নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবাই ভালো থাকুন

এ আর ১৫

এ আর ১৫ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাদর থেকে মানুষ এবং থিউরি অব এভুলুশন

১২ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:১৯

বিশ্বাষ এবং ফেক্ট এই দুইটার ভিতরের পার্থক্য অনেকে বুঝতে অক্ষম । প্রমাণ ছাড়া কোন কিছুকে অন্ধভাবে মেনে নেওয়াটাকে বলে বিশ্বাষ যেমন মামদো ভুতে বিশ্বাষ , পেত্নিতে বিশ্বাষ ইত্যাদি যেগুলোর কোন প্রমাণ বাস্তবে নেই ।

ফেক্ট হোল যেটা সাইনটিফিক্যাললি প্রমাণীত যেমন নিউটন ল, আইনস্টাইনের থিউরি সহ সকল সাইনটিফিক থিউরি সমূহ । ফেক্ট কোন বিশ্বাষ নহে কারন এটা পরিবর্তনশীল । যদি পরবর্তিতে অন্য কোন থিউরি আগের ধারনাকে বাতিল করে দেয় তখন নতুনটাকে গ্রহন করতে হয় , যদি এটা বিশ্বাষ হোত তাহোলে কোন পরিবর্তন গ্রহন যোগ্য হয় না সেই বিশ্বাষের অনুসারিদের কাছে ।

যে কোন মতবাদ প্রথমে হাইপোথিসিসের স্টাটাসে থাকে , প্রমাণীত হওয়ার পর ওটার স্টাটাস হয় থিউরিতে ।
ডারউইনের মতবাদের বর্তমান স্টাটাস কি ? সেটা হোল theory of evolution। তারমানে এটা সাইনটিফিকাললি গ্রহন যোগ্য হওয়ার পর হাইপোথিসিস থেকে থিউরির মর্যাদা লাভ করে ।
চার্লস ডারউইন যখন এই মতবাদ দেন তখন এটা ছিল হাইপোথিসিস কারন তখন ডিএন এ টেস্ট আবিষ্কৃত হয় নি , ফসিল সমূহের ডি এন এ টেস্ট করা সম্ভব হয় নি । এই প্রযুক্তি আবিষ্কার হওয়ার পর ডারউইনের হাইপোথিসিসকে থিউরি হিসাবে গ্রহন করা হয় যখন তার মতবাদটার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল ।
আমরা মাইক্রোসকপিক লেভেলে জীবানু অথবা ভাইরাস সমূহের বিবর্তন সচোক্ষে দেখতে পারি , করোনা ভাইরাস ইতিমধ্যে ৪০০ বারে উপর বিবর্তিত হয়েছে।

আমরা দেখেছি মশার বিবর্তন , যে নাশক কোন একপ্রজাতির মশাকে ধংস করতে সক্ষম কিছু দিন পরে দেখা যায় ঐ নাশকে ঐ মশা গুলো মারা যায় না । এটা সম্ভব হয় বিবর্তন এবং সারভাইবেল অফ ফিটনেস থিউরি অনুসারে । কোন নাশক যদি কোন প্রজাতির ৯৮% মশাকে মেরে ফেলে ২% ছাড়া ,যেগুলোর ভিতরে কোন কারনে ঐ নাশকে প্রিভেন্ট করার জিন অথবা বৈশিষ্ঠ ছিল , যে কারনে এই ২% রক্ষা পায় বা সারভাইভ করে যায় । পরবর্তিতে এই ২% থেকে যে জেনারেশন জন্ম নিবে তাদের ভিতর ঐ বিশেষ নাশক বিরুধী রেজিস্ট্যাস নিয়ে জন্ম নিবে , যার জন্য এই নতুন জেনারেশন ঐ নাশকে মারা যায় না ।

ক্ষুদ্র প্রাণীদের বিবর্তন সরাসরি পর্যবেক্ষণ করা যায় কিন্তু বিশাল দেহি প্রাণীদের বিবর্তন প্রক্রিয়া হতে লক্ষ লক্ষ বৎসর লেগে যায় ।
এবার আমরা দেখি ডারউইন কি আসলে বলেছিলেন যে মানুষ বাদর থেকে বিবর্তিত হয়েছিল

জী না এমন কথা তিনি বলেন নি কিন্তু এই ধরনের একটা মিথ্যা প্রচার অনেক মানুষ বিশ্বাষ করে । তাহোলে বিবর্তন বাদে আসলে কি বলেছে ?
বিবর্তন বাদ প্রমাণ পেয়েছে মানুষ এবং বাদর একই আদি প্রাইমেট থেকে বিবর্তিত হয়ে ভিন্ন প্রজাতির রুপ নিয়েছে । বর্তমানে ঐ আদি প্রাইমেট বিলুপ্ত হয়ে গেছে । ঐ আদি প্রাইমেট বিবর্তিত হয়ে লেজ হীন (এপ) এবং লেজ বিশিস্ঠ ( বানর) এই দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায় , পরবর্তিতে লেজ হীন এপেরে বিবর্তনের মাধ্যমে মানুষের উদ্ভব হয় ।

