![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আিম আমার েদশেক ভােলাবািস
আসমান-জমীনে সবাই বলে
আজকে সবচেয়ে খুশির(ঈদের) দিন ,
এই ধরাতে তাশরীফ এনেছেন
যিনি রহ্মাতুল্লিল আ'লামিন ।।
এই প্রসংগে পবিত্র কুরআন শরীফের সুরা আল আম্বিয়া-এর ১০৭নং আয়াত শরীফে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
০ وَمَا أَرْسَلْنَاكَ إِلَّا رَحْمَةً لِّلْعَالَمِن
অর্থঃ হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি অবশ্যই আপনাকে সারা আলমের জন্য রহমত স্বরুপ পাঠিয়েছি।
আর উনাকে সৃষ্টি জগতের জন্য মুল রহমত হিসাবে সৃষ্টি করা হয়েছে।উনাকে পেয়েছি এ জন্য খুশি প্রকাশ করতে হবে।
এই প্রসংগে পবিত্র কুরআন শরীফের সুরা ইউনসু-এ ৫৮ নং আয়াত শরীফে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
قُلْ بِفَضْلِ اللَّـهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَٰلِكَ فَلْيَفْرَحُوا هُوَ خَيْرٌ مِّمَّا يَجْمَعُونَ
অর্থাৎঃ(হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি বলুন, মহান আল্লাহ পাক উনার ফযল ও রহমত (স্বয়ং হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে) পাওয়ার কারণে তোমাদের উচিত ঈদ বা খুশি প্রকাশ করা।এই খুশি প্রকাশ করাটা সেসব কিছু থেকে উত্তম, যা তারা দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য সঞ্চয় করে।”
অর্থাৎ আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যমীনে তাশরীফ মুবারক উপলক্ষে ঈদ বা খুশি প্রকাশ করা।
অর্থাৎ যেদিন মহাসম্মানিত, মহামর্যাদাবান, সুমহান, অশেষ বরকতময় ও বেমেছাল ফযীলতপূর্ণ পবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ,সেদিন পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ' আর সেদিনই হচ্ছেন প্রত্যেক ইমানদারদের সবচেয়ে সেরা খুশীর দিন ।
যা আসতে আর মাত্র ১২ দিন বাকি।
অর্থ্যাৎ ১৪ই জনুয়ারী'২০১৪ ইসায়ী সন।
মহান আল্লাহপাক আমাদের সে তাওফিক দান করুন।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৫:৪৩
েফরারী এই মনটা আমার বলেছেন: লেখক বলেছেন: হযরত ছাহাবা-ই কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা
২৪ ঘণ্টা তথা দায়িমীভাবে সারা জীবন সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
عَنْ حَضْرَتْ أُبَىّ ِ بْنِ كَعْبٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالى عَنْهُ قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنّـِىْ أُكْثِرُ الصَّلَاةَ عَلَيْكَ فَكَمْ أَجْعَلُ لَكَ مِنْ صَلَاتِىْ؟ فَقَالَ: «مَا شِئْتَ» قُلْتُ: الرُّبُعَ؟ قَالَ: «مَا شِئْتَ فَاِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَّكَ» . قُلْتُ: النّـِصْفَ؟ قَالَ: «مَا شِئْتَ فَإِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَّكَ » قُلْتُ: فَالثُّلُثَيْنِ؟ قَالَ: «مَا شِئْتَ فَإِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَّكَ » قُلْتُ: اَجْعَلُ لَكَ صَلَاتِىْ كُلَّهَا؟ قَالَ: « قَالَ « إِذًا تُكْفٰى هَمُّكَ وَيُغْفَرُ لَكَ ذَنْبُكَ.
অর্থ: “হযরত উবাই ইবনে কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! নিশ্চয়ই আমি আপনার উপর বেশি বেশি ছলাত পাঠ করতে চাই, আপনার ছানা-ছিফত মুবারক করতে চাই তথা আপনার পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করতে চাই। তাহলে আমি কী পরিমাণ সময় আপনার উপর ছলাত পাঠ করবো, আপনার ছানা-ছিফত মুবারক করবো, আপনার পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করবো? অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমি কত ঘণ্টা আপনার উপর ছলাত পাঠ করবো, আপনার ছানা-ছিফত মুবারক করবো তথা আপনার পালন করবো?
আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আপনার যতক্ষণ ইচ্ছা।
আমি বললাম, এক চতুর্থাংশ সময় তথা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৬ ঘণ্টা আপনার উপর ছলাত পাঠ করবো, আপনার ছানা-ছিফত মুবারক করবো, আপনার পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করবো?
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আপনার যতক্ষণ ইচ্ছা, আপনি করুন। তবে যদি এর চেয়ে বেশি সময় করেন, তাহলে তা আপনার জন্য উত্তম হবে।
আমি বললাম, তাহলে আমি অর্ধেক সময় তথা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১২ ঘণ্টা আপনার উপর ছলাত পাঠ করবো, আপনার ছানা-ছিফত মুবারক করবো, আপনার পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করবো?
আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আপনার যতক্ষণ ইচ্ছা, আপনি করুন। তবে যদি এর চেয়ে বেশি সময় করেন, তাহলে তা আপনার জন্য উত্তম হবে।
আমি বললাম, তাহলে আমি দুই তৃতীয়াংশ সময় তথা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৬ ঘণ্টা আপনার উপর ছলাত পাঠ করবো, আপনার ছানা-ছিফত মুবারক করবো, আপনার পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করবো? আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আপনার যতক্ষণ ইচ্ছা, আপনি করুন। তবে যদি এর চেয়ে বেশি সময় করেন, তাহলে তা আপনার জন্য উত্তম হবে।
তখন আমি বললাম, তাহলে আমি আমার সম্পূর্ণ সময় তথা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২৪ ঘণ্টাই আপনার উপর ছলাত পাঠ করবো, আপনার ছানা-ছিফত মুবারক করবো, পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করবো? তখন আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, যখন আপনি এরূপ করবেন, তখন আপনার সমস্ত নেক মাক্বছূদগুলো পূর্ণ করে দেয়া হবে এবং আপনার সমস্ত গুনাহখতাগুলো ক্ষমা করে দেয়া হবে। সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ, মুস্তাদরকে হাকিম ২/৪২১, শুয়াবুল ঈমান ৩/১৩৮, মিশকাত শরীফ, জামিউল আহাদীছ ৩২/৩৭৩, জামিউল উছূল ১১/৮৪৬৭, রিয়াদুছ ছালিহীন ১/৩৪৭ ইত্যাদি)
এই পবিত্র হাদীছ শরীফ থেকে অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো যে, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা ২৪ ঘণ্টা তথা দায়িমীভাবে সারা জীবন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উপর ছলাত পাঠ করেছেন, উনার ছানা-ছিফত মুবারক করেছেন, উনার পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৭:৩১
েফরারী এই মনটা আমার বলেছেন: বিশিষ্ট তাবেয়ী, যিনি শতাধিক সাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উনাদের সাক্ষাত লাভ করেছিলেন , ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীকত, হযরত হাসান বসরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন--
قال الحسن البصري رحمة الله عليه وددت لو كان لي مثل جبل احد ذهبافانفقته علي قراءة مولد النبي صلي الله عليه و سلم
অর্থ : আমার একান্ত ইচ্ছা হয় যে, আমার যদি উহুদ পাহাড় পরিমান স্বর্ণ থাকতো তাহলে আল্লাহ পাক উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মীলাদ শরীফ পাঠ উপলক্ষে ব্যয় করতাম !"
সুবহানাল্লাহ্ !!
দলীল-
আন নি'মাতুল কুবরা আলাল আলাম ফী মাওলিদি সাইয়্যিদি উলদি আদম- ৮ পৃষ্ঠা !
২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:২৩
পথ হারা নাবিক বলেছেন: কিরে দেওয়ান মাগীর পালা কুকুর!! আর কতো আমাদের মহানবীকে নিয়ে মজা করবি!! মুসলমানদের ২ টা ঈদ তোর দেওয়ান মাগী আমার এইটা কোন ঈদ আনলো রে!! ব্লক কইরা কোনো লাভ নাই!! একবার ব্লক কইরা কিছু করতে পারছছ!! কুকুর কুকুর!!
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:০৪
েফরারী এই মনটা আমার বলেছেন: দেশ বিদেশের সমাজ বিজ্ঞানীগণ এবং মনো বিজ্ঞানীগণ পিতা মাতার অবৈধ সন্তানদের কতগুলি সাধারণ বৈশিষ্ট বর্নণা করেছেন। প্রতমত: তারা কথায় কথায় অশ্লীল বাক্য ব্যবহার করে যাকে আমরা সোজা বাংলায় বলি- অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ। এরা খুবই অধৈয্য প্রকৃতির এবং সন্দেহ প্রবন হয়ে থাকে। কখনো কখনো তারা অতিমাত্রায় অত্যাচারী হয়ে ওঠে আবার একই ব্যক্তি প্রতিকুল পরিবেশে- নিজেকে ছোট করতে করতে পশুর পর্যায়ে নিয়ে যায়। তাদের বিবেক বলতে তেমন কিছু থাকে না। ফলে তাবৎ বিশ্বে অনাদীকাল থেকে পিতা মাতার অবৈধ সন্তানরা সমাজ, রাষ্ট্র এমনকি পরিবার কর্তৃক পরিত্যক্ত হয়ে আসছে।
এরা অশালীন আচরন করে,কারন তাদের িপতা-মাতা আদব শিখায় নাই।তারা যে ভ্রান্ত পথে আছে তাদের আচরনই তার প্রমান।
কবি বলেছেন,
"কুকুরের কাজ কুকুর করেছে
কামড় দিয়েছে পায়,
তাই বলে কি মানুষের তারে
দংশান শোভা পায়।"
৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৮
গরম কফি বলেছেন: সযং নবী কি তা জীবদ্দসায় এই দিনটি পালন করেছেন ? তিনি যা করেন নি তা কোন বেয়াদপ ইসলামের অংশ বলতে চায় ?
৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৩
রাজীব হোসাইন সরকার বলেছেন: অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য দুঃখিত।
আমার প্রশ্নের জবাব পাই নাই। সহীহ হাদীস আছে?
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৩
েফরারী এই মনটা আমার বলেছেন: প্রশ্নঃ অনেক বদ আক্বীদার মৌ-লোভী বা তাদের দ্বারা প্ররোচিত বিভ্রান্ত লোক এবং জামাতী-খারেজী-তবলীগি-দেওবন্দী-তথাকথিত হেফাজতি এরা বলে থাকে যে,ইসলামের শুরুর জামানায় কেউ এমন কোন ঈদ, উৎসব পালন করেননি। তাই এটা পরিত্যাজ্য।
জবাব:খইরুল কুরুন হচ্ছে পর্যায়ক্রমে ছাহাবী, তাবিয়ী ও তাবি’ তাবিয়ীনগণের যুগ। আর উক্ত তিন যুগের প্রথম যুগই হচ্ছে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনাদের যুগ এবং সে যুগেই ‘ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ উদযাপিত হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
যেমন এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে-
عن ابى الدرداء رضى الله تعالى عنه انه مر مع النبى صلى الله عليه وسلم الى بيت عامر الانصارى وكان يعلم وقائع ولادته صلى الله عليه وسلم لا بنائه وعشيرته ويقول هذا اليوