নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফয়জুল মহী I মোহাম্মদপুর । ঢাকা ।

নেওয়াজ আলি

হে পরমেশ্বর,এই নশ্বর নিখিল সৃষ্টিতে রেখো না ওই মানুষ যার ভিতর নরত্বের অভিনিবেশ নাই ।

নেওয়াজ আলি › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিবেক বর্জিত দেশ বিদেশ। হাওয়ায় উঠে বিবেক ।

০১ লা নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৩


ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ একজন বিকৃত মস্তকের মানুষ। সাথে করে যে বউটা নিয়ে হাটে সে পঁচিশ বছরের বড় তার স্কুল শিক্ষিকা। ছোটকালে এই মহিলার সাথে দৈহিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে স্কুল ছাড়া হয়। মাক্রোঁ অন্য স্কুলে ভর্তি হয় আর শিক্ষিকাকে বদলী করা হয় অন্যত্র তারপরও তাদের অবৈধ সম্পর্কের বিচ্ছেদ হয়নি। ছোটকাল হতে চতুুর একরোখা বদমেজাজি মাক্রোঁ। আর বর্তমানে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতে মুসলিমদের ধর্মে আঘাত করে বিমাতা সুলভ আচরণ করতেছে।

হযরত মুহাম্মদ (সা.) একজন মহামানব। উনার আদর্শ সমগ্র মানব জাতির জন্য কল্যাণকর। হযরত মুহাম্মদ (সা.) মুসলিম জাতির সর্বশেষ নবী ও রাসূল এবং পৃথিবীতে জন্ম নেওয়া মহামানবদের একজন। তাই উনাকে ব্যঙ্গ কিংবা কটাক্ষ করার অধিকার কোন ব্যক্তি সমাজ এবং রাষ্ট্রের নাই । যদিও উনার কোন ছবি কিংবা চিত্র পৃথিবীতে নাই তারপরও কল্পনা করেও অসম্মান করতে পারেন না কেউ। ফ্রান্স যা করেছে তা খুবই ঘৃণিত কাজ এবং নিন্দনীয় তারা খুবই হীনমন্যতার পরিচয় দিচ্ছে। একজন মহামানবকে ব্যঙ্গ করার নিন্দা জানানোর জন্য কোন নিদিষ্ট জাতি কিংবা গোষ্ঠির লোক হতে হবে এমন কথা নাই। আপনি সুস্থ ও মানবিক হলে সুস্থ ও মানবিক পথে ঘৃণা জানাবেনই। এবং প্রতিটি ধর্মের লোককে মুহাম্মদ(সা.) এর মত সম্মান ও শ্রদ্ধা করতে হবে। উনি শুধু মাত্র মুসলিমদের জন্য নয় সমগ্র মানব জাতির কল্যাণে কাজ করেছেন।

অথচ দুঃখের বিষয় এমন মহামানবকে অপমানে আমরা বেছে নিয়েছি উগ্রতাকে। তবে আশার কথা হল মালেয়শিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মহাথীর শালীনভাবে প্রচণ্ড প্রতিবাদ করেছেন। তুর্কী প্রেসিডেন্ট প্রতিবাদে সবার আগে আছে। এমনকি রাশিয়াও এগিয়ে এসেছে। ফ্রান্সের বিরুদ্ধে, রাশিয়া যে দৃষ্টিকোণ থেকে কথা বলেছে এটাই আসল কথা।

রাশিয়া বলেছে 'ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সা.) কে অবমাননা করার কারণে ফ্রান্সে সহিংসতা বেড়ে গেছে। কাজেই সবার আগে এ ধরনের অবমাননাকর কার্যকলাপ বন্ধ করতে হবে।'এছাড়া অবমাননাকর কার্টুন প্রকাশের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে, রাশিয়া বলেছে 'কোনো ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি অবমাননা ও ধর্মপ্রাণ জনগোষ্ঠীর অনুভূতিতে আঘাত হানা রাশিয়ার দৃষ্টিতে গ্রহণযোগ্য নয়।'

মুল বিষয় হলো, রোগের মেডিসিন না দিয়ে যদি বলেন রোগ সারে না কেন তাহলে তো বিপদ! রাশিয়ার মত আমিও মনে করি ইসলাম অবমাননা অব্যাহত রাখলে ফ্রান্সের উপর হামলা কেউ ঠেকাইতে পারবে না। হামলা নিয়ে দুনিয়াব্যাপী যত নিন্দা জ্ঞাপন করেন কোন লাভ হবে না।

বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান প্রতিবাদে উত্তাল। তাদের দুতাবাস ঘেরাও করেছে এবং পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশসহ বেশ কিছু মুসলিম দেশ। কাতার ,কুয়েত ও তুর্কী পণ্য বয়কটের ডাক যথেষ্ট গুরুত্ব বহন করে। মুসলমানদের তীর্থস্থান মক্কা মদিনার মালিক ম্যাও ম্যাও করেছে একবার । আমরা গরিব মুসলিম নবীজীকে প্রাণের চেয়েও বেশী ভালোবাসি কিন্তু আমাদের পঞ্চাশ ষাট হাজার লোক ফান্সে থাকে আমাদের পোষাক তারা কিনে পরে আর এইটা হলো গরিব বাংলাদেশের অলংকার । ফান্সের সব জিনিসপত্রই দামি যেমন কসমেটিক্স ও ইলেকট্রিক পণ্য উল্লেখ যোগ্য । আমার বিশ্বাস রাস্তায় যারা চিৎকার করছে তাদের লোকজন ফান্স থাকে না এবং চিৎকারকারী একজন লোকের ঘরেও ফরাসী পারফিউমও নাই তাহলে কি বয়কট করবো আমরা।

আমি মুসলিম হিসাবে মুসলিম দেশের সরকার কে বলবো কূটনীতিক তৎপরতা বাড়ানোর জন্য যাতে উদারমনা দেশগুলি ফান্সের উপর চাপ প্রয়োগ করে এবং এতে আমাদের নবীকে অসম্মান করতে পারবে না। ইসলাম শান্তির ধর্ম, ইসলাম মানবতার ধর্ম। সহনশীল আচরণই ইসলামের মূলনীতি । আমরা একপক্ষ প্রচণ্ড কট্টর ধর মার কাট আরেক পক্ষ (মুসলিম ) ইসলাম ধ্বংস করতে পারলেই সুখ। মাথায় টুপি দিয়ে রমজান মাসেই জিনিসের দাম বাড়াই। মুনাফা করি ,ঘুষ খাই ,সুদ খাই সেই টাকায় ঈদের বাজার করি। নামের সাথে হাজি লাগিয়ে সন্ত্রাস করি । আবার সুযোগমতো তাবলীগও করি।

আমাদের মত মুসলিম দেশেই গণ পিটুনির বহু প্রচলন আছে। গরিব চোর ধরে গণপিটুনিতে মারি, লগি বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে গণ পিটুনিতে মারি, ছেলে ধরা বলে মহিলাকে গণ পিটুনিতে মারি সর্বশেষ কোরান অবমাননায় গণ পিটুনি দিয়ে পুড়িয়ে মারি । যাদের মারি তারাও মুসলিম। ঘরে তাদের ফুটফুটে নিষ্পাপ সন্তানও থাকে তারা মা মা ,বাবা বাবা চিৎকার করে। কিন্তু মুসলিম শাসক বিচারও করে না। তারপরও বলবো মাক্রোঁ মানসিক রোগী সৌদি আরব বর্বর তাদের সঙ্গী । তবে আশার কথা হচ্ছে মাক্রোঁ আল জাজিরা টিভিকে বলেছেন -মহানবীকে (সা.) অবমাননা করে কার্টুন প্রকাশে মুসলিমদের ‘অনুভূতি’ কেমন হয়েছে তা বুঝতে পারছেন। কিছুটা আমাদের দেশের মত রাজনৈতিক কৌশলও অবলম্বন করেছেন। তাঁর বিরোধী রাজনৈতিক দলকে দোষারোপ করে বলেছেন উনার বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করছে তারা।

মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৯

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: মুসলিমরা ঐক্যবদ্ধ হতে না পারলে এরকম হতেই থাকবে। মুসলিমরা জ্ঞান বিজ্ঞান ছেড়েছে লেখাপড়া ছেড়েছে সেই সংগে ছেড়েছে ধর্মকেও তাই মুসলিমদের আজ এই করুন পরিনতি। মধ্যপ্রাচ্যে রাজা-বাদশারা সহ তাদের প্রজারা ৪/৫টা বিয়ে আর গন্ডায় গন্ডায় ছেলে-মেয়ে পয়দা করতে ব্যস্ত তথচ এদেরকেই মুসলিমদের ঐক্যের ঝান্ডা হাতে অগ্রগামী হওয়ার কথা ছিল।

