নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফয়জুল মহী I মোহাম্মদপুর । ঢাকা ।

নেওয়াজ আলি

হে পরমেশ্বর,এই নশ্বর নিখিল সৃষ্টিতে রেখো না ওই মানুষ যার ভিতর নরত্বের অভিনিবেশ নাই ।

নেওয়াজ আলি › বিস্তারিত পোস্টঃ

উপজাতিরা কোন মতেই আদিবাসী নয়। যদি তাদের আমরা আদিবাসী বলে স্বীকার করি চরম ভুল করবো।

১০ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৩৬



আদিবাসী, উপজাতি বা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী জাতিকে আদিবাসী বললে সমস্যা আছে। কারা আদিবাসী সেই দিক বোঝার আগে জানা দরকার বাংলাদেশে যারা হঠাৎ করে নিজেদের আদিবাসী দাবি করছে এর পিছনে কারণ কি? সরকারের সাথে শান্তি চুক্তির সময়েও তারা নিজেদের আদিবাসী হিসাবে উল্লেখ করেনি। তাহলে এখন কেন করেছে।

মুল সমস্যা বাঁধিয়েছে জাতিসংঘের আদিবাসী বিষয়ক ঘোষণাপত্র। এই ঘোষণাপত্রে সর্বমোট ৪৬টি অনুচ্ছেদ রয়েছে। এসব অনুচ্ছেদের বেশ কয়েকটি ধারা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা, অস্তিত্ব, কর্তৃত্ব, সংবিধান ও আত্মপরিচয়ের সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক। একথা নিশ্চিত করে বলা যায়, যেসব ব্যক্তিবর্গ উপজাতিদের আদিবাসী বলতে আগ্রহী তাদের অনেকেই হয়তো এই ঘোষণাপত্রের মর্মার্থ বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন।

নিম্নে জাতিসংঘের আদিবাসী বিষয়ক ঘোষণাপত্রের কিছু অনুচ্ছেদ নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো:

অনুচ্ছেদ-৩: আদিবাসী জনগোষ্ঠীর আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার রয়েছে। সেই অধিকার বলে তারা অবাধে তাদের রাজনৈতিক মর্যাদা নির্ধারণ করে এবং অবাধে তাদের অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক কর্মপ্রয়াস অব্যাহত রাখে।

অনুচ্ছেদ-৪: আদিবাসী জনগোষ্ঠীর আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার উপভোগের বেলায়, তাদের অভ্যন্তরীণ ও স্থানীয় বিষয়ে তথা স্বশাসিত কার্যাবলীর অর্থায়নের পন্থা ও উৎস নির্ধারণের ক্ষেত্রে তাদের স্বায়ত্তশাসন বা স্বশাসিত সরকারের অধিকার রয়েছে।

অনুচ্ছেদ-৫: আদিবাসী জনগণ যদি পছন্দ করে তাহলে রাষ্ট্রীয় রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের পূর্ণ অধিকার রেখে তাদের স্বতন্ত্র রাজনৈতিক, আইনগত, অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান অক্ষুন্ন রাখা ও শক্তিশালীকরণের অধিকার লাভ করবে।

অনুচ্ছেদ-৬: আদিবাসী ব্যক্তির জাতীয়তা লাভের অধিকার রয়েছে।

বাংলাদেশের উপজাতীয় জনগোষ্ঠী আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি পেলে বাংলাদেশের ভেতর কমপক্ষে ৪৫টি স্বায়ত্তশাসিত বা স্বশাসিত অঞ্চল ও সরকার ব্যবস্থার সৃষ্টি করতে চাইবে। তারা নিজস্ব রাজনৈতিক কাঠামো, জাতীয়তা, অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, আইনপ্রণয়ন ও আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার পাবে।

এছাড়াও এই ঘোষণাপত্রে আদিবাসীদের ভূমির উপর যে অধিকারের কথা বলা হয়েছে তা আরো ভয়ানক। যেমন, অনুচ্ছেদ-২৬: ১. আদিবাসী জনগোষ্ঠীর তাদের ঐতিহ্যগতভাবে মালিকানাধীন, দখলীয় কিংবা অন্যথায় ব্যবহার্য কিংবা অধিগ্রহণকৃত জমি, ভূখণ্ড ও সম্পদের অধিকার রয়েছে।

