![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
https://www.facebook.com/Iambakerbhai
পোস্ট টি পড়ার আগেই বলছি যারা দলকান বা যুক্তি মানতে রাজি নয় তারা এড়িয়ে যান, দয়া করে।
১
শেখ হাসিনা দেশের প্রধান মন্ত্রী। আর একজন প্রধান মন্ত্রীর রাস্তায় চলার সময় নিরাপত্বা নিয়ে যারা জানেন তাদের নতু করে বলার কিছু নেই। আর কিছু বলার আগে নিজের একটি অভিঞ্জতা বর্ণনা করি।
গত বছর কোন এক সময় শেখ হাসিনা এসেছিলেন উত্তরায়, আহসানউল্লাহ ক্যানসার হাসপাতাল উদ্ভোধনের জন্য, হাসপাতালের পাশেই একটি প্রাইভেট বিশ্ব বিদ্যালয়। দুর্ভাগ্য বলে আর সুভাগ্যই বলেন আমি সে সময় সেই প্রতিষ্ঠানের ছাত্র। সকালবেলায় ক্লাস করতে যাব, একটি ভাইবা পরীক্ষাও আছে। সময় হবে সকাল ১০টা, কিন্তু রাস্তায় নেমেই দেখি বিশাল ব্যবস্থা,কেন? প্রধানমন্ত্রী আসবেন বলে, আমায় রাস্তা পার হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া হয়নি, কিছুটা রাগ হয়েছিল। কিন্তু যখন দেখলাম আমার পিছনেই একজন বিভাগ প্রধান দাড়িয়ে সাথে আরো অনকেক শিক্ষক দাড়িয়ে আছে তখন নিজেকেই শান্তনা দিলাম। রাগের চোটে কখন যেন তাদের এড়িয়ে গেছি তা খেয়ালই করেনি। যারা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন বা এসেছেন তারা জানবেন মূল রাস্তার পাশের ঢালুটা অনেক বেশী, আপনি হয়তো বিশ্বাসই করবেন না, কিন্তু দায়িত্বরত সেনাবাহিনীর লোকেরা আমাদের মেয়েদের সেখানে কিছুটা ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছিল। সবচেয়ে অবাক হয়েছিলাম কখন জানেন, যখন শুনলাম আমরা এতো লোক দাড়িয়ে আছি অথচ প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি তখন কেবল বিমান বন্দর ছেড়ে এসেছে। এরপর যতোক্ষন শেখ হাসিন ছিলেন, সেই সময়টাতে পরিস্থিতি ছিল কড়া, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছুটা বন্দী জীবন পালন করছিলাম, যদিও পরে সেনাবাহিনীর একজন উচ্চতর কর্মকর্তা আমাদের শিক্ষার্থীদের চলাচলে অনুমতি দেয়।
এ ছিল আমার ঘটনা, আপনারাও জানেন নিশ্চয়ই যে তার গাড়ীবহরের জন্য সকল প্রকার যানবাহন আগে থেকেই সেই রাস্তায় বন্ধ করে দেওয়া হয়, আর রাস্তার পাশে থাকে বিশেষ কড়া ব্যবস্থা। এমন অবস্থায় কোকটেল ফোটানো কিছুটা হলেও অসম্ভব।
কাওরান বাজারে ভিড় সর্বদাই বেশী থাকে, সেই হিসাবে নিরাপত্বাও বেশী হওয়ার কথা। আর যেই পাতাল সড়কের (আন্ডার পাস) এর কথা বলা হচ্ছে তা আমি দেখেছি। সেই পথ দিয়ে পার হয়েছি অনেকবারই, যার এক পাশের রাস্তায় বসুন্ধরা শোপিং মলের পিছনের দরজা আছে, তাও সর্বদা ব্যাস্ত। সোজাভাবে পার হওয়া যায় না, সকারো পথে কারো দৌড়ে পালানোর সম্বন নয়, আর অন্যদিকে তো আরো সম্ভব নয়। তবে কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে?