মানুষ সরাসরি বাদর থেকে বিবর্তিত হয় নি ।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:০৬

শাহ আজিজ বলেছেন: ভালো আলাপ । চলুক দেখি অন্যরা কি বলেন ।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫০

এ আর ১৫ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই , আপনার বেগম রোকেয়ার মৃর্তুর পরবর্তি কাহিণী নিয়ে লিখার জবাবে জনাব মামুন সাহেব যে লিখাটা লিখেছে , সেটার আমি যুত সই জবাব দিয়েছিলাম কিন্তু তিনি একটি জবাব রেখে বাকি সব ডিলিট করে দেয়। ঐ ভদ্রলোক আমার ব্লগে এসে সব সময়ে উল্টাপাল্টা কথা বলে , কখনো কিছু বলেনি কিন্তু তাকে আমি ঐ লিখাতে হাতে নাতে ধরেছি ।

আপনি আপনার লিখাতে কোলকাতাতে বেগম রোকেয়াকে কবর দিতে না পারার জন্য ইসলাম ধর্মকে দায়ি করেন নি বরং কাটমোল্লা চক্রকে দায়ি করেছিলেন কিন্তু তিনি ওখানে ইসলাম ধর্মকে বিনা কারনে টেনে এনেছেন । উনি নিজে কাটমোল্লা সম্প্রদায়ের লুত মাদ্রাসার লোক, তানা না হোলে কাটমোল্লার সমালোচনাকে ইসলাম ধর্মের সমালোচনা দাবি কেন করবেন ।

তিনি দাবি করেছেন ইসলামের বাধায় নহে ( কাটমোল্লার বাধাকে বুঝিয়েছেন ), বরং তার পরিবারের ইচ্ছায় নাকি কোলকাতা থেকে ১৬ মাইল দুরে তাকে কবর দেওয়া হয়েছিল ।
তার দেওয়া তথ্য থেকে আমি দেখিয়ে ছিলাম ঐতিহাসিক অমলেন্দু দে অনেক পরে তার কবর আবিষ্কার করে । এই আবিষ্কার কি প্রমাণ করে না , বেগম রোকেয়াকে গোপনে কবর দেওয়া হয়েছিল , সবার নজরকে ফাকি দিয়ে । কবরটা যদি জানিয়ে দেওয়া হোত তাহোলে অমলেন্দু বাবুর তো আবিষ্কার করার কথা না কারন সবার তার কবর কোথায় জানার কথা ।
এই ঘটনাটা তো প্রমাণ করে মোল্লাদের ফাকি দিয়ে তাকে গোপনে ঐ স্থানে কবর দেওয়া হয়েছিল এবং আপনার তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায় ।

তিনি কোন উত্তর দিতে না পেরে আমার মন্তব্য গুলো ডিলিট করে দেন ।
তিনি মোল্লার সমালোচনাকে ইসলামের সমালোচনা কেন মনে করেন এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন নি ।
এই হোল তথাকথিত ইসলাম প্রেমিদের অবস্থা । এই সব লোকের কারনে ইসলাম ধর্ম আজ বিব্রত পরিস্থিতির সন্মুখিন হচ্ছে ।
ব্যপার গুলো খুবই দু:খজনক ।

২| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:১০

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ দিচ্ছি বিষয়টি নিয়ে লেখার জন্য।
ফ্যাক্ট হিসেবে আপনি গাছ, নদী, ইট ইত্যাদির উদাহরণ দিতে পারেন।
থিওরি বা তত্ত্ব কিন্তু অনুমান বা ধারণাই যা বারবার পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে গড়ে উঠে।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪২

এ আর ১৫ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ,

থিওরি বা তত্ত্ব কিন্তু অনুমান বা ধারণাই যা বারবার পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে গড়ে উঠে।
----- আপনার এই কথার সাথে ১০০ ভাগ একমত । ডারউইনের তত্ত্ব বর্তমানে সবচেয়ে বেশি গ্রহন যোগ্য তত্ত্ব । কোন তত্ত্ব ভুল প্রমাণ করতে হোলে অবশ্যই আরেকটি প্রমাণ যোগ্য তত্ত্ব লাগবে । যারা দাবি করে এই তত্ত্ব ভুল , তাদের অবশ্যই আরেকটি তত্ত্ব দিয়ে সেটা প্রমাণ করতে হবে যে ডারউইন তত্ত্ব ভুল এবং প্রমাণ করতে পারলে আমরা অবশ্যই নতূন তত্ত্ব গ্রহন করবো ।

