![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঘোস্ট ফায়ার উপন্যাসের প্রথম অংশের অনুবাদ এই লিংকে গেলে পড়তে পারবেন। Click This Link
আজ দিচ্ছি দ্বিতীয় পর্ব। আশা করছি, ধারাবাহিকভাবে পুরো অনুবাদ প্রকাশ করতে পারব।
.
মিস্টার মেরিডিউ তার লোকদেরকে আদেশ দিলেন, "ধরো ওকে!"
থিও তখন ঝোপ-ঝাড়ের মাঝ দিয়ে হাঁচড়ে পাচড়ে দৌড়াচ্ছে। কাঁটার খোঁচা লেগে ওর হাতের বিভিন্ন জায়গা কেটে গেছে। পায়ের তলার মাটিটা ওর কাছে ভীষণ শক্ত ঠেকছে। এই শক্ত মাটিতে দৌড়ানোর সময় প্রবল ঝাঁকুনির কারণে ওর আহত গোড়ালিতে ভীষণ চাপ পড়ছে। সে শুনতে পেল ওর পেছনে কয়েকজন মানুষের দৌড়ানোর পদধ্বনি। ওরা ওকে ধরার জন্য এগিয়ে আসছে। ওই আওয়াজ কানে আসতেই, থিও আরও দ্বিগুণ উদ্যমে দৌড়ে পালানোর প্রচেষ্টা গ্রহণ করল। সে দেয়ালের কাছে গিয়ে নিজের দেহকে টেনে এটার ওপরে পৌঁছানোর চেষ্টা করল।
কিন্তু সমস্যা হচ্ছে দেয়ালটা অনেক উঁচু। থিও পায়ের ডগার ওপরে ভর দিয়ে নিজের শরীরটিকে ওপরের দিকে প্রসারিত করতে চাইল। ওর পায়ের গোড়ালির মাঝ দিয়ে যেই তীব্র যন্ত্রণা বয়ে যাচ্ছে সেটা সহ্য করার জন্য দাঁতে দাঁত চাপতে হচ্ছে ওকে। প্রহরীরা তখন দ্রুতগতিতে ওর কাছাকাছি হচ্ছে। ওরা ওদের হাতে লণ্ঠন ধরে রেখেছে। সেই লণ্ঠন থেকে যেই আলো নিক্ষিপ্ত হচ্ছে, তার কারণে গোলাপের ঝাড়ের মাঝ দিয়ে আলো-ছায়ার বিচিত্র একটা খেলা ফুটে উঠছে চোখের সামনে।
থিও ওর আঙুল দিয়ে দেয়ালের গায়ে আঁচড় কাটতে লাগল, চেষ্টা করছে দেয়ালের ওপরে চড়তে। কিন্তু সে সফল হল না। সে চাইল লাফ দিয়ে দেয়ালের ওপরে চড়ে বসতে, কিন্তু ওর পা এই চাপ নিতে অসম্মতি জানাল। থিও শুনতে পেল, গোলাপের ঝাড় পা দিয়ে মাড়ার খসখসানির শব্দ ক্রমেই বাড়ছে। প্রহরীরা আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে ছুটে আসছে ওর দিকে। থিও নিজের ওপরে জোরপ্রয়োগ করল, এই ব্যথাকে পাত্তা দেয়া যাবে না। আবারও লাফ দিল থিও। ওর গোড়ালির হাড়ে এমন যন্ত্রণা অনুভূত হল যেন এটা কট করে ভেঙ্গে গিয়েছে... কিন্তু সুখবর হচ্ছে থিও দেয়ালে চড়তে সক্ষম হল। সে নিজেকে জোরালোভাবে টেনে দেয়ালের ওপরে উঠাল।
