নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফয়জুল মহী I মোহাম্মদপুর । ঢাকা ।

নেওয়াজ আলি

হে পরমেশ্বর,এই নশ্বর নিখিল সৃষ্টিতে রেখো না ওই মানুষ যার ভিতর নরত্বের অভিনিবেশ নাই ।

নেওয়াজ আলি › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজনীতি ও তৃতীয় লিঙ্গ(হিজড়া) ( ৮ম পর্ব)।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ২:৪১


ইসলামপুরের সবচেয়ে বড় মার্কেট ক্রয়ের ক্ষমতায় বুঝা যায় হায়দারের টাকা বাড়ার সাথে সাথে শত্রুও বাড়ে। কিন্তু পুলিশ অবেক্ষণ শেষ হয় না, পুলিশ বলে সব মোটিভ আমরা তদন্ত করে দেখছি, কিন্তু কত দিন। তাহলে কি আইন সময়ের কাছে বন্ধি নাকি চলছে অন্য কোন রাজনীতি। আমি অপেক্ষা করি প্রেয়সী আসার মত সেই বিকাল চারটা হতে, সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত, এরপর ভোর চারটা, সকাল পেরিয়ে রবি আকাশে প্রেয়সী হয়তো পথ ভুলে অজানায়।
আমি ফুল হাতে অপেক্ষা করি তাকে বরণ করে নেওয়ার জন্য, এই অপেক্ষা যন্ত্রণার শেষ হওয়ার নয়, আইন তুমি আমার প্রেয়সী। সুনিদিষ্ট নাম থাকার পরও আসামী ধরা হয়নি, পুলিশ বলে প্রকৃত আসামী এবং তাদের অবস্হান জানতে সময়ের দরকার কিন্তু কত সময়। এক বছর নাকি অনেক বছর, আর আসামী রাজধানীতে ঘুরে বেড়ালেও অবস্থান জানা যায় না। কিসের এই রাজনীতি, কেন তিনটা হিজড়া খুনের একটিরও বিচার হয়নি।

তৃতীয় লিঙ্গ স্বীকৃতি পাওয়ার পর সমাজ সেবা অধিদপ্তর তাদের চাকরী দেওয়ার জন্য ডাক্তারী চেক-আপ করতে গেলে সব ভেস্তে যায়। আর এতে সরকার হাত ধুয়ে পরিস্কার হয়ে বসে থাকে। এদের অভিযোগ আমরা স্বীকৃতি ফেলেও মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা পাইনি। তারা বলে বাসা ভাড়া পায় না, টাকা জমানোর জন্য ব্যাংক সেবা পায় না, হাসপাতালে সেবা পেতে কষ্ট, গণপরিবহনে কিংবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হাসির পাত্র। বার-তের অর্থ বছরে সরকার সাত জেলায় ৬৬ লাখ টাকা বরাদ্দ করে হিজড়াদের ক্ষালনের জন্য। ২০১৩ হতে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ২৬ কোটি টাকা হিজড়ার জন্য খরচ করে সরকার আর এতে ৭০০০জন হিজড়া উপকারভোগী।

উপবৃৃত্তি, চিকিৎসা, বাসস্থান এসব খাতে সরকার খরচ করে হিজড়ার জন্য। এত সুবিধার পরও কেন এরা জীবনমান বদলায় না। যানবাহনে ভদ্র লোকের কাছে হাত পাতা পুরানো অভ্যাস। সস্তা পন্থায় টাকা রোজগার করার সহজ উপায়ের যে অভ্যাস তা ছাড়তে পারছেন না বলেন আবদুর রাজ্জাক (পরিচালক, হিজড়াদের জীবনমান উন্নয়ন কর্মসসূচী)। আসলে তা ঠিক।মিরপুরে গুরুমা রাখীর শিয্যরা সরকারি প্রশিক্ষণ পাওয়ার পরও যানবাহনের যাত্রী হতে টাকা তোলা বন্ধ হয়নি। এই সময় সাংবাদিক ছবি উঠাতে গেলে সবাই মিলে ক্যামরা নিয়ে ভেঙ্গে ফেলে, মারতে তেড়ে আসে। তাহলে কি অ্ভ্যাস বদলানো যাবে না। তাই বলে থেমে থাকা যায় না তাই হাত বাড়ান একটি সংস্থা।

