![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হে পরমেশ্বর,এই নশ্বর নিখিল সৃষ্টিতে রেখো না ওই মানুষ যার ভিতর নরত্বের অভিনিবেশ নাই ।
হিজড়াদের জন্মগত ভাবেই কপাল মন্দ,আরো কপাল মন্দের ব্যাপার হল সামাজিক অবস্থান। উন্নত দেশের হিজড়ারা জনসাধারণের সাথে মিশে জনগণের মুল স্রোতের অন্তর্ভুক্ত হলেও আমাদের দেশে হিজড়াদের ভিন্ন চোখে দেখা হয়।হিজড়া শব্দটি এসেছে আরবী হিজরত বা হিজরী শব্দ হতে যার আভিধানিক অর্থ পরিবর্তন আর ইংরেজিতে হিজড়ার প্রতি শব্দ হচ্ছে ইউনাক যার অর্থ নপুংসক বা খোজা। আমরা জানি ক্রোমোজোমের ত্রুটির কারনে হিজড়ার জন্ম,জন্মের পর লিঙ্গ নির্ধারণে যাদের জটিলতা দেখা দেয় তারাই হিজড়া।বৈশিষ্ট্যগত ভাবে হিজড়া তিন প্রকার হয়,শাররীকভাবে পুরুষ কিন্তু মানসিকভাবে নারী তাদের অকুয়া বলে।শাররীকভাবে নারী কিন্তু মানসিকভাবে পুরুষ তাদের বলে জেনানা,আর মানুষের হাতে সৃষ্টি যারা (ক্যাসট্রেড) তাদের বলে চিন্নি।অকুয়া এবং জেননা মিলে ভয়ংকর ভাবে কখনো কখনো সৃষ্টি করে চিন্নি।
সাহিত্যের ভাষায় হিজড়ার নাম বৃহন্নলা,হিন্দি ভাষায় (KINNER) কৃন্নার,উর্দু ভাষায়(Khawaja) খাওয়াজা। এরা মানুষ হলে এদের দায়িত্ব রাষ্ট্র নিতে পিছু পা হয়।কিন্তু ইতিহাস বলে মুঘল শাসন আমলে সম্রাটদের কাছে বিশ্বস্ত ভৃত্য হিসাবে পরিচিত ছিল হিজড়ারা।ছেলে আর মেয়ে উভয়ের মাঝামাঝি হওয়ার কারণে নারী পুরুষ সবার মাঝে অবাধ চলাফেরা ছিল তাদের,এই কারণে মুঘল সম্রাটদের নারীদের পাহারা এবং বাচ্চাদের দেখাশুনা করতো হিজড়ারা।আর সেই অতীত ইতিহাস হতে বের হয়ে এসে আমাদের দেশে বর্তমানে হিজড়ারা সাধারণ মানুষের মাঝে ত্রসন করে অর্থ উপার্জন করে।করে রাজনীতি,করে জবর দখল আর এসবের মূলে আরমানেরা থাকে ছায়া হয়ে।
এদের নচ্ছার চলাফেরা মানুষকে রাখে ভয়ের ভিতর।আবার কেউ কেউ পড়া লেখা শিখে ভদ্র জীবনযাপনও করে। এম.কম পাশ করা রুবেল আস্তে আস্তে বদলে রুপালী হয়ে যায়,এখন সে মডেল।সমাজবেসা অধিদপ্তরের মতে ষাট হাজার হিজড়া আছে দেশে আর ঢাকাতে আছে পনরশত,এবং প্রায় পাঁচ হাজার পরিবারের সাথে থাকে এখনো। তবে আমাদের সংবিধানে নারী পুরুষ এই দুয়ের স্বীকৃতি দেওয়া থাকলেও তৃতীয় জেন্ডারের কোন উল্লেখ নাই।ভোটার হতে মেয়ে বা পুরুষ লিখতে তাদের থাকে আপত্তি।কেউ যদি হিজড়া দলে ভিড়ে তাহলে গুরুমা নানা নিয়ম-কানুন ও হাতের তালির প্রশিক্ষণ দেন , দেন নানা রকম বিধিনিষেধ।
তারপরও পরিবার হতে বিছিন্ন হওয়া অসহায় নতুন হিজড়ার কাছে গুরুমাই সব।পরিবার হতে ছিঁটকে পড়া সব হিজড়ার গল্প একই রকম,হিজড়ার প্রতি পদে পদে ঘৃণা আর তিরস্কার। তাই তারা হয়ে উঠে ভয়ংকর। আর গুরুমা হয়ে উঠে গর্ভধারনী মায়ের মত,গুরুমা হিজড়াদের এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তাদের দিয়ে নানা অপকর্ম করিয়ে টাকা রোজগার করে আরামের জীবন যাপন করে এবং নতুন হিজড়াদের করে বঞ্চিত। অথচ বাস্তবতা বলে চিন্তা ভাবনায় একটু দৈবজ্ঞ হলেই এমন সমস্যা প্রথমেই সমাধান করা যায়।নদী তার পরিবারের সাথেই থাকে এবং হাটে বাজারে টাকা তোলে। বহমান নদী আবার মা বাবার বুকেই রাত যাপন করে। নদীর বাবা বলে সন্তান যে নাড়ীর ধন জন্মতো আমিই দিয়েছি তাকে কি করে দুর করি।