কিন্তু কয়েকটা শক্তিশালী হাত ওর পা-জোড়াকে খপ করে ধরে ফেলল এবং চেষ্টা করল ওকে টেনে নিচে নামিয়ে আনতে। থিও নিজেকে ছুটিয়ে আনার জন্য লড়াই করল, জোরালোভাবে হাত-পা ছুড়ছে। ওর জুতার সাথে নরম কিছু একটার সংযোগ হল, এবং এরপরেই সে শুনতে পেল ভীষণ যন্ত্রণায় কাতরে উঠার ঘোতঘোতানি শব্দ।
ওরা থিওকে জোর করে দেয়ালের ওপর থেকে সরিয়ে আনল। কাজটা করতে খুব জোর খাটাতে হল ওদেরকে। প্রহরীর ওপরে আছড়ে পড়ল থিওর দেহ। কিন্তু সে উঠে দৌড়ানোর আগেই, প্রহরীদের একজন শক্ত মুঠিতে ধরে ফেলল ওকে।
ওরা ওকে টানতে টানতে বাগানে নিয়ে এল, ওর চেহারায় লণ্ঠনের আলো ফেলছে। একজনের মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল। থিও পা দিয়ে লাথি মেরেছিল ওখানটায়।
"থিওডোর কোর্টনি," মেরিডিউ এমন একটা কণ্ঠস্বরে কথাগুলো উচ্চারণ করল, যা বহন করছে পূর্ব ভারতে ব্যবসারত ইউনাইটেড কোম্পানি অফ মার্চেন্টস ট্রেডিং-এর একজন ব্যবসায়ীর পুর্ণ ব্যক্তিত্ব এবং গাম্ভীর্য। "দেখা যাক তোমার বাবা এটা শোনার পরে কী করে।"
***
মেরিডিউ যখন থিওর বাসার দরজার কাছাকাছি হল, মনসুর এবং ভেরিটি কোর্টনি তখন তাদের বৈঠকখানায় বসে দাবা খেলছে। মনসুর কোর্টনির বাসাটা মিস্টার মেরিডিউ-এর বাসা থেকে সামান্য দূরত্বে অবস্থিত। ওদের সাথে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সম্পর্কটা তেমন মধুর না। এবং মনসুর চায় না সেন্ট জর্জ দুর্গের দেয়ালের খুব কাছাকাছি থাকতে।
দরজার গায়ে তখন রাগান্বিত ভঙ্গিতে কেউ একজন ক্রমাগত টোকা দিয়ে যাচ্ছে। মনসুর ভ্রু উচিয়ে সেদিকে তাকাল। "এই সময়ে আবার কে জ্বালাতন করতে এল?"
"আমি ভেবেছিলাম সোসাইটির সবাই আজকে মিস্টার মেরিডিউ-এর ওই পার্টিতে আমন্ত্রিত।" ভেরিটি ওর ঘোড়াকে নাড়িয়ে ওর স্বামীর হাতিকে দাবার বোর্ড থেক তুলে নিল।
উজ্জ্বল লাল-রঙা পাগড়ি পরিহিত একজন দীর্ঘদেহী শিখ প্রবেশ করল রুমের ভেতর। ওর নাম হচ্ছে হারজিন্দর। মনসুরের গার্ড এবং সবচেয়ে বলিষ্ঠদেহী ভৃত্য। কন্সট্যান্সের জন্মের সময় থেকেই সে ওদের পরিবারের হয়ে কাজ করে আসছে।
"থিও সাহেব ফিরে এসেছেন," সে ঘোষণা করল।
মনসুর উঠে দাঁড়াল। "ও যে বাইরে গেছে সেটাই তো আমার জানা ছিল না।"
থিও তখন দরজার কাছেই দাঁড়ানো, দুই পাশ থেকে দুজন সেপাই ঘিরে রেখেছে ওকে। ওদের পাশেই মনসুরের জন্য অপেক্ষা করছিলেন মিস্টার মেরিডিউ, প্রচণ্ড রাগে তার চেহারা লাল হয়ে আছে। ভারতীয় এবং ইংরেজদের বড়সড় একটা দল তাদের পেছনে ভিড় করে দাঁড়িয়ে আছে।
