নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চেয়ারম্যানের জামাই

সখা লিলিরাশ পথিক

সখা লিলিরাশ পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্লিজ গল্পটি পড়ুন।বুঝতে পারবেন ভালোবাসাটা আসলে কি?

১৬ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১২

প্রতিদিন ই বাসায় এসে দেখতাম আমার রুমের সব কিছু ওলাট পালাট হয়ে থাকত। প্রায় সপ্তাহ যাবত্‍ এ বিষয় টা লক্ষ্য করলাম। আমি আমার ছোট বোন টুসি কে জিগগেস করলে বলত ওকিছু করে নাই। পরে জানতে আম্মুর কাছে জানতে পারলামএসব কিছু করত নিশি।

নিশি ছিল আমার ছোট বোনের বান্ধবী। বাবা মার একমাএ মেয়ে ছিল। ওর বাবা সরকারি চাকুরী করত। বদলি হয়ে আমাদের শহরে এসেছে। এসে ভর্তি হয় কলেজে ঐখান থেকে আমার ছোট বোনের সাথে পরিচয় হয়। ওরা বাসায় ও নেয়আমাদের বাসার পাশে। তাই আমাদের ও তাদের বাসার সবার সাথে ভাল একটা সম্পর্ক তৈরি হয়। নিশি প্রায় আমাদের বাসায় আসত।

ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে পড়তনিশি ও টুসি। দিনে দিনে নিশির দুষ্টামির মাত্রা বেড় গেল। আমার রুমের অবস্থা ১২ বাজিয়ে দিত। আর টুসি তার হয়ে আমায় হয়ে বকাখেত।

এভাবে বেশ কিছু দিন কেটে গেল।একদিন সন্ধা বেলা বাসায় ফিরে গিয়ে দেখি আমার রুমে টানানো আমার একটা ছবি তে মোছ, দাঁড়ি, মাথায় শিং আকাঁ। আমার অনেক ছবি টা ছিল। ছবিটার এঅবস্থা দেখে আমার মাথায় রক্ত ওঠে গেল। আমি টুসি কেডেকে বললাম, কিরে আমার ছবিটার এ অবস্থা কে করছে? টুসি ভয়ে ভয়ে উওর দিল নিশি। আমি টুসিকে প্রচন্ডবকাঝকা দিলাম। আর বলে দিলাম নেকস্ট যাতে আর ২ জননা ঢুকে।

পরদিন আর বাসা থেকে বের হইনাই। বিকাল বেলা রুমে বসে পিসি তে কাজ করতে ছিলাম। টের পেলাম নিশি আমার রুমে ঢুকছে। নিশিঃ ভাইয়া কি খুব বেশি রাগ করছেন? আমি কোন কথা বললাম না। ও আমার সামনে দাড়িয়ে কান ধরে সরি বলে একটা হাঁসি দিয়ে চলে গেল। যখন ই আমি তাকে দেখতাম তার ঠোঁটের ২ কোণে হাঁসি লেগে ই থাকত।

তারপর আর অনেক দিন আমি নিশি কে আমাদের বাসায় আসতে দেখি নি। হঠ্যত্‍ একদিন বিকাল বেলা নিশি বাসায় এসে উপস্থিত। ঐ দিন বাসায় আমি একা ছিলাম। মা আর টুসি শপিং এ গিয়ে ছিল। আমি নিশি কে বললাম টুসি তোবাসায় নাই। নিশি বলল, জানি। আমি আপনার কাছে এসেছি। আপনার ক্যামেরা টাএকটু দেবেন। আমি বললাম,কেন? নিশিঃ আপনার ছবি তুলব। আমি তো আপনার ছবি টা নষ্ট করে ফেলেছি। ছবি তুলে নতুন একটা ছবি বাধায় করে দেব। আমি বললাম,দরকার নেই। ও অনেক অনুয় বিনয় করল কিন্তু আমি ক্যামেরা টা দিলাম না। নিশি রাগ করে বাসা থেকে বের হয়ে গেল। এটায় ছিল নিশির সাথে আমার শেষ দেখা ও কথা।

বেশ কিছু দিন কেটে গেল। আমরা বন্ধুরা ঠিক করলাম ভূটান ঘুরতে যাব। পার্সপোট নিয়ে গেলাম এজেন্সি অফিসে টিকেট কমর্ফাম করতে। ঐ খানে গিয়ে দেখি পার্সপোটে আমারছবি টা নেই। কেউ এটা তোলে ফেলেছে। বুজতে বাকি রইল না কাজ টা কার? ঐ দিন বাসায় ফিরে আসলাম। আমার জন্য আমার বন্ধুরা ও ফিরে এল।

