![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
https://www.facebook.com/Iambakerbhai
শিরোনাম দেখে চোখ বড় করার কোন মানে নেই।
আমাদের দেশকে ডিজিটাল করার লক্ষে ২০০৯ এ আওয়ামী-লীগ সরকার শপথ নিয়েছিল। প্রতি সরকারেরই কিছু প্রতিবন্ধকতা থাকে, আজকের বিষয় তা নয়। আজকের বিষয় আমাদের ডিজিটালতা।
আসুন কিছু বলার আগে একটি গল্প শুনে নেই, "গত পরশু এক ছোট ভাইয়ের জন্য মেয়ে দেখতে গিয়েছিলাম। আমরা চারজন ছিলাম। ছেলে, ছেলের দুলাভাই, বোন এবং আমি।
গ্রাম্য গেরস্থ ফ্যামিলি। টাটকা ফলমূল আর নাস্তা খেয়ে মনটা অর্ধেক গলে গেছে।
খাবার পর্ব শেষ হবার পরে মেয়ের গুণাবলী সবিস্তারে বর্ণনা চলছে।
মন দিয়ে শোনার ভাণ করলাম, কারন মন পড়ে আছে খাবারের মধ্যে।
এক পর্যায়ে গুণাবলী বর্ণনা শেষ হল। আমার খাওয়া ও ততক্ষণে শেষ।
মেয়ে দেখার পরে পছন্দ হল। সবশেষে বিয়ের দিন তারিখ ও ফিক্সড।
আসার পথে মেয়ের বান্ধবী এসে ছেলের কাছে তার ফেসবুক আইডি এবং ইমেইল এ্যাড্রেস জানতে চাইলো। এবার আমার পুরোপুরি টনক নড়ে গেছে। বুঝতে পারলাম এই মেয়ে আর দশটা মেয়ের মত না।
কি ভেবে ছেলেকে মানা করতে যাব তার আগেই দেখি দিয়ে দিয়েছে।
আজ শুনলাম মেয়ে না করে দিয়েছে। কারন হিসাবে পড়ালেখা শেষ করে তারপর বিয়ের চিন্তা করবে জানিয়েছে।
কিন্তু আসল কারন টা দুলাভাই এর কাছে শুনলাম। ছেলের ফেসবুক এ্যাকাউন্ট চেক করে সানি লিওন সহ আরো বেশকিছু এ্যাডাল্ট পেজে লাইক দেখেছে, সেইসাথে কিছু ওয়ালপোস্ট দেখে ছেলের সম্পর্কে কিছুটা আঁচ করে নিয়েছে।
ছেলের সামনে কিছু বললাম না, কিন্তু মনে মনে মেয়েটাকে স্যালুট দিলাম।
সব মেয়েগুলো যদি এরকম বুদ্ধি রাখতো!
উল্লেখ্য আমার ফ্রেন্ডলিস্টের অনেক ছেলে-মেয়ের ই সানি লিওন সহ বেশ কিছু এ্যাডাল্ট পেজে লাইক আছে দেখেছি, সময় থাকতে এখনো সাবধান হোন।
কে জানে, এই লাইকের জন্য কপাল থেকে কত ভাল কিছু হারাবেন! "
গল্পটি মাহবুব হাসান নামের একটি ফেসবুক একাউন্টে পড়েছিলাম, তা থেকে হুবুহু তুলে দিলাম।
আমি ২০০৮ সালে প্রথম অনলাইন নামক কিছুর সাথে পরিচিত হই। এর পর থেকে তার সাথেই পথচলা। নেটকে ভালবাসতে শুরু করি যখন প্রথম মিগ-৩৩ ব্যবহার করতে শিখি।
নেটের ব্যবহার আমাদের জীবনকে অনেকটাই শজ করে দিয়েছে। আজ আমরা চাইলেই ঘরে বসে জীবনের অনেক কাজই করে ফেলতে পারি। যেমন- সপিং, কাঁচা বাজার, মোবাইল লোড, ব্যাংককিং, এছাড়া সরাসরি কথা বলার জন্যতো স্কাইপ, ভাইবার, ট্যাঙ্গোর মতো অনেক কিছুই আছে।
যতোদিন এই ডিজিটালতা আমরা ভালোর কাজে ব্যবহার করেছি জীবন ভালোই ছিল, কিন্তু অতি উৎসাহী কিছু মানুষ একে ভিন্নকাজে কাজে ব্যবহার করছে।
দেশের যুবকদের বড় অংশ অনলাইনে এডাল্ট সাইটে অবস্থান করে, ফেসবুকের নতুন ও ১৮ বছরের নিচের ব্যবহারকারীদের ৬০% ভাগই নানারকমের এডাল্ট পেজে লাইক দিয়ে থাকে।
দেশীয় পরিসংখ্যাণ মতে গুগল বাংলার সার্চ তালিকায় সবচেয়ে উপরে রয়েছে বাংলা চটি। অথচ গুগলের মতো অনেক সাইটই বাংলা ভাষাকে যুক্ত করেছে যেন বাঙ্গালী যারা ইংরেজীতে দক্ষ নয় তাদের কাছে বিশ্বকে পরিচিত করার জন্য।
গত দুই বছরে যতো স্কুল/কলেজ ছাত্রী আত্ব হত্যা করেছে তাদের ৮৫% ই অনলাইনে খারাপ ছবি ছড়ানোর জন্য বা ছড়ানোর হুমকি পেয়ে। আমরা এমন সংবাদ শুনলেই কোন দেরী না করে মেয়েকে ও তার পরিবারকে দায়ী করি। কিন্তু আমরা কতোটা সচেতন, আমাদের কী কোন দায় নেই?
যে ছেলেটা এমন করছে সে তো খারাপই, পাশাপাশি আমাদেরও খারাপ বানাচ্ছে। হয়তো আপনার বোন নেই। কিন্তু আপনার ছোট বোনের মতো অনেকেই আজ ভালবাসার ফাদে পড়ে নিজের দেহ বিলিয়ে দিয়ে আত্ব হত্যার মতো পথ বেছে নিচ্ছে।
যে ছেলেরা এমন কাজে জড়িত তাদের উদ্দেশ্যে বলি, আজ মজা নিচ্ছেন ভাল কথা। কাল যাকে বিয়ে করবেন সে যদি এমন করে থাকে মানতে পারবেন? কাল আপনার মেয়ে যদি এমন করেতো কী করবেন? আর যদি ইসলামে বিস্বাসী হনতো আরও ভালো কথা, তো বলেন আপনার জান্নাতে যাবার সম্ভাবনা কতোটুকু?
এখনো সময় রয়েছে নিজেকে শুধরানোর, আসুন নিজেকে শুধরিয়ে ছোটদের পাশে দাড়াই। দেশের যুব সমাজকে পর্ণ গ্রফির ছোবল থেকে দুরে রাখি।
©somewhere in net ltd.