"এই সময়ে এত জন সাক্ষাৎপ্রার্থী আমার কাছে আসার কারণটা কী?" মনসুর শান্ত ভঙ্গিতে বলল।
"সে বিনা অনুমতিতে আমার বাগানে প্রবেশ করে, আমার বাড়ির ছাদে ওঠে এবং একটা প্রাইভেট পার্টিতে বিঘ্ন সৃষ্টি করে। এই পার্টিটি আমি মাদ্রাজের সবচেয়ে খ্যাতিমান ব্যবসায়ীদেরকে বিনোদন দেয়ার জন্য আয়োজন করেছিলাম।" মেরিডিউ বলল।
মনসুর ওর কথাগুলো বিবেচনা করে দেখল। "আমি যদি বলতে পারতাম আমার ছেলে এরকম কাজ করতেই পারে না, তাহলে খুব ভাল হত।"
"আর এই প্রাইভেট পার্টিটি আসলে ঠিক কেমন টাইপের পার্টি ছিল? এবং সেখানে ঠিক কী রকম বিনোদন দেয়া হচ্ছিল?" ভেরিটি জিজ্ঞেস করল। সে তখন তার স্বামীর পেছনেই দাঁড়ানো, ওর কাঁধের ওপরে মুখ বাড়িয়ে উঁকি দিচ্ছে।
মেরিডিউ-এর চেহারা ভয়ে ফ্যাকাশে হয়ে গেল। "একজন সম্মানিত লেডির সামনে এটা নিয়ে কথা না বললেই ভালো হয়।"
"কিন্তু আমাকে যদি আমার সন্তানকে শাস্তি দিতেই হয়, আমাকে অবশ্যই ওর অপরাধের ধরণ সম্পর্কে জানতে হবে।"
মেরিডিউ মরিয়া ভঙ্গিতে মনসুরের চোখের দিকে তাকাল। "যদি আপনি আর আমি এই বিষয়টা নিয়ে গোপনে আলোচনা করতে পারি... মানে একজন পুরুষ এবং আরেকজন পুরুষের মধ্যে আলাপ আরকি..."
"আমার স্বামী আর আমার মধ্যে কোনো গোপণীয়তা নেই," ভেরিটি বলল।
ভেরিটি মেরিডিউ-এর দিকে এমন তীক্ষ্ম একটা দৃষ্টি নিক্ষেপ করল যে মেরিডিউ আর কথা বাড়ানোর সাহস করল না। মেরিডিউ অন্যদিকে চোখ ফিরিয়ে নিল।
"আমি নিশ্চিত আপনার ওই পার্টি আয়োজনের পেছনে প্রচুর টাকা খরচ হয়েছে," মনসুর যোগ করল। "যদি আগামীকাল সকালে আমার অফিসে লোক পাঠিয়ে দেন, আমি দেখব আপনাকে যেন যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়।"
মেরিডিউ এই প্রস্তাবটা মেনে নিল। বুঝতে পারছে যে এটা আসলে ঘুষের প্রস্তাব। "কিছু মনে করবেন না, তবে আপনার উচিত আপনার বাচ্চাদেরকে ভালোমতো শাসনে রাখা।" মেরিডিউ বলল।
"আমি আপনাকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি এমনটা আর হবে না?" ভেরিটি বলল। সে থিওর দিকে তীব্র একটা দৃষ্টি নিক্ষেপ করল। "হবে কি?"
"না, মা। হবে না।"
"তুমি কী ভেবেছিলে?" মেরিডিউকে বিদায় দিয়ে দরজা বন্ধ করতেই মনসুর উচু গলায় থিওর উদ্দেশ্যে বলল। "এমন হাস্যকর একটা কাণ্ড করার আইডিয়া তুমি পেলে কোথা থেকে?"
