![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
https://www.facebook.com/Iambakerbhai
ব্যক্তিগত কারণেই ব্লগ থেকে কিছুটা দুরে ছিলাম। অনেক ভাবনা শুধু নাড়া দিয়ে চলে গেছে। আজ যে বিষয়টি নিয়ে লিখতে বসেছি তা একান্ত আমারই অনুসন্ধানী ভাবনা। আমি চেষ্টা করেছি সবকিছুতেই সচ্ছতা রাখার। এর পরেও যদি কারও কিছু ভূল মনে হয় জানাবেন, আমি আপনাদের উত্তর দেবার চেষ্টা করব।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান(মার্চ ১৭, ১৯২০ - আগস্ট ১৫, ১৯৭৫)
দেশের, শুধু দেশের নয় বিশ্ব বাঙ্গালীর একজন সেরা ব্যাক্তিত্ব। তিনি মাওলানা ভাসানীর ভক্ত ও রাজনৈতিক শিষ্য ছিলেন। মাওলানা সাহেব যখন আওয়ামী মুসলিম লীগগঠন করেন, তখন মুজিব সাহেব তার সভাপতি ছিলেন। ১৯৪৭-এ ভারত বিভাগের পর পূর্ব পাকিস্তানের রাজনীতির প্রাথমিক পর্যায়ে শেখ মুজিব ছিলেন ছাত্রনেতা। ক্রমে তিনি আওয়ামী লীগের জাতীয় নেতৃত্বের উচ্চপদে আসীন হয়েছিলেন। ১৯৪৮ সালের জানুয়ারি ৪ তারিখে প্রতিষ্ঠা করেন পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্র লীগ যার মাধ্যমে তিনি উক্ত প্রদেশের অন্যতম প্রধান ছাত্রনেতায় পরিণত হন। যা বর্তমানে আওয়ামীলীগ।
১৯৭১ এর আগেও তিনি কখনোই দেশ স্বাধীন করার চিন্তা করতেন কী না তা খুব একটা স্পষ্ট নয়। কারণ তাজউদ্দীন কন্যা তার বইয়ে স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, মুজিব সাহেব স্বাধীনতার ঘোষনা পত্রে সাক্ষর করেননি শুধুমাত্র পাকিস্তান সরকার তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহীতার মামলা করবে বলে।
আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন, তিনি যখন যুগ্ধই করবেন, তবে রাষ্ট্রদ্রোহীতার ব্যাপার আসছে কই থেকে?
তাজউদ্দীন কন্যা আরো বলেছেন, তাজ সাহেবের অনুরোধ সত্তেও মুজিব সাহেব আত্ব-গোপনে যাননি। এমন কী তার অভর্তমানে কে লিড দিবে এমন প্রশ্নের উত্তরও দেননি মুজিব। বলতে পারেন কী করণে সেদিন মুজিব সাহেব নিজেকে পাকিস্তান বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছিলেন?