০১ লা নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: মধ্যপাচ্যের নারীলোভী শয়তান গুলির জন্য অনেকে ইসলামকে ভুল বুঝছে। পাকিস্তান আর আফগানী কট্টর মুসলিমও বিপদজনক

২| ০১ লা নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩৭

মোঃ ইকবাল ২৭ বলেছেন: পোস্ট ভাল লেগেছে। ইসলাম কোন অমানবিক কাজকে সমর্থন করেন না। যা কিছু খারাপ তা ইসলাম নয়।

০১ লা নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: মানসিক ভারসাম্যহীন লোকটাকে মেরে ফেলা খুবই ঘৃণ্য কাজ হয়েছে

৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫৮

কালো যাদুকর বলেছেন: ভাল বলেছেন ৷ কুকুরের কাজ কুকুর করেছে ৷ কোন ধর্মকেই অপমান করে ভাষার স্বাধীনতা প্রকাশ করা যায়না ৷ করলে এটা হেট স্পিচ হয় ৷ মারকো সেটা ভাল করেই জানে ৷ তবুও করেছে রাজনৈতিক কারনে কায়কটা ভোটের আশায় ৷ তবে কাজ হবে না ৷ তার হিসাবে ভুল হযেছে। বিশ্বের সাধারন মুসলমান ব্যাপারটা ভাল ভাবে নেয়নি। নেযার কথাও না ৷ তার মানে এই না যে এই দোহাই দিয়ে কাউকে মারতে হবে ৷ সেটা ঘৃনিত কাজ ৷ কথা হল 'একজন দেশের প্রধান এরকম অদ৷য়িত্বশীল কথা বলতে পারেন না। এর জন্য সব পক্ষকেই খেসারত দিতে হচ্ছে এবং হবে। সাধারন নিরপরাধ মানুষ মারা যাচ্ছে ৷ ঐ দেশে সাধারন মুসলমানরা এখন চিপায় থাকবেন ৷ বিভিন্ন মুসলীম দেশের সাথে ফ্রান্সের সর্ম্পর্ক খারাপ হবে। সেই হিসাবে মার্কোর কি খুব একটা রাজনৈতিক লাভ হবো। মনে হয় না।

অনেকেই বলেছেন ফ্রান্সের যে পণ্যের কথা কথা হচ্ছে বর্জনের জন্য। সেটা ঐ গরীব প্রতিবাদকারীরা এদোর্ড করতে পারবে না। তাদেরকে বলছি ' একটি ছবি হাজার কথা বলে ৷ তাদের এই বিক্ষোক্ষের ছবি মিডিযাতে আসছে ৷ সেটা দেখে অনেকেই প্রশ্ন করছে। জানছে ' এবং হয়ত বর্জন ও করছো যারা ঐগুলো ব্যাবহার করেন তারা যারা করেন না? তারা ফ্রান্সের স্পিচ স্বাধীনতার দিমুখী নীতির অন্তত পক্ষে সমলোচনা তো করছেন ৷ আমার ফ্রান্সিয় সহকর্মী মাথা নিচু করে নেকস্ট টাইমে আমার সাথে লান্চে বসবেন এটা আমি দিবালোকের মত পরিস্কার দেখতে পারছি।

০১ লা নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: মাক্রোঁ কূটচালে অলরেড়ি ধরা পড়েছে। তাঁর জনগণকে কট্টর ইসলাম পন্থীদের রোষানলে ফেলেছে। কালও একজন ধর্মযাজক খুন হয়েছে।

৪| ০১ লা নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১০

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম জিনিসটাই ব্যান করে দেয়া উচিত।কোন ধর্মই কেউ পালন করতে পারবেনা।বা মানলেও সেটা নিয়ে কেউ কোন কথা বলতে পারবেনা।

০১ লা নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১৪

নেওয়াজ আলি বলেছেন: না না রাজিব ভাই তা করা যাবে না।

৫| ০১ লা নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১৭

অধীতি বলেছেন: স্ত্রী স্বামীর থেকে বড় হওয়া বিকৃতমস্তিষ্কের কিছু নয়।দয়া করে এসব অসম উদাহরণ দিয়ে আবেগ উথলাবেন না। আপনি যদি ২৫ বছরের বড় হওয়াটা বিকৃত রুচি বলে পরিচয় দেন তখন যদি কেউ খাদিজা রা. কে নিয়ে প্রশ্ন করে তখন সহ্য করতে পারবেন?কখনই পারবেন না।
পন্য বয়কট করাটা ঠিক আছে কিন্তু ম্যাক্রোর কুশপুত্তলিকা দাহ কতটা যৌক্তিক, কুশপুত্তলিকা দাহ কি ইসলামের সাথে যায়? বাংলাদেশে প্রতিবাদের নামে যা হচ্ছে এটা কি উগ্রবাদীতা নয়?
আবেগ প্রশমিত করে নবীর আদর্শ বাস্তবায়ন করাটাই এখন চ্যালেঞ্জ।

