![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইতিহাস আশ্রিত উপন্যাস পড়ার মজাই আলাদা। ঐতিহাসিক সব চরিত্রের সাথে পরিচয়ের সুযোগ ঘটে। এই উপন্যসাটিও সেরকম। উপন্যাসের প্রেক্ষাপট ১৮৯০ থেকে ১৯১০ সালের ভারতবর্ষ (যদিও চরিত্রগুলো সব ঘুরেফিরে কলকাতাতেই ঘোরাফেরা করেছে)। ঐতিহাসিক চরিত্রের মাঝে আছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জগদীশচন্দ্র বসু, স্বামী বিবেকানন্দ প্রমুখ।
...
ব্রিটিশরা যে কিভাবে এই ভারতবর্ষকে চুষে খেয়েছে, সেটা এই বই পড়ার পর আরও বেশি করে অনুভব করতে পারছি। ওরা শিক্ষাব্যবস্থা এমনভাবে এমনভাবে সৃষ্টি করেছিল, যাতে পাশ করে সবাই প্রজাতন্ত্রের চাকর হওয়ার জন্য উঠেপড়ে লাগবে। কেরানী তৈরির প্রসেস ছিল সেই শিক্ষাব্যবস্থা।( সৌভাগ্যের কথা, ভারত শিক্ষাব্যবস্থার সেই ত্রুটি কাটিয়ে উঠতে পেরেছে। দুঃখের কথা, বাংলাদেশ পারেনি।)
...
অনেকে বলবে, তবুও তো তারা শিক্ষা ব্যবস্থা শুরু করেছিল। ব্রিটিশরা অনেক কিছু খারাপ করেছে, কিন্তু তাদের কিছু কিছু ভাল দিকও ছিল। সভ্যতার অনেক কিছুর সাথে ব্রিটিশরাই ভারতবাসীদেরকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল।
আমার কথা হচ্ছে, কিছু ভাল কাজ তারা করেছে। অস্বীকার করছি না। তবে বেশির ভাগ ভাল কাজই শাসন-কাজে সহায়তা পাওয়ার জন্যই করা হয়েছে। ভারতবাসীকে সেবা-দানের মতো মহৎ উদ্দেশ্য তাদের ছিল না। তারা ছিল শাসক গোষ্ঠী। শাসনের সুবিধা হয়, বা নিজেদের সভ্যতার শৌর্য বীর্য দেখানো যায় এমন কাজই তারা আগ্রহ নিয়ে করেছে।
আবার অনেকে বলতে পারে,
হিন্দু সমাজের যে কুসংস্কার ছিল সেগুলো দূর করতে সহায়তা করছে তারা।
হ্যাঁ। কিছু ভাল কাজ করেছিল। সেটা অস্বীকার করছি না। তবে মোটের ওপর খারাপ কাজটাই বেশি। হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে বিভেদ সৃষ্টি করা হয়েছিল, যার ফলে জন্ম এই ভারত-পাকিস্তানের। ধর্মে ধর্মে বিভেদ সৃষ্টি করে, আবার ধর্মের কুসংস্কার নিধনে আইন প্রয়োগ করে। বিচিত্র ধরনের কর্মকান্ডে নিজেদের ব্যস্ত রেখেছিল এই ব্রিটিশরা।
...
আর একটা ব্যপার ভুলে গেলে চলবে না, ওরা এই অঞ্চলে এসেছিল ব্যবসা করার জন্য, কারণ এই অঞ্চল ছিল দারুণ সমৃদ্ধ। ভারতবাসীদের সভ্য করার মহান লক্ষ্য তাদের কোনো কালেই ছিল না। যদিও ওরা মুখে এই কথা বলে, তবে ওসব স্রেফ বাগাড়ম্বর।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:০০
আরিফুজ্জামান১৯৮৭ বলেছেন: আপনাকে বই পড়তে উৎসাহিত করতে পারায় আমি আনন্দিত।
২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫২
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: I love books
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:০২
আরিফুজ্জামান১৯৮৭ বলেছেন: আমিও
৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৯
ঢাবিয়ান বলেছেন: সরি এটা কোন অবস্থাতেই সুনীলের ''প্রথম আলোর'' রিভিউ নয়।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:০১
আরিফুজ্জামান১৯৮৭ বলেছেন: এটাকে তাহলে পাঠ প্রতিক্রিয়া বা বইটা পড়ার পর মনের অনুভূতির প্রকাশ বলতে পারেন।
৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: সুনীল আমার প্রিয় লেখক।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:০৫
আরিফুজ্জামান১৯৮৭ বলেছেন: সুনীলের লেখা আমার কাছেও ভাল লাগে
৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০২
কে ত ন বলেছেন: ইংরেজদের ছোঁয়ায় ভারতবাসী মোটেও সভ্য হয়নি, বরং ক্রমশ অসভ্যতার সীমা অতিক্রম করেছে। সুলতানী আমল যদি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পর্যন্ত টিকে যেত, তবে অবশ্যই আমরা তুরস্ক বা ইউরোপের মত উন্নত জাতিতে পরিণত হতাম। সুলতানরা অত্যাচার করেছে, কিন্তু লুটপাট করেনি। ইংরেজরা এসে এসে প্রথমেই যা পেয়েছে লুটে নিয়েছে। তাদের লুট করা মাল লুটতে গিয়ে পর্তুগীজেরা জলদস্যু হয়েছে।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:০৪
আরিফুজ্জামান১৯৮৭ বলেছেন: ভালো বলেছেন
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৫
নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: আপনার রিভিউ পড়ে আবার বইটি পড়তে ইচ্ছে করছে ।