২৬: ৩. রাষ্ট্র এসব জমি, ভূখণ্ড ও সম্পদের আইনগত স্বীকৃতি ও রক্ষার বিধান প্রদান করবে। সংশ্লিষ্ট আদিবাসী জনগোষ্ঠীর প্রথা, ঐতিহ্য এবং ভূমি মালিকানা ব্যবস্থাপনা মেনে সেই স্বীকৃতি প্রদান করবে।

অনুচ্ছেদ-২৮: ১. আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ভূমি, ভূখন্ড ও সম্পদ যা তাদের ঐতিহ্যগতভাবে মালিকানাধীন কিংবা অন্যথায় দখলকৃত বা ব্যবহারকৃত এবং তাদের স্বাধীন ও পূর্বাবহিত সম্মতি ছাড়া বেদখল, ছিনতাই, দখল বা ক্ষতিসাধন করা হয়েছে এসব যাতে ফিরে পায় কিংবা তা সম্ভব না হলে, একটা ন্যায্য, যথাযথ ও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ পায় তার প্রতিকার পাওয়ার আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অধিকার রয়েছে।

অনুচ্ছেদ-৩০: ১. আদিবাসী জনগোষ্ঠীর স্বেচ্ছায় সম্মতি জ্ঞাপন বা অনুরোধ ছাড়া ভূমি কিংবা ভূখন্ডে সামরিক কার্যক্রম হাতে নেয়া যাবে না।

অনুচ্ছেদ-৩২: ২. রাষ্ট্র আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ভূমি, ভূখন্ড ও সম্পদের উপর প্রভাব বিস্তার করে এমন কোনো প্রকল্প অনুমোদনের পূর্বে, বিশেষ করে তাদের খনিজ, পানি কিংবা অন্য কোনো সম্পদের উন্নয়ন, ব্যবহার বা আহরণের পূর্বে স্বাধীন ও পূর্বাবহিত সম্মতি গ্রহণের জন্য তাদের নিজস্ব প্রতিনিধিত্বশীল প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সাথে আলোচনা ও সহযোগিতা করবে।

এই অনুচ্ছেদগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, বাংলাদেশের উপজাতীয় জনগোষ্ঠী আদিবাসী স্বীকৃতি পেলে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশে নিজস্ব আইনে নিজস্ব ভূমি ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে পারবে। পার্বত্য চট্টগ্রামের মুষ্টিমেয় চিহ্নিত উপজাতিরা দাবি করছে ঐতিহ্য ও প্রথাগত অধিকার বলে পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল ভূমির মালিক তারা। একই অধিকার বলে সমতলের উপজাতীয় অধ্যুষিত এলাকার সকল ভূমির মালিকানা সেখানকার উপজাতীয়রা দাবি করবে। সেখানে যেসব ভূমি সরকারি ও ব্যক্তিগত মালিকানায় বাঙালীরা রয়েছে তা ফেরত দিতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে যেহেতু ঐ গোষ্ঠী সকল সামরিক স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার দাবি জানাচ্ছে, সে কারণে সেখান থেকে সকল সামরিক স্থাপনা সরিয়ে নিতে হবে। ইউএনডিপিসহ কিছু বৈদেশিক সংস্থা ইতোমেধ্যে প্রকাশ্যে এ দাবি তুলেছে।

যখন দেখি দেশের কিছু মানুষ (বিশেষ করে বাম রাজনীতিধারা) উপজাতি, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী আর আদিবাসীর ভিতর পার্থক্য বুঝতে চায় না তখন নিজেকে খুব অসহায় লাগে! রাজনীতি তো দেশকে নিয়ে, আমার কাজ যদি দেশ বিরোধী হয়ে যায় তাহলে কিসের রাজনীতি করা?

মেজর জিয়া ভূমিহীন বাঙ্গালিদের তিন পার্বত্য জেলায় বসতি স্থাপন করেন। সেখানে এখন বাঙালী আর উপজাতি সম পরিমান আছে। না হয় এতদিনে পার্বত্য অঞ্চল বাংলাদেশ থেকে ছুটে যেত।মেজর জিয়ার পরিকল্পনার কাছে উপজাতিরা ব্যর্থ হলে তখন আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নেয় তারা। সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হলো আদিবাসী থিউরি।

