নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আরিফুজ্জামান১৯৮৭

আরিফুজ্জামান১৯৮৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের "মন"-এর অভ্যন্তরে যেই পশুটা বাস করে, সেটা কি "গরু"?

১৫ ই জুন, ২০২০ ভোর ৫:১৫

ইসলাম নাকি শান্তির ধর্ম। (এই ব্যাপারে আমার সন্দেহ আছে।)
.
কোরবানি সময় একটা গরুর পায়ে রশি বেঁধে গরুটাকে যখন হ্যাঁচকা টানে মাটিতে ফেলে দেয়া হয়, তারপরে চকচকে, ধারালো "দা" দিয়ে গরুটার গলা যেভাবে ফাঁক করে দেয়া হয়। গলা দিয়ে যেভাবে ফিনকি-ফিনকি রক্ত বের হয়... গরুটা যখন মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকে... গরুটার গলার পাশে ধীরে ধীরে রক্তের পুকুর তৈরি হতে থাকে।
একটা পর্যায়ে গরুটার শরীর নিস্তেজ হয়ে যায়। প্রাণ-বায়ু বের হয়ে যায় প্রাণীটার দেহ থেকে। মানুষ এরপরে গরুর গায়ের চামড়া ধীরে ধীরে খুবলে খুবলে নিতে থাকে। এক পর্যায়ে গরুটির গায়ের চামড়া খোলা হয়ে যায়। এরপরে মানুষেরা গরুর অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের দিকে হাত বাড়ায়। গরুর শরীরের অভ্যন্তরে থাকা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো একে একে খুলে নেয়া হতে থাকে।
কিছুই বাদ দেয়া হয় না। মাংসগুলো পিস-পিস করে কাটা হয়।
.
এই যে পুরো প্রক্রিয়াটা... এটা দেখে আমার কাছে এনিম্যাল প্ল্যানেট-এ দেখানো সিংহের গরু-শিকারের কথা মনে পড়ে যায়। শিকারের পরে দেখা যায়, এক পাল সিংহ গরুটির দেহকে খুবলে খুবলে খাচ্ছে। কোরবানির ঈদে আমি এখানে "একপাল" হিংস্র সিংহের জায়গায় "একপাল" হিংস্র মানুষকে দেখতে পাই। যারা ধীরে ধীরে একটা নিরীহ প্রানীর দেহকে সাবাড় করে দিচ্ছে।
.
ইসলাম নাকি শান্তির ধর্ম। মুসলমানদের ধর্মগ্রন্থে বলা হয়েছে... জীবে দয়া কর। আবার, অন্য দিকে কোরবানির মাধ্যমে পশু হত্যাকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এই কন্ট্র্যাডিকশন কেন?
.
বলা হচ্ছে, কোরবানির মাধ্যমে আমরা নাকি আমাদের মনের পশুকে "কোরবানি" করি। তো, তাহলে আমাদের "মন"-এর অভ্যন্তরে যেই পশুটা বাস করে, সেটা কি "গরু"?

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুন, ২০২০ ভোর ৬:১৯

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আমি কয়েক বার কোরান পড়েছি কিন্ত কোথাও দেখিনাই ইসলাম শান্তির ধর্ম।যদি কেহ দেখে থাকেন জানাবেন,হাদিস থেকে না।

২| ১৫ ই জুন, ২০২০ ভোর ৬:৫০

সুপারডুপার বলেছেন:



ইসলামের গল্প অনুসারে, হাবিল প্রথম আল্লাহর জন্য পশু কুুরবানী করেন এবং তা আকাশ থেকে আগুন নেমে এসে আল্লাহর পক্ষে থেকে সেই কুরবানী গ্রহণযোগ্য হয়। এর পরে আল্লাহ ইব্রাহিম (আ ) এর কাছে থেকে পশু না , উনার ছেলে ইসমাঈল (আ ) বা মানুষ কোরবানী চান। কিন্ত না শেষ খেলায় , মানুষের পরিবর্তে অলৌকিক ভাবে পশু কোরবানি হয়ে যায়। মানে আল্লাহ পাক ইব্রাহিম (আ) এর সাথে একটা গেম খেলেন।

