নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এ হোসেন আবির

সহজ পথই শ্রেষ্ঠ পথ।

ব্যর্থ মানব

সর্বদা হারতে চাই। কারন, কখনো জয়ী হতে শিখি নাই।

ব্যর্থ মানব › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের দেশের বড় সমস্যা

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:২১

কলিমদ্দি গ্রামের ছেলে। খুব ছোটবেলায় ৮ সন্তানের ভাই বোনের সংসারে খুব অভাব ছিল। তাই রোজগারের জন্য তখনই ঢাকায় চলে আসে। অনেক জায়গায় অনেক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেছে সে।
টাকার অভাবে তার মায়ের চিকিৎসা করাতে পারেনি। ফলে অকালেই সে চলে গেছে এবং তার বাবাও দুনিয়া ছেড়েছে বহুবছর আগে।..
সে ছিল সংসারের বড় ছেলে। তাই ৫ বোনের বিয়ে সে নিজেই দিয়েছে অনেক কষ্ট করে। ছোট দুইটা ভাইকে ঢাকায় এনে রিক্সা ভাড়া করে জীবন চলার ব্যবস্থা করেছে। আর সে নিজেও ভাড়ায় রিক্সা চালায়।..
গ্রামে তাদের যে ভিটে বাড়ীটা আছে, সেখানে এখন তার ছোট বোন থাকে। সে বিধবা। ৫ সন্তান ছিল তার। কলিমদ্দি নিজেই তাদের বিয়ের খরচা দিয়েছে।...
এতসব করতে গিয়ে কলিমদ্দি অনেক হোচট খেয়েছে। কিন্তু সে একটা কাজ করতে ভুল করেনি। সে সময়মতো বিয়ে করেছিল এবং সংসারের আয় বাড়াতে ৬ টা সন্তান জন্ম দিয়েছে।
যার ২ টা সন্তান পা হারিয়ে এখন ফার্মগেটের ফুট ওভার ব্রীজে সারাদিন পড়ে থাকে। আর ছোট মেয়েটা রাস্তায় রাস্তায় ফুল বিক্রী করে।
এরপরে একদিন হয়তো কলিমদ্দি চলে যাবে।...
এরকম লাখো লাখো কলিমদ্দি সলিমদ্দি আছে আমাদের সমাজে। আমাদের ঢাকা শহরের ফুটপাতে কিংবা বস্তিতে যেসব পরিবার ভাসমানভাবে বাস করে, তাদের পরিবারের লোকসংখ্যা যেমন বেশী তেমনি বেশী শিক্ষার অভাব ও দারিদ্রতা।
সবচেয়ে প্রশংসার বিষয় হচ্ছে, আমরা যারা সমাজের বিবেক বলে পরিচিত।তারা সেই কলিমদ্দি সলিমদ্দিদের নাতি নাত্নীদের পথস্কুল করে পড়ানোর চেষ্টা করি, ঈদে তাদের নতুন কাপড় দেই, শিশুশ্রম বলে মানব বন্ধন করি, পকেট থেকে ৫-১০ টাকা ভিক্ষা দেই। আর কলিমদ্দিদের মা বোনদের দেখলে মাঝে মাঝে মাফ চাই খুচরা নেই বলে।
এভাবেই চলতেছিল কলিমদ্দির বাপের যুগ থেকে,এখনো চলছে এবং তাদের সন্তানদের যুগেও চলবে।
একটা কথা বলি,
এই কলিমদ্দিরা হচ্ছে সমাজের খেজুর গাছ। যাদের কাঁটা সমাজের সব জায়গায় বিরাজমান। চলার পথে দেশের উন্নতিতে তা সকলের পায়ে বিঁধে।
তাহলে উপায় কি? উপায় হচ্ছে কাঁটা তুলে ফেলা। সেটা কিভাবে সম্ভব? সেটা সম্ভব বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে, স্বামী বা স্ত্রী বেঁচে থাকাবস্থায় বহুবিবাহ বন্ধ এবং জনসংখ্যা নীতিটাকে বাস্তবায়ন করা। ...
হ্যাঁ সবকিছুর জন্য দেশে আইন আছে। কিন্তু সেই আইনের মান নেই। যদি থাকত তবে মেয়েদের বিয়ের ১৮ বছরের বয়স সীমা কমিয়ে ১৬ করার চিন্তা ভাবনা কেউ করতেন না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.