ভুখন্ডের মূল অধিবাসী যারা ভূমিপুত্র তারাই আদিবাসী। এই কন্সেপ্ট অষ্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ড এবং আমেরিকার জন্য প্রযোজ্য যেখানে দখলদার অভিবাসীগণ মেইনস্ট্রিম পিপল। সেখানে ভূমির মূল অধিবাসীরা হলো আদিবাসী। বাংলাদেশে আমরাই আদিবাসী এবং অন্যরা উপজাতি কিংবা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী। আজ থেকে সর্বোচ্চ ৩০০ বছর আগে চাকমারা বার্মা থেকে ধাওয়া খেয়ে এদেশের পার্বত্য চট্রগ্রামে আশ্রয় নেয়। অথচ এ ভুখণ্ডে হাজার বছরের ইতিহাস রয়েছে বাঙালীদের। আর এখন উপজাতিরা হইলো আদিবাসী! আদিবাসী হইলে পূর্ব তীমুরের মত তাদের স্বাধীন দেশ দিয়ে দিতে হবে।

২০০৫ সালে বিএনপি সরকার প্রথম জাতিসংঘে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে বাংলাদেশে কোন আদিবাসী নেই। রাষ্ট্রীয়ভাবে সেই ধারাবাহিকতা আওয়ামি লীগ ধরে রেখেছে।

সূত্রঃ ক . মা। ও ফেসবুক।

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৫৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ৩০০ বছর আগে পার্বত্য চট্টগ্রামের জঙ্গলে কি বাঙ্গালীরা থাকত? আমার বিশ্বাস হয় না। আমার ধারণা তখন ঐ গহীন জঙ্গলে কোনও মানুষই বাস করতো না। ঐ এলাকা মানুষ বাসের অযোগ্য ছিল। সেই হিসাবে ঐ জায়গায় প্রথম আবাস গড়ে বিভিন্ন উপজাতি। তখন বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তও ছিল না। আমার ধারণা ভুলও হতে পারে। আপনি আপনার যুক্তি উপস্থাপন করতে পারেন। ভুল বুঝলে শুধরে নেব।

১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:৫৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: মনগড়া যুক্তি দিয়ে লাভ নাই। আমাকেও জানতে হবে। পার্বত্য এলাকা বলেন আর ঢাকা বলেন এখানে বাঙ্গালীর আছে হাজার বছরের বসবাস ।

২| ১০ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:০২

দয়িতা সরকার বলেছেন: আদিবাসী শব্দটা ব্যবহার করা সংবিধান বিরোধী । তবু ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সহ অনেকেই আদিবাসী শব্দটা ব্যবহার করেন।

১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:৫৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সব রাজনৈতিক দলই ব্যবহার করে এমনকি বিএনপিও মিছিলের ব্যানারে আদিবাসী লিখেছে । বেকুবেরা জানে না জিয়ার ইতিহাস ।

৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:০৪

শাহ আজিজ বলেছেন: এই বিষয়টি পরিচ্ছন্ন এবং স্বচ্ছ হওয়া দরকার । চাকমারা চীন থেকে ধাওয়া খেয়ে মায়ানমার হয়ে বাংলায় ঢুকেছে । আমাদের পূর্ব পুরুষদের হাজার বছরের ইতিহাস কিন্তু আমরা নিজেকে আদিবাসি বলিনা । এখানে কিছু জাতির অপভ্রংশ আছে । তবে জমিতে তাদের উপযুক্ত মালিকানা সনদ দিতে হবে । গেল ৩০ বছরে প্রচুর মানুষ পাহাড়ি এলাকায় গিয়ে চাষবাসের জমি দখল করে ওইখানে চাষাবাদের জমি নষ্ট করেছে । এর নিস্পত্তি হওয়া দরকার ।

১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:০৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আমি আপনার সাথে একমত। রাশেদ খান মেননের শান্তিচুক্তি বিরোধী একটা বই আছে । তারাই উসকে দেয় উপজাতিকে

৪| ১০ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:০৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: আদিবাসীরা স্বায়ত্বশাষনতো আর শখ করে চায় না। তারা যদি সুখে শান্তিতে থাকতে পারতো তবে তারা কখনই স্বায়ত্বশাষন চাইতো না ।

১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:০৪

নেওয়াজ আলি বলেছেন: অবশ্যই সুখে আছে এবং রাজার হালে আছে

৫| ১০ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১৩

ching বলেছেন: মেজর জিয়া ভূমিহীন বাংগালিদের বসটি স্থাপন করেন সেটা বেধ না অবেধ?