৬| ০১ লা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:১১

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: আমি @অধীতির সাথে একমত। পোস্টের কিছু অংশ গার্বেজ মনে হইছে। একটা অধীতি বলেছেন আরেকটা হচ্ছে রোগ না সারায়ে মেডিসিন দিতে হবে এই প্যারায় বলছে, এই ধরনের আক্রমন আরো হবে, যদি ফ্রান্স এই অবমাননা বন্ধ না করে। পুরোই বিশ্রী একটা কথা মনে হইছে। হয় আপনি ফ্রেঞ্চ রেভুলশনের উপর কোন বই পড়েন না, রজার বেকনের দর্শনের সাথে আপনার পরিচয় নাই, এই জন্য একটা থ্রেট দিয়ে দিলেন। ফ্রান্স কি করবে সেইটা ফ্রান্স কে ভাবতে দেন। আর এইসব আবেগী কথা বার্তা না বলে ইউরোপীয় ইউনিয়নে গার্মেন্টস মার্কেটটা ধসায়েন না। দিন শেষে নিজেই না খেয়ে মরবেন। এরডোগান ও খাওয়ায়বে না। মাথা মোটা ছাগল ওয়াজিনদের কথা শুনে রোহিঙ্গা দের দেশে ঢুকতে দিয়ে যা ভুল করছেন সেইটাই এখনো ঠিক করতে পারেন নাই। এখন কি আল্লামা শফির চেলাপেলা খাওয়াচ্ছে, বাবুনগরীর হেফাজত খাওয়াচ্ছে রোহিঙ্গাদের? দিন শেষে এই ফান্ড আসতেছে এই ইউরোপ থেকেই। সো এরডোগানের, আল্লামা শফি, বাবুনগরির মত উজবুকদের কথা কম শুনাই ভালো।
কোন গন্ডগোল হলে এই এরডোগান, হেফাজত গুলোর সাধ্য নাই টাকা পয়সা দিয়ে সাহায্য করার, ওরা খালি মানুষকে উত্তেজিত করে নিজের মাদ্রাসার ডোনেশন বাড়াতে পারে, ফান্ড দিলে আইএমএফ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ই দেয়।

৭| ০১ লা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২১

আমি সাজিদ বলেছেন: মহাথির খুব সুন্দরভাবে প্রতিবাদ করেছে। ফ্রান্সকে তার অতীত ইতিহাসও বুঝিয়ে দিয়েছেন। মহাথিরের মতো নেতাই দরকার। এরদোয়ান একটা যুদ্ধবাজ শুয়োর।

৮| ০১ লা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২১

জিকোব্লগ বলেছেন:



সবই ইহুদি-নাসারাদের ষড়যন্ত্র।
আসেন কম্পিউটার, মোবাইল, গাড়ি, প্লেন
সব ইহুদি-নাসারাদের পন্য বয়কট করি।

৯| ০১ লা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



যা বুঝেন না, সেটা নিয়ে অনেক কথা বললেন; ইউরোপ ও ফ্রান্স সম্পর্কে আপনার জানাশোনা পরিস্কার নয়। ফ্রান্স ও তার প্রেসিডেন্ট ঠিক আছে, আপনি ভুল পরিবেশে থাকায় সঠিকদের ভুল মনে হচ্ছে।

১০| ০১ লা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মহানবীর ব্যঙ্গচিত্র খ্রিস্টানদের জন্যও অবমাননাকর : ফরাসি আর্চবিশপ

ফ্রান্সের টুলুস শহরের আর্চবিশপ রবার্ট লিগল ফ্রান্সের ব্লু রেডিওকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে আর্চবিশপ রবার্চ লিগল নিস শহরের নটরডেম গির্জায় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের উল্লেখ করে এটিকে মর্মান্তিক ঘটনা বলে আখ্যায়িত করেন তিনি।

মহানবী মুহাম্মদ (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের বিরোধিতা করে তিনি বলেন, ‘তা অত্যন্ত গুরুতর বিষয়। বিষয়টি আগুনের তৈল ঢালার মতো।’

