![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জামাত-বিরোধী শারিয়া অনুষ্ঠান
প্রচারনায়-হাসান মাহমুদ
নিজস্ব ছাইট- http://www.hasanmahmud.com/2012/
সহযোগিতায়-আঃ হাকিম চাকলাদার(অনুমোদনক্রমে)
জামাত-বিরোধী শারিয়া অনুষ্ঠান - - রবিবার ২৬ মে ২০১৩ - বাংলাদেশ সময় রাত ০৯টায় নীচের লিংক-এ ক্লিক করুন, অনুষ্ঠান দেখতে পারবেন - এটা হবে বাংলায়, দেশ বিদেশের অনেক লোক থাকবে- :-
Click This Link
জামাত চায় যেকোন বাধাকে যেকোন ভাবে সরিয়ে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার নামে ক্ষমতা দখল করতে। একাত্তরে লক্ষ নিরপরাধকে অসহ্য যন্ত্রণা দিয়ে খুন-ধর্ষণ করার শেকড় ওদের অপদর্শনের মধ্যেই আছে। কিভাবে ওরা ইসলামকে নষ্ট করেছে তার চার পাঁচশ' দলিল দিয়েছি আমার "শারিয়া কি বলে, আমরা কি করি" বইতে, কিছু এখানে দিচ্ছি।
১। যারা হারামকে হালাল ও হালালকে হারাম করে তারা অবশ্যই ইসলাম-বিরোধী। নারী নেত্রীত্ব হারাম বলার পরেও সে তার নিজেরই ভাষায় "পরিস্থিতি'র কারণে" শেখ হাসিনা ও বেগম জিয়া'র নেত্রীত্বে রাজনীতি করছে। "পরিস্থিতি'র কারণে" সে হারামকে হালাল ও হালালকে হারাম করবে, সেই পরিস্থিতি কখন কিভাবে হবে তাও সে-ই ঠিক করবে।
২। আমাদের ইসলামী ফাউণ্ডেশন থেকে একটা কমিটি তিন খণ্ডের "বিধিবদ্ধ ইসলামী আইন" (বি-আ-ই) বের করেছে, সেই কমিটিতে জামাতি-তত্বগুরু শাহ আবদুল হান্নানও ছিলেন। তার ১ম খণ্ডের ধারা ১৩ হল, "হিরাবা'র" অপরাধীরা (সংঘবদ্ধভাবে গণহত্যা, গণধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, সম্পত্তি ধ্বংস, লুটপাট ইত্যাদি যা তারা একাত্তরে করেছে) তওবা করলে তাদের শাস্তি হবে না। এমন বর্বর আইন যারা বানায়, তাও আবার ইসলামের নামে, তারা অবশ্যই ইসলাম-বিরোধী।
৩। "বি-আ-ই" ২য় খণ্ড ধারা ৫৫৪ -হুদুদ মামলায় (খুন, জখম, ডাকাতি, চুরি, মদ্যপান, মানহানী)নারী বিচারক অবৈধ।
৪। "বি-আ-ই" ১ম খণ্ড ধারা ৩৪৪- স্ত্রী তালাকে সাক্ষী না থাকলেও চলবে। কিন্তু কোরান বলেছে ২জন সাক্ষী রাখতে (সুরা ত্বালাক আয়াত ২)। যারা কোরান-বিরোধী আইন বানায় তারা নিশ্চয়ই ইসলাম-বিরোধী।
৫। ইসলামী রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান ডাকাতি, চুরি, মদ্যপান, মানহানী এমনকি খুন, জখম পর্য্যন্ত করলে শাস্তি তো দুরের কথা তাঁর বিরুদ্ধে মামলাই করা যাবে না - "বি-আ-ই" ৩য় খণ্ড ধারা ১৯৪ গ। এমন ভয়াবহ আইন যারা বানিয়েছে তারা নিশ্চয়ই ইসলাম-বিরোধী।
৬। জামাতের সংবিধানে বলা আছে এই দল মাওলানা মৌদুদির দর্শনে বানানো হল। একাত্তরে জামাত যে নৃশংস গণহত্যা গণধর্ষণ অত্যাচার করেছে সব মৌদুদি'র নির্দেশেই হয়েছিল কারণ তখনো তিনি পাকিস্তান জামাতের আমীর (১৯৭২ পর্য্যন্ত), মারা গেছেন ১৯৭৯ সালে। কাজেই মৌদুদীও একাত্তরের বিরাট যুদ্ধাপরাধী। ইসলাম সম্বন্ধে তাঁর ব্যাখ্যা এতই ভয়াবহ যে অসংখ্য আলিম ও মাওলানা তাঁকে দজ্জাল, কাফের পর্য্যন্ত বলেছেন। শত শত উদাহরণ দেয়া আছে আমার বইতে, যেমন-