সত্যিটা হচ্ছে, ওই নর্তকীদের ব্যাপারে কন্সট্যান্সই প্রথম শুনেছিল, এবং কন্সট্যান্সের আগ্রহের কারণেই ও বাধ্য হয়েছিল ওই বাড়ির জানালায় গিয়ে উঁকি দিতে। কিন্তু থিও ওকে ফাঁসিয়ে দিতে পারবে না। এখনও একটা সুযোগ রয়ে গেছে যে, ওই মেয়েটা হয়তো সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে ওখান থেকে পালিয়ে গেছে।
"আমি শুনেছিলাম কয়েকটা ছেলে এটা নিয়ে কথা বলছে," সে মিথ্যা বলল। "আ-আমি চাইছিলাম ওই বাঈজী মেয়েদেরকে দেখতে।"
মনসুর এবং ভেরিটি বুঝদার অভিভাবকের দৃষ্টিতে পরস্পরের দিকে তাকালেন।
"আমি বুঝি তোমার বয়সি একটা ছেলের এই সব ব্যাপারে কিছুটা কৌতূহল থাকবেই," মনসুর বিব্রত হওয়ার ভঙ্গিতে বলল। "কিন্তু তুমি এভাবে আমাদেরকে মানুষের সামনে বেইজ্জতি করতে পারো না। জানোই তো, আমাদের পরিবার এখানে অতটা সুরক্ষিত না। কোম্পানির লোকদের সাথে শত্রুতা করার মতো অবস্থায় নেই আমরা।"
থিও ওর গালটা উদ্ধত ভঙ্গিতে উঁচিয়ে ধরল। "এই ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে আমি একবারে এক পয়সাও দাম দেই না।"
"নিজের রুমে যাও, থিও।"
থিও তর্ক করতে চাইল... কিন্তু বাবার কঠোর চেহারার দিকে তাকিয়ে ওই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এল সে। বাবার কাছ থেকে সরে গেল ও, সিড়ির ধাপে পা ঠুকে ঠুকে ওপরতলায় নিজের ঘরে যাচ্ছে।
মনসুর ভেরিটির দিকে ঘুরে দীর্ঘশ্বাস ফেলল। "সে একজন বাড়ন্ত দেহের কমবয়সি তরুণ, এবং একজন কমবয়সি তরুণের যেসব যেসব কামনা-বাসনা থাকার কথা, সেটাই প্রকাশ পাচ্ছে ওর আচরণে।" মনসুর থিওর ব্যাপারে তার মতামত দিল। "ও যে এমন সব জিনিস দেখতে চাইবে এতে তাই অবাক হওয়ার কিছু নেই।"
"কিন্তু এটা করা ওর ঠিক হয়নি," ভেরিটির কণ্ঠস্বর তীক্ষ্ম। "আর কিছুদিন পরেই কন্সট্যান্সের একজন স্বামীর দরকার হবে। এবং সবাই যদি বলাবলি করে যে ওর ভাই ছাদের ওপরে উঠে নেটিভ মেয়েদের দিকে লোলুপ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে, কোনো ভদ্র পরিবারের পুরুষ কন্সট্যান্সের সাথে বিয়ের সম্বন্ধ করতে রাজি হবে না।"
মনসুর দেঁতো হাসি হাসল। "প্রিয়তমা ভেরিটি, নিঃসন্দেহে, তুমি কখনই একজন কলঙ্কজনক পুরুষকে বিয়ে করার স্বপ্ন দেখতে না। আমি জানি, এসব ব্যাপার আবার তুমি একেবারেই সমর্থন করো না, কাজিন।"
ভেরিটি ক্রুদ্ধ চোখে মনসুরের দিকে তাকাল। সে আর মনসুর ছিল পরস্পরের কাজিন, চাচাতো ভাই-বোন যাকে বলে আরকী। কিন্তু ছোটবেলা থেকেই ওরা পরস্পরের অস্তিত্ব সম্পর্কে ছিল একেবারে অজ্ঞ। ওদের বাবা, দুই ভাই ডোরিয়ান কোর্টনি এবং গাই কোর্টনি। এই দুই ভাইয়ের সম্পর্ক ছিল, যাকে বলে একদম দা-কুমড়ো।
ভেরিটির সাথে কিভাবে প্রথম দেখা হয় সেটা মনসুরের আজও মনে পড়ে। ভেরিটি তখন ওর বাবার জাহাজের ডেকের ওপরে দাঁড়িয়েছিল। আর মনসুর টেলিস্কোপের মাঝ দিয়ে ভেরিটির বাবার জাহাজের ওপরে স্পাইগিরি করছিল। সেবারই সে ভেরিটিকে প্রথমবারের মতো দেখে এবং প্রথমবারের দেখাতেই সে ভেরিটির প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিল।
