![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই শহর ব্যাস্ততার রোষানলে, সভ্যতা গড়ছে নাগরিক। আমি তখন অলস মস্তিস্কে শয়তানের কারখানার একনিষ্ঠ শ্রমিক। ফেসবুক: https://www.facebook.com/kasafaddauza
এবারের ঈদ বাণিজ্য বেশ ভালো হয়েছে। বাসা থেকে শপিং করবার জন্য টাকা দেয়,আমি খেয়ে ফেলি। তাই এই সাত সকালে মায়ের চেঁচামেচি শুনে পুরানো পাঞ্জাবী পরেই নামাজ পড়তে রওনা দিলাম।ঈদ মানে খুশী,ঈদ মানে আনন্দ। তাই গতরাতে আনন্দের ঠ্যালায় দুই পেগ বেশী খেয়ে ফেলেছি।ঝাড়া এক ঘন্টার গোসলও তাই ঝিমুনী কমাতে পারছে না।মসজিদের সামনে বিরাট জটলা,আঁতরের গন্ধে উৎসব মৌ মৌ করছে। ও হ্যাঁ জটলাটা যতটা নামাজ পড়ুয়াদের তারচে ভিক্ষুকের কোন অংশে কম না।যে কোন উৎসব ভিক্ষা করবার জন্য দারুণ উপলক্ষ। এ সময় মানুষের মন পুডিং এর মতো নরম থাকে। টিপ দিলে ভেঙ্গে যায়।মসজিদ মুখেই সুজনের সাথে দেখা
-কিরে ব্যাটা পুরান পাঞ্জাবী মনে হয়?
-হ্যাঁ গত বছরেরটা,তোরটা কত দিয়া কিনলি?
-আড়াই হাজার মামা,দেরী করছি বলে পছন্দমত পাইনি।
সুজনের মুখ দিয়ে পাঞ্জাবীর মতই ঘ্রাণ বেরুচ্ছে। আঁতরের না আত্নপ্রসাদের।ব্যাপারটা লক্ষনীয় আত্নপ্রসাদের হাসি কেবল নিজে থেকে সম্মানে নিচের দিকের লোকদের সাথেই হাসা যায়। আপাতত আমার পাঞ্জাবী পুরান। রিমনের নতুন পাঞ্জাবী,দামও পাঁচশ বেশী। সেখানে সুজন প্রায় কৈফিয়ত দেবার মত করে বলছে “দোস্ত বলিস না,শেষে গেছি এর থেকে ভালো পাঞ্জাবী পাই নাই।তোরটা কিন্তু ভালো হইছে”। ঈদের নামাজ যতটা না নামাজ,বেশীরভাগ বাঙালীর জন্য ততটাই গল্প করবার জায়গা। বহুদিন পর সবাইর দেখা হয়,খোঁজ খবর করে। কম বয়সী কি বেশী বয়সী সবাই একটা আলাপের মুডে থাকে। ইমাম সাহেব মাঝে মাঝেই রেগে গিয়ে হুঙ্কার ছাড়েন। কিন্তু খুব বেশী এগুতে পারেন না কারণ তিনি আসলে চাকরী করেন।তবে আসলেই ঈদ হলো বাচ্চাদের। বড়দের মত সেজেগুজে ঈদের নামাজ পড়তে এসেছে। যাদের সামান্য বুদ্ধি হয়েছে তারা গিয়েই হামলে পড়বে বড়দের পকেটে।এটা এক ধরণের মজা। দিন শেষে তিন চারজন বাচ্চা হিসাবে বসবে কে কত টাকা পেয়েছে।যে কম পেয়েছে তার মন খারাপ হবে,বাবার কাছে বায়না ধরবে বাড়তি টাকার জন্য।
নামাজ শেষে কোলাকুলি করার একটা বিরাট যুদ্ধের ব্যাপার।কোলাকুলি শেষে বন্ধু আমার বাসায় আসিস মুখস্ত কথাটা বলতে হয় সবাইকে। প্রায় ভাবি কোন এক ঈদে শ’খানেক লোক নিয়ে নির্দিষ্ট কেউ একজনের বাসায় গিয়ে বলবো “ঈদ মোবারক চলে এলাম,খাওয়া”। সেটা করা হয় না। এদিন খাবারের অভাব হয় না।বাড়ীর মেয়েরা এক মাস আগ থেকে রেসিপি বই কিনে রাখে,মায়েদের সনাতন রান্নার পাশাপাশি নতুন রাধুনীরা নানা রকম এক্সপেরিমেন্ট চালায়।কোলাকুলি শেষে যে যার মত চলে গেলে আমি সিগারেট নিয়ে একটু আলাদা হয়ে গেলাম।