![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
https://www.facebook.com/Iambakerbhai
বছরের শুরুতে যখন বিএনপি মহা সামবেশের ডাক দিল তখন বিএনপি নেত্রী তার গুলসান কার্যালয়ে ছিলেন। ৫ই জানুয়ারী তাকে বের হতেই দেওয়া হয়নি। তার কার্যালয়ের সামনে ইট-বালুর ট্রাক এনে বের হবার রাস্তাও বন্ধ করে দিয়েছিল সরকার। যখন তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল তখন শেখ হাসিনা নিজেই বলেছিলেন, সব কিছুই তার নিরাপত্বার জন্য। নিজ নেত্রীর সাথে সুর মিলিয়েছিলেন সরাষ্ট প্রতিমন্ত্রীও।
আপনাদের কী মনে আছে সেই নিরাপত্বা ছিত্রের কথা?
আসুন মনে করে নেই,
*পুলিশ ও গোয়েন্দা দিয়ে সকল কার্যক্রম পর্যবেক্ষন।
*ইট-বালুর ট্রাক দিয়ে রাস্তা আটক।
*খাবার নিতে বাধা সহ আরো অনেক ঘটনা, যা আপনারাও দেখেছেন।
গতকাল খালেদার গাড়ি ভরে হামলা হয়েছে, ভাংচুর করা হয়েছে তার গাড়ি বহরের সকল গাড়ি। চালানো হয়েছে গুলি, খালেদার নিরাপত্বা বাহিনিও গুলি চালিয়েছে। মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর বরাতে প্রথম আলোয় একটি সংবাদের শিরোনাম দেখলাম 'খালেদার নিরাপত্বা কর্মীরা গুলি ছুড়ে জনমনে আতং ছড়িয়েছে'। আমাদের পুলিশের ভুমিকাও বরাবরের মতো ছিল। খালেদার ঘটনার ভিডিওতে দেখলাম তারা হামলাকারীদের পেছনে, তাদের কিছুটা আটকানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু আটকের কোন চিন্তা দেখা যায়নি। হামলাকরীরা হামলা শেষে বীর বেশে চলে গেল, শেখ হাসিনা বললেন এটা খালেদার নাটক।
আসুন মেনে নেই নাটকই ছিল। কিন্তু পুলিশের সামনে ঘটে গেল, আর পুলিশ কাউকে আটক করল না। গত আমলে রংপুর/নীলফামারীতে আসাদুজ্জামানের উপর হামলা হয়েছিল। হামলার জন্য সেখান থেকেই আটক হয়েছিল কয়েকজন, হামলার নেতত্ব দেওয়া যুবদলের কর্মীরা কয়েকদিন পরই নিখোজ হওয়া শুরু করে, যাদের লাশ মিলেছিল পরে। তাও দেশের নানা জায়গায়(তিনজনের)।
কথা হলো কাওরান বাজারে কেউ গুলি চালালো, অথচ পুলিশি তৎপরতা নেই!
ফেসবুকে দেখলাম হামলাকারীর একজনের ছবি, একটি হামলারত অপরটি আনিসুল হকের সাথে নির্বাচনী কাজের। তবে কী আনিসুল হকে বিএনপি কর্মী নিয়ে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন?
বিরোধীদল কে সেটা মুখ্য নয়। সবাইকে মানতে হবে বিএনপি দেশের বড় দুই দলের একটি। সেখাবে বিএনপি নেত্রীর গাড়ীতে হামলা হবে আর সরকার এভাবে বলবে এটা মানা যায় না। যেখানে ৫ই জানুয়ারী তার নিরাপত্বায় সরকার দেশের এতো পুলিশ, র্যাবকে কাজে লাগালো সেখানে গতকাল কোন কিছুই ছিল না কেন?
ঘটনা ঘটবে সেটা স্বাভাবিক, কিন্তু ঘটনার পর তা নিয়ে মিথ্যাচার একবারে গ্রহনযোগ্য নয়। বিশেষ করে সরকারের উচ্চ মহল থেকে আর সয়ং সরকার প্রধানের কাছ থেকে তো নয়ই।
তবে যাই হোক, গতকালের ঘটনা এবার সিটি নির্বাচলে বিএনপির পক্ষেই যাবে বলে মনে হচ্ছে।