"আমি নিজের আচরণে চূড়ান্ত শালীনতার পরিচয় দিয়েছিলাম," ভেরিটি বলল।
"সেদিন সমুদ্রে যুদ্ধ চলছিল। তুমি লাফ দিয়ে উঠে এসেছিলে আমার জাহাজে। তোমার বাবা চাইছিলেন তোমাকে ঠেকিয়ে রাখতে, তোমাকে রুখতে গিয়ে তিনি তোমার ব্লাউজ টেনে ধরেছিলেন। তুমি যখন আমার জাহাজে আসো, তখনও তোমার ছেঁড়া ব্লাউজের একটা অংশ তার হাতের মুঠিতে ধরে রাখা। তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিলেন তোমাকে আমার কাছ থেকে দূরে রাখতে।" মনসুর উত্তর দিল।
ভেরিটির বাবার নাম হচ্ছে গাই কোর্টনি। তাকে পিশাচ বললে পিশাচকেও অপমান করা হয়। তিনি তার মেয়েকে নিষ্ঠুরভাবে প্রহার করেন এবং যাচ্ছেতাই ভাষায় গালাগাল করেন। পরে, তিনি পুরো কোর্টনি পরিবারকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেন। যখন তিনি মনসুরের দুগ্ধপোষ্য কাজিন জিমের গলায় ছুরি চেপে ধরেন, তখন মনসুরের খালা সারাহ গুলি করে গাই কোর্টনিকে মেরে ফেলেন।
"আমি ভাবছি সারাহ এবং টমের এখন কী অবস্থা?" ভেরিটি আনমনা ভঙ্গিতে বলল।
মনসুর ওর হুক্কা পাইপ টানতে লাগল, ভেরিটির কথার কোনো প্রত্যুত্তর দিল না। সে চিন্তা করছে টম এবং সারাহ, তাদের ছেলে জিম এবং নাতি জর্জকে নিয়ে। ওদের কথা চিন্তা করতে গেলে ওর মনে পুরনো কিছু ক্ষত আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চায়। তাই মনসুর এমনিতে এসব স্মৃতি নিয়ে নাড়াচাড়া করতে চায় না। কে চায় পুরনো ব্যথা নতুন করে ফিরিয়ে আনতে।
ভেরিটি যেন মনসুরের চেহারা দেখে তার মনের অবস্থা বুঝে ফেলল। সে চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়াল। "আমি গিয়ে দেখে আসি কন্সট্যান্স ঠিক আছে কিনা। আশা করি বাইরের গোলমাল এবং আজ সন্ধ্যায় থিওর নির্বুদ্ধিতার কারণে ওর মানসিক শান্তিভঙ্গ হয়নি।"
কিন্তু ভেরিটি যখন কন্সট্যান্সের দরজা খুললেন, তিনি দেখতে পেলেন সবকিছু একদম ঠিকঠাক অবস্থায় আছে। তার মেয়ে শুয়ে আছে নিজের বিছানায়, ওর সোনালি চুলগুলো ছড়িয়ে আছে বালিশের ওপরে। ধীরে ধীরে নিঃশ্বাস নিচ্ছে আর ছাড়ছে। গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে আছে সে।
***
পরের দিন, মনসুর গভর্নরের কাছ থেকে একটি নিমন্ত্রণপত্র পেলেন। তাকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একটা মিটিং-এ হাজির থাকতে হবে। ওই মিটিং কী নিয়ে তার কোনো ব্যাখ্যা এই নিমন্ত্রণপত্রে নেই। এবং এমনকি একটা রৌপ্য মুদ্রা দেয়ার প্রস্তাব দেয়ার পরেও যেই ভৃত্য এই নিমন্ত্রণপত্রটি নিয়ে এসেছিল তার কাছ থেকে আর কোনো তথ্য পাওয়া গেল না।
২| ১০ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: গোষ্ট ফায়ার কি মুভি হয়েছিলো? মুভি দেখেছি বলে মনে হচ্ছে।
পোষ্টে ছবি নিচে নয় উপরে দিবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:৩৮
নেওয়াজ আলি বলেছেন: পরিপাটি লেখা । শুভ কামনা।