তাই কি আর করবেন আল্লার ইছা বলে কথা। আল্লার সৃষ্টি আল্লা যে ভাবে মারতে চান সেই ভাবেই তো হবে। আর আল্লাহ্পাক আমাদের যে নির্দেশ দেন সেটাই মেনে চলতে হবে। এখানে বিবেক বুদ্ধি খাটানোর কোনো সুযোগ নাই। সবই আল্লার ইচ্ছা!

এছাড়াও ভাগ্য ভালো যে মানুষ কোরবানি হয়ে যায় নি। হয়ে গেলে তো , আল্লাহর উদ্দেশ্যে প্রতি বছর মানুষ কোরবানি দিতে হত। কাজেই পশু কোরবানি দিয়ে শুকরিয়া করেন যে , কি বাঁচার টা বেঁচে গেছে মানবজাতি!

৩| ১৫ ই জুন, ২০২০ সকাল ৭:১০

অজানা তীর্থ বলেছেন: এই ছোট্ট একটি কোরবানির দৃশ্যের দৃষ্টিতে আপনি ইসলাম ধর্মকে বিচার করবেন তাহলে বলতে হয় জনাব, আপনার জানার আগ্রহ বাড়াতে হবে। আর জনাব আপনি ইসলাম কে কি করে দেখবেন তা সম্পূর্ণ আপনার ব্যক্তিগত ব্যপার। তবে কোনো কিছুতে সন্দেহ হলে তা আগে যাচাই করুন, তা নিয়ে স্টাডি করুন। এর পর যদি আপনি বুঝতে পারেন অথবা আপনার কাছে যদি মনে হয় আপনি মানুষ কে বুঝাতে পারবেন তাহলে সেটা হয় যৌক্তিকতা। আর আপনি যা লিখেছেন তা দেখে কিছু মানুষ আপনার সহমত হবে যা আপনাকে সত্যিটা থেকে দূরে সরিয়ে রাখবে। একটি ধর্ম কোটি কোটি লোক ভক্তি করে পালন করে। কেন আপনি তাদের মনে আঘাত দিয়ে কথা বলছেন? আপনি ইসলাম কে শান্তির ধর্ম বলে আখ্যায়িত না করলে আপনি কি মনে করেন কোটি কোটি মানুষ তা মেনে নিয়ে আপনার সাথে সহমত হবে? যাই হোক ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

৪| ১৫ ই জুন, ২০২০ সকাল ৯:০২

আমি রানা বলেছেন: আচারিকতা আর ভাবার্থ এক না।

৫| ১৫ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:২০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সকাল সকাল চুলকানি...

৬| ১৫ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:২১

নয়ন বিন বাহার বলেছেন: আপনি জীবনে কোনদিন মুরগির মাংস, গরুর মাংস খেয়েছেন? না কি শুধু ঘাস খেয়েই জীবন পার করছেন?
পড়ালেখা করুন। বেশি বেশি। তারপর লিখতে আসুন।
দুয়েকটা চটি উপন্যাস পড়ে নিজেকে ব্লগার দাবী করছেন। লজ্জা!

৭| ১৫ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্মমত আজকালকার দুনিয়ায় কেউ মানে না।
সবাই তার নিজ নিজ খুশি মতো চলছে।