যতক্ষণ তারা নতূণ কোন তত্ত্ব পেশ করতে না পারবে ততক্ষণ ডারউইনের তত্ত্বই সঠিক হয়ে থাকবে ।

৩| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



সঠিক।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১০

এ আর ১৫ বলেছেন: আপনি সঠিক সময়ে সঠিক কথা বলেন এবং এর জন্য আপনার সুখ্যাতি ব্লগ জুড়ে । এই ব্লগে আপনাকে অনেকে পছন্দ করে না কিন্তু তারা আপনাকে কখনো থামাতে পারে না বা যুক্তি দিয়ে হারাতে পারে না । ঠোট কাটা হিসাবে আপনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন অনেক আগে ।
ধন্যবাদ

৪| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৩২

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: জটিল বিষয়টাকে সহজ ভাষায় উপস্থাপন করেছেন।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৩৩

এ আর ১৫ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

৫| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:১৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অথচ ৪৯ বছর জীবনভর শুনে আসছি বানর বিবর্তিত হয়ে মানুষের রুপ নিয়েছে।

আসলেই জানার কোন সেশ নাই।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৩৪

এ আর ১৫ বলেছেন: এখনো মুর্খ মোল্লারা ভুল তথ্যটা প্রচার করে চলেছে ।

৬| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৬

বিজন রয় বলেছেন: ওরা আপনার এসব বিশ্বাস করে না। কারণ ওরা বিবর্তিত হতে পারে না।
তাই ওরা অনগ্রসর।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৩৬

এ আর ১৫ বলেছেন: ওদেরকে যদি জিঙ্গাসা করা হয় বিবর্তন ছাড়া কি করে ৯০ ফুট লম্বা মানুষ ৫/৬ ফুট লম্বা হোল , তার কোন জবাব তারা দিতে পারে না ।

৭| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: আমি বিজ্ঞানের সাথে আছি।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৩৭

এ আর ১৫ বলেছেন: আপনি সঠিক পথে আছেন

৮| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৯

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: আমি বিশ্বাস করি যে, মানুষ কোনও বিবর্তন নয় সরাসরি মানুষকে আল্লাহু পৃথিবীতে পেরিত করেছেন।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৩৮

এ আর ১৫ বলেছেন: ভাই এটা প্রমাণ করতে পারলে, বিজ্ঞানিরা সহ সকল মানুষ মেনে নিবে এবং আপনি যদি প্রমাণ করতে পারেন তাহোলে এখনই নোবেল পুরুষ্কার পাবেন

৯| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:০৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মানুষ পৃথিবীর অন্যান্ন প্রানীদের মত একটি স্তন্যপায়ী প্রাণী।
এইটুকুন বুঝলে আর কিছু বুঝানো লাগে না।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৩৯

এ আর ১৫ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

১০| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ২:৪০

অনল চৌধুরী বলেছেন: পৃথিবীর প্রতিটি প্রাণী এবং বস্ত বিবর্তিত হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে।
বিবর্তনবাদ যে কতোটা সত্য, তার প্রমাণ পাওয়া যায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষের আচরণ, মানসিকতা আর অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করলে।
এ্যামেরিকা-রাশিয়া এমনকি চীনের মানুষের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনো কয়েক হাজার বছর পিছিয়ে আছে।ওরা মহাশূন্যে যান পায়, আর এখানে চাদে রাজাকার সাঈদীকে দেখা যায় !!!!
তবে ডারইউনের চেয়েও বড় একজন বিজ্ঞানী আছে, তার নাম টিভির চাপাবাজ জোকার নায়ক !!!
যে মনে করে ডারউইন ভুল আর এই জোকার সঠিক !!!!!
*** প্রথমটা বাদ দেবেন।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৪০

এ আর ১৫ বলেছেন: আমি একমত আপনার বক্তব্যের সাথে । আমি আগের কমেন্ট ডিলিট করে দিয়েছি । ধন্যবাদ

১১| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:৫৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
খুবই সুন্দর লিখেছেন।
ভালো লেগেছে।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৪১

এ আর ১৫ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই, ভালো থাকবেন ।

১২| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৩০

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: ডারউইন সম্পর্কে কুসংস্কারাচ্ছন্ন পাকিস্তানিদের মনভাবের উপর পাকিস্তানের পদার্থবিদ পারভেজ হুদাবয়ের একটি আর্টিকেল আছে ডন পত্রিকায়।

করোনা - ডারউইনের প্রতি আমাদের ঋণ

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৪৬

এ আর ১৫ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ , ভালো একটা গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল শেয়ার করেছেন ,অনেক বিষয়ে সুন্দর ভাবে আলোচনা করা হয়েছে ঐ আর্টিকেলে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.