তিনি আরো বলেন, ‘এ ধরনের ব্যঙ্গচিত্র মুসলিম ও খ্রিস্টানদের অবমাননা করার মতো। এ কাজগুলো ছড়ানো থেকে আমাদের বিরত উচিত। আমরা সবাই এর অশুভ পরিণতি প্রত্যক্ষ করছি।’

লিগল আরো বলেন, ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতারও একটা সীমাবদ্ধতা আছে। আমাদের উপলব্ধি করা দরকার, কোনো ধর্ম অবমাননার অধিকার আমাদের নেই।’

১১| ০১ লা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১৮

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: জবরদস্ত।

১২| ০১ লা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

আমার মনে হয়, এই আমলে কারোই উচিত হবে না অন্য মানুষের ধর্ম নিয়ে কোন কথা বলা।

যার যার ধর্ম নিয়ে সে সেই কথা বলুক।

এমনকি নিজের ধর্মের প্রার্থনা করার সময়ও অন্য ধর্মের নাম উচ্চারণ করা উচিত হবে না।

সময় খুবই খারাপ ।
মানুষজন ক্রমেই অসহিষ্ণু হয়ে যাচ্ছে।

১৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৯

কসমিক রোহান বলেছেন: ইন্টারভিউ : ইমানুয়েল মাখোঁ:
১।
আমি কার্টুন অঙ্কন সম্পর্কে মুসলিমদের অনুভূতি বুঝতে পেরেছি। পত্রিকার (চার্লি হেব্দোর) কার্টুন অঙ্কন বা প্রকাশ ফ্রান্স সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেনা।
২।
ফ্রান্সে ইসলামের সাথে আমাদের (ফ্রান্স সরকারের) কোন সমস্যা নেই। আমরা অন্যতম প্রথম দেশ যেখানে কোরআন অনুবাদ হয়েছে এবং ইসলামিক কেন্দ্র চালু হয়েছে।
৩।
আমার বক্তব্যকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
৪।
ফ্রান্স ইসলাম ধর্মের বিরোধী নয়। আপনি ফ্রান্সের রাস্তায় হাঁটলে হিজাব পরিহিত নারীর দেখা পাবেন।
৫।
চার্লি হেব্দো শুধুমাত্র নবি মোহাম্মদ নিয়ে ব্যাঙ্গচিত্র অঙ্কন করেনি। ইহুদি রাব্বি ও অন্যান্য ধর্ম নিয়েও ঠাট্টাতামাসা করেছে।
৬।
বাকস্বাধীনতা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের নিয়ে ঠাট্টাতামাসা করা ফ্রান্সের আইনের অংশ, যেটি ফ্রান্সের জনগণের প্রাণের দাবি।
৭।
ফ্রান্সে ফ্রান্সের আইন চলবে, ইসলামিক আইন না।
৮।
এন্টি সেমিটিজম (ইহুদি বিদ্বেষ) হলো ফ্রান্সের আইনে নিষিদ্ধ ও ফৌজদারি অপরাধ। সুতরাং নবি মোহাম্মদকে ইনসাল্ট করার সাথে এন্টি-সেমিটিজমের তুলনা করা যাবে না। নবি মোহাম্মদকে ইনসাল্ট করা সার্কাজম আর ইহুদি বিদ্বেষ পোষণ করা হলো রেসিজম।
৯।
কার্টুন অঙ্কনের জন্য ফ্রান্সের পণ্য বয়কটের ডাক অগ্রহণযোগ্য। বিশেষকরে কিছু লোক তাদের ধর্মের দোহাই দিয়ে মানুষের বাকস্বাধীনতাকে হরণ করতে চায়।
১০।
আমি আশা করবো মুসলিমরা আমাদের (ফ্রান্সের) বাকস্বাধীনতা (নবিকে ব্যাঙ্গ করা) সম্পর্কে ভুল বুঝবে না। এটি (ব্যাঙ্গচিত্র) না তাদের বিরুদ্ধে আর না অন্যদের।
এই ইন্টারভিউ প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ আল-জাজিরায় দিয়েছে। এর দ্বারা কি বুঝা গেল ম্যাক্রন ভুল স্বীকার করেছে? অনুতপ্ত হয়েছে? কিছুই না। বরং মুসলিমদের সবক দিল তোমরা আনসিভিলাইজড। আমরা তোমাদের নবিকে ব্যাঙ্গ করতেই পারি৷ তোমরা এটাকে ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন হিসেবে মনে করবা। জাস্ট ইট।

