নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হে পরমেশ্বর,এই নশ্বর নিখিল সৃষ্টিতে রেখো না ওই মানুষ যার ভিতর নরত্বের অভিনিবেশ নাই ।
সত্যকার মুক্তিযোদ্ধা অন্যকে ঘায়েল করে না, নিরব দেশপ্রেমিক হয়ঃ
মুক্তিযোদ্ধা সনদ দেখুন?এইটা কোন পার্টির দেয়া দলীয় মুক্তিযোদ্ধার সনদ নয়, এটা ২৩ বছর বয়সী একজনের নামে ভারতে বাংলাদেশী যুদ্ধ শিবিরের ইস্যু করা সনদপত্র। পরে স্বাধীন দেশে নতুন করে ইস্যুর জন্য তার কাছে কিছু পরিমান উৎকোচ চাওয়া হয়েছিলো, তিনি প্রত্যাখান করেছিলেন। এই মলিন কাগজটা দেখিয়ে একটি চকচকে সনদ নেয়ার সুযোগ পরেও অনেকবার এসেছিলো, নিম্নবিত্ত পরিবার সে সুযোগ নেয়ার প্রয়োজন মনে করেনি কখনই।
মুক্তিযোদ্ধা কোটায় প্লট বা ফ্ল্যাট, কোটায় চাকরী কিংবা ভাতাও পান না। এই মুক্তিযোদ্ধা দেশকে ভালোবেসে দায়িত্ব পালন করেছেন। উনার সন্তানেরা চাকরী বা অন্য কোনও সুবিধা চায়নি এবং পায়নি । তাই উনার সন্তানেরা ছোটখাটো চাকরী করে মুক্তিযোদ্ধার পরিচয়ে গর্ব অনুভব করে নিরবে, তবে পরিচয়টা রাস্তাঘাটে বিক্রি করে না। এই রকম শত নিরব মুক্তিযোদ্ধা আছে অতএব সম্মান করা উচিত।
রেমিটান্স যোদ্ধাদের জীবনঃ
করোনায় তছনছ গোটা বিশ্ব। করোনা প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের জীবনও তছনছ করে দিয়েছে। অনেকে কাজ হারিয়ে দিশেহারা। কেউ কেউ আক্রান্ত স্বজনদের জন্য হাসপাতালে ছোটাছুটি করছেন। আবার অনেকে নিজে ‘শোক সংবাদ’ হয়ে যাচ্ছেন।
প্রায় প্রতিদিনই বিশ্বে বাংলাদেশির মৃত্যু হচ্ছে। প্রতিদিন যুক্ত হয়েছে নতুন নতুন দেশ, যেখানে একের পর এক প্রবাসী আক্রান্ত ও মারা যাচ্ছেন। এক সময় করোনায় প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধার মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্রকে টপকে যায় সৌদি আরব। এখন পর্যন্ত সৌদি আরবসহ বিশ্বের ২৩টি দেশে ২ হাজার ৭৩৫ জন প্রবাসী বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে করোনায়।
সৌদি আরবে ১ হাজার ২৩০, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২৬৫, কুয়েতে ১০৭, ওমানে ৭০, কাতারে ৩৫, জর্ডানে ১৫ ও বাহরাইনে ৩১ জন বাংলাদেশি মারা গেছেন। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে ৪৪৫, যুক্তরাজ্যে ৪১২, ইতালিতে ৩৫, দক্ষিণ আফ্রিকায় ৩০, লেবাননে ১৫, কানাডায় ৯, সুইডেনে ৮, ফ্রান্স ও স্পেনে ৭ জন করে, বেলজিয়ামে ৩, পর্তুগালে ২ এবং ভারত, মালদ্বীপ, কেনিয়া, লিবিয়া ও গাম্বিয়ায় ১ জন করে বাংলাদেশি মারা গেছেন। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোয় আবার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় নতুন করে বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে।
এই মারা যাওয়া ২ হাজার ৭৩৫ জন প্রবাসীর লাশ বিদেশে দাফন করা হয়েছে। যুদ্ধে মারা গেলে যেমন দাফন হয় তারচেও নির্মম এই লাশ দাফনের প্রক্রিয়া কিন্ত কিছুই করার নেই। এরা অনেকে দেশে লাখ লাখ টাকা পাঠিয়েছে এতে পরিবার উপকৃত হওয়ার পাশাপাশি দেশও উপকৃত হয়েছে। এই টাকা দেশের উন্নয়নে এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে। আর মরে যাওয়ার পর ভিন্ন দেশের মাটি তাদের দেহ খেয়েছে।
(LinkedIn, amader shomoy)
০১ লা মে, ২০২১ রাত ৩:১৫
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ । এখন বেঁচে থাকা খুবই কঠিন । নিরাপদ থাকার চেষ্টা করবেন
২| ০২ রা মে, ২০২১ রাত ১০:৪৬
শেহজাদী১৯ বলেছেন: শ্রদ্ধা রইলো।
৩| ০৪ ঠা মে, ২০২১ দুপুর ১২:১১
জটিল ভাই বলেছেন: শ্রদ্ধা জানাই সেই সকল প্রাণকে যাদের রক্তে গড়ে উঠছে বাংলাদেশ.........
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:২৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: "মরে যাবার পর ভিন্ন দেশের মাটি তাদের দেহ খেয়েছে" - বড়ই করুণ, বড়ই মর্মান্তিক!
নীরব দেশপ্রেমিককে অভিবাদন!