নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এম এ হুসাইন

এম এ হুসাইন › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাগো! হও আসল মুক্ত-স্বাধীন মানুষ !

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫১

আর কতকাল চেয়ে চেয়ে দেখব ভায়েরা আমার
বার বার চরম অপমান মানবতার?
কবে আসবেন শেকল-ভাঙ্গার মহানায়ক, ত্রাণকর্তা মানবতার?-
আধুনিক কত অসভ্যতার যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে এ মানবতা!?
শ্লোগান-সর্বস্ব গণতন্ত্র, মেকি দেশ-প্রেম কিংবা জনসেবার কপটতা!
ঘুচবে কবে আধুনিক যান্ত্রিক বর্বরতার ঘোর অন্ধকার!?
যেখানে নিরপরাধ লাখো মানুষের রক্তে-স্নাত
চেঙ্গিস-হালাকুর আধুনিক প্রেতাত্মা- কখনও বুশ-ব্লেয়ার!
অথবা নতুন চেহারায় কারবালার সেই ইয়াজিদ-শিমার!
ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটাচ্ছে বার বার!
দেখো এর প্রমাণ- ইয়েমেন, কঙ্গো, ফিলিস্তিন, কাশ্মির কিংবা মিয়ানমার!
দেখো হিরোশিমা-নাগাসাকি, হালাবজা, ভিয়েতনাম, কালো রাত ৭১-এর ২৫ মার্চের!
দেখো কত কৃত্রিম দুর্ভিক্ষ, অস্ত্র আর মাদকের অনাচার!
মনোজগতে নিত্য-নতুন ফ্যাশনের
উপনিবেশ আধুনিক-অসভ্যতার!
বলে ওরা: শিক্ষিত-বেকার? নেই চাকরি!? তবে মিরজাফরিতেই মাতো!
ওতে আছে অঢেল-অর্থ! বুদ্ধিজীবীর ছাপ!
হও কলম-সন্ত্রাসী! সবাই বলবে: এইতো বাপের বেটা বাপ!
মানুষকে না মেরে প্রথমে মারবে মনুষ্যত্বের ধাপ!
পুঁজিবাদী শাইলকদের সন্তান বিশ্ব-শোষকেরা দিচ্ছে ছড়িয়ে
সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয়-সন্ত্রাস!
মানুষ যেন হারিয়ে ফেলেছে তার সবটুকু আত্ম-বিশ্বাস!
দেখো সাম্রাজ্যবাদ-আশ্রিত ধর্ম-ব্যবসার প্রসার!
আফগানিস্তানে টিকতে পারেনি কারমালের আমন্ত্রিত সোভিয়েত দখলদার!
সারা বিশ্ব থেকে দলে দলে জিহাদে এসেছিল ইসলামের বোকা-বন্ধুদের দল!
অথচ আরও পুরনো ক্ষত মুসলমানদের প্রথম কিবলা তথা জেরুজালেমের
দিকে কেনো নামল না এই জিহাদিদের ঢল?
সিরিয়ায় হতে চলেছিল পুনরাবৃত্তি একই কাহিনীর!
মানুষের হতে পারে আরও কত অধঃপতন?
বিবেক হারিয়ে পশুর চেয়েও নিচে তার আসন!
বিবেকের ব্রেক যখন করে তাকে নিয়ন্ত্রণ,
তখনই সে সৃষ্টির সেরা, ফেরেশতারও ঊর্ধ্বে তাঁর সম্মান!
মানুষ আজ পাথরের মূর্তির চেয়েও হীন, হৃদয়হীন,পাষাণ!
পাথরও ক্ষয়ে যায় রোদ-বৃষ্টির ছোঁয়ায়
পাথুরে পাহাড়েও জন্ম নেয় উদ্ভিদ আর প্রস্রবন,
শিলারও ঘটে রূপান্তর প্রকৃতির মায়ায়।
প্রতিদিন কত নিরীহ শিশু-নারী মরছে ইয়েমেনে পশ্চিমাদের দেয়া অস্ত্রাঘাতে!
মরছে মানুষ ফিলিস্তিনে বর্ণবাদী ইসরাইলি বুলেট আর নিষেধাজ্ঞার কষাঘাতে!
অথচ গোটা বিশ্ব ও ঠুঁটো-জগন্নাথ জাতিসংঘ নির্বিকার!
তবুও আধুনিক মানুষের দেখো কত অহংকার!
ভাবখানা তার যেন সে-ই সবচেয়ে শক্তিমান!
ভুলে তার অতীত হয়েছে সে কতোটা স্বার্থান্ধ, নিষ্প্রাণ!
মানবতার সব অঙ্গই হয়েছে ছিন্ন-ভিন্ন,
পরমাত্মা, প্রেম-বন্ধন, পরিবার সবই তার হয়েছে বিচ্ছিন্ন!
একটা দমকা বাতাসেই হতে পারে তার সব কিছুর অবসান!
অন্য কোনো যুগেই মানুষ ছিল না মৃত্যু-ভয়ে এতোটা উদ্বিগ্ন!
অ্যাটম বোমা আর মিসাইল গড়েছে মানুষের এই নতুন মূর্তি!
চেয়ে দেখো নব্য-ফেরাউন আর নমরুদদের জুলুম, পাশবিক ফুর্তি!
পশ্চিমে আজও বসে দাস কেনা-বেচার হাট, মানবতার আকাল!
আত্ম-বিক্রিত বুদ্ধিজীবীরা সেখানে বেহুশ-উন্মাতাল!
মানুষের রক্ত ঝরাচ্ছে, সে রক্তে ওরা নিত্য-স্নাত!
অন্যায় সহার দোষে আমরাও কি দোষী নাতো?
চাইলে মুক্তি হে মানুষ! ছাড়ো অর্থ ও শক্তি-পূজা, অহংকারের মালা!
ভাঙো নিজ প্রবৃত্তির কারাগার! পুড়ে ফেলো আঁধার বন্দিশালা!
জাগো! হও আসল মুক্ত-স্বাধীন মানুষ ভেঙ্গে সব দাসত্বের শেকল
যেমনি ভেঙ্গেছেন কারবালায় মহাবীর হুসাইন!-যদি নাও সে অশেষ মন্ত্র-বল!
দ্বিগিজয়ী অ্যালেক্সান্ডার থেকে মায় হিংস্র ট্রাম্পও হবে তোমার কাছে চরম বিকল!