এরপর যুগ্ধে মুজিব সাহেবের কোন পত্যক্ষ ভুমিকা ছিল না। তিনি যে সেখানে রাজবন্দী হয়ে ছিলেন তার কোন সন্দেহ নেই। এর পর ১০ জানুয়ারী তার দেশে পর্ত্যাবর্তন, নিজ ইচ্ছায় প্রধান মন্ত্রী হওয়া।
সবচেয়ে অবাক করার বিষয় হলো, যে দেশ স্বাধীন হলো তার স্বাধীনতা তিনি আবারো কেড়ে নিলে। গনতন্ত্র কেড়ে নিয়ে তিনি একসরকার ব্যবস্থার বাকশাল কায়েম করেন।
তাঁর রাষ্ট্রীয়করণ ও ইণ্ডাস্ট্রিয়াল সমাজতন্ত্রের নীতি প্রশিক্ষিত জনবল, অদক্ষতা, মাত্রাতিরিক্ত দুর্নীতি আর দুর্বল নেতৃত্বের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মুজিব অতিমাত্রায় জাতীয় নীতিতে মনোনিবেশ করায় স্থানীয় সরকার প্রয়োজনীয় গুরুত্ব লাভে ব্যর্থ হয়। আওয়ামী লীগ ও কেন্দ্রীয় সরকার পূর্ণাঙ্গ রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ করায় গণতন্ত্র দুর্বল হয়ে পড়ে। এ সময় তৃণমূল পর্যায়ে কোন নির্বাচনই অনুষ্ঠিত হয় নি। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের মধ্যে কমিউনিস্ট এবং ইসলামি মৌলবাদীরা অন্তর্ভুক্ত ছিল। বাংলাদেশকে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র ঘোষণা করায় ইসলামিক গোত্রের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। এ ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ পদে আপনজনদের নিয়োগ দেয়ার জন্য মুজিবের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ আনা হয়।১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ খাদ্য সংকট আরো বাড়িয়ে দেয় এবং অর্থনীতির প্রধান উত্স কৃষিকে ধ্বংশ করে ফেলে। রাজনৈতিক নেতৃত্বের অভাব, দ্রব্যমূল্যের অসামঞ্জস্যতা, রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানসমূহের ব্যর্থতার কারণে মুজিবকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়
রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সংঘাতের মাত্রা বাড়তে থাকায় মুজিবও তাঁর ক্ষমতা বাড়াতে থাকেন। ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি মুজিব জরুরি অবস্থা জারি করেন এবং তাঁর রাজনৈতিক সমর্থকদের অনুমোদনের মাধ্যমে সকল বিরোধী রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। তদুপরি ৪টি বাদে সকল সংবাদপত্র নিষিদ্ধ করা হয়। মুজিবকে আজীবন রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হয় এবং চূড়ান্ত ক্ষমতা প্রদান করা হয়।তাঁর রাজনৈতিক সমর্থকেরা একত্রিত হয়ে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ নামের রাজনৈতিক দল গঠন করে। সংক্ষেপে বাকশাল নামে পরিচিত এ দলটি তখন একমাত্র বৈধ দল ছিল।দলটি প্রত্যন্ত জনসাধারণ, কৃষক ও শ্রমিকদের প্রতিনিধি হিসেবে নিজেদের বিবেচিত করে রাষ্ট্রযন্ত্রের কর্তৃত্ব গ্রহণ করে। দলটি বৃহৎ সমাজতান্ত্রিক কর্মকাণ্ড গ্রহণ করে। সরকারি বাহিনীর সাথে সমর্থকদের নিয়ে গঠিত জাতীয় রক্ষী বাহিনীর সহায়তায় মুজিব বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেফতার করেন এবং সারাদেশের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের উপর কড়া নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেন। রক্ষী বাহিনী এবং পুলিশের বিরুদ্ধে অত্যাচার ও রাজনৈতিক হত্যার অভিযোগ ওঠে। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারীরা মুজিবের উপর অসন্তুষ্ট হয়ে ওঠেন এবং তাঁর কর্মকাণ্ডকে গণতন্ত্র ও নাগরিক অধিকারবিরোধী বলে গণ্য করেন। মুজিবের বিরোধীরা অসন্তোষ ও সরকারের ব্যর্থতার বিরুদ্ধে একত্রিত হয়ে ওঠে।কিন্তু তার এই নীতির ফলে অবস্থা কিছুটা নিয়ন্ত্রিত হয় এবং দুর্নীতি,কালোবাজারী এবং অবৈধ মজুদদারি অনেকাংশে বন্ধ হয়ে যায়।