১৪| ০১ লা নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪১

কসমিক রোহান বলেছেন: স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি ভাই যারা আছেন, ফ্রান্সের হাত থেকে আফ্রিকার স্বাধীনতার জন্য বয়কট অব্যাহত রাখুন।
Continue boycott to liberate AFRICA from French colonization.
14 African countries are compelled to deposit $500 B every year (85% of their foreign income) in French Central Bank which they can't reach ever after. And then France have the audacity to call them POOR countries... Left with only 15% of their own income.Raise ur voice for freedom. Its now or never.
[Ref. Dr. Arikana, Ex-AU ambassador to USA]
#BoycottColonialistFrance
#BoycottFrenchProducts
#LiberateAfrica
#LibertyEqualityFraternity
তুলনার জন্য:
বাংলাদেশের অক্টোবর'২০২০ এ টোটাল বৈদেশিক রিজার্ভ ৪৫ বিলিয়ন ডলার। আর আফ্রিকার ১৪ টা দেশ প্রতিবছর ফ্রান্সকে দেয় ৫০০ বিলিয়ন ডলার, যা আর ফেরত পায় না। স্টক মার্কেটে খাটিয়ে প্রতি ১৪ বিলিয়নে ফ্রান্স লাভ করে ৩০০ বিলিয়ন ডলার যার ভাগ গরীব দেশগুলো পায় না। আসল আর লাভ কোনোটাই পায় না। অংক কষেন, প্রতিবছর কত নেয় ফ্রান্স। আর সেই ফ্রান্সই এদেরকে বলে 'গরীব দেশ'। বাহ, শূয়রছানা, বাহ।
#Libertéégalitéfraternité