স্বাধীনতা বলে একটা কথা আছে,সেটা এখন আমি উপভোগ করছি। ঝাড়া একটা মাস পর বুক ফুলিয়ে সিগারেট খাবার মধ্যে একটা গুরুগম্ভীর ব্যাপার আছে।টং দোকানে মানুষ নাই,ঈদের দিন মানুষ চা খায় না।কোরমা পোলাও,বিরানী আরও অনেক কিছুই খায়। চায়ের অর্ডার দিয়ে সিগারেট টানছি।সামনেই একটা বারো তেরো বছরের ছেলে বসা হাতে একটা পলিথিন।বুঝা যাচ্ছে বাতাস দিয়ে ফুলিয়ে রাখা হয়েছে।একা একা চা খেতে বোর লাগছিলো। একটু কথা বলার উদ্দেশ্যেই ছেলেটাকে বললাম “ঈদ মোবারক বাবু”। পাত্তাই দিলো না,এমনকি শুনেছে এমন ভাবও করলো না। অপমানজনক হতে পারতো ব্যাপারটা। কিন্তু ঈদের দিন অপমান গায়ে মাখতে হয় না।পলিথিনে একটা ফড়িং! আবার বললাম “ঈদ মোবারক”। আমার দিকে না তাকিয়েই ছেলেটা বলল “মুবারুক”
-তোমার নাম কি?
-নাই
-আচ্ছা। নাম না থাকা ভালো। নাম থাকার নানা ঝামেলা।
ওদিক থেকে কোন উত্তর এলো না।আবার প্রশ্ন করলাম “পলিথিনে কি?
-হাতি,সুন্দরবন থেকে ধইরা আনছি,চিড়িয়াখানা দিমু।
-দারুণ ব্যাপার,টিকিট কত করে রাখবা?
এবার ছেলেটা ফিরে তাকালো,তার দৃষ্টিতে আগুণ। সে মহা বিরক্ত। “চা খাবে এক কাপ?একলা চা খেতে কষ্ট।ওই মামা চিড়িয়াখানার মালিককে একটা চা দাও। আপনি কাছে আসেন”
ছেলেটা কাছে এসে আমার সামনের টুলেই বসলো।হাতের পলিথিন শক্ত করে ধরে আছে। পলিথেনের মুখ বাঁধা হয়নি। সেজন্য বাড়তি নিরাপত্তা। ফড়িং উড়ে যেতে পারে যেকোন মুহুর্তে।“তা তোমার নামটা বলো এবার”
-টিটু
-সুন্দর নাম,আমার নাম রোমেল।
-আপনের নাম দিয়া কি করুম?
-নাহ কিছু করতে হবে না।তা ঈদের নামাজ না পড়ে এখানে কি করছো?
-আমি নামাজ পড়তে পারি না।আব্বা শিখায় নাই।আমার আব্বাও নামাজ পড়তে পারে না।
হা হা হা করে হাসি দিলাম। ছেলেটা একেবারেই শিশু,ও জানেনা নামাজ না জানলেও ঈদের নামাজ পড়ে হাজার হাজার মানুষ। আর বাচ্চাদের জন্য সব মাফ।গায়ের পুরান জামা পরা টিটুকে দেখে আপন আপন মনে হচ্ছে। তবে বেচারা নিশ্চয় টাকার অভাবে কিনতে পারে নি। মনে মনে শপথ করে ফেললাম। আগামি ঈদে টিটুকে লাল পাঞ্জাবী উপহার দিবো। গরীবের বাচ্চারা লাল রং পছন্দ করে।কথা খুঁজে পাচ্ছি না।আমার চা প্রায় শেষ। আরেক কাপ অর্ডার দিয়ে নতুন করে কথা শুরু করতে হবে।গরীবদের সাথে কথা বলতে একটা অসুবিধা আছে। কোথায় কোন কথায় আবার ঝামেলা বেঁধে যায়। এমনিতেই তারা ছেড়া কাপড় ছাড়া কাউকে দেখলেই বড়লোক মনে করে। যেহেতু আমার পাঞ্জাবী ইস্ত্রী করা আপাতত আমি তার কাছে বিরাট বড়লোক। তার উপর তাকে সেধে সেধে চা খাওয়াচ্ছি। টিটু হয়ত ভাবছে কোন পাপ কর্ম করে এসে তাকে চা খাইয়ে প্রায়শ্চিত্য করছি।
চা পেয়ে টিটু পিরিচে ঢেলে ফেলল,ফুড়ুত করে এক টানে মুখে নিয়ে আবার ঢালতে মনযোগী হতেই আমি জিজ্ঞেস করলাম “বাবা কি করে?
-ঘরে বইসা থাকে!
-বাহ! খুব ভালো কাজ। আমিও একই কাজ করি।
-মা কি করে?
-বুয়ার কাম করে।
-ঈদে নতুন জামা কিনতে পারো নি তাই না?
-আমার নতুন জামা কেনা লাগে না,আমি পাই।
খুব আত্নবিশ্বাসী এবং আত্নপ্রসাদের হাসিসহ। কেবল মাত্র ডোন্ট কেয়ার টোকাইরাই পারে নিজের অবস্থান থেকে উপরের মানুষদের সাথে আত্নপ্রসাদের হাসি হাসতে। “ভালো কথা তুমি ঈদের দিন পলিথিনে ফড়িং ঢুকাইছো কেন?
-অন্যদিন হলেতো কাগজ ঢুকাইতাম।
এই ছেলের সাথে তর্ক করা অযথা। কাজের কথায় আসা যাক “তা নতুন জামা পেয়ে পুরান জামা পরে আছো কেন? কাহিনী কি?
টিটু একটু ভাবলো। চুপচাপ পিরিচের চা শেষ করে ঠিকই, তবে দৃষ্টি নিচ থেকে ফেরায় না। আমার বলার আর বেশী কিছু নেই। তাই চুপচাপ থাকাই শ্রেয়।মিনিটখানে পর নিজেই থেকেই বলল “বাপে সব বেইচা দিছে”! আমার মন খারাপ না হোক,মন খারাপের ভাব করা উচিত। টিটু সামান্য কাঁদছে বোধহয়।গিফটের জামা কাপড় বিক্রি করে দেয়া বিরাট কষ্টের ব্যাপার। জানা দরকার তার বাবা এটা কেন করতো। কিন্তু প্রশ্ন করতেই ভয় লাগছে। অবস্থা সুবিধার না। চোখের টলটলে থেমে থাকা পানি যেকোন সময় বাঁধ ছুটে বেরিয়ে আসতে পারে।আমি বরং আরেকটা সিগারেট ধরিয়ে অপেক্ষা করি। লক্ষন দেখে মনে হচ্ছে নিজে থেকেই বলবে। বারো তেরো বছরের বাচ্চারা বললে নিজে থেকে বলে,না বললে মেরে ফেললেও বলে না।গোৎ গোৎ করে নাক টানলো দুবার। কান্না না সর্দি বুঝে উঠতে পারিনি।কিছু বলবে বলবে ভাব,কিন্তু ঠিক বলতে পারছে না। তাকে সাহায্য করা দরকার।টিটুর পিঠে হাত দিলাম।
-টিটু তুমি আমাকে বলো কি বলতে চাও
টিটু কেঁদে দিলো। নাক টানা কান্না।বুঝা যাচ্ছে বেশ কিছুদিন পর কাঁদছে।আমি অপেক্ষা করছি কান্না থামার জন্য,কান্না থামলেই শুনতে পারবো। আপাতত তার কান্না থামানোর কোন প্রক্রিয়া আমার হাতে নেই।আমি সিগারেটে টান দিতে থাকলাম।
টিটু কান্না থামালো,প্রায় ফুঁফিয়ে বলল “এইবার ঈদে আমি তিনটা জামা পাইছিলাম,মায়ে পাইছিলো দুইটা শাড়ী,সব বাপে বেইচা দিছে”
-কেন বিক্রি করছে?