ততকালীন বাকশালী নজরদারীতে মাত্র ৪টি পত্রিকা প্রকাশিত হোত। এরমধ্যে অন্যতম হল দৈনিক ইত্তেফাক। যে মুজিবের কথায় দেশের জংন জীবন বাজী রেখে যুগ্ধ করেছে, আপনাদের ভাবতেও কষ্ট লাগবে ৭৫এ তারই মৃত্যুতে মানুষ সস্তির নি:স্বাস ফেলেছে।
আগষ্ট ১৭, ১৯৭৫ সাল ইত্তেফাকে পরিস্কার বলা আছে মুজিব হত্যায় মানুষজন স্বস্ত্যির নিঃশ্বাস ফেলছে এমন কি মানুষজন কোলাকুলি ও করেছে।
১৬ ই আগষ্ট লন্ডন থেকে প্রকাশিত ডেইলী টেলিগ্রাফ এ মুজিব হত্যা নিয়ে বলা আছে সেনাবাহিনীর প্রতি শেখ মুজিবের অনাস্থা এবং নিজের ক্ষমতা সংহত করার উদ্দ্যেশ্য ব্যাক্তিগত বাহিনী পোষন ই শেখ মুজিবের নিহত হবার প্রধান কারন। ওই একই আর্টিকেলে শেখ মুজিবকে শোচনীয় রকম দূর্বল শাষক বলে অভিহিত করা হয়েছে। আরো বলা আছে চোখের সামনে তাহার পার্শ্বচরদের এবং দেশ ব্যাপী চরম দূর্নিতীর সাথে আপোষ ও মুজিব পতনের অন্যতম কারন।
গার্ডিয়ান
১৬ই আগষ্ট গার্ডিয়ান লিখেছে, মান্ধাতা রাজনীতিকদের মত হীন ধূর্ততা শেখ মুজিবকে তলিয়ে দিয়াছে। নিজের মর্যদা পূনোরুদ্ধার এবং পরিস্থিতি অনুকূলে আনার উদ্দ্যেশ্য একচেটিয়া ক্ষমতার দাপট ও বামপন্থার পায়তাড়া মুজিব পতনের কারন হিসাবে এই পত্রিকাটি দেখিয়েছে।
১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে দেশ স্বাধীন হবার পর ১২০০ কোটি পাউন্ড ষ্টার্লিং বৈদেশিক সাহায্য পাবার পরও দেশে দূর্ভিক্ষ আর দূর্নিতীবাজ চাটুকারদের দ্বারা পরিবৃত শেখ মুজিব অন্ধের মত তাদের সাপোর্ট দেয়া তার পতনকে ত্বরান্বিত করে।
*কারো ভাবার দরকার নেই, আমি মুজিব বিরোধী। শুধু মনে রাখবেন তিনিও মানুষ ছিলেন আর মানুষ মাত্রই ভুল। শুধু তারই কথায় মানুষ যুগ্ধ নেমেছিল। কিন্তু দেশ স্বাধীনের পর তার ক্ষমতার মোহ, আর কিছু ভূল মানুষকে বিস্বাসের ফলই আজ তাকে এই পর্যায়ে এনেছে।
তবুও ১৭ পুর্ব মুজিবকে স্বরণ করে, তার আত্বার মাগফেরাত কামনা করছি।
তথ্য সুত্র- বাংলা উইকিপিডিয়া ও গুগল।
জিয়াউর রাহমান (১৯জানুয়ারী, ১৯৩৬-৩০ মে, ১৯৮১)
বগুড়ায় জন্ম নেয়া জিয়াউর রাহমানের বাল্যকাল কলকাতায় ও ৪৭এ ভারত বিভাগের পর থেকে তিনি পাকস্থানেই ছিলেন। সেখানেই তিনি ১৯৫৩ সালে মিলিটারি একাডেমীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন।
১৯৭১এ চট্টগ্রামে থাকা কালীন সঙ্কটময় মুহূর্তে ২৬শে মার্চ পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকায় পশ্চিম পাকিস্তানী বাহিনীর বর্বর আক্রমণের পর জিয়াউর রহমান পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সাথে সম্পর্ক ত্যাগ করে বিদ্রোহ করেন।২৭শে মার্চ তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষ থেকে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র পাঠ করেন।
