নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফয়জুল মহী I মোহাম্মদপুর । ঢাকা ।

নেওয়াজ আলি

হে পরমেশ্বর,এই নশ্বর নিখিল সৃষ্টিতে রেখো না ওই মানুষ যার ভিতর নরত্বের অভিনিবেশ নাই ।

নেওয়াজ আলি › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্বাসে বিধাতা মিলে ।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:০২

চাচা, আপনার দোকানে কি ঈশ্বর আছে? প্রশ্নো শুনে বৃদ্ধ দোকানদার কিউরিয়াস ফিল করলেন। হাফপ্যান্ট পরা দরিদ্র এক কিশোর ক্রেতা । ঈশ্বর দিয়া কি করবে? দোকানি জানতে চাইলেন। আমার বাবা নাই, জবাব দিল কিশোর। আম্মার খুব অসুখ হাসপাতেলে ভর্তি। ডাক্তার বলেছে একমাত্র ঈশ্বরই নাকি উনাকে বাঁচাতে পারে। উনি মারা গেলে আমাকে কে খাওয়াবে ? আছে আপনার দোকানে ঈশ্বর , চাচা? হুম, আছে তো, দোকানি পেশাদার কন্ঠে জবাব দেন। কিন্তু কত আছে তোমার কাছে? বিশ টাকা । আচ্ছা , ব্যাপার না এমনিতে ঈশ্বরের দাম একটু বেশি কিন্তু বিশ টাকায় দেওয়া যাইবে । আগে টাকা দাও । কম হবে না ? ২০ টাকার নোট এগিয়ে দিতে দিতে বলে কিশোরটি। ২০ টাকা দামের একটা পানির বোতল কিশোরের দিকে এগিয়ে দিয়ে বৃদ্ধ দোকানি বললেন, এই পানিটা বিসমিল্লাহ বলে খেয়ে ফেলো। দেখবে দুই দিন পর তোমার মা ভাল হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ। আর তোমার মা কোন হাসপাতালে আছে লিখে দিয়ে যাও।

অপারেশনের ঠিক দুদিন পর হাসপাতালের ক্যাশিয়ার এসে মাকে বলে, চিন্তা করবেন না। আপনার বিল অলরেডি পরিশোধ করা হয়ে গেছে। এক বৃদ্ধ লোক বিল পরিশোধ করেছেন আর এই চিঠিটা দিয়ে গেছেন। চিঠি! কি লেখা? অবাক হয়ে মা জানতে চান। চিঠিটা খুলে পড়তে লাগলো ক্যাশিয়ার সাহেব । আমাকে ধন্যবাদ দিবেন না । আমি কেবল উছিলা মাত্র । ধন্যবাদ দিলে আপনার বেকুব ছেলেকে দিবেন। আপনি যখন হাসপাতালের বিছানায় পড়ে ছিলেন তখন তার বিশ্বাস ছিল যে একমাত্র ঈশ্বরই পারেন আপনাকে বাঁচাতে আর সেই বিশ্বাস নিয়ে সে সত্যি সত্যি ঈশ্বরকে খুঁজতে বের হয়েছিল। তার এই বিশ্বাসটা অটুট রাখা জরুরী , খুবই জরুরী। (সংগ্রকৃত)।

এই বিশ্বাসের পরও কিছু মা বৃদ্ধা আশ্রমে যাবে একটা নিদিষ্ট সময়ের পর। কিছু মা একা একা বন্ধ বাসায় অন্ধকার রুমে মরে থাকবে। কয়েকদিন পর প্রতিবেশীরা না দেখলে থানায় খবর দিবে । পুলিশ এসে গলিত মার মৃতদেহ বাহির করবে। তখন হয়তো সন্তান ব্যস্ত থাকবে দেশে কিংবা বিদেশে ।

আজকাল ধর্মীয় অনুশাসন মানুষকে বশ্যতায় রাখতে পারছে না। ধর্ম নিরহ হয়ে ধর্মের জায়গায় পড়ে আছে। আর মানুষ পাখি হয়ে আকাশে উড়ছে । যেমন কোন এরাবিয়ানের চীনে গিয়ে হালাল খাবার খোজ করার মত। অথচ সেই লোক চীন যায় কোন নামকরা কোম্পানির পণ্য নকল করার তদারকিতে। আমরাও এই মহামারীতে কীট হয়ে পলিটিক্স করছি।

মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৩৯

করুণাধারা বলেছেন: এটা সুলতান কাবুসের কবর? এত সাধারণ!! উনি চাইলে কবর ঘিরে অনেক স্থাপনা তৈরি করতে পারতেন।

আপনার গল্পের শেষে যে ভাবনা প্রকাশ করেছেন তা সত্যি ভাবার মত। চমৎকার পোস্ট!!

২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:২৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: মধ্যপাচ্যের শাসকেরা এই একটা জিনিস নিয়ে কোন জৌলুস করে না

২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:১৩

সুপারডুপার বলেছেন: মানুষ যখন ধর্মের ভিতরে লুকিয়ে থাকা অবিদ্যা ও ভ্রান্ত বিশ্বাস ধরতে পারছেন, তখন কিভাবেই বা পারবে ধর্মীয় অনুশাসন তাকে বশ্যতায় রাখতে !?

