নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সর্বদা পার্বত্য চট্টলার নির্যাতিত বাঙালীদের কথা বলা

বাংলার মানব.

বাংলার মানব. › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজ মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্যমাছ শিকার নিষিদ্ধঃ

০৮ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৯

আজ মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য

মাছ শিকার নিষিদ্ধ,,,,,,,,,,

-মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন বংশ বৃদ্ধি ও উৎপাদন বাড়াতে আজ

৮ মে মধ্যরাত ১২ ১২টা থেকে রাঙ্গামাটি কাপ্তাই হ্রদে মাছ

ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি)র সিদ্ধান্ত

ক্রমে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসকের আদেশে এই

নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

আদেশে অনির্দিষ্ট কালের জন্য সবধরণের মাছ শিকারেরওপর

নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। একই সঙ্গে হ্রদের

অভয়াশ্রমগুলোতে অবমুক্তি করা হয় কার্প ও সিলভার কার্প

জাতীয় মাছের পোনা। চলতি মৌসুমে আগামী ৮মে দিবাগত রাত

১২টা ১মিঃ থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত

হ্রদে সবধরণের মাছ শিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

সূত্র জানায় হ্রদে মাছ ধরা বন্ধকালীন সময়ে হ্রদের মৎস্য

আহরনের উপর নির্ভরশীল ১০ সহস্রাধিক দরিদ্র ও দুস্থ

জেলেকে প্রতিবারের ন্যায় এবার ও বিশেষ ভিজিএফ কার্ডের

মাধ্যমে খাদ্য শস্য প্রদান করা হবে।

মাছধরা বন্ধকালীন সময় আরোপিত নিষেধাজ্ঞা যাতে কঠোর

ভাবে পালন করা হয় সে লক্ষে সকলের সজাগ দৃষ্টি রাখার

কথা বলা হয়েছে। এছাড়া মাছ ধরা বন্ধ মৌসুমে হ্রদের বিভিন্ন

স্থানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার পাশাপাশি আইন-

শৃংখলা রাকারী বাহিনীর সদস্যদের সহায়তা নেয়ার সিদ্ধান্ত

নেয়া হয়।

সূত্র আরো জানায় বিগত বছর গুলোর ন্যায় এবছর ও মাছ

ধরা বন্ধকালীন সময় কাপ্তাই হ্রদে প্রায় ৩০ টন কার্প জাতীয়

মাছের পোনা অবমুক্ত করা হবে। কাপ্তাই হ্রদের ৬ টি মৎস্য

অভয়াশ্রমের পাশাপাশি হ্রদের বিভিন্ন স্থানে পর্যায়ক্রমে এই

সবপোনা অবমুক্ত করা হবে।

এছাড়া মাছের উৎপাদন বাড়াতে বছরের সব ঋতু ও মৌসুমে ৯

ইঞ্চি সাইজের পর্যন্ত পোনামাছ শিকার নিষিদ্ধ রয়েছে।

কাপ্তাই হ্রদে মাছের উৎপাদন বাড়াতে চলতি ডিম ছাড়ার

মৌসুমে সুষ্ঠু প্রজনন ও বংশ বৃদ্ধির স্বার্থে মাছধরার ওপর

নিষেধাজ্ঞা জারির পাশাপাশি এ বছর হ্রদ এলাকায় পর্যাপ্ত

পরিমাণে কার্পজাতীয় মাছসহবিভিন্ন প্রজাতির মাছের

পোনা ছাড়া হবে। এসব পোনা পর্যায়ক্রমে ডিসিবাংলো, শহীদ

মিনার চত্ত্বর, ফিসারী ঘাট এলাকা, লংগদু ওবরকলের অবতরণ

কেন্দ্রে ছাড়া হবে বলে সূত্রে জানা যায়।

সূত্র জানায়, হ্রদ এলাকায় অবাধে মা মাছ নিধনের

কারণে ২০-২৫ বছর আগেই মাছের সুষ্ঠু প্রাকৃতিক প্রজনন

ব্যাহত হয়ে পড়ে। সেজন্য হ্রদে মাছের উৎপাদন

বাড়াতে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে সা¤প্রতিক

বছরগুলোতে পর্যাপ্ত পোনা অবমুক্তি করা হচ্ছে। এসব

পোনা নিধন এবং বন্ধকালীন সময়ে হ্রদেসবধরণের মাছ শিকার

বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আইন অমান্যকারীদেরবি

রুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। হ্রদে অবমুক্ত

পোনা সংরক্ষণ এবং মাছের সুষ্ঠুপ্রজনন ও বংশ বৃদ্ধিসহ মাছ

শিকার ও পাচার রোধে জেলাজুড়ে সতর্কাবস্থা গ্রহণ

করা হয়েছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.