২
আমার মনে পড়ে এবার সরকার গথনের সময়, দেশের অনেকেই যখন নির্বাচন নিয়ে কথা বলছিল। তখন শেখ হাসিনা বিভিন্ন রাস্ট্র্বের অভিনন্দন বার্ত দেখিয়েছিলেন। তখন বলেছিলেন এই নির্বাচল সংবিধান রক্ষার জন্য, প্রয়োজনে এক বছর পর আবারো নির্বাচন দেওয়া হবে। কিন্তু শুনীলের বোষ্ঠমীর মতো কথা রেখেননি তিনিও, পেরেিয়ে গেছে বছর। নির্বাচনের দাবীতে আমরা মরছি প্রতি নিয়তই, হয়তো জ্বলে কিংবা বন্ধুক যুগ্ধে। যেই মরুক না কেন সে সকল নিবন্ধনে নিজেকে জন্মসুত্রে বাংলাদেশী দাবী করেন। এই লোকগুলোর জন্যই শেখ মুজিব আজ বঙ্গবন্ধু, অথচ এদের আর্তনাদ আপনার হাসিনার কানেই পৌছায় না!
কাউকে ক্ষমতায় আনতে নয়, আমাদের জন্য, হাসপাতালের কন্দনরত মানুষগুলোর চোখের দিকে তাকিয়ে নির্বাচন দিন। জনগন কাকে ক্ষমতায় বসাবে তা তাদের ইচ্ছে, শুধু ভোটে "না" অপশনটি চালু করে সকলের ভোটার ক্ষমতা ফিরিয়ে দিন। আপনার পিতার স্বপ্ন পূরণ করুন, যিনি এদেশের মানুষকে স্বাধীনতা ভোগের অধিকার দিবেন বলে কথা দিয়েছিলেন যা আজও অনেকেই পায়নি।
৩
আজকাল প্রয়ই দেখি সরকার দলীয় লোকজন বলছে, কারো সাথেই সংলাপ নয়, সেটা যেই অনুরোধ করুক না কেন। এরই মাঝে বিভিন্ন দেশ প্রধান ও বান কি মুনও খালি হাতেই ফিরেছেন। অথচ এদের দেওয়া অভিনন্দন বার্তাই দিয়েই গত বছর জনগনকে ও বিশ্ববাসীকে চুপ করে রেখেছিল আওয়ামী-লীগ।
৪
খালেদা জিয়াকে নিয়ে কোন কিছুই বলছি না, কারণ তিনি আসলেই উল্টোপথে চলছেন। আমার মতে একজন কণ্যা বাবার কাছ থে যা শিখে তার চেয়ে সহধর্মনী কিছুটা হলেও বেশী শেখার কথা। এ ছাড়া ৭১ এর শিক্ষা, নভেম্বরের বিপ্লব, জিয়ার মৃত্যুর পর দলের হাল ধরা থেকে তার অনেক কিছুই শেখার কথা, অথচ কোন কিছুরই প্রতিফলন নেই। আমি ব্যাক্তিগতভাবে তার কাছ থেকে ভাল কিছু আশা করেছিলাম।
৫
আগামীকাল আন্তর্জাতিক নারী দিবস। তাই আমাদের প্রধান মন্ত্রীকে নারী দিবসের শুভেচ্ছা জানাই। সকল মানুষের ভালো খারাপ দিক থাকে, তিনিও মানুষ।
যাই হোক দেশের নানা উন্নতির জন্য তার নানা পদক্ষেপকে শাধুবাদ জানাই। জানজট নিরশনে ফ্লাইওফার, শিক্ষা খাতে নানা প্রকল্পের জন্য বিশেষ ধন্যবাদ রইল।
শেষ করার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে একটি কথা," ম্যাডাম, নিজের মনের কথা শুনুন। আমাদের দিকে নজর দিন, আমাদের বিশেষ কিছু চাওয়া নেই, শুধু একটু ভালবাসা। কাজ করুন জনগনের জন্য। সকল আমলেই হত্যা খুন ছিল, তবুও জনগনের সুরক্ষাই প্রধান।"
©somewhere in net ltd.