-আমার বাপ ল্যাংড়া,রিশকা চালাইতো,একসিডেন্ট কইরা ঘরে বইসা আছে। তার অষুধ লাগে। মায়ের ট্যাকায় কিচ্ছু হয় না।
-তাই বলে জামা কাপড় বিক্রি করে দিবে?
-বাপ বুঝে না,ঘরে খাইতে না পাইলেতো কেউ দেখবো না,কিন্তু ঈদের দিন পুরান কাপড় পরলে সবাই দেখবে।
বলা হয়নি আমি খুব লজ্জা পেয়েছি টিটু,বুঝতে না দিয়ে ফোন কানে চেপে উঠে মোটামুটি পার পেয়ে গেছি মনে হয়।টিটু আমার চলে যাওয়া দেখে ফড়িং ছেড়ে দিয়েছে। আমি অবশ্য তা দেখিনি!তবে হ্যাঁ টিটুর বাপ কিন্তু মৌলিক অধিকারের ধারা মেনেই চলেছে। প্রথমে সেমাই চিনি,তারপর নতুন জামা!
০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৭
নোমান নমি বলেছেন: থেংকস সাজিদ
২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:১৬
ফরহাদ আহমদ নিলয় বলেছেন: (Y)
০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৮
নোমান নমি বলেছেন: থেংকু নিলয়।
৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:২২
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
গল্পের ব্যাপারে কিছু বলার ভাষা নাই।
আপনার গল্পের রোমেল আর আমার মধ্যে মিল হচ্ছে- আমিও পুরান পাঞ্জাবী পড়ে ঈদ করবো, তবে আমারটা সম্ভবত ৩ বছর আগের।
ঈদের শুভেচ্ছা ভাইয়া ||
০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৯
নোমান নমি বলেছেন: আমিও এ বছর পাঞ্জাবি কিনি নাই। কেনাকাটা করতে ভাল্লাগেনা।
৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৪
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: গল্পটা ভাল লেগেছে।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১০
নোমান নমি বলেছেন: ধন্যবাদ শঙ্কু
৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৪১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ঐ মিয়া ঈদের সময় খালি কষ্টের গল্প লেখো ক্যা?? ঈদের যে কয়টা গল্প পড়লাম, সবই মন খারাপের।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১১
নোমান নমি বলেছেন: রম্যওতো লিখি। গল্পটা লেখলাম আরকি। বাঙালীর আবেগ বেশী তাই।
৬| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৫০
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লাগসে।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১১
নোমান নমি বলেছেন: থেংকু হামা ভাই
৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৫১
আধখানা চাঁদ বলেছেন: এস ইউজুয়াল, অসাধারণ লেখা। গল্পের মতই গল্প।
ঈদের স্পেশাল প্লাস।
ঈদ মোবারক।
০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:১৯
নোমান নমি বলেছেন: ধন্যবাদ।
ঈদ মোবারক! ঈদ ভালো কাটুক।
৮| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৬
মাক্স বলেছেন: সুন্দর গল্প!
০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:১৯
নোমান নমি বলেছেন: ঈদ মোবারক মাক্স
৯| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৪
কয়েস সামী বলেছেন: সুন্দর!
০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:২০
নোমান নমি বলেছেন: ঈদ মোবারক
১০| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৯
মামুন রশিদ বলেছেন: ভালো লেগেছে গল্প ।
++
০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:২৫
নোমান নমি বলেছেন: থেংকু মামুন ভাই। ঈদ মোবারক
১১| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৮
ইখতামিন বলেছেন:
অনেক ভালো লেগেছে
০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:৪৬
নোমান নমি বলেছেন: ধন্যবাদ ইখতামিন
ঈদ মোবারক
১২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৮
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: ঈদ মোবারক!!!!!!!!!
।
০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:৪৬
নোমান নমি বলেছেন: ঈদ মোবারক
১৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:০১
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: এত্ত ভাল লিখিস কেন তুই?
ঘোৎ ঘোৎ করে নাক টানতে টানতে কমেন্ট করার ইমু!
০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:৪৭
নোমান নমি বলেছেন: কারণ আমি এত্তগুলা মেহজাবিনের ফলোয়ার
ঘোৎ ঘোৎ থ্যাংকু এবং ঈদ মুবারক। দাওয়াত দিলা না
১৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:০৬
আফসিন তৃষা বলেছেন: ভাল্লাগসে
আপনার বর্ণনাগুলো আরো ভালো হচ্ছে
০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:৫০
নোমান নমি বলেছেন: থেংকু তৃষা!
