![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যারা সেদিনের বাংলাদেশ বনাম ভারতের বিতর্কিত কোয়াটার ফাইনাল ম্যাচ দেখেছেন, একটা বিষয় সকলের নজর কেড়েছিল। বাংলাদেশের ফিল্ডিঙয়ের সময়ে ভদ্রলোকের ক্রিকেট খেলার কলঙ্ক সময়ের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার আলিম শরীর চুলকাচ্ছিলেন। তখন পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বাংলাদেশের একজন প্লেয়ার তাকে চুলকাতে সাহায্য করেছিলেন। কিন্তু তাতেও তার চুলকানি কমেনি। মাঠের বাইরে থেকে বিজ্ঞ চুলকানি থেরাফিস্ট আসলেন। আলিমের চুলকানি কমিয়ে দিয়ে গেলেন।অতিরিক্ত সময় চলে গেল মিনিট পাঁচেক। কিন্তু এটা অভিনয় ছিল কিনা সেটা কেউ যাচাই করেনি।
হ্যাপির না পাওয়া ভালোবাসা প্রিয় রুবেল কোন এক ওভারের ৪ নম্বর বল করার সময় আম্পায়ার ইতর গৌল্ডকে অতিক্রম করলেন। তখন ব্যাটিং এ দাঁড়িয়ে থাকা জীবন পাওয়া প্লেয়ার রোহিত সরে গেলেন।ফলে ডেড বল হল। ঠিক একইভাবে ধাওয়ান একবার সরে গেলেন তাসকিনের সময়। এভাবে চলে গেল আরো মিনিট দেড়েক।
খেলার ষোল এবং চৌত্রিশ ওভারের নিয়মিত ড্রিংকস বিরতি ছাড়াও চল্লিশ ওভারের পরেও আরো একবার জুস খাওয়ার বিরতি নিলেন আম্পায়ারের মহাকল্যাণে জীবন ফিরে পাওয়া ব্যাটসম্যান। ফলে গেল আরো মিনিট তিনেক।
এবং বৃষ্টির কারনে ৬-৭ মিনিট খেলা বন্ধ ছিল।
তাহলে মোট সময় গেল ৫+১.৩০+৩+৬= ১৫.৩০ মিনিট।
ম্যাচে মাহমুদুল্লাহকে দিয়ে মাত্র এক ওভার বল করানো হল, ইমরুলকে ভুল রান আউট করানো উদীয়মান প্লেয়ার সৌম্য এবং অল রাউন্ডার সাব্বির কে দিয়ে কোন বল করানো হল না। ফলে বলার চেঞ্জিং এর সময় নষ্ট না করে মাত্র পাঁচজন বলার পঞ্চাশ ওভার শেষ করলো।
কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় ম্যাচ শেষে স্লো ওভার রেটিং এর কারনে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হয় আমাদের মাশরাফি এবং তার ম্যাচ ফির ৪০ শতাংশ কাটা যায়।
আর রায়নার এলবি না দেওয়া, রোহিতকে ৯০ রানে ক্যাচ আউট নো বল বলে জীবন দেওয়া যে পরবর্তী ১৭ বলে ৪৭ রান করে, মাহমুদুল্লাহকে ছক্কা না দিয়ে আউট দেয়া এবং বাউন্সিং ওয়াইড নিয়ে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ। একটা দেশের চুতিয়া ক্রিকেটকে আর কিভাবে জিতিয়ে দেয়া যায়?
এটাই ছিল দুর্বলের বিরুদ্ধে সবলের অনিয়মের খেলা।এটাই ছিল ১৯৯৯ এ বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলা শুরু করা একটা নতুন দেশের সাথে ১৯৭৫ এর প্রথম বিশ্বকাপের খেলুড়ে দেশ যারা ১৯৮৩ এবং ২০১১ এর বিশ্বচ্যাম্পিয়ন,২০০৩ এর রানার আপ হয়। সেই দলের দাপটের ব্যবধান। যা সমগ্র বিশ্ব দেখেছে। আমরা লজ্জিত। আইসিসি এবং ইন্ডিয়ার দুর্নীতির কাছে ক্রিকেট হার মানল।
এতসবের পড়েও কোন চুতিয়া সুশিল যদি বলে যে, এইসব বিতর্কিত সিন্ধান্ত বাদ দিলে বাংলাদেশ তেমন ভালো খেলেনি। তাহলে বোঝার বাকি থাকে না যে,চুশিলের মাথায় বিশাল ভারতপ্রেম সমস্যা আছে। কারন, এসব ফালতু সিন্ধান্ত খেলোয়াড়দের মনোবল যেমন নষ্ট করে দেয় তেমনি খেলার পরিকল্পনা বিনাশ করে দেয়। ফলে গেম প্লানিং বলে কিছুই থাকে না।
২| ২২ শে মার্চ, ২০১৫ ভোর ৪:২১
রাফা বলেছেন: একটি খেলার রেজাল্ট পাল্টে দেওয়ার জন্য ,একটি ভুল সিদ্ধান্তই যথেষ্ট।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৩:৫১
তাশমিন নূর বলেছেন: এটা ভারতীয়দের জন্য নতুন কিছু নয়। এর আগেও এরা এরকম কারচুপি করে বহু ম্যাচ জিতেছে। 'ম্যাংগো স্কোয়াড' নামের একটা পেইজে চমৎকার একটি ভিডিও তে অনেকগুলো কারচুপি তুলে ধরা হয়েছে।