![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লেখার আনন্দে ছোটগল্প লিখে যাওয়া........
সন্ধ্যা মিলিয়ে গেছে। মিলন মাকে নিয়ে মগবাজারের এক গলিতে ঢুকল। মা বড় বড় করে নিঃশ্বাস নিচ্ছেন। মিলন তীক্ষ্ম দৃষ্টিতে মার দিকে তাকাল। তার মন খারাপ হয়ে গেল। মা এলোমেলোভাবে পা ফেলছেন। দীর্ঘ বাসযাত্রা তার দেহের শক্তিটুকু শুষে নিয়েছে। দিনাজপুর থেকে ঢাকায় আসা তো চাট্টিখানি কথা না। মিলন বার বার নিষেধ করেছে।
মা তোমার আসার দরকার নেই। একটা চিঠি লিখে দিলেই হবে।
মা ধমকে উঠেছেন।
চিঠির কথা আর মুখের কথা এক হল। আমি নিজে ভাইজানের সাথে কথা বলবো। তোর বিদেশ যাওয়ার ব্যাপারে একটা গতি করে তবেই ফিরবো।
মিলন অপরাধী ভঙ্গিতে ত্রিশের ডি নাম্বার বাসা খুঁজছে। এই বাসাতেই তার মামা মামী থাকে।
একটা গলির মোড় ঘুরতেই হঠৎ একগাদা পানি তাদের গায়ে এসে পড়ল। তার শার্ট এবং মার শাড়ি দুটোই ভিজে গেল। মিলন রাগে প্রায় চিৎকার করে উঠতে যাচ্ছিল। অতি কষ্টে নিজেকে সামলাল। কারণ অচেনা পরিবেশে রাতে চিৎকার করে লাভ নেই।
সে উপরের দিকে তাকাল। পাঁচতলা বাড়ির কোন এক তলা থেকে পানি ফেলা হয়েছে।
মিলন মনে মনে একটা ধাক্কা খেল। অনেকদিন আগের একটা ঘটনা মনে পড়ল।
মামা-মামী এসেছেন তাদের গ্রামে। এক সপ্তাহ বেড়াবেন! এক বিকেলে মামা ঘরে নেই। মামী গ্রামটা একটু ঘুরে দেখতে চাচ্ছেন। মিলনের উপর ভার পড়ল- মামীকে গ্রাম ঘুরিয়ে দেখানোর। মিলনকে দেখে মামীর ভ্রূ কুঁচকে গেল। বললেন, তুমি লুঙ্গি পরে আমার সাথে বের হবে। তোমরা আর সভ্য হলে না। ক্ষেতই রয়ে গেলে।
মিলন একটা ছোট্ট নিঃশ্বাস ফেলল। চোখ ধাঁধানো চাকচিক্যময় শহরের সভ্য মানুষ এরা! এদের কাণ্ডজ্ঞান এই!
সে মনে মনে বলল, ঈশ্বর, তোমাকে ধন্যবাদ। এই সভ্য মানুষগুলো আমাদের গ্রামে থাকে না। থাকলে গ্রাম শশ্মান হয়ে যেত!
২| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৪
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার লেখা। ধন্যবাদ
৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৫
আসিফ তানজির বলেছেন: good writing
৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৯
এ এস রিপন বলেছেন: আসিফ ভাইকে ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:১২
ডাঃ মারজান বলেছেন: পাঁচ তলার উপর থেকে পানি এবং ময়লা ফেলা সভ্যতার একটি অঙ্গ!!!