ঈদ মোবারক
১৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:১৮
বটবৃক্ষ~ বলেছেন:
মনটা খারাপ হলো.......
০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:৫০
নোমান নমি বলেছেন: হুম
ঈদ মোবারক।
১৬| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:০১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: “বাপে সব বেইচা দিছে”! এখানে এসে বুকে একটা ধাক্কা লাগলো। এতো করুণ! নিয়তির পরিহাস এতো নিষ্ঠুর! আমরা জীবনঘনিষ্ঠ লেখা যেগুলোকে বলি, এটি তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
ও হ্যাঁ জটলাটা যতটা নামাজ পড়ুয়াদের তারচে ভিক্ষুকের কোন অংশে কম না।যে কোন উৎসব ভিক্ষা করবার জন্য দারুণ উপলক্ষ। এ লাইন দুটি ভিক্ষুকদের প্রতি নিষ্ঠুর উপহাসমূলক হয়ে গেছে।
টোকাই টিটুর চরিত্রটা খুব সূক্ষ্মভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
ঈদের শুভেচ্ছা।
০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:৫২
নোমান নমি বলেছেন: ভিক্ষুকের ব্যাপারটা এরকমই কিন্তু! আপনারা আমরা যখন আঁতর দেয়া পাঞ্জাবী পড়ে ঈদগা যাচ্ছি,সামনেই দাড়িয়ে থাকে ভিক্ষুক। সামান্য মাড়িয়ে সামান্য বিরিক্ত হয়ে আমরা কিন্তু নামাজ পড়তে যাই!
ঈদ মোবারক
১৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩৮
সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: করুণ গল্প, জীবনঘনিষ্ঠ লেখা। ভাল লেগেছে। বর্ণনা চমৎকার। গল্পের উপস্থাপনা বেশ সুন্দর। ঈদ মুবারাক।
০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:৫৪
নোমান নমি বলেছেন: ধন্যবাদ আহসান।
ঈদ মোবারক।
১৮| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৫৬
সাদরিল বলেছেন: শুরুটা একটু দীর্ঘ মনে হয়েছে তবে গল্পে প্লাস রইলো
০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:৫৫
নোমান নমি বলেছেন: হুম শুরুটা ইচ্ছা করে দীর্ঘ করা হয়েছে। পরের ঘটনার সাথে তুলনাটা দেবার জন্য।
ধন্যবাদ সাদরিল।
ঈদ মোবারক।
১৯| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৪৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:৫৬
নোমান নমি বলেছেন: ঈদ মোবারক।
২০| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৩
আদনান০৫০৫ বলেছেন: ভালো হয়েছে গল্পটা, টিটুর এটিচ্যুডটা পছন্দ হইছে।
১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৫৮
নোমান নমি বলেছেন: ধন্যবাদ আদনান। ঈদ মোবারক।
২১| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:৩০
ভিয়েনাস বলেছেন: ঈদ মোবারাক।
১০ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৭
নোমান নমি বলেছেন: ধন্যবাদ।
২২| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৫১
মারুফ মুকতাদীর বলেছেন: অনেক সুন্দর নোমান ভাই। (y)
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:১২
নোমান নমি বলেছেন: ধন্যবাদ মারুফ।
২৩| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৭
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: ১৫ তম প্লাস!
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৪১
নোমান নমি বলেছেন: ধন্যবাদ পথিক
২৪| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৫০
এরিস বলেছেন: আবার প্রশ্ন করলাম “পলিথিনে কি?
-হাতি,সুন্দরবন থেকে ধইরা আনছি,চিড়িয়াখানা দিমু।
-দারুণ ব্যাপার,টিকিট কত করে রাখবা?