২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:২৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ধর্ম মানুষের কল্যানের জন্য আর তাকে ব্যবহার করি নিজ স্বার্থে ।

৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:২০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আগে যেনো কোথায় পড়েছি এই লেখাটি। সম্ভবতো ফেবুতে।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:২৭

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আমার টাইমলাইনে আছে লেখাটা

৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৫৪

রাােসল বলেছেন: I don't know,what has done Sultan of Oman in his life but after death a good job has been done. Thanks

২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:২৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সুলতান কাবুস ওমানের উন্নতির নায়ক। সে ওমানের সুলতান হয়েও অতি সাধারণ জীবনযাপন করেছেন। এবং এই কবর তার প্রমাণ ।

৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: হুম।
আমাত্র কবরও অতি সাধারন হবে।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:২৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সুলতান কাবুস ওমানের ওমানের সুলতান হয়েও অতি সাধারণ জীবনযাপন করেছেন। এবং এই কবর তার প্রমাণ । কি লাভ কবরে জৌলুস করে। শ্রদ্ধা আপনার ইচ্ছাকে।

৬| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৫৯

সাইন বোর্ড বলেছেন: চমৎকার অর্থবোধক আয়োজন !

৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:২৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: কৃতজ্ঞ আপনার মন্তব্যে। ভালো আছেন নিশ্চয় ।

৭| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:২৩

আহা রুবন বলেছেন: আমাদের মন থেন মনটা উধাও হয়ে যাচ্ছে। ভাল লিখেছেন।

৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:২৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: কৃতজ্ঞ আপনার মন্তব্যে। ভালো আছেন নিশ্চয় । মানুষ খাই খাই করে । এইটাই সমস্যা ।

৮| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৫৬

জাফরুল মবীন বলেছেন: আমরা অনেক বেশি বেপরোয়া হয়ে গেছি।শুধু ধর্ম নয়,কোন কিছুই আমাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না।

০১ লা মে, ২০২০ রাত ১২:০৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আপনি আর আমি বেঁচে থাকি। আর সব মরুক গা

৯| ০১ লা মে, ২০২০ দুপুর ২:৪৬

গুরুভাঈ বলেছেন: অথচো এই উপমাহাদেশে কবর পুজা হয়।

০৯ ই মে, ২০২০ ভোর ৪:২৭

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ব্যাপকভাবে । যেটা দৃষিতে লাগে

১০| ০৩ রা মে, ২০২০ রাত ১০:৫৮

শোভন শামস বলেছেন: ভাল লিখেছেন।চমৎকার পোস্ট

০৯ ই মে, ২০২০ ভোর ৪:২৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই । নিরাপদ থাকুন পরিবার নিয়ে।

১১| ০৬ ই মে, ২০২০ সকাল ১১:১৩

Subdeb ghosh বলেছেন: ঠিক বলেছেন,বিশ্বাসে বিধাতা মিলে।

০৯ ই মে, ২০২০ ভোর ৪:২৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই । নিরাপদ থাকুন পরিবার নিয়ে।

১২| ০৭ ই মে, ২০২০ সকাল ৯:৫৬

পুলক ঢালী বলেছেন: আপনার ভাবনাগুলি চমৎকার। "কল্যানময়ী ধর্ম স্বার্থোদ্ধরে ব্যবহৃত হচ্ছে" মন্তব্যেও সুন্দর বলেছেন। ভাল থাকুন।

০৯ ই মে, ২০২০ ভোর ৪:২৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই । নিরাপদ থাকুন পরিবার নিয়ে।

১৩| ০৯ ই মে, ২০২০ রাত ১২:২৫

আল-ইকরাম বলেছেন: আপনার লেখাটি পড়লাম। সহমত পোষণ করতে পারছি না। শিক্ষা, বিশ্বাস, ধর্ম যা’ই বলুন না কেন তা যেমন অর্জন করতে হয় তেমনি তা থেকে সুফল পেতে তার চর্চাও জরুরী। আমি বিশ্বাস করি আমি পারবো, এখানে দৃঢতা যেমন জরুরী তেমনি নিরলস পরিশ্রমও জরুরী। আমার চেষ্টাই আমাকে আমার গন্তব্যে পৌঁছে দিবে। মোট কথা, আমি যে কাজটি করছি সে ব্যাপারে আমি কতোটা সচেতন? আমার বিশ্বাস কতোটা? আমার পরিশ্রম কতোটা? এগুলো ঠিক থাকলে সাফল্য নিশ্চিত। তবু সবার উপরে আল্লাহ্ পাক। তাঁর সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত। পিতা মাতার প্রতি অমানবিক আচরণ শুধু নিন্দনীই নয় সবচেয়ে জঘন্যতম কাজ। আমি এটা বিশ্বাস করি একশত ভাগ। কিন্তু পিতামাতা তাঁদের কিছু মারাত্নক ভুলের কারণেও সন্তানের কাছ থেকে নানা দূর্ভোগ পেয়ে থাকেন। যা মোটেও কাম্য নয়। চারা বপন করে শুধু পরিচর্যা করলেই হবে না পরিচর্যার মান উন্নত না হলে সেই বীজ থেকে কখনোই ভাল ফসল আশা করা যায় না। শুভ কামনা অগনিত।

১৪| ২৬ শে জুন, ২০২০ সকাল ১০:৫১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের উচিত স্রষ্টার গুনাগুন অর্জনের চেষ্টা করা। পৃথিবীতে আমারা স্রষ্টার প্রতিনিধি।

১৫| ২৬ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:৪৬

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ভাল তথ্য জানলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.