![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
https://www.facebook.com/Iambakerbhai
বিভিন্ন তথ্যমতে বাংলাদেশে ২৮টিরও বেশী নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল থাকলেও বড় দুই দল আওয়ামী-লীগ ও বিএনপি। এদের একটির প্রতিষ্ঠাতা আমাদের বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ও অন্যটির প্রতিষ্ঠাতা ১৯৯৭১এর মহান মুক্তিযুগ্ধে ১১নং সেক্টরের কমান্ডার চিফ ও কালুরঘাট বেতার থেকে স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। বর্তমানে আওয়ামী-লীগের কর্ণধার শেখ কণ্যা হাসিনা ও বিএনপির কর্ণধার শহীদ জিয়ার স্ত্রী খালেদা।
যুগ্ধপরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের নানা বিপদের সময়ই এই-দল দুটিই হাল ধরেছে(জেনারেল এরশাদ একবার)। দল দুটি নিজেদের স্বাধীনতার প্রতীক ও তাদের প্রতিষ্ঠাতার পথেই চলছে বলে দাবী করলেও, বাস্তবে তার কিছুই নেই।
বলতে দ্বিধা নেই যদি কখনো দেশের উন্নয়নের পরিসংখ্যান করা হয় তবে হয়তো এরশাদের জাতীয় পার্টিই এগিয়ে থাকবে। সরকারের আমলে দুর্নিতীর হিসাব করলেও সবচেয়ে পজিটিভ থাকবে এরসাদের জাতীয় পার্টি। এই দেশী বন্ধু শুধু মাত্র নিজের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার টি ধংশ করেছেন দেশের ছাত্র-রাজনীতি বন্ধ করতে গিয়ে। বর্তমানে তিনি দ্বিমুখী শাপের ভুমিকায় আছেন। একই দিনে স্বীধান্ত বদল ও উল্টোপথে চলায় এখন তিনি একবারে পক্ক।
সবমিলিয়ে আমাদের দেশে এখন মাত্র দুই দল, এক সরকারী দল ও দুই বিরোধীদল। বর্তমানে জাপা বিরোধী দলে থাকলেও তাদের কার্যত কোন ভুমিকা পালন করতে দেখা যায়নি। কারণ আইনত সরকারী ও বিরোধী দল এখন এক, তাাদের মাঝে বিরোধের কোন ছাপ নেই। সরকার কে চালাচ্ছে বা দেশের কী পরিস্থিতী তা বাদ দিলে আমাদের সকল জন গন এমন সংসদই চায় যেখানে সরকার ও বিরোধী দল উভয়ই থাকবে।
যুগ্ধ পরবর্তী সকল নির্বাচিত সরকারের আমলেই বিরোধী-দলকে রাস্তায় দেখা গেছে, আর লক্ষজনকভাবে সকল-বিরোধী দলের মাঠে থাকার কারঙুলো একই।
১। ভোটচুরি ও অবৈধ সরকারের পতন।
২। জনগনকে তাদের সাংবিধানিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া।
৩। তত্বাবধায়ক সরকার।
আর সরকারের একই কথা
১। রাজাকার/জঙ্গীদের রক্ষা নেই।
২। জন গন আমাদের সাথে আছে।
বর্তমানে রাজাকার শব্দটি আমাদের সকল অঙ্গনে বিশেষ ব্যবহৃত হয়। আসলেই "রাজাকার" কারা? যারা যুগ্ধকালীন সময়ে আমাদের বাঙ্গালীদের উপর পাক-বাহীনির নির্যাতন চালাতে সাহায্য করেছে। এখানে আরও একটি কথা যোগ করা দরকার, তাদের অবশ্যই বাংলাদেশে থাকতে হবে, তবেই তারা রাজাকার।
বর্তমানে আমাদের দেশে সাধারণত রাজাকার বলতে জামায়াত শিবিরের লোকদেরই ধরা হয়, আর এই রাজাকারদের সাথে সাখ্যতা নেই এমন কোন সরকার আজও বাংলাদেশে নেই। এই রাজাকারদের সাথে নিয়েই রাজপথে ছিল বিএনপি, আওয়ামী-লীগ ও জাপা।
এখন সরকার শিক্ষা ব্যবস্থাকে ছাড় দিতে বিএনপিকে হরতাল তুলে নেবার আহব্বান করছেন, অথচ এই আওয়ামী-লীগের কারণেই একবার পরীক্ষা পিছিয়েছিল তিন মাস। আজ আমাদের দুই দলই গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে গলা ফাটিয়ে যাচ্ছেন, অথচ গনতন্ত্রের কোন নুন্যতম শিষ্টাচার তাদের কারো মাঝেই নেই।
আজ আওয়ামী-লীগ তত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে দলীয় সরকারের আমলে নির্বাচন প্রথা এনেছে, বিএনপি এর জন্য হরতাল, অবরোধ যা দেবার বা করার আছে করছে। আর এদের ঠান্ডা বা কোণঠাসা করতে যা দরকার তার সবই করছে সরকার, সেটা সংবিধানের ভিতর থেকেই হো আর বাইরে গিয়েই হোক।
আপনারা নিশ্চিত থাকতে পারেন, বিএনপি যদি কোন দিন ক্ষমতায় যায় তবে তারাও দলীয় সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন করতে চাইবে, আর আওয়ামী-লীগ চাইবে তত্বাবধায়ক সরকার। তারাও এই দাবীতে হরতাল করবে, অবরোধ ডাকবে, মানুষ মারবে.......... আরো কতো কী।
এই দলের নেতারা বা কর্ণধাররা যখন মুজিব বা জিয়ার আদর্শে চলার কথা বলেন তখন মনে হয়, মিথ্যা কথাও সাহস নিয়ে গর্বের সাথে বলা যায়। আজ যদি মুজিব বা জিয়া বেচে থাকতেন তবে এদের কর্ণধার থেকে সরিয়ে অন্য কাউকে দিতেন।
তারাও খারাপ ছিল, কিন্তু এতোটা না। তারা ক্ষমতায় থাকতে নিজেদের নামকে কলঙ্কিত করেন নি, কিন্তু এখন জাতির জনক রাজাকার আর ঘোষক পাকিস্থানি এজেন্ট হয়ে গেছে।
এতোকিছুর পরও স্বপ্ন দেখি পরবর্তী প্রজন্ম এদেশের রাজনীতিতে যোগ দিবে, জনক ও ঘোষকসহ সকল মানুষকে তাদের প্রাপ্য সন্মান ফিরিয়ে দিবে। আবার কোনদিন বলতে পারব, এ দেশের সবাই বাঙ্গালী।
২৭ শে মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৬
আজকের বাকের ভাই বলেছেন: মন্ত্যবের জন্য ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:২৩
ভাঙ্গা হৃদয় বলেছেন: সব রসুনের একই গোয়া। মারা খাই আমরা ম্যাংগো পিওপেল।