“ আমি,মেজর জিয়া, বাংলাদেশ লিবারেশন আর্মির প্রাদেশিক কমাণ্ডার-ইন-চিফ, শেখ মুজিবর রহমানের পক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি। আমি আরো ঘোষণা করছি যে, আমরা শেখ মুজিবর রহমানের অধীনে একটি সার্বভৌম ও আইনসিদ্ধ সরকার গঠন করেছি যা আইন ও সংবিধান অনুযায়ী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমাদের সরকার জোট-নিরপেক্ষ নীতি মেনে চলতে বদ্ধপরিকর। এ রাষ্ট্র সকল জাতীর সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখবে এবং বিশ্বশান্তির জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে। আমি সকল দেশের সরকারকে তাদের নিজ নিজ দেশে বাংলাদেশের নৃশংস গণহত্যার বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি। শেখ মুজিবর রহমানের সরকার একটি সার্বভৌম ও আইনসম্মত সরকার এৰং বিশ্বের সকল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পাবার দাবিদার।”
মেজর জিয়া এবং তাঁর বাহিনী সামনের সারি থেকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেন। ১৭ই এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠিত হলে তিনি ১ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার নিযুক্ত হন। ১৯৭১ সালের এপ্রিল হতে জুন পর্যন্ত ১ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার এবং তারপর জুন হতে অক্টোবর পর্যন্ত যুগপৎ ১১ নম্বর সেক্টরের ও জেড-ফোর্সের কমান্ডার হিসেবে তিনি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরত্বের জন্য তাকে বীর উত্তম উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
স্বাধীনতার পর জিয়াউর রহমানকে কুমিল্লায় সেনাবাহিনীর ব্রিগেড কমান্ডার নিয়োগ করা হয় এবং ১৯৭২ সালের জুন মাসে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ডেপুটি চিফ-অফ-স্টাফ নিযুক্ত হন। ১৯৭৩ সালের মাঝামাঝি তিনি ব্রিগেডিয়ার পদে,ঐ বছরের শেষের দিকে মেজর জেনারেল পদে এবং ১৯৭৫ সালের ২৫ শে আগস্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে পদোন্নতি লাভ করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান নিযুক্ত হন । ১৯৭৮ সালের ডিসেম্বরে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী হতে অবসর গ্রহণ করেন।
এরপর ১৯৭৮ সালের ১লা সেপ্টেম্বর জেনারেল জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন।
৩রা নভেম্বর, ১৯৭৫, বীর বিক্রম কর্নেল শাফায়াত জামিলের নেতৃত্বাধীন ঢাকা ৪৬ পদাতিক ব্রিগেডের সহায়তায় বীর উত্তম মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ এক ব্যার্থ সামরিক অভ্যুত্থান ঘটান। এর ফলে ৬ই নভেম্বর খন্দকার মোশতাক আহমেদ পদত্যাগ করতে বাধ্য হন এবং আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রপতি হন। এর পর জিয়াউর রহমানকে চীফ-অফ-আর্মি স্টাফ হিসেবে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয় এবং তাঁর ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের বাসভবনে গৃহবন্দী করে রাখা হয় যা সেনাবাহিনীর মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তার কারনে অত্যন্ত বিরূপ প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়। সেনাবাহিনীর চেইন অব কমান্ড ভঙ্গের প্রতিক্রিয়ায় ক্ষুদ্ধ সেনাসদস্যরা বীর উত্তম কর্নেল (অবঃ) আবু তাহেরের নেতৃত্বে ৭ই নভেম্বর সিপাহী জনতার আরেক পাল্টা অভ্যুত্থান ঘটায় এবং ২য় ফিল্ড আর্টিলারির সেনাসদস্যরা লেঃ কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদের (আর্টিলারি) নেতৃত্বে, জিয়াউর রহমানকে তাঁর ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের গৃহবন্দীত্ব থেকে মুক্ত করে ২য় ফিল্ড আর্টিলারির সদরদপ্তরে নিয়ে আসে । ঐ দিন সকালেই পাল্টা অভ্যুত্থানের প্রতিক্রিয়ায় কর্নেল (অবঃ) আবু তাহেরের অধীনস্থ সৈন্যরা ক্যাপ্টেন জলিল ও ক্যাপ্টেন আসাদের নেতৃত্বে শেরে বাংলা নগরে ১০ম ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সদরদপ্তরে বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ বীর উত্তম,কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা বীর বিক্রম এবং লেঃ কর্নেল এ টি এম হায়দার বীর উত্তম কে হত্যা করে। পরবর্তীতে সেনা বিচারে কর্ণেল তাহেরের ফাঁসি দেয়া হয়। যা অনেকেই বিচারহীন বলেন এবং জিয়াকে হত্যাকারী হিসাবে দেখেন। এছাড়াও সেনাবাহীনিতে থাকা-কালীন তিনি তার বিরোধিতাকারীদের নিপীড়ন করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
যার ফলে অনেক উচ্চ পদস্থ সামরিক কর্মকর্তা জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। বিপদের সমূহ সম্ভবনা জেনেও জিয়া চট্টগ্রামের স্থানীয় সেনাকর্মকর্তাদের মধ্যে ঘঠিত কলহ থামানোর জন্য ১৯৮১ সালের ২৯শে মে চট্টগ্রামে আসেন এবং সেখানে চট্টগ্রামের সার্কিট হাউসে থাকেন। তারপর ৩০শে মে গভীর রাতে সার্কিট হাউসে মেজর জেনারেল আবুল মঞ্জুরের নেতৃত্বে এক ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে জিয়া নিহত হন। জিয়াউর রহমানকে ঢাকার শেরে বাংলা নগরে দাফন করা হয়। প্রেসিডেন্ট জিয়ার জানাজায় বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ জনসমাগম ঘটে যেখানে প্রায় ২০ লক্ষ্যাধিক মানুষ সমবেত হয়। আর এটিই দেশের ঈতিহাসে সর্ববৃহৎ জানাজা।
*শেখ মুজিব ও জিয়া দুজনই আমার প্রিয়। কিন্তু তাদের পরবর্তী কেউ তাদের আদর্শ ধরে রাখতে পারেননি। কিছুদিন ধরে মুজিব ও জিয়া বিরোধী অনেক লেখাই আমার চোখে এসেছে, তাই আমিও কিছুটা সত্য জানার চেষ্ট করেছিলাম। আমার চেষ্টাগুলো ভুলও হতে পারে, লেখায় কোন ভূল তথ্য থাকলে জানাবেন। শুধু একজনের মতাদর্শী হলে কখনোই অন্যজনের গুন চোখে পড়ে না। তাই সবার কাছে গ্রহনযোগ্য মন্তব্য আশা করছি।
১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:২৬
আজকের বাকের ভাই বলেছেন: আপনার অনূূরূপ কমেন্টগুলো মুছে দিলাম।
আমি মূলত রাজনৈতিক জিয়াকে তুলে ধরেছি। আর ৭৫ এ জিয়া, ৮১ এ এরশাদসহ বিশ্বে যত সেনা অভ্যুত্থান হয়েছে সবাই কিছুটা বিতর্কিত।
আর ৭২-৭৫ দেশের সেনাবাহিনী অনেকটাই বিচলিত ছিল বলেই জানা যায়। আর সে সময় জিয়া কিন্তু সেনা প্রধান ছিলেন না।
মুজিবের বাকশাল ও মুজিব হত্যাকারীদের বিশেষ দূ্ত বানানো কারণ মনে তারাই ভাল বলতে পারবেন।
২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:২৭
বাঙ্গাল৭১ বলেছেন: আপনার এই ভাঙ্গা রেকর্ড শুনছি ১৯৮০ সাল থেকে । এতে কোন কাজ আর হবে না । বর্তমানে বিএনপিও বঙ্গবন্ধুর সাথে জিয়াকে তুলনা করে না । বুঝে গেছে। আপনি বুঝবেন কবে????
১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:০৮
আজকের বাকের ভাই বলেছেন: ভাই জিয়াকে মুজিবের সাথে তুলনা করা হয়নি। পোস্টে মুজিব ও জিয়ার কিছুটা বর্ণনা করা হয়েছে মাত্র।
একজন ৭১ পূর্ব নেতা আর অন্যজন ৭১ পরবর্তী। দুইজনই স্বাধীন বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:০৭
ইমরান আশফাক বলেছেন: বিতর্কের উর্ধে নন কেউ তবে ১৫ াগোসট জিয়ার ভুমিকা ছিল খুবই সন্দেহজনক। ৭ মারচের ভাষন ামাদের উদ্দীপ্ত করলেও পরবর্তী কিছু ভুল কর্মকাণ্ড মুজিব কে বিতরকিত করে তোলে।