![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি বলতে চাই ,লিখতে চাই ,সঠিক পথে চলতে চাই।
সিলেটের প্রচলিত অঞ্চল ভিত্তিক সংস্কৃতির কয়েকটির মধ্যে ইস্তারি এবং আম্ভখছি হলো অন্যতম।এবং এগোলো বেয়বহুল সংস্কৃতিরও অন্যতম । সিলেট ছাড়াও বাংলাদেশের প্রায় প্রত্যেক জায়গায়ও আহামরি রোগের মত দেখা দিয়েছে এই দুটি সংস্কৃতির ।
ইস্তারি শব্দ হলো আমাদের গর্বের আঞ্চলিক ভাষা যা সাধারণত রমজান মাসে বা যেকোনো নফল রুজাতে ইফতার সামগ্রীকে বলা হয় ।কিন্তু আমাদের সিলেটে ইস্তারি মেয়ের বিয়ের পরে রমজান মাসে বাবার বাড়িথেকে মেয়ের শশুর বাড়িতে ইফতার সামগ্রী দেওয়া মানে ইস্তারি ।ইস্তার সামগ্রী মধ্যে যা দেওয়া হয় তা হলো মিষ্টি ,জিলাপি ,নিমকি ,খাজা ,ছুলা/চানা ,পিয়েজি ,ফল ,আরো অনেক ।
আম্ভখছি শব্দ আমাদের আঞ্চলিক ভাষা যার সাধারণ জৈষ্ট মাসের ফলকে বুঝায় ।আর আমাদের সিলেটে আম্ভখছি আম ,কাটাল , লিচু ,আনারস ,মুড়ি ,আঙ্গুর ইত্যাদি মেয়ের বিয়ের পরে জৈষ্ট মাসে বাবার বাড়ি থেকে মেয়ের শশুর বাড়িতে দেওয়ার মানেই আম্ভখছি।
এই দুটি সংস্কৃতি যা প্রভাবশালী পরিবারদের জন্য খুভ একটা চিন্তার বিষয় না ।বরং অনেক পরিবার এই সংস্কৃতিতে আনন্দ পায় ।কিনতু পবিত্র মাহে রমজান এবং জ্যৈষ্ঠ মাস গরিব বাবাদের এক অসহনীয় সময় যা ধনী বাবারা বুজেন না ।পবিত্র রমজান মাস যেখানে ইবাদাতে মশগুল তাকার কথা সেখানে বাবারা চিন্তায় তাকেন কেমন করে ইস্তারি দেবে মেয়ের বাড়িতে না হয় যে সম্মান যাবে ,সমাজ কি বলবে ,মেয়ের শশুর বাড়ির মানুষ কী বলবে ।ওপর দিকে ধনী বাবারা বিদেশ থেকে টাকা এনে ধুমধাম করে প্রায় ৫০ -৬০ হাজার টাকা খরছ করে মেয়ের সম্মান বাড়ানোর জন্য ইস্তারি এবং টিক আম্ভখছিও দিয়েতাকেন অতছ এই সংস্কৃতি যে অনেক বাবার জন্য দুঃখের কষ্টের তা কে জানে । গরিব হলেও যদি মেয়ের নতুন শশুর বাড়িতে ইস্তারি বা আম্ভখছি দিতে হয় তার পরও ৫-৭ হাজার টাকার প্রোয়জন যা একজন গরিব পরিবারের জন্য কি ধরনের কষ্টের তা সে নিজে ছাড়া কেউ বুজেনা ।একজন দিন মজুর সারা দিন কাজ করে নিজের পরিবারের জন্য ভালো করে খাবার যুগাতে পারেনা তার উপর সমাজের এই সংস্কৃতির নামে কষ্ট এক রকম চাপিয়ে দেওয়া হয় ।যদি মেয়ে পুরনো হয় তারপরও ২ - ৩ জাজার টাকার প্রোয়জন ইস্তারি বা আম্ভখচি দিতে ।যদিও অনেকে সমাজের কিছু নষ্ট মানুষের মুখ বন্ধ করার জন্য বাধ্য হয়ে মেয়ের বাড়িতে ইস্তারি বা আম্ভখচি দেয় , জানি না সে সারা বছরেও কি ২ হাজার টাকার মিষ্টি জিলাপি বা আম ,কাটাল কিনে খেয়েছে কি ? খাবেই বা কেমনে একজন দিনমজুরের প্রতিদিনের রুজি হলো ২০০ টাকা বা তার চেয়ে কিছু বেশি অতছ একটা কাটালের মুল্য বর্তমানে ১০০ টাকা এক কেজি মিষ্টির মুল্য গ্রামের বাজারেও কম হলে ২০০ টাকা তাহলে কি করে চাল , মাছ সবজি রেখে একটা কাটাল কিনে খাবে একজন দিন মজুর ।যদি দিতেও হয় ইস্তারি তাহলে কিছু ইফতার সামগ্রী বা জৈষ্ট মাসে কিছু ফল মূল নিয়ে মেয়ের জামাই বিয়াই বিয়াইন কে নিয়ে বসে একসাথে ইফতার করলেইতো হয় বা ফলের সময়ে ফলমূল খেলেইত হয় ।তাহলে যেমন আনন্দ পাওয়া যাবে মায়া মহব্বত ও বাড়বে । আলহামদুলিল্লাহ আমাদের সিলেটের মানুষ সবাই ভালো আছি একে অন্য কে সাহায্য করি ।কিনতু কেন সংস্কৃতির নামে এই বুজা আমাদের মত গরিবের গায়ে লাগানো থাকবে ? এই অপসংস্কৃতিকে দূর করতে হলে সিলেটের ইসলমী বেক্তিত্ব ও শিক্ষিত যুব সমাজ কে এগিয়ে আসতে হবে ।
©somewhere in net ltd.