৮| ১৫ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:১৯

অনল চৌধুরী বলেছেন: পশু হত্যা অমানবিক মনে হলে পৃথিবীর সবাইকে নিরামিজ ভোজী হতে হবে। কিন্ত সত্য হচ্ছে বৌদ্ধরাও প্রাণী হত্যা করে আর খায়।
আর আপনি গরু কথা বলছেন,১৫/৪০ কেজির মাছকে যখন য্ন্ত্রনা দিয়ে বড়শি দিয়ে তুলে ফেলা হয়,সেকথা তো বলছেন না!!!
নিজের হাতে সুই ফুটলে কেমন লাগে একবার ভাবেন দেখি !
ধানমন্ডি জলাশয়সহ দেশের বহু জায়গার মাছ শিকার অনেকের আনন্দের বিষয়!!!
এটা কি বর্ববরতা না সভ্যতা?
নাকি মাছ শব্দ করেনা জন্য তারা প্রাণী না?
মনে হচ্ছে আপনি গোমাতা ত্ত্ত্ব প্রয়োগ করতে চাচ্ছেন।

৯| ১৫ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:৪৪

অপু মাইক্রো বলেছেন: Some people write in such a way as if they knew everything. But it is not possible. So please try to gather knowledge than express your opinion so that you can defeat someone's question. There are several ways of expressing an opinion. Try to be humble and express. Give people the opportunity to be humble to you and your writing. You may have a different opinion. Express in such a way so that people can not be rude to you and you do not hit someone's emotion. Don't be an easy fish to catch up.

১০| ১৫ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:১৪

বিজন রয় বলেছেন: পৃথিবীতে হাজার রকমের বিশ্বাস।
যেটা সঠিক সেটা টিকে আছে।

১১| ১৫ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:১৪

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: মানুষই তো পশু!

১২| ১৫ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:৫৪

গোধুলী বেলা বলেছেন: ইসলাম অবশ্যই শান্তির ধর্ম। আর জীবে দয়া করার ব্যপারেও ইসলামে স্পষ্টভাবেই বলা আছে। আর মাংস তথা আমিষের চাহিদা মেটানোর জন্য এই সকল পশুর মাংস আহার করাও ইসলামে হালাল।

আপনি যেটুকু জেনেছেন তা সঠিক নয়। ইসলাম পশুকে নয় মহান আল্লাহ কে খুশি করার জন্য একটা ইবাদত হিসেবে নির্ধারণ করেছেন।আমাদের নবীজি সাঃ এই শিক্ষাও দিয়েছেন কিভাবে একটা পশু জবাই করতে হবে। তাকে কষ্ট কম দিয়ে জবেহ করতে হবে।
জানিনা আপনি কোন ধর্মের বা নাস্তিক কিনা। তবুও বলছি জীবে দয়া করা আর জবেহ করার মধ্যে কন্ট্রাডিক্ট হয়ে আছেন। আপনাকেই বলছি জীবে দয়া অর্থ এই নয় যে তাদের খাওয়া যাবেনা। আর যদি তাই হয় তাহলে আপনি জন্মের পর থেকে আজ পর্যন্ত কিছুই খেতে পারতেন না। কেননা প্রতিটি গাছ,শাক সবজি, মাছ,ডিম দুধ কিছুই খেতে পারতেন না। আর হয়ত এই লিখাটাও লিখার সামর্থ হতনা।

যার জীবন আছে তাকেই জীব বলা হয় আর তাকে যত্ন করা,লালল পালন করা ইসলামের আদর্শ।
আপনি যেমন লক্ষ্য লক্ষ্য জীব হত্যা করেই এত বড় হয়েছেন ঠিক সকলেই তাই করছে।

মুসলাম্ন রাও এর বিপরীত নয়। তারাও ইবাদতের উদ্দেশ্য নিয়েই কুরবানি করে থাকে আর সেটা শুধুমাত্র আল্লাহ কে সন্তুষ্ট করার জন্য।

ইসলামে যেভাবে জীবের প্রতি দয়া দেখাতে বলেছে সেভাবে আপনি কখনই পারবেন না।
কন্ট্রাডিক্ট করার আগে নিজের কন্ট্রাডিক্ট দুর করেন।



১৩| ১৫ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:৪৪

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ইসলাম শান্তির ধর্ম সন্দেহ নাই। মানুষ অশান্তিকর

১৪| ১৫ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৩২

নতুন বলেছেন: আপনি যদি গরুর কোরবানী করা কস্টকর বলে ধমের এই নিয়মের বিরোধিতা করেন তবে প্রশ্ন হলো আপনি কি ভেগান কিনা ?