দিনমজুর বাবা হিজড়া সন্তানকে বুকে আগলে রাখলেও অনেক পিতা মাতাই দুর দুর করে।এই নদীর সাথে আছে আরো ত্রিশজন হিজড়া,তারা বছরে একবার সমাবেশও করে। কারণ তারা থাকে ঐক্যবদ্ধ। জোটবদ্ধ হয়ে তারা কতটা ভয়ংকর ত্রাস সৃষ্টি করে যাদের বাসায় বিয়ের দিন হিজড়া গিয়েছে কিংবা কারো বাসায় বাচ্চা জন্ম হয়ছে শুনেছে তাদের বাসার মানুষ জানে কতটা দুরূহ হিজড়া হতে নিষ্কৃতি পাওয়া, ভোক্তভুগীমাত্রই জানে যন্ত্রণাটা।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩৭
নেওয়াজ আলি বলেছেন: শিখন্ডী হিজড়ার আদি নাম । দেখি নাই বিজ্ঞান কি বলে
২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: পোষ্টের ছবির সাথে পোষ্টের বিষয়বস্তুর কোন সংযোগ পেলাম না। অনুগ্রহ করে কি বিষয়টি একটু বুঝিয়ে বলতে পারেন?
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩২
নেওয়াজ আলি বলেছেন: ঠিক আছে এডিট করে দিতেছি
৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: কাল্পনিক ভালোবাসা ভাইয়ের মতো আমিও বলতে চাই ছবিটা লেখার সাথে যায় না। এই কথাই আমি বলতে এসেছিলাম। এসে দেখি ভাই আগেই বলে দিয়েছেন।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩২
নেওয়াজ আলি বলেছেন: ঠিক আছে এডিট করে দিতেছি
৪| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০১
নীল আকাশ বলেছেন: লেখার বিষয়বস্তু ভালো। শুধু শুধুই নীচে "চলবে" দেয়ার দরকার নেই। উপরেই তো ৩য় পর্ব লিখেছে, শেষ পর্ব লিখেন নি।
আর লেখার শুরুতেই আগের দুই পর্বের লিংক দিয়ে দিলে সবার উপকার হতো। আগের পর্বও পড়ে আসতে পারতো।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১৯
নেওয়াজ আলি বলেছেন: ঠিক আছে সামনে হতে তাই করবো
৫| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১৬
মৌরি হক দোলা বলেছেন: আমি কিন্তু বইয়ের অপেক্ষায় আছি এটার। কবে বের হবে? আপনার লেখাটা খুব তথ্যবহুল। আমার উপকার হবে খুব।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪০
নেওয়াজ আলি বলেছেন: মহামারী সব এলোমেলো করে দিলো
৬| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১৮
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: মাশাল্লাহ চমৎকার হিজরা দের নিয়ে লেখেছেন
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪২
নেওয়াজ আলি বলেছেন: লিটন ভাই আপনি ভালো কবিতা লিখেন ।
৭| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩৫
বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: অসাধারণ!