১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:০৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: অবশ্যই বৈধ। দেশের জায়গা যে কেউ গিয়ে বাস করতে পারে

৬| ১০ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:২৭

জাহিদ হাসান বলেছেন: আদিবাসী না উপজাতি এই বিতর্ক কোন দিন শেষ হবে না।

আমার মতে তাদের সংখ্যালঘু হিসেবে ধরাই ভালো।
আর উপজাতি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া যায়।
আদিবাসী বলে কিছু নেই। সবাই এখানে আদিবাসী।

১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:১০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আপনার ধারনা সঠিক । তবে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন হলে বাঙ্গালী সেখানে কোনঠাসা হয়ে যাবে। তাই চুক্তি করলেও বাস্তবায়ন করনি।

৭| ১০ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


মেজর জিয়া ও নোয়াখালীর ওয়াদুদ ভুঁইয়া নোয়াখালীর নির্মম ভুমিহীনদের ওখানে ঢুকায়ে হত্যা, ভুমিদখল, ধর্ষণ চালায়েছে স্হানীয়দের উপর।

১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:২৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আপনাকে শ্রদ্ধা এবং সম্মান করে বলি আপনার মন্তব্যটা হিংসাপূর্ণ এবং মিথ্যা। মেজর জিয়াকে আপনি অপছন্দ করেন তাই উনার কথা বলবো না। খাগড়াছড়ি জেলা এখন শাসন করে আওয়ামী লীগ নেতারা তারা ওয়াদুদ ভূইয়ার বাপ, খোজ নিবেন। আর ইয়াদুদ ভূঁইয়ার বাড়ি হিঙ্গলী ইউনিয়নে । এইটা চট্টগ্রামের ভিতর পড়ছে। ওয়াদুদ ভূঁইয়ার বড় ভাই সাহাব উদ্দিন আমার আম্মার আপন চাচাত বোন বিয়ে করেছে। ওই সময় উনারা নাকি খুব গরিব ছিল সাহাব উদ্দিন মামা রামগড় হতে ফেনী নদী দিয়ে বাঁশ এনে বিক্রি করতো । এই ব্যবসা করে উনারা চলতো ভাইদের পড়াশোনা করিয়েছে এবং পরে রামগড়ে জায়গা কিনে বসবাস শুরু করে।

৮| ১০ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: ওদের নিয়ে কেউ ভাবে না। কেউ না।

১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:৩২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নও হয়নি

৯| ১০ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৫০

আহমেদ জী এস বলেছেন: নেওয়াজ আলি,




"আদিবাসী" কাদের বলে বিষয়টি আরও একটু পরিষ্কার হওয়ার দরকার। "ভুখন্ডের মূল অধিবাসী যারা ভূমিপুত্র" এই সংজ্ঞাটি মনে হয় পরিস্কার নয়। ভূমিপুত্র বললে ভূমির মালিকানা বোঝায়।একটি ভুখন্ডের মূল অধিবাসীদের কেউ কেউ ভূমির মালিক না ও হতে পারেন। দাস হিসেবে বা মালিক না হয়েও অন্য কোনও ভাবে ঐ ভূখন্ডে জনবসতির শুরু থেকেই বসবাস করতে পারেন।

আদিবাসীর সংজ্ঞা মনে হয় এই রকম -আদিবাসী তারা যারা একটি নির্দিষ্ট রাষ্ট্রে বা ভূখন্ডে বংশানুক্রমে বসবাস করছে বা অধিকৃত হওয়া ও উপনিবেশ সৃষ্টির শুরু থেকে বসবাস করছে।এবং যারা তাদের কিছু বা সকল নিজস্ব সামাজিক, রাজনৈতিক,অর্থনৈতিক ও আইনগত অধিকার ও প্রতিষ্ঠানসমূহ ধরে রেখেছে।

এই অর্থে বাংলাদেশে কোনও "আদিবাসী" থাকার কথা নয়।

১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:৩৪

নেওয়াজ আলি বলেছেন: স্যার আপনি শান্তিচুক্তি এবং উপজাতি নিয়ে একটা লেখা দিবেন । রাশেদ খান মেনন কেন চুক্তি বিরোধী বই লিখেছে সেটাও রাখবেন