১৫| ০১ লা নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৯

কসমিক রোহান বলেছেন: নবির তো কোনো চিত্রই নেই। তাহলে ব্যঙ্গচিত্র হয় কী করে! কোনো মুসলমান কি নবিকে দেখেছে নাকি! তাহলে নবির চিত্রকেই যে ব্যঙ্গ করে আঁকা হয়েছে, এটা তারা কীভাবে বুঝল...
উপরের কথাগুলো যদি কোনো অশিক্ষিত অমুসলিম বলে, তাহলে তার বিবেককের উপর করুনা করা যায়। কিন্তু নিজেকে মুসলমান দাবি করা উর্বর মস্তিস্কের সো-কলড মুক্তমনা তকমাধারী অনেকেকে যখন এমন কথা বলতে শুনি, তখন তাদের মস্তিস্কের গোবরের পরিমাণ নিয়ে প্রশ্ন জাগে। নবিজির কোনো চিত্র নেই। কখনো ছিলও না। সুতরাং কেউ নবির চিত্র অংকন করলে সেটাকে লজিক্যালি নবির চিত্র বলা যাবে না- কিছু শিক্ষিত মানুষকেও যখন এমন লজিক দিতে দেখি, তখন করুনা হয় তাদের জন্য।
এই ধারার কোনো পণ্ডিত যদি আপনার আশেপাশে থাকে, তাহলে তার সাথে তার লজিকে কথা বলুন। এভাবে-
-নবির কোনো চিত্র নেই বলে ব্যঙ্গ চিত্র হতে পারে না?
-কীভাবে হবে, চিত্রই যেখানে নেই।
-কেউ যদি কোনো চিত্র এঁকে বুঝাতে চায় এটা মুসলমানের নবির চিত্র!
-এটাই তো হুজুগী মুসলমানের আবেগ। কেউ কিছু বুঝালেই সেটা বুঝে ফেলতে হবে কেন? নিজের বিবেক নাই?
-ও আচ্ছা। কিছু মনে করবেন না। একটা ইমাজিনেশন করি।
-কেমন ইমাজিনেশন?
-ধরুন, আপনার মা বোনকে কেউ দেখেনি। তারা পর্দা করেন অথবা দূরে কোথাও থাকেন। এখন কেউ একজন জংলি দুই নারীর ছবি আঁকল। (জংলিরা কিন্তু গায়ে কাপড় পরে না।) ছবির ক্যাপশনে আপনার মা বোনের নাম লিখে দিলো অথবা কোনো ইনিশিয়েল দিয়ে মানুষকে বুঝাতে চাইল এটা আপনার মা বোনের চিত্র। আপনি তখন কী করবেন? লজিক দিয়ে বলবেন, ‘আরে আমার মা বোন তো ন্যাংটা থাকেন না। তাহলে এগুলো তাদের ছবি হবে কী করে? আর এই লোক আমার মা বোনকে জীবনে দেখেওনি। সো, কোনো ব্যাপারই না’!
-এখানে মা বোনকে টেনে আনছেন কেন?
-টেনে আনিনি। তারা বাই ডিফল্ট চলে এসছেন।
-মানে কী?
-বলছি। তার আগে বলেন আপনি তো মুসলমান?
-অফকোর্স, তবে আমি গোঁড়া মুসলিম না।
- ভালো। গোঁড়া না হওয়াই ভালো। গোঁড়া হলে মুশকিল! জংলি জানোয়ারের মতো চলাফেরা করা যাবে না। সত্য মিথ্যার ফারাক করে চলতে হবে। সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলতে হবে।
- হোয়াট রাবিশ! আপনি তো দেখি গোঁড়ামির ডেফিনেশনই জানেন না। কীসের সাথে কী মেলাচ্ছেন?
- কোল, আমি গোঁড়ামির সাথেই গোঁড়ামি মেলাচ্ছি। গোঁড়ার ইংরেজি orthodox. It’s can be noun, can be addictive. গোঁড়া কাকে বলে-এই প্রশ্নের জবাবে আপনাদের ডিকশনারি বলছে, a person or their views, especially religious or political ones, or other beliefs or practices) conforming to what is generally or traditionally accepted as right or true; established and approved. তাহলে ধর্মীয়ভাবে যে সত্যগুলো এস্টাবলিশড এবং অপ্রোভড, সেগুলো গ্রহণ করাই যদি ধর্মীয় গোঁড়ামি হয়, আর আপনি যদি নিজেকে মুসলমান দাবি করেন, গোঁড়া না হয়ে উপায় আছে?
- কথা প্যাঁচাচ্ছেন কেন?
- কথা প্যাঁচাচ্ছি প্যাঁচ খুলবার জন্য। আপনি কিন্তু আমার প্রশ্নের জবাব দেননি।
-কোন প্রশ্ন?
-কেউ যদি আপনার মা বোনের কাল্পনিক কোনো চিত্র আঁকে, ন্যাকেড চিত্র, তাহলে আপনি কী করবেন?
- আমি প্রতিবাদ করব। কারণ, সে আমার মা বোনের নাম ইউজ করে এভাবে নোংরামি করতে পারে না।
- ঠিক এই কাজটাই মুসলমানরা করছে। সবাই জানে নবির কোনো চিত্র নাই। কিন্তু কেউ যখন আগডুম বাগডুম কিছু একটা অংকন করে সেটাকে নবির চিত্র বলে প্রচার করতে চায়, তখন সঙ্গতকারণেই মুসলমানের কলিজায় লাগে। ভালো কথা, আপনি তো মুসলমান?
- একই প্রশ্ন রিপিট করছেন কেন?
-রিপিট করছি একথা বলবার জন্য যে, আপনি যদি মুসলমান হতে চান, তাহলে আপনার মা বাবা ভাই বোন স্ত্রী সন্তান থেকে আপনার নবি আপনার কাছে প্রিয় হতে হবে। এখন কেউ আপনার মাকে নিয়ে নোংরামি করলে আপনি সহ্য করবেন না, কিন্তু আপনার নবিকে নিয়ে নোংরামি করলে লজিক মারাবেন- এটা কেমন কথা?

১৬| ০১ লা নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৩

জাফরুল মবীন বলেছেন: আমরা 'ইস্যু প্রেমিক'।একটা ইস্যু পাওয়া গেছে!আলহামদুলিল্লাহ এটা নিয়ে কিছুদিন বিশৃঙ্খলা চলবে চেতনার উগ্রমূর্তিতে।তারপর আরেকটা ইস্যু আসলেই এটা চাপা পড়ে যাবে ইং শায়া আল্লাহ।

১৭| ০১ লা নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৪

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আপনি আবার পাগলের ডাক্তার হয়ে গেলেন কবে থেকে।

১৮| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ রাত ১:৫১

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: দুর্দান্ত পোস্টে ++

ডাবল স্ট্যান্ডার্ড বা হিপোক্রেসির আমাদের এক বিশাল অংশকে গ্রাস করে ফেলেছে, তাই আমরা হাজি হয়ে সন্ত্রাস বাড়িয়ে দেই, আর ঘুষ, পরের হক মারা তো আমাদের তথাকথিত ধমর্মপ্রানদের জন্য ডালভাত। আমরা যদি সত্যিই আমাদের মহানবী ( সা : ) কে ভালোবাসতাম, তবে অন্তত: তিনি আমাদের জন্য যে সকল অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন তা আন্তরিকভাবে পালন করতে চেষ্টা করতাম। তিনি তার কাছে গচ্ছিত আমানত সততার সাথে রক্ষা করতেন বলে তাকে মক্কায় আল-আমিন উপাধি দেয়া হয়েছিল তা কি হিপোক্রেট উগ্র ধর্মান্ধগুলো জানে না ?