এবার ছেলেটা ফিরে তাকালো,তার দৃষ্টিতে আগুণ। সে মহা বিরক্ত। “চা খাবে এক কাপ?একলা চা খেতে কষ্ট।ওই মামা চিড়িয়াখানার মালিককে একটা চা দাও। আপনি কাছে আসেন”
টিটুর জবাবগুলো উইটি ছিল। গল্প ভাল লেগছে।
বলা হয়নি আমি খুব লজ্জা পেয়েছি টিটু,বুঝতে না দিয়ে ফোন কানে চেপে উঠে মোটামুটি পার পেয়ে গেছি মনে হয়।
আমরা এরকমই পার পেয়ে যাই। করার কিছু খুঁজে পাইনা। টিটু হয়তো জানেনা সুন্দর জামার আড়ালে আমারও মৌলিক অধিকার চাপা পড়ে থাকে।
সুন্দর বাস্তবধর্মী লেখায় ভাল লাগা নোমান নমি।
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৩
নোমান নমি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর এবং ডিটেইলস মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।
২৫| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:১৫
নিরপেক্ষ মানুষ বলেছেন: আমিও গত ৩ বছর ধরে ঈদে পান্জাবি কিনি না।পুরানডা দিয়া কাজ চালায় দি।গল্প ভালা হয়ছে
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৪
নোমান নমি বলেছেন: থেংকু
২৬| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:০৬
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ভাল লাগল গল্পটা। খুব সহজ ভাষায় কঠিন কিছু কথা বলেছো নোমান। দারুণ।
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৪
নোমান নমি বলেছেন: ধন্যবাদ আপু।
২৭| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:২৫
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: কিশোরবেলার অভিমান অনেক তীব্র ব্যাপার যা দীর্ঘদিন তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায় মানুষকে।
গল্পটা খুব স্পর্শকাতর। প্লাস দিলাম
১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:১৬
নোমান নমি বলেছেন: ধন্যবাদ অপর্ণা।
২৮| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৮
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
দেরিতে পড়লাম নোমান ভাই। ভাল লাগছে গল্পটা।
১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:১৭
নোমান নমি বলেছেন: থেংকু নাজিম
২৯| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:২২
এন এফ এস বলেছেন: নুমান ভাই গল্প ভালু লাগলো আবার সেই ছেলেদের জন্য খ্রাপও লাগলো
১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:২৪
নোমান নমি বলেছেন: ধন্যবাদ
৩০| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:২৭
তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: সুন্দর গল্প। প্লাস।
১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:২৫
নোমান নমি বলেছেন: ধন্যবাদ তন্দ্রা
৩১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:১৬
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: বলা হয়নি আমি খুব লজ্জা পেয়েছি টিটু,বুঝতে না দিয়ে ফোন কানে চেপে উঠে মোটামুটি পার পেয়ে গেছি মনে হয়।টিটু আমার চলে যাওয়া দেখে ফড়িং ছেড়ে দিয়েছে। আমি অবশ্য তা দেখিনি!তবে হ্যাঁ টিটুর বাপ কিন্তু মৌলিক অধিকারের ধারা মেনেই চলেছে। প্রথমে সেমাই চিনি,তারপর নতুন জামা[/sb
শেষ প্যারাটা অনেক ভাল লেগেছে । এভাবে বলতে পারেন বলেই
আপনি নোমান ।
ভাল থাকুন প্রিয় নোমান ভাই । এ মাসে আপনার গল্প পড়ে মনের খোরাক মিটছে ।
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:০৫
নোমান নমি বলেছেন: আপনার কমেন্টস দেখে বরাবরই লজ্জা পাই। এভাবে কমেন্টস করলে লজ্জা পেতে হয়।
ভালো থাকবেন সবসময়।
৩২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:১৮
বাউন্ডুলে শিকু বলেছেন:
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪০
নোমান নমি বলেছেন:
৩৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৫১
হৃদয়ের ক্যানভাস বলেছেন: বাস্তবতা নিয়ে লেখা সুন্দর গল্প। ভাল লাগছে ।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৪:৩১
নোমান নমি বলেছেন: থেংকস
৩৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৪৮
একজন সৈকত বলেছেন:
"বাপ বুঝে না,ঘরে খাইতে না পাইলেতো কেউ দেখবো না,কিন্তু ঈদের দিন পুরান কাপড় পরলে সবাই দেখবে।" - খুব টাচি। একটা লাইনেই অভাব ও অসহায়ত্বের ব্যাপারটা প্রকাশিত হয়ে পড়ে।
ভালো থাকুন।
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১১
নোমান নমি বলেছেন: হুম, ধন্যবাদ সৈকত
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:১২
আমি সাজিদ বলেছেন: অনেক স্পর্শী গল্প নমি…ভালো লাগলো