১০| ১০ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৩৪

আহা রুবন বলেছেন: কয়েক দিন পর রোহিঙ্গারা বলবে ওরা কক্সবাজারের আদিবাসী। পৃথিবীর সকল জাতিই নিজের পরিচয় প্রকাশ করতে ভালবাসে। অথচ আমাদের দেশের উপজাতিরা চাকমা, মগ, গারো না বলে আদিবাসী বলে পরিচয় দেয়া শুরু করেছে। সবটাই ধান্দাবাজী।

১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:০৪

নেওয়াজ আলি বলেছেন: কিছু লোক রাগ করে ধান্দা বাজি বললে

১১| ১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:০১

মা.হাসান বলেছেন: আদিবাসীদের যদি দেশের সমস্ত জমির অধিকার দিতে হয়, স্বায়ত্ব শাসন দিতে হয়, তবে আম্রিকা-কানাডা-অস্ট্রেলিয়া দিয়ে দেখাক, আমরা ওনাদের মডেল অনুসরণ করবো।

সরকার ন্যায্যতার সাথে দেশ চালালে সমতল ভূমি, পাহাড় কোনো এলাকার জনগোষ্ঠিই অস্থির পরিবেশ তৈরি করার জন্য পাত্তা পাবে না।

১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:০৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ঠিক বলেছেন সরকার এদের পাত্তা দিচ্ছে বলে মনে হয় না

১২| ১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:২১

এইচ তালুকদার বলেছেন: বাংলাদেশে বাঙ্গালীরাই একমাত্র আদিবাসী।অন্যরা ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী ছাড়া অন্য কিছু না।

১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:০৭

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ঠিক বলেছেন

১৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:০৬

জগতারন বলেছেন:
উপজাতিরা কোন মতেই আদিবাসী নয়। যদি তাদের আমরা আদিবাসী বলে স্বীকার করি চরম ভুল করবো।

সহমত !

পার্বত্য চট্টগ্রামের তথা কথিত উপজাতিরা কোন মতেই আদিবাসী হতে যাবে কেন ?
তাদের আমরা বেশীর পক্ষে উপজাতি বলতে পারি।
তাদের বিষয় যে বিষয়টি চরম সত্য তাহলোঃ এই সমস্ত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীরা বরবর, জংলী, মূর্খ এবং সন্ত্রাসী।
তারা চায়না, মায়ানমার, নেপাল, কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড ইত্যাদী দেশ থেকে আমদের দেশে এসে ঝামেলা করছে।
এদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের জন্য চরমভাবে দমন করা ছাড়া অন্য কিছু ভাবা যায় না।

১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:১০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ছোটকালে এদের নির্মমতা দেখেছি। কত বাঙ্গালীকে এরা মেরেছে এখনো মারছে হিসাব নাই

১৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:২৬

সোহানী বলেছেন: সহমত লিখায়। তাদেরকে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বলাই সঠিক বলে মনে করি।

১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:১১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ঠিক বলেছেন

১৫| ১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৩:১২

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আমাদের সমস্যার জন্য আমরা ওদের আদিবাসী বলবনা এটা মনে হয়ঠিক না।শিরনাম দেখে তাই মনে হল।ওরা বাঙ্গালী না এটা ঠিক।স্বায়ত্তশাসন চাইবার অধিকার ওদের আছে।রাষ্ট্র বিজ্ঞান তাই বলে।

১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:১৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ভাই আপনি কি চাইবেন আপনার দেশের একটা অংশ অশান্ত থাকুক। শান্তিচুক্তি করেছে ভালো হয়েছে বাস্তবায়ন না করলেও কিছু হচ্ছে না কারণ সেনাবাহিনী আছে এখনো সেখানে।

১৬| ১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৩:২৪

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: লিখার সাথে একমত। ভাই এতকিছু বোঝার সময় নাই। বাংলাদেশের যেমন মানচিত্র আছে, তেমনি আমার বাপ-দাদার জমিরও মানচিত্র আছে। আমি শুধু বুঝি আমার বাপ-দাদার জমিতে আইসা লাফালাফি করলে দুই ঠ্যাংই নিয়া কাউরে ফিরা যাইতে দিমু না। X( বাকিটা যার যার চিন্তা। B-)

১৭| ১১ ই অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৪:১৯

অনল চৌধুরী বলেছেন: উপজাতিরা দেশের যেকোনো জায়গায় বসবাস এবং কাজ করতে পারবে কিন্ত বাঙ্গালীরা পার্বত্য এলাকায় গেলে হয়ে যাবে বহিরাগত !!!
এমন আজব আইন পৃথিবীর কোথায় আছে ??????
সন্ত্রাসী সন্তু আর তার এদেশীয় কিছু দালাল মিলে বর্মী-ভারতীয়দের বাংলাদেশের উপজাতি বানানোর ষড়যন্ত্র করছে।
এদের সবারই বিচার হতে হবে।