বর্তমানে উগ্র জাতীয়তাবাদ ও ধর্মীয় অনুভূতিকে ব্যবহার করে বেশ কিছু রাষ্ট্রপ্রধান বেশ জনপ্রিয়তা ও সাফল্য পাচ্ছে। ট্রাম্প, মোদী, এরদোগোয়ানের পথ ধরে ম্যাক্রোও চরমপন্থার পথ ধরলে বিস্মিত হওয়ার কিছুই নেই । তবে তার এই উস্কানির ফাঁদে পা দিলো মুসলিম বিশ্ব। সত্যেন্দ্রনাথের কবিতাটার উল্টোটাই আমরা করছি, এবং তাতে ক্ষতি কার বেশি হচ্ছে ?

ফ্রান্সে ভবিষ্যতে পাকি ও বাংলাদেশিদের রাজনৈতিক আশ্রয় এবং অভিবাসন পাওয়া অসম্ভব হয়ে যাবে মনে হচ্ছে। বিশেষত বিরোধী দলের নেত্রী মেরিন লেপেন এরই মধ্যে বাংলাদেশিদের অভিবাসন বন্ধ করে দেয়ার জন্য সোচ্চার হয়েছে এবং বেশ সাঁড়া পাচ্ছে।

১৯| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৪৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
বিবেক ভাড়া ঘাটছে। বিবেক লুট হয়েছে।বিবেক মরে গেছে।
তাইতো আবেগে ভরে গেছে সব। প্রতিবাদে সহমত জানাচ্ছি।

২০| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:২৪

রাশিয়া বলেছেন: আবারও ইসলামের অবমাননাকর কার্টুন প্রকাশিত হবে, আবারও হামলা হবে, নিরীহ প্রাণ ঝড়বে আর ফ্রান্সের টিআরপি বাড়বে। ফ্রান্স সহ পশ্চিমা সরকার বোধ হয় নিজেদের টিআরপি বাড়ানোর জন্যই এই ঘৃণ্য পদক্ষেপ নিয়েছে।

২১| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৩৪

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: পোস্ট এবং কমেন্ট দুটোই মূল্যবান। এমন পোস্ট মানুষকে ভাবায়। সঠিক ও বেঠিক বুঝতেও চেষ্টা করে, ভাবতে চেষ্টা করে। মাথা খাঁটায়।

২২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ২:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


চাঁনগাজী (ছাঁদগাজী ) যুদ্ধের কথা কার কার বইতে আছে, আপনি জানেন?

২৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১:৫৪

সোহানী বলেছেন: প্রশ্ন?

১) একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যাক্তি তার বয়সের অনেক বড় কাউকে বিয়ে করেছে বা প্রেম করেছে বা অন্য কোন সম্পর্কে জড়িয়েছে। সেটা আমার বা আপনার ভাবার বিষয় কি?

২) আমরা একজন ভিন্ন দেশের প্রধান এর কুশপুত্তলিকা দাহ করলাম, এ্যাম্বিসি ঘেরাও করলাম, রাস্তায় রাস্তায় মিছিল করে গাড়ি ভাংচুর করলাম, দেশের সম্পদ নষ্ট করলাম, একজন নিরপরাধ মানুষকে পুড়িয়ে মারলাম। আমাদের কি মানুষ মনে হচ্ছে তারপরেও?

৩) ফ্রান্সের পণ্য বয়কট করলাম আর তার প্রতিবাদে ফ্রান্স আমাদের থেকে সকল আমদানী বন্ধ করে দিল, সাহায্য বন্ধ করে দিল, জনশক্তি নেয়া বন্ধ করে দিল। এখন আমাদের টাকা কে দিবে? সৈাদী? যারা অমানুষ, আমাদের মেয়েগুলিকে বেশ্যা বানিয়ে মেরে ফেলছে, ছেলেগুলোকে কুকুরের মতো মারছে?

আগে মানুষ হিসেবে চিন্তা করেন, তারপর একজন বাংলাদেশী হিসেবে নিজেকে দাঁড় করান প্লিজ!


আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.