ভেগান হলো যারা কোন রকমের প্রানীজ জিনিস খায় না ব্যবহার করেনা।

গরু,মুরগী,মাছ সবই কিন্তু কস্ট পায় যখন মারা যায় এবং আপনি যদি এইগুলি খান তবে কোরবানী খারাপ হবে কেন?

কিন্তু শুধুই একটা দিন সৃস্টিকতার নাম করে এতো গুলি জীব হত্যা করা উচিত না। এইসব প্রানী মানুষের খাদ্য মানুষ শুধু থেকেই খেয়ে এসেছে এবং ভিগান হওয়াও অযৈক্তিক।

আমাদের আসলে বাচার জন্য খাওয়া উচিত, খাওয়ার জন্য বাচা উচিত না।

১৫| ১৫ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৪৯

রাশিয়া বলেছেন: 'মনের পশুরে কর জবাই' - এটা ইসলামের কোন অমোঘ বাণী নয়। কবি নজরুলের একটা কবিতার লাইন। আপনার ইসলাম বিষয়ক জ্ঞান ঐ কবি নজরুল পর্যন্তই। তাই কোন তর্কে যাওয়া বৃথা।

ইসলাম শান্তির ধর্ম - এটাও ঠিক নয়। ইসলাম শব্দের অর্থ শান্তি।

১৬| ১৫ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৫২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ইসলাম শব্দের অর্থ শান্তি এটা যারা বলেন তাদের জ্ঞানের গভীরতা হিস্যুর পানি জমলে যতটুকু হয় তার চেয়েও কম

ইসলামের ব্যাসিক অর্থটাই এরা জানে না।

ইসলাম শব্দের অর্থ সমর্পন (ঈশ্বরের প্রতি)

আরো অশ্চর্যের বিষয ইসলাম যেই আরবী শব্দ অর্থ থেকে সেটার উচ্চারন আসলামা। মানুষ এই ব্যাসিক না জেনেই কত বড় বড় উজির নাজির মারছে

এবং এটা হাস্যকর এবং তাদের জন্য লজ্জাকর

১৭| ১৫ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:৩৭

সোনালি কাবিন বলেছেন: সুপারডুপার বলেছেন:



ইসলামের গল্প অনুসারে, হাবিল প্রথম আল্লাহর জন্য পশু কুুরবানী করেন এবং তা আকাশ থেকে আগুন নেমে এসে আল্লাহর পক্ষে থেকে সেই কুরবানী গ্রহণযোগ্য হয়। এর পরে আল্লাহ ইব্রাহিম (আ ) এর কাছে থেকে পশু না , উনার ছেলে ইসমাঈল (আ ) বা মানুষ কোরবানী চান। কিন্ত না শেষ খেলায় , মানুষের পরিবর্তে অলৌকিক ভাবে পশু কোরবানি হয়ে যায়। মানে আল্লাহ পাক ইব্রাহিম (আ) এর সাথে একটা গেম খেলেন।

তাই কি আর করবেন আল্লার ইছা বলে কথা। আল্লার সৃষ্টি আল্লা যে ভাবে মারতে চান সেই ভাবেই তো হবে। আর আল্লাহ্পাক আমাদের যে নির্দেশ দেন সেটাই মেনে চলতে হবে। এখানে বিবেক বুদ্ধি খাটানোর কোনো সুযোগ নাই। সবই আল্লার ইচ্ছা!

এছাড়াও ভাগ্য ভালো যে মানুষ কোরবানি হয়ে যায় নি। হয়ে গেলে তো , আল্লাহর উদ্দেশ্যে প্রতি বছর মানুষ কোরবানি দিতে হত। কাজেই পশু কোরবানি দিয়ে শুকরিয়া করেন যে , কি বাঁচার টা বেঁচে গেছে মানবজাতি!

:|| B:-) :-/

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.