১৮| ১১ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:১১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি হাজার বছরের কথা বলেছেন। ঐ জঙ্গলে আগে বাঘ ছিল। ঐ গহিন জঙ্গলে কোনও বাঙ্গালীর পক্ষে বাস করা সম্ভব ছিল না। যারা এই উপজাতির মতো জংলি এদের পক্ষেই ওখানে থাকা সম্ভব। ঐ সময় বাংলাদেশ বলে কোনও রাষ্ট্র ছিল না। মিয়ানমার বাংলাদেশ সব এক সাথে মিশে ছিল। যদি বলেন ওখান কারা আগে গেছে আমি বলব ওরাই। কোনও বাঙালি ঐ রকম জঙ্গলে ছিল বলে শুনি নাই। তাই আপনি আমার মনগড়া যুক্তি গুলির জবাব দেন। সরকার আইন করে অনেক কিছুই করতে পারে। সেটা ভিন্ন কথা। কিন্তু ঐ এলাকায় জিয়ার আমলে যে অত্যাচার সামরিক বাহিনী দিয়ে করা হয়েছে সেটা তো ঠিক ছিল না। ওদের সাথে বাধ্য হয়ে পরের সরকার চুক্তি করে। সেটাই ঠিক হয়েছে।

১৯| ১১ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:৩৫

নীল আকাশ বলেছেন: এর মাঝে বিরাট ঘাপলা আছে। দেশে সার্বভৌমত্ব নষ্ট করার চক্রান্ত আছে।
জিয়াউর রহমান ঠিক করে করেছিলেন। কিছু নির্বোধ না বুঝেই ব্যা ব্যা করে বেড়ায়।
লেখা ভালো হয়েছে।

২০| ১১ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নও হয়নি

আমি তাদের গ্রামে গ্রামে ঘুরেছি। তারা সবাই খুব ভালো মানুষ। তাদের অসুখ বিসুখ কম হয়। তারা তেল আর মশলা খুব কম খায়।

২১| ১১ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:১৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
িএটাই বড় ট্রাজেডি যে কোন দেশের প্রথম বসবাসকারীরাই একসময় আদিবাসী হয়ে পড়ে। তাদের অবস্থা হয় নিজ ভূমে পরবাসী।

২২| ১১ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:২১

আমিন রবিন বলেছেন: আপনি বারবার 'উপজাতি' শব্দটি ব্যবহার করছেন, এটা ঠিক নয়। বাঙ্গালী একটি মিশ্র জাতি। এর কোন উপজাতি নেই। বাংলাদেশে এখন কোন আদিবাসীও নেই। কাজেই ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠিই একমাত্র সঠিক শব্দ। সংক্ষেপে একটা টাইমলাইন দিচ্ছিঃ
* এই এলাকায় শুরুতে উপকূলবর্তি এলাকায় বাস করত আদি-অস্ট্রেলীয়রা। সেই তামিলনাড়ু থেকে অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত। উপরের দিকে বাস করত বৃক্ষচারী এক সম্প্রদায়। (রামায়নে সম্ভবতঃ এদেরই হনুমান বলা হয়েছে।)
* এরপরে আসে দ্রাবিড়েরা, বিন্ধ্য পর্বত এলাকা থেকে।
* এরপরে ব্রাহ্মনেরা।
* সাঁওতালদের আদিবাস বিহারের সাঁওতাল পরগণায়। এরা শুষ্ক মৌসুমে গো-চারণের উদ্দেশ্যে এ এলাকায় আসত, আবার ফিরে যেত।
* রাজশাহী অঞ্চলের পাহাড়িয়া সম্প্রদায় এবং সিলেটের চা-শ্রমিকদের ব্রিটিশেরা ঊড়িষ্যা থেকে নিয়ে আসে সস্তার শ্রমিক হিসেবে।
* কুয়াকাটার রাখাইনরা ১৮৯০-এর দিকে নৌকা যোগে আসে, ঠিক এখন রোহিঙ্গারা যে কারণে আসছে।
* শেষ পাল শাসনামলে, যখন সেন-রা রাজ্য দখল করে বৌদ্ধ গড় গুলো ধ্বংস করতে শুরু করে, তখন অধিকাংশ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যায়।
* তখন পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা বেশিরভাগ সময় ত্রিপুরা রাজার অধীনে থেকেছে। পরে বিভিন্ন সময় সুলতানী শাসক, মুঘল শাসক, আরাকানী সম্রাট এবং ত্রিপুরা রাজাদের মধ্যে শাসন ক্ষমতা বারবার হাতবদল হয়েছে। মুঘল শাসনের সময়ে এখানে চাকমা রাজার কথা জানা যায়। তবে চাকমা, মারমাদের মূল স্রোতটা আসে ঊনিশ শতকের শেষের দিকে, আরাকানীদের অত্যাচারে টিকতে না পেরে। সেই হিসেবে (আমার ধারণা) ত্রিপুরারাই বেশি দিন ধরে বাস করছে পাহাড়ে।