আমার প্রীতি নিন।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪৩
নেওয়াজ আলি বলেছেন: ভাইজান আন্তরিক শুভেচ্ছা ও একরাশ ভালোবাসা ।
৮| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:২৯
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এই হিজরারা কী যে বিরক্তির সৃষ্টি করে মাঝে মাঝে
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৭
নেওয়াজ আলি বলেছেন: ওরাও মানুষ খেয়ে পরে বেঁচে থাকতে হবে যে
৯| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১৮
রামিসা রোজা বলেছেন:
হিজরা দের কে নিয়ে লেখাটা কষ্টের মাঝেও ভালো
লেগেছে । সরকারের উচিত এতে পুনর্বাসন করা।
আগের দুটি পর্ব পড়ি নাই আমি পড়বো।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৯
নেওয়াজ আলি বলেছেন: বিশেষ করে মা বাবা ওদের পাশে থাকা উচিত । আস্তে আস্তে কম বেশী এগিয়ে আসছে
১০| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৫
কল্পদ্রুম বলেছেন: ক্যাস্ট্রেটেড খোঁজারা মুঘল এবং চায়না সম্রাটদের সময়ে বেশ ক্ষমতাবান ছিলো না কি। সম্রাটরা এদের কাছাকাছি রাখতেন নানা কারণে। এর ভিতরে একটা হতে পারে এদের কুটবুদ্ধি বা রাজনৈতিক বুদ্ধি বেশি ছিলো। নবী ইউসুফ (আ.) মিশরের রাজদরবারে একজন খোঁজা মন্ত্রীর পালক পুত্র হিসেবে ছিলেন। এই যুগে তৃতীয় লিঙ্গের কারোর পক্ষে এতো উঁচু পদে যাওয়াটা হয়তো অসম্ভব।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৬
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আপনার মন্তব্যটা আমার উপকার হবে । নোট করলাম। সত্যিই এখন এত উপরের পদে যাওয়া তাদের সম্ভব নয়
১১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫০
ঢাবিয়ান বলেছেন: বাংলাদেশ ইন্ডিয়ায় যেভাবে রাস্তায় রাস্তায় হিজরা ঘুরতে দেখা যায়, সভ্য দেশে সেটা একেবারেই দেখা যায় না।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০১
নেওয়াজ আলি বলেছেন: মালদ্বীপ ব্যতীত সার্কের অন্যসব দেশে একই হাল।
১২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩৯
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: এ খন্ডও ভালো লাগলো নেওয়াজ ভাই। চালিয়ে যান। শুভকামনা।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ২:০২
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে
১৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমি একজনের কথা শুনেছিলাম, সম্ভবতো পুরনো ঢাকার বাসিন্দা। উপযুক্ত পরিবেশ আর শিক্ষার সুযোগ পেয়েছিলো। বাবার ব্যবসা বেশ ভালো ভাবেই পরিচালনায় করছিলো।
উপযুক্ত পরিবেশ আর শিক্ষার সুযোগ করে দিলে ওরাও প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ২:০৩
নেওয়াজ আলি বলেছেন: অনেক আছে পরিবারের সমর্থন পেয়ে স্বাভাবিক মানুষেররচেয়েও ভালো করেছে
১৪| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৩
ঢুকিচেপা বলেছেন: পড়ে গেলাম এবং পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ২:০৪
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে
১৫| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:১০
খায়রুল আহসান বলেছেন: "গুরুমা হিজড়াদেরকে হাতের তালির প্রশিক্ষণ দেন" - এই 'হাতের তালির প্রশিক্ষণ' টা ঠিক কী রকমের, সে বিষয়ে একটু কিছু বলবেন কি?
আগের দুটো পর্বেও মন্তব্য রেখে এসেছি। একবার সময় করে দেখে নেবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২০
রাজীব নুর বলেছেন: হিজড়া শিশু যেন জন্ম না হয়, বিজ্ঞান এই বিষয়ে কি বলে?
হিজড়াদের আরেকটা নাম আছে- শিখন্ডী।