেখা যায়, অপঘাতে মৃত্যু তাদের সব সময় তাড়া করে ফিরছে। শুধু ঝিনাইদহ নয় খুলনা, সাতক্ষিরা, কুষ্টিয়া, যশোর ও চুয়াডাঙ্গাসহ দেশের দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলের ১০ জেলায় তাদের ত্রাসের রাজত্ব ছিল। তবে সব চরমপন্থিদেরই পরিনতি ছিল একই ধরণের।
তথ্য বিশ্লেষন করে জানা যায়, ২০১১ সাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকায় চরমপন্থী ক্যাডারদের আনাগোনা ছিল। ১৯৭২ সালে প্রথম গোপন রাজনীতির আবির্ভাব ঘটে পূর্ব-পাকিস্থান কমিউনিস্ট পার্টি (এম, এল)’র। দলটি মাওবাদী ও শ্রেণীশত্রু খতমের আদর্শে বিশ্বাসী ছিল। ঝিনাইদহ সদর, শৈলকুপা, কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুর ও হরিণাকুন্ডু উপজেলায় এদের ব্যাপক আধিপত্য ছিল। এরা বিভিন্ন সময়ে পুলিশের কাছ থেকে অস্ত্র ছিনতাই ও তাদের সাথে সম্মুখযুদ্ধে লিপ্ত হতো। সরকারী খাদ্যগুদাম লুট করে চাল, গম সাধারণ মানুষের মধ্যে বিলিয়ে দিয়ে জনসাধারণকে তাদের পক্ষে রাখত। যার ফলে অল্পদিনের মধ্যে তারা ব্যাপক আধিপত্য বিস্তার করতে সক্ষম হয়।
চরমপন্থিদলের প্রভাব বিস্তারের অন্যতম কারণ ছিল অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা। ১৯৯০ সালের পর জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হলেও তাদের প্রভাব কমানো যায়নি। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের প্রয়াত নকশাল নেতা চারু মজুমদারের অনুসারী হওয়ায় এ দলটি ‘নকশালী পার্টি বা দল নামে এ জেলায় পরিচিতি পায়। ১৯৭৩ সালে জাসদ তাদের আন্ডারগ্রাউন্ড সেল গণবাহিনী গঠন করলে মাগুরা, ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গায় একক আধিপত্য বিস্তার করে। ১৯৭৪ সালে গণবাহিনী হরিণাকুন্ডু থানা লুট করে। ৭৫ সালে লুট করে শৈলকুপা উপজেলার লাঁঙ্গলবাধ পুলিশ ফাঁড়ি। এরপর থেকে এরা এসব এলাকায় ব্যাপক শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
১৯৭৫ সালে দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর পূর্ব-পাকিস্থান কমিউনিস্ট পার্টি (এম, এল) নাম পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিষ্ট পার্টি রাখে। এরা সংগঠনের বিস্তার ঘটনাতে থাকে গণবাহিনীর দখলীয় এলাকায়। তখন থেকেই শুরু হয় দলে দলে খুন আর পাল্টা খুনের প্রতিযোগীতা। একদল অন্যদলকে আয়ত্তে পেলেই তাদের নেতা বা ক্যাডারদের হত্যা করতে থাকে। যেন সাপে নেউলে সম্পর্ক। পাশাপাশি বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টি শ্রেণী শত্রু আখ্যা দিয়ে গ্রামের জোতদার ও পুলিশের সোর্সকে হত্যা করতে থাকে।
১৯৭৫ সাল থেকে ৮১ সালের মধ্যে গণবাহিনী ও বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির প্রায় ৫’শ নেতা বা ক্যাডার খুন হয়। ৮০’র দশকের শুরুতে দুর্বার গতিতে বরিশাল, ফরিদপুর ও মাগুরা হয়ে সর্বহারা পার্টি এগিয়ে আসে ঝিনাইদহের দিকে। শুরু হয়ে যায় গণবাহিনী ও বিপ্লবী কমিউনিষ্ট পার্টির সাথে এলাকা দখলের যুদ্ধ। অল্প দিনের মধ্যেই সর্বহারা পার্টি আধিপত্য বিস্তার করে। বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টি ও গণবাহিনীর অসংখ্য নেতা ও ক্যাডার খুন হয় সর্বহারা পার্টি কামরুল গ্রুপের হাতে।