এবং হিজড়াকে অপরাধ করা হতে দূরে রাখতে এগিয়ে আসেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা। উত্তরার বাওনিয়া এলাকায় আপন গুরুমা ২৫জন শিয্য নিয়ে থাকেন এক বাড়িতে। এদের কেউ কবুতর পালেন, কেউ আল্পনা আঁকেন, কেউ কেউ রান্না বান্না করে এবং অবসর সময়ের নাচ গান করে। তারা বলেন তখনই খারাপ লাগে যখন মানুষের কাছে হাত পাততে হয়, এভাবে ভিক্ষা করে ও জোর করে টাকা রোজগার করতে ভাল লাগে না। আপন বলেন আমরা যদি সম্মানের সাথে ডাল ভাত খেতে পারি তাহলে মানুষকে অপমান করা, হাত তালি দেওয়া, নাচ গান করা, চাঁদাবাজি করা এবং কাপড় খোলে ফেলা করবো না। যখন নিজে কাজ করে খাব তখন আমরা ঠিক থাকব এবং মানুুষ আমাদের সাথে মিলবে আমরাও মিলবো মানুষের সাথে। আমরাও শিক্ষিত মানুষ আর কতকাল ভিক্ষা করে খাবো।
তাই এমন আগ্রহ দেখে তাদের পাশে এসে দাঁড়ান অতিরিক্ত ডিআইজি হাবিবুর রহমান ও উত্তরার ডিসি বিধান ত্রিপুরা। মানুষ যে তাদের আচরণে অতিষ্ট হয়ে যায় এবং তাদেরকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে আমাদের উদ্যেগ বলেন বিধান ত্রিপুরা।

তাদেরকে যদি একটা প্রশিক্ষণ দিয়ে স্বাবলম্বী করে দেওয়া যায় তাহলে কাজ করে খাবে এবং সহজভাবে সমাজে বাস করবে ভদ্র হয়ে আমরা স্বস্তি পাব তারা পাবেন সম্মান। দুই পুলিশ কর্মকর্তা এদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়ে সেলাই মেশিন কিনে দিয়েছেন আর এতে বিভিন্ন স্কুল কলেজের ড্রেস তৈরি করবে এতে জীবনমান ভাল হবে। আমরা কাজ করেই খেতে চাই আর এতে খুশি। বিভিন্ন স্কুল কলেজে গিয়ে আমরা অর্ডার নিয়ে আসবো প্রথম তারপর তারা আস্তে আস্তে সব নিজেরা করতে পারবে। আমরা তাদেরকে ভাল রাস্তায় তুলে দিলে তারা অপরাধমুলক কাজ করবে না সমাজে শান্তি শৃঙ্খলা নিশ্চিত হবে বলেন হাবিবুর রহমান। কাজটা যে অনেক শুভ এতে কোন সন্দেহ নেই, দেখা যাক আপন গুরুমার শিয্যরা হিজড়া হতে মানুষ বনে কিনা। এই প্রকল্প যদি সফল হয় তাহলে সারা ঢাকায় কাজ করার চেষ্টা করবেন এই দুই জন মহত ব্যক্তি। এই যেন মরু পান্তরে এক ফোটা প্রাকৃতিক জল, আমরা যেমন হিজড়া দেখলে হিজড়া হয়ে যাই তেমনি পুলিশ দেখলেও স্বাধীন দেশে হিজড়া হতে হয়, কিন্তু এই ধারনা কিছুটা দূর হতে সাহায্য করলো এই দুই পুলিশ কর্মকর্তা। তাই ফিরে যাই পুরাতন স্লোগানে পুলিশ জনগণের বন্ধু।


