![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জ্ঞান অর্জন করে যেতে চাই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত।
আশপাশের লোকজনের আচরনে মাঝে মাঝে মেজাচটা খুব গরম হয়ে যায় । সারা বাংলার হাটে ঘাটে মাঠে যেখানেই যাবেন আর কোন প্রানী আপনার নজরে পড়ুক আর না পড়ুক চাপাবাজ অবশ্যই দেখতে পাবেন। আমাদের দেশে যেই প্রাণীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি তার নাম চাঁপাবাজ। শান্তি প্রীয় মানুষকে বাংলার জমিনে টিকে থাকার জন্য আশপাশে চাপাবাজের জ্বালার বিরুদ্ধে রিতিমত সংগ্রাম করতে হচ্ছে। মাঝে মাঝে মনে হয় সৃষ্টিকর্তা যদি এমন বিধান করে দিতেন যে, কোন লোক যদি এক ঘন্টা চাপাবাজি করে তাবে তার জবান ১ দিনের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে, তবে আমার মনে হয় বাংলাদেশের ৯৫% লোক বুবা হয়ে যেত সাড়া জীবনের জন্য। কারন মেয়াদ শেষে যখন তার জবান খুলত তখনি আবার সে চাপাবাজী শুরু করে দিত। সাড়া বিশ্বে কত প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে আর তাদের জন্য মানুষের কত হাহাকার। আমাদের দেশও তার ব্যাতিক্রক নয়, আর এই চাপাবাঁজ নামক প্রাণীটির এত লোকের অপছন্দের আর ক্ষতির কারন হবার পরেও দিন দিন তার সংখ্যা বেড়েই চলেছে (বিশেষ করে বাংলাদেশে)। পরিবেশের জন্য শকুন নামক প্রানীর এত প্রয়োজন থাকার পরেও তা এখন প্রায় বিলুপ্ত। গন্ডার নামক প্রাণী এখন সুন্দর বনে পাওয়া যায়না , বাঘ হারিয়ে যাচ্ছে আর চাপাবাজ নামক প্রাণীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে যদিও তা আমাদের কোন উপকারেই আশে না। আমাদের দেশে দিন দিন যেভাবে চাপাবাজ বাড়ছে তাতে আমাদের এখন নতুন করে বিষটা নিয়ে ভাবা প্রয়োজন। ব্যাপক হারে এই আজব প্রানীটি বৃদ্ধি আমদের যেমন ভয়ের কারন ঠিক তেমনি ভাবে আমাদের একটু বুদ্ধির কারনে এই চাপাবাজরাই হয়ে উঠতে পারে আমাদের দেশের আয়ের এক বিরাট উৎস। খেয়াল করে দেখুন আমাদের দেশে যেই পরিমানে এই প্রাণীটি পাওয়া যায় পৃথিবীর আর কোথাও আমার জানা মতে এত চাপাবাজ পাওয়া যায় না। তাই আমরা সারা পৃথিবীর সকল চিরিয়াখানায় প্রদর্শনীর জন্য এই প্রাণীটি সাপ্লাই করতে পারি। এতে আমাদের দেশের চাপাবাজের সংখ্যা যেমন নিয়ন্ত্রন হবে তেমনি বাংলাদেশ চাপাবাজ রপ্তানী করে বিপুল পরিমান বৈদেশিক মূদ্রা আয় করতে পারবে।
আর যদি তা সম্ভব না হয় তবে প্লিজ এদের নিয়ন্ত্রনের ব্যবস্থা করুন। কুকুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রনের জন্য যেভাবে বিষ ইনজেকশন নিয়ে অভিযান চলানো হয় ঠিক তেমনি ভাবে চাপাবাজের সংখ্যা নিয়ন্ত্রনের জন্য অভিযান চালান। চাপাবাজ মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে পারলে তবেই আমাদের দেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ হবে আর না হলে "যতই চাপাবাজী কর কোন লাভ নাই"
পরিশেষে সরকারে প্রতি অনুরোধ,
বেকার লোকের কাজের ব্যবস্থা করুন। যুব প্রশিক্ষনের নামে আমাদের দেশে যেসব প্রতিষ্টান আছে তাদের সুষ্ট তদারকীর মাধ্যমে বেকার যুবকদের প্রশিক্ষনের পর তাদের জন্য লোনের সঠিক ব্যবস্থা করুন। আমাদের দেশে যুব উন্নয়নে প্রশিক্ষনের পরে ঋণের ব্যবস্থা করার কথা থাকলে তা পাওয়া আর সুনার হরিণ পাওয়া একই কথা। বাস্থবে ঋণের ব্যবস্থা করুন এবং ঋণ গ্রহনের পর সঠিক খাতে টাকা ব্যয় হচ্ছে কিনা তার জন্য সুষ্ট তদারকির ব্যবস্থা করুন। লোকজন যদি কাজে মন দেয় তবে চাপাবাজির সময় কোথায়? আর তবেই আমারা চাপাবাজ মুক্ত একটা ডিজিটাল বাংলাদেশ পাব। আর তা না হলে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন একটা ডিজিটাল হতাশায় পরিনত হবে।
(যদি লেখায় কোন ভুল হয় অথবা কেও কষ্ট পান তার জন্য ক্ষমা চাই)
©somewhere in net ltd.