১৯৮৯ সালের ৪ জুন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটী ইউনিযনের কংশী মাঠে সর্বহারা পার্টির সাথে গণবাহিনীর বন্দুকযুদ্ধে ৭ গণবাহিনী কর্মী নিহত হয় যা, আজও সেভেন মার্ডার হিসাবে পরিচিতি। বরিশাল থেকে আসা দলনেতা রাজিব ও রিপন এই হত্যাকান্ডের নেতৃত্ব দেয়। এরপর রাজিবকে ইটভাটায় পুড়িয়ে হত্যা করে তার কাছে থাকা অস্ত্র ভান্ডার দখল করে তারই দলীয় ক্যাডাররা। সর্বহারার কামরুল গ্রুপের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয়। এই দলের আরেকটি গ্রুপের নেতৃত্বে আসে কর্ণেল জিয়াউদ্দীন।
ঝিনাইদহ অঞ্চলে সর্বহারা জিয়া গ্রুপ নামে পরিচিতি পায়। সর্বহারা কামরুল গ্রুপের মানিক ঝিনাইদহের দায়িত্ব পায়। সে সময় বংকিরা গ্রামের আব্দুল মজিদের নেতৃত্বে বাজারগোপালপুর গ্রামের বজলুর রহমান বাচ্চু, আসাননগরের আব্দুর রহিম, নুরু, গোবিন্দপুরের মোহাম্মদ, হা করা শহিদুল ও কালো মোহাম্মদকে হত্যা করা হয়। বিভক্ত সর্বহারার উপর বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টি বা হক গ্রুপ আঘাত হানতে শুরু করে। এক সময় সর্বহারার একক আধিপত্য খর্ব হয়ে যায়।
’৯০ দশকের শুরুতে পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির আবির্ভাব ঘটে। কোটচাঁদপুরের শিবনগর গ্রামের হায়দার ও হরিণাকুন্ডুর হিঙ্গেরপাড়া গ্রামের টিপু দলের নেতৃত্ব দেয়। শুরু হয় মৃত্যুর বিভিষিকা। দোড়া ইউনিয়নের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিলকে খুন করে তাদের উপস্থিতি জানান দেয়। এরপর বংকিরা গ্রামের আজগর বিশ্বাস, মহিদুল ইসলাম মুন্টে, মাটিকুমরা গ্রামের আব্দুস সাত্তার, তার ছেলে শরিফুল, চোরকোল গ্রামের রাহাজদ্দীন, শ্রীপুর গ্রামের রাহাজদ্দীন, চোরকোল গ্রামের সফি মেম্বর, হিঙ্গেরপাড়া গ্রামের সাহার মেম্বর ও তার ছেলে ঝন্টু, চুয়াডাঙ্গার কুতুবপুর গ্রামের মোদিন ও তার ভাই মোহন, একই গ্রামের কেটে, রতন, ইদু, বাবলু, গোবরাপাড়া গ্রামের নাজির ডাক্তার, আবুল কালাম, আফজেল, জীবনা গ্রামের এরশাদ আলী মেম্বর, একই গ্রামের শাহাদৎ হোসেন ও ভুট্টো, রাঙ্গিয়াপোতা গ্রামের মুছাসহ শত শত মানুষ খুন হয়। ফলে পুর্ববাংলার দাপটে বাঘে-ছাগলে একঘাটে পানি খেতো।
কসাই টিপু সঙ্গী হিসেবে পায় গোবরাপাড়া গ্রামের চরমপন্থী ইছাকে। পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় ইছা। দলীয় ক্যাডাররা বিশ্বাসঘাতকতা করে টিপু ও তার ৩ সঙ্গীকে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার কুতুবপুর বিলে জীবন্ত কবর দেয়। শেষ হয় টিপু অধ্যায়। টিপুর খবর বিবিসি থেকে প্রচারিত হয়। বেপরোয়া হত্যাযাজ্ঞের কারণে পুর্ববাংলা আস্থা হারিয়ে দুর্বল হয়ে পড়ে। দাপট বেড়ে যায় বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির। সম্রাজ্য দখল করে সদর উপজেলার বিষয়খালী গ্রামের আনোয়ার হোসেন দেবু, কেষ্টপুর গ্রামের আয়নাল হক তিতাস, জীবনা গ্রামের রতন, মহামায়া গ্রামের খলিলুর রহমান মফিজ, পুড়োবেতাই গ্রামের আক্কাস আলী নরেন, চোরকোল গ্রামের হাবিবুর রহমান করিম, কুষ্টিয়ার মফিজ ও শৈলকুপা’র শহীদুল ইসলাম লাল।
বিপ্লবী কমিউনিষ্ট পার্টির আরেক শীর্ষ নেতা ভড়ুয়াপাড়া গ্রামের আনোয়ার মাস্টারকে ১৯৯৫ সালের ১৬ জানুয়ারী তেতুলতলা বাজারে হত্যা করে রুহুল বাহিনী। পরবর্তীতে রুহুল নলডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়। রুহুল বিশ্বাস ঝিনাইদহ শহরের হামদহ স্ট্যান্ডে খুন হয়।