আমার জানায় ভুল থাকতে পারে। মানস স্যার ভালো বলতে পারবেন (উনি ব্লগে ফেরার ঘোষণা দিয়ে আবার ডুব দিয়েছেন!) ডিটেইল জানতে ড। নিহাররঞ্জনের 'ভারতবর্ষের ইতিহাস', নুরুল আলম আতিকের 'মগ হার্মাদের দেশে' এই বইগুলো পড়তে পারেন।

২৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩২

অনল চৌধুরী বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি হাজার বছরের কথা বলেছেন। ঐ জঙ্গলে আগে বাঘ ছিল। ঐ গহিন জঙ্গলে কোনও বাঙ্গালীর পক্ষে বাস করা সম্ভব ছিল না। যারা এই উপজাতির মতো জংলি এদের পক্ষেই ওখানে থাকা সম্ভব। ঐ সময় বাংলাদেশ বলে কোনও রাষ্ট্র ছিল না।- শশাংকের অঅমল থেকে বাংলা স্বাধীন ছিলো বলে লিখিত প্রমাণ আছে। পাল বংশের ৪০০ বছর এবং সুলতানদের ২০০ বছরের শাসনকালেও স্বাধীন ছিলো। তখন এইসব উপজাতির কোনো অস্তিত্ব ছিলো না।শুধু আরাকান ছাড়া পুরো বার্মা কোনোদিনও বাংলার দখলে ছিলো না।
চাকমা উপজাতিদের রাজা ত্রিদিব রায় মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের দালালী করেছিলো। তার কবর এখনো সেখানে।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এই চাকমারাই আবার পাকিস্তানের দালালী করে বাংলাদেশের ভিতরে স্বায়ত্বশাসন দাবী করলো, যারা নিজেরাই বহিরাগত।
এদের কি এই সুযোগ দিলে ভালো হতো? তাহলে এরপর স্বাধীনতা ঘোষা করতো।
এখনো তারা জুম্মল্যান্ড নামে বাংলাদেশের ভিতরে একটা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়ে মানচিত্র পর্যন্ত প্রকাশ করে ইন্টারনেটে প্রচার করেছে। বাংলাদেশে আইনে এসবের শাস্তি মৃত্যুদন্ড।
ভারত বার্মায় এসক করলে কি হয়, কাশ্মীর এবং রোহিঙ্গারা তার প্রমাণ।
ঐ এলাকায় জিয়ার আমলে যে অত্যাচার সামরিক বাহিনী দিয়ে করা হয়েছে সেটা তো ঠিক ছিল না। ওদের সাথে বাধ্য হয়ে পরের সরকার চুক্তি করে।- জিয়া একটা নিকৃষ্ট খুনী শাসক ছিলো।কিন্ত তার একমাত্র ভালো কাজ, পার্বত্য চট্রগ্রামকে আলাদা হতে না দেয়া।
ভারত, পকিস্তান, বার্মা-কোনো দেশ বিছিন্নতাবাদীদের সাথে শান্তিচুক্তি চুক্তি করেনি। তাদের ধ্বংস করে দিয়েছে।

২৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৩৪

করুণাধারা বলেছেন: ৩/৪ শত বছর আগে মগ জলদস্যুদের অনেকেই পার্বত্য চট্টগ্রামের গহীন জঙ্গলে পালিয়ে থাকার জন্য আস্তানা গাড়তেন। এরা ধীরে ধীরে জঙ্গল কেটে বসতি গড়েন, এদের বংশধর আজকের পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিবাসীরা। একটি দেশে তিন চারশ বছর ধরে আস্তানা গাড়লে তারা আদিবাসী হয়ে যায় না, বরং তারা বহিরাগত। ঠিক যেভাবে মায়ানমার রোহিঙ্গাদের বলছে বাংলাদেশে থেকে গিয়ে ঘাঁটি গেড়েছে, একই কথা পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিবাসীদের বলা যায়।

বাংলাদেশে আছে মনিপুরী সম্প্রদায়। তারাও ৩/৪ শত বছর আগে এদেশে এসে বাস করতে শুরু করে।

চমৎকার লিখেছেন, লাইক।

২৫| ১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১৬

মুজিব রহমান বলেছেন: পাহাড়ে যারা আগে বসতি স্থাপন করেছেন তারাই পাহাড়ের আদিবাসী।

২৬| ১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৫১

কানিজ রিনা বলেছেন: ভারত উপমহাদেশ যখন বার্মা বাংলাদেশ পাকিস্তান নেপাল শ্রীলংকা একসাথে ছিল, তখন থেকে যদি উপজাতিরা রাঙামাটি পার্বত্য চট্টগ্রাম অর্থাৎ পাহাড়িয়া অঞ্চলে বাস করতে থাকে তাহলে তারা আদিবাসী।
এখন কথা হল পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীরা কি বাংলাদেশের সব জায়গায় জমি কিনতে পারবে কিনা?
তাহলে বাংলাদেশের সব মানুষ কেন পার্বত্য চট্টগ্রামের জায়গা কিনতে পারবেনা? ধন্যবাদ।

২৭| ১২ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:০৪

অর্ফিয়াসের বাঁশি বলেছেন: "পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলটি ১৫৫০ সালের দিকে প্রণীত বাংলার প্রথম মানচিত্রে বিদ্যমান ছিল। তখন এর নাম ছিল ‘চাকোমাস’। তবে এর প্রায় ৬০০ বছর আগে ৯৫৩ সালে আরাকানের রাজা এই অঞ্চল অধিকার করেন। ১২৪০ সালের দিকে ত্রিপুরার রাজা এই এলাকা দখল করেন। ১৫৭৫ সালে আরাকানের রাজা এই এলাকা পুনর্দখল করেন, এবং ১৬৬৬ সাল পর্যন্ত অধিকারে রাখেন।"- wikipedia

৯৫৩ সালের আগের পার্বত্য চট্টগ্রামের কোন ইতিহাসই পাওয়া যায় না। আরাকানীরা ছিল রাখাইন আর মারমা, মগ। আর এছাড়া ত্রিপুরার মানুষরা ছিল শক বংশদ্ভূত চাকমা। যেহেতু ৯৫৩ এর আগে এই অঞ্চলের কোন ইতিহাস নেই, তাই তাদের আদি বাসিন্দা ধরে নেওয়া যায়। যদি আমার ভুল হয়ে থাকে তাহলে সংশোধন করে দেবেন।

এছাড়া যতদূর জানি যে চাকমারা থেরবাদ হীনযান পন্থী ছিল। তারা মহাযান পন্থা গ্রহণ করেছে মাত্র ১০০ বছর বা তার একটু আগে। এখন কথা হচ্ছে থেরবাদ, হীনযান হচ্ছে বৌদ্ধধর্মের একদম আদি শাখা। আর মহাযান জনপ্রিয় হয়েছে খ্রিষ্টিয় ৭ম শতাব্দী থেকে। অথচ চাকমারা কিন্তু সেই হীনযানপন্থীই রয়ে গেছে। এই শক বংশদ্ভূত অধিবাসীরা শাক্যরাজ্য ছিন্নভিন্ন হয়ে যাওয়ার পর ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়তে থাকে। আসাম নেপাল, ত্রিপুরা এসব অঞ্চলে।
তাহলে পার্বত্য চট্রগ্রাম অঞ্চলের আদি অধিবাসী কারা?

[আদিবাসী অথবা ক্ষুদ্র জাতিসত্তা বা নৃগোষ্ঠী বলাই উত্তম মনে করি। জাতির উপ হওয়া অনুচিত]


তবে আপনার পয়েন্টগুলোর সাথে মোটামুটি একমত। এই সমস্যাগুলোর সমাধান করা উত্তম। আমি আদিবাসী না উপজাতি এটার উত্তর দিলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.