![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাত্রি ৪।৩০
রিডিং রুম থেকে বের হয়ে এক বড় ভাইয়ের সাথে দেখা। উনি পলাশী যাবেন। উদ্দেশ্য শেষ রাত্রের পরোটা,চা।
আমি ও রাজি হয়ে গেলাম।
গেট দিয়ে বের হয়ে বিবিএ ফ্যাকাল্টির সামনে এসেই চমকে গেলাম।
তখন ৪।৪৫।
চারিদিকে অন্ধকার। উনি রিক্সার উপরে পা তুলে বসে মনের সুখে গান গাচ্ছেন। জিজ্ঞাসা করলাম যাবেন, কোথাই তা জিজ্ঞাসা না করেই বলে চলুন। এই সুযোগে বললাম চলেন কিছু ছবি তুলি।
বলতেই এক শুভ্র হাসির দিয়ে রাজি হয়ে গেলেন।
এরপর উনার সাথে গল্প করতে করতে পলাশী। নাস্তা করালাম আমাদের সাথে। পরে চা খাইয়ে আবার হল গেট।
এরপর শুনুন উনার গল্প।
নাম ক সিকদার। দেশের বাড়ী খ জেলায়। বয়স ৭০। হিসাবটা এভাবে করলাম ’৭১ এর সময় উনি পূর্ন যুবক ছিলেন।
উনার ৩ মেয়ে। সকলেরই বিয়ে হয়ে গছে। কিন্তু উনার স্ত্রী নেই। ১০ বছর আগে চলে গেছেন পৃ্তহিবীর মায়া ছেড়ে।
যেই বয়সে উনার একটু শান্তি করার কথা,
যেই বয়সে একটু কুমকুম গরম পানি দিয়ে উনার গোসল করার কথা,
যেই বয়সে নাতিনাত্নিদের নিয়ে খেলা করার কথা,
যেই বয়সে গ্রমের মুরব্বি হয়ে পরামর্শ দেয়ার কথা,
সেই বয়সে উনি ১০ বছর ধরে ঢাকা আছেন। শুধু মাত্র পেটের তাগিতে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, তাহলে বয়ষ্ক ভাতা কারা পায়? গ্রামের মেম্বার,চেয়ারম্যানরা কি এদের দেখাশোনা করে? কোথায় গ্রাম্য সালিশ, কোথায় মাতুব্বরা? কোথায় আইন? কোথায় আদালত?
এরকম হাজারো ক ট প পাওয়া যাবে এই ঢাকা শহর সহ সারা দেশে। কিন্তু এরা কী দোষ করেছিলো এইদেশে জন্ম নিয়ে? সরকারে দেয়া সুবিধা থাকা সত্ত্বও কেন এরা বঞ্চিত হচ্ছে? কেনই বা বৃদ্ধাশ্রম হচ্ছে?
শুধুমাত্র তদারকির অভাবে।
এটাই বাংলাদেশ। সুদিনের অপেক্ষায় আমরা এখনো সপ্ন দেখি। সুদিন আসবেই।
©somewhere in net ltd.