এ সব চরমপন্থিদের রাজত্ব চলতে থাকা অবস্থায় ১৯৯৭ সালের দিকে বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষ তাত্তিক নেতা ঝিনাইদহের মীর ইলিয়াস হোসেন দিলিপের নেতৃত্বে গঠন করা হয় শ্রমজীবী মুক্তি আন্দোলন। এই দলের সামরিক শাখার নাম দেওয়া হয় গণমুক্তি ফৌজ। বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির বেশির ভাগ নেতা গণমুক্তিফৌজে যোগ দেয়। তারা আঘাত হানতে থাকে বিপ্লবী কমিউনিষ্ট পার্টি ও পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির উপর। এই যুদ্ধে উভয় দলের প্রায় দু’শ নেতাকর্মী খুন হয়।
১৯৯৯ সালের দিকে তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরকারের সাধারণ ক্ষমার সুযোগে আত্মসমর্পণ শুরু হয়। ঐ সময় গণমুক্তি ফৌজ গণবাহিনীর ক্যাডাররা ভাঙ্গাচুরা অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করে। এ সময় বিপ্লবী ও পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টি আত্মসমর্পনে সাড়া দেয়নি। আন্ডার ওয়ার্ডে চলতে থাকে রেশারেশি। আবার গরম হয়ে ওঠে ঝিনইদহের আন্ডারওয়ার্ড। খুনের নেশায় মত্ত হয়ে ওঠে তারা। খুলনা অঞ্চল থেকে জনযুদ্ধের আব্দুর রশিদ ওরফে দাদা তপন শক্তি সঞ্চয় করে ঝিনাইদহে ভর করে।
বিপ্লবী, জনযুদ্ধ ও গনমুক্তিফৌজের মধ্যে নতুন করে শুরু হয় ত্রীমুখি লড়াই। ২০০০ সালের দিকে পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টি ভেঙে চার টুকরো হয়ে যায়। নতুন নাম হয় পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির এম এল, এম এল লাল পতাকা, এম এল জনযুদ্ধ ও এম.এল যোদ্ধা। সামরিক শক্তি এবং হত্যার দিক থেকে আবদুর রশিদ মালিথা ওরফে দাদা তপনের নেতৃত্বাধীন পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টি এমএল জনযুদ্ধ তখন শীর্ষে ছিল। নতুন নতুন কৌশলের কাছে পরাস্থ হয় আইনশৃংখলা বাহিনী। তারা মানুষ খুনের পর পত্রপত্রিকায় ফ্যাক্সের মাধ্যমে দায়িত্ব স্বীকার করে ভিন্ন মাত্রা যোগ করে। সে সময় “আমি আবীর হাসান বলছি” এই ডায়ালগ দিয়ে মানুষকে আতংকিত করা হতো।
চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা এলাকায় দাদা তপনের বিভিষিকা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি এমন এক পর্যায়ে পৌছায় যে মানুষ ঘুমের ঘরেও চমকে উঠতো। এমনকি দাদা তপন ঘোষণা দিয়েও মানুষ খুন করতো। দক্ষিনাঞ্চলের ভয়ংকর চরমপন্থি সংগঠন ‘জনযুদ্ধ’ ঝিনাইদহ শহরে একেরপর এক হত্যা ও বোমা হামলায় নাজুক পরিস্থিতির জন্ম দেয়।
২০০০ সালের ১৬ জুন ঝিনাইদহ শহরের পাগলাকানাই এলাকার একটি দোকানে বসে থাকা অবস্থায় শ্রমজীবী মুক্তি আন্দোালনের প্রধান মীর ইলিয়াস হোসেন সঙ্গী আলফাজসহ খুন হয়। একই স্থানে খলিল মফিজ ও আব্দুল ওহাবকে গুলি করে জনযুদ্ধ। এতে ওহাবের মৃত্যু হয়। এর আগে গান্না ইউনিয়নের কালুহাটী গ্রামের হাকিম খা, চেয়ারম্যান শরাফৎ হোসেন ও গান্নার কবীরকে হত্যা করা হয়।
খুনের শিকার হয় আওয়ামীলীগ নেতা সুবোধ কুন্ডু, যুবদল নেতা হায়দার আলী হাদু ও বিএনপির উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আবু কবর সিদ্দিক। এই বিভিষিকা পরিস্থিতির মধ্যে শহরের ব্যাপারীপাড়ার খোকা ড্রাইভারের ছেলে সুমন নামে এক যুবক ১৭টি মোবাইল সিমসহ সদরের আঠারো মাইল এলাকায় র্যাবের হাতে আটক হয়। সুমন ছিল দাদা তপনের বিস্বস্ত সহযোগী। তার কাছ থেকে দাদা তপনের সন্ধান পায় র্যাব।