(দ্বিগ্বিজয়ী অ্যালেক্সান্ডার যখন এক বিজিত দেশে বিজয়-শোভাযাত্রা নিয়ে এগুচ্ছিলেন তখন সব হোমরা চোমরা ব্যক্তিত্বরা তাকে মাথা নুইয়ে কুর্নিশ করলেও এক আধ্যাত্মিক সাধক কাম দার্শনিক তা করেননি। ক্ষিপ্ত অ্যালেক্সান্ডার কৈফিয়ত বা ব্যাখ্যা চাইলে ওই সাধক বলেন: তুমি তো আমার দাসদেরও দাস! তোমাকে কেনো কুর্নিশ করব!? বিস্মিত অ্যালেক্সান্ডার বললেন: কিভাবে আমি আপনার দাসদেরও দাস!? দার্শনিক বললেন, আপনি হলেন সম্পদ, ক্ষমতা ও পদবীর দাস। কিন্তু আমি সংযমের মাধ্যমে ওদেরকেই আমার দাস বানিয়ে রেখেছি। তাই আপনি তো আমার দাসদেরও দাস! অ্যালেক্সান্ডার তখন মাথা নুইয়ে তাকে সম্মান জানান!)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৪

সনেট কবি বলেছেন: ভাল বলেছেন।

২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২৯

এম এ হুসাইন বলেছেন: সুদৃষ্টির জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.