(ক) “সঙ্গীত ও নৃত্যকলা ‘কুৎসিৎ শিল্প’-এ শর্ট হিস্ট্রি অফ দি রিভাইভালিষ্ট মুভমেন্ট ইন ইসলাম-পৃ: ৩০,
(খ)"পার্টি" শব্দটির জন্য কোরান "উম্মা" শব্দ ব্যবহার করিয়াছে। হজরত আবুবকর "মুসলিম পার্টি'র" নেতৃত্ব দিয়াছিলেন" - ইসলামে জিহাদ পৃ:৫, ১০,
(গ)"ইসলামী বিপ্লবের পর জনগণকে নোটিস দেয়া হবে যারা বিশ্বাসে-কর্মে ইসলাম ছেড়েছে তারা প্রকাশ্যে নিজেদের অমুসলিম পরিচিতি প্রকাশ করে এক বছরের মধ্যে দেশ ছেড়ে চলে যাক। তারপর যারা জন্মাবে তারা হবে মুসলিম। ইসলামী আইন প্রয়োগ করে তাদেরকে ধর্মীয় কাজকর্ম ও দযিত্ব পালনে বাধ্য করা হবে। তারপর কেউ ইসলাম ত্যাগ করলে তাকে খুন করা হবে।“ - দি পানিশমেন্ট অফ দি এপোষ্টেট একর্ডিং টু ইসলামিক ল- ইত্যাদি।
এই ধরনের হিংস্র কথাবার্তা অসংখ্যবার বলে তিনি ইসলামকেই উল্টিয়ে দিয়েছেন, এক ভয়ংকর ইসলাম তৈরী করেছেন। কোরান দাসপ্রথা উচ্ছেদ করেছে কিন্তু তিনি মারাত্মকভাবে দাসপ্রথা সমর্থন করেছেন সুরা নিসা আয়াত ২৪-এর ব্যাখ্যায়। তাঁর লেখা ইসলাম-বিদ্বেষীদের খুব প্রিয় - ওগুলো দিয়েই তারা ইসলাম-মুসলিমকে অপমান ও আঘাত করে। তাঁর সময়েই পাকিস্তানী সরকার আইন বানিয়েছিল - ধর্ষণের প্রমাণ হবে অভিযুক্তের স্বীকারোক্তি বা চারজন পুরুষ মুসলমানের চাক্ষুষ সাক্ষ্য - ১৯৭৯ সালের আইন নং ৭, ১৯৮০ সালের সংশোধিত ২০-এর খ। এর ফলে তিন হাজারের বেশী ধর্ষিতা দশ বারো বছর জেল খেটেছে ধর্ষককে বদনামের মামলায় কারণ তারা ৪ জন চারজন পুরুষ মুসলমানের চাক্ষুষ সাক্ষ্য আনতে পারেনি। পরে প্রেসিডেন্ট পারভেজ তাদের মুক্তি দেন।
জামাত "সত্যের সংগ্রাম" করে, নারীর পর্দা-হিজাব-বোরখা'র জন্য প্রাণপাত করে। কিন্তু দৈনিক সংগ্রামের অন-লাইন সংস্করণে নারীর অজস্র অর্ধনগ্ন ছবির ১৬টা আমি সেভ করে রেখেছি। কতবড় ইসলাম-বিরোধী হলে মানুষ এমন মুনাফেকি করতে পারে ?
হাসান মাহমুদ ওয়ার্ল্ড মুসলিম কংগ্রেসের উপদেষ্টা বোর্ডের সদস্য, দ্বীন রিসার্চ সেন্টার হল্যাণ্ড-এর রিসার্চ এসোসিয়েট, মুসলিমস ফেসিং টুমরো'র জেনারেল সেক্রেটারী, ফ্রি মুসলিমস কোয়ালিশন-এর ক্যানাডা প্রতিনিধি, মুসলিম ক্যানাডিয়ান কংগ্রেসের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ও ডিরেক্টর অফ শরিয়া ল', আমেরিকান ইসলামিক লিডারশীপ কোয়ালিশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং খুলনা'র “সম্মিলিত নারীশক্তি”র উপদেষ্টা। শারিয়ার ওপরে বই "শারিয়া কি বলে, আমরা কি করি", আন্তর্জাতিক প্রশংসিত ডকু-মুভি "হিল্লা", "নারী" ও "শারিয়া প্রহেলিকা" লণ্ডনের একটি স্কুলে ধর্মীয় শিক্ষাক্লাসে দেখানো হয়। দেখুন, পড়ুন, জানুন কিভাবে জামাত ইসলাম নষ্ট করেছে। ইসলামী দলিলে শক্তিশালী হয়ে উঠুন, নাহলে জামাতের অত্যাচার থেকে নিষ্কৃতি পাবেন না।
©somewhere in net ltd.