তার দেয়া তথ্যমতো ২০০৮ সালের ১৮ জুন জনযুদ্ধের প্রধান দাদা তপনকে কুষ্টিয়া সদরের বাড়াদি স্কুলপাড়ার একটি বাসায় আবিস্কার করে এলিট ফোর্স র্যাব। সেখানে দাদা তপন ও তার সহযোগী রিক্তা বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। তপনের ভাই জনযুদ্ধের আইটি শাখার দায়িত্বে ছিল। হত্যার পর সেই ফ্যাক্স বার্তায় দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিতো। আকাশ কুষ্টিয়ায় র্যাবের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হলে খুনের ভয়াবহতা কমে আসে।
পুলিশ ও র্যাবের অব্যাহত অভিযানে জনযুদ্ধ বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। এই বাহিনীনির টিক্কা, একদিল, কালু, পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির (লাল পতাকা) নেতা কোটচাঁদপুরের টুটুল ডাক্তার ও পুর্ববাংলার কমিউনিষ্ট পার্টি এমএল এর সাধারণ সম্পাদক মোফাখ্খার হোসেন চৌধুরীসহ বহু নেতা বন্দুক যুদ্ধে নিহত হন।
মেহেরপুরের গাংনী এলাকায় চরমপন্থি নেতা রনি বিশ্বাস ওরফে আবীর হাসান গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। আর এ ভাবেই শেষ হয় এই অঞ্চলের রক্তের হলিখেলা অধ্যায়। স্বঃস্তি ফিরে আসে জনজীবনে। তবে যে সব মানুষ এদের হাতে খুনের শিকার হয়েছেন এখনো এ সব দলের অনেক নেতা ও ক্যাডার জীবিত থাকলেও তারা স্বাভাবিক জীবন যাপন করছেন। (অসমাপ্ত)
৩১ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:৫০
আসিফ ইকবাল কাজল বলেছেন: সঠিক আমি কাজল ভাই
২| ২৭ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:৩৮
কামাল১৮ বলেছেন: এই পার্টিগুলির মূল বক্তব্যই ভুল ছিলো।এখনো তারা ভুলের মধ্যে আছে।হক-তোহা বা মতিন - আলাউদ্দিন তারা পাকিস্তানের সময় থেকে ভুল করে আসছে।এখনো তারা ভুলের মধ্যে আছে।যার জন্য তাদের আন্দোলন সফল হয় নাই।
৩১ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:৫১
আসিফ ইকবাল কাজল বলেছেন: সেই ভুলের মাশুল দিয়েছে সাধারণ মানুষ জীবন দিয়ে। যাই হোক এখন আর ঝিনাইদহ অঞ্চলে এসব পার্টির কোন তৎপরতা নেই।
৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ২:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: এভাবে যে কোনো লেখা পড়তে বিরক্ত লাগে। প্যারা প্যারা করে দিলে পড়তে আরা, হয়।
৩১ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:৫৩
আসিফ ইকবাল কাজল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই এরপর থেকে প্যারা করে লেখার চেষ্টা থাকবে।
৪| ২৮ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ২:৩৫
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: সর্বহারা পার্টি মনে হচ্ছে।
৩১ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:৫৪
আসিফ ইকবাল কাজল বলেছেন: না ভাই আমি সর্বহারা নয়, এই অঞ্চলে যারা ছিলেন তাদের কথা তুলে ধরেছি।
৫| ২৮ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:২৫
কামাল১৮ বলেছেন: @ জ্যাক,এখানে সর্বহারা পেলেন কোথায়?
৩১ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:৫৫
আসিফ ইকবাল কাজল বলেছেন: ঝিনাইদহ অঞ্চলে তার ছিল। তাদের কথাই তুলে ধরেছি।
৬| ৩১ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:০৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার পোস্টের সাথে একমত। ১৯৮৫ সালের দিকেও বরিশাল এলাকাতে সর্বহারাদের ভয়ে মানুষ আতঙ্কে থাকতো। তবে এরা ছিল মুলত ডাকাত। সর্বহারা পরিচয় দিয়ে এই সব কাজ করতো।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:০৩
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: লেখক সাহেব কি আমাদের সাংবাদিক কাজল ভাই?