মন্তব্য ৯ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৫৫

রানার ব্লগ বলেছেন: প্রতিটা গার্মেন্টস ইন্ডস্ট্রিতে ২০% কোটা থাকা উচিত তৃতীয় লিংগের জন্য। বৃধ্য ও বিধোবা ভাতার মতো তৃতীয় লিংগের জন্য ও ভাতা নির্ধারণ করা উচিত। এদের চিকিৎসা ফ্রি করে দেয়া উচিৎ। সেই সাথে জনগন কে তৃতীয় লিংগের প্রতি সহমর্মিতা প্রদশর্নের জন্য অনুরোধ করা জরুরি।

বর্ত্মানে তৃতীয় লিংগের ভয়ানক দৌড়ত্বে সাধারন জনগন অতিষ্ঠ, পুলিশ ও স্থানীয় আইন প্রনয়ণ কারীদের এই ব্যাপারে সজাগ থাকা জরুরি। তৃতীয় লিংগের চাদাবাজি, ঘরে ঢুকে আক্রমন, রাস্তা ঘাটে অপমান জনক আচরন বন্ধে আইন করা উচিত, এরা কোন ভাবেই ভিক্ষাবৃত্তি করতে পারবে না এমন কঠর আইন করতে হবে। আর দশটা সাধারণ মানুষের মতো কাজ করতে উৎসাহিত ক্ক্রতে হবে প্রয়োজনে বাধ্য করতে হবে।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আমি আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত। আপনার মন্তব্য আমার লেখায় যোগ করবো।

২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৫২

সোহানী বলেছেন: সবগুলো পর্ব পড়া হয়নি, কয়েকটি পড়েছি। ভালো একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন। পৃথিবীর সব উন্নত দেশেই তৃতীয় লিঙ্গ নিয়ে কোন হৈচৈ নিয়ে, তাদেরকে নিয়ে আলাদা চিন্তা করার কোনই সুযোগ নেই। আট দশজন মানুষের মতই তাদের জীবন। অথচ আমাদের দেশে প্রতি পদে পদে তাদের হয়রানী হতে হয়। তেমনি তারাও বেড়ে উঠে মানুষকে হয়রানী করার মাঝে। কেউ কাউকেই স্বাভাবিকভাবে নেয় না। এটি সম্পূর্নভাবে বন্ধ করা উচিত। ওদেরকে নিয়ে আরো পরিকল্পনা করা উচিত যাতে সবার সাথেই স্বাভাবিক জীবন গড়ে তুলতে পারে।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: বাহিরের দেশের হিজড়ারা পরিবারের সাথে থাকে আর আমরা তাদের দুর করে দিই। অন্যরাতো তাদের পছন্দ করবেই।

৩| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: আমি তো ভেবেছিলাম আপনার এই ধারাবাহিকটি শেষ। আর লিখবেন না।
ধারাবাহিক পোষ্ট নিয়মিত দিতে হয়। গ্যাপ পড়ে গেলে লেখার প্রতি আকর্ষন কমে যায়।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সরি ভাইজান লিখতে একদম মন চায় না ।

৪| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১০

ঢুকিচেপা বলেছেন: এই শ্রেণীর লোকজন কর্মি হিসাবে খুব এ্যাকটিভ, প্রচন্ড পরিশ্রম করতে পারে। সরকারিভাবে কারিগরি শিক্ষা দেয়া উচিৎ।
দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ তাদের পাশে আসার জন্য।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আরো একজন পুলিশ কর্মকর্তা হিজড়া নিয়ে কাজ করে । এবং এনজিও আশা কাজ করে।

৫| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:২৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: ঐ দুই পুলিশ কর্মকর্তা কি তাদের ভাল কাজের জন্য পুরস্কৃত বা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রশংসিত হয়েছেন? তাদের এ ভাল কাজের অগ্রগতি কতটুকু হয়েছে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.