বাসায় এসে টুসি কে পার্সপোট দেখিয়ে বললাম, এসবের মানে কি? পার্সপোটের ছবি টা কে ছিড়েছে? টুসি হেঁসে বলল, ভাইয়া নিশি মনে হয় তোমাকে অনেক পছন্দ করে। তাই মনে হয় তর সাথে এমন টা করে। আমি বললাম, নিশি রে যা ডেকে নিয়ে আয়। নিশি বাসায় নেই ওর নানা বাড়িতে বেড়াতে গেছে।

পর দিন পার্সপোট ঠিক করে ফ্লাইট ঠিক করে এলাম। বুধবার রাত ১১ টায় ফ্লাইট।

বুধবার সকাল বেলা। প্রচন্ড কান্নার শব্দে আমার ঘুম ভাঙ্গলো। উঠে দেখি টুসি চিত্‍কার করে কাদঁছে। ওরে জিগগাস করলাভকি হয়ছে কিছুই বলে না। আম্মু কে বাসায় দেখতে পেলাম না। আমি আম্মুর ফোনে ফোন দিলাম। আম্মু বলল নিশি নানা বাড়ি থেকে ফেরার সময় একসিডেন্ট করেছে। আমাকে টুসি কে নিয়ে হাসপাতালে যেতে বলল।আমি টুসি কে নিয়ে বেড়িয়ে পড়ি। হাসপাতালে গিয়ে নিশিকে খুজতেঁ থাকি। রক্তাক্তঅনেক গুলা লাশ বারান্দায় পড়ে আছে। টুসি আমাকে ভয়ে ঝাপটে ধরে। বারান্দায় এক কোণে নিশির বাবাকে দেখতে পেলাম উনার সারা শরীলে রক্তের চিহ্ন। তার পাশে নিশির রক্তাক্ত লাশ। তার ঠোঁটের কোণে তখন ও যেন একটা হাসি লেগে ছিল। হাসি টা যেন আমার খুব পরিচিত মনে হয়েছিল। টুসি নিশিকে ধরে চিত্‍কার করে কাঁদছে।নিশির বাবা নিবির্কার দাড়িয়ে আছে। কি যে হতে চলেছে আমি বুঝতেই পারছিলাম না

সন্ধা বেলা। নিশি কে দাফন করে বাসায় ফিরলাম। তার উপর থেকে আমার সব রাগ মুছেগেছে। টুসি এখন ও কাঁদছে। আমি রুমে গিয়ে শুয়ে পড়লাম.কিছুক্ষণ পর টুসি এসে দরজায় নক করল। ভাইয়া আসব, হু আয় টুসি। ও আমাকে একটা ডায়েরী দিয়ে আমার রুম থেকে চলে গেল। ডায়েরী টা হাতে নিলাম. ডায়েরীর উপর নিশির নাম লেখা. ভিতর টা খুললাম প্রতি পৃষ্টায় তারিখ দেয়া আর ১০১ বার করেলেখা ॥ অনেক ভালবাসি ॥ প্রতি টা পৃষ্টা ওলটালাম সব পৃষ্টায় এক ই লেখা। শেষপৃষ্টায় গেলাম তাতে লেখা ডায়েরী তো শেষ হয়ে গেল নতুন ডায়েরী তো আর কিনতে পারলাম না. নিচে তার ও আমার একটা করে ছবি। আমার ছবি টা চেনা চেনা লাগছে। এটা পার্সপোটের সেই ছবি টা. ছবি টা র পাশে লেখা বেবি টা আমার রাগ করো না তোমার কাছে আমি একটা ছবি চেয়েছিলাম তুমি দেও নাই তাই ছবি টা চুরি করলাম

আমি পড়ছিলাম আর চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছিল। আমি জীবনে খুব কম কেদেঁছি তবে সে দিন যেন একটু বেশি ই কেঁদেছিলাম :'(



http://facebook.com/adnan.shajon

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৭

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: খুব সুন্দর লেখা
ভাল লাগল +

২| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৫

দূলভ বলেছেন: Vai already amar chokha pani jome acha

৩| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭

সখা লিলিরাশ পথিক বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪

হৃদয় জিনিয়াস বলেছেন: apnar lekhar hat khub valo. :D



+ + +

৫| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫

জানতে চায় বলেছেন: ভালো লাগলো

৬| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:১১

অক্টোপাস বলেছেন: Vai already amar chokha pani jome acha....

৭| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:২১

হান্টার১ বলেছেন: হৃদয় বিদারক,খুব খারাপ লাগলো

৮| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৪৬

বাংলাদেশী দালাল বলেছেন: কিছু প্রেম হাসায় কিছু প্রেম কাদায়
হৃদেয় চিড়ে দিয়ে কিছু প্রেম বলে চির বিদায়।

৯| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৫৫

সখা লিলিরাশ পথিক বলেছেন: এতো প্রেম ছিল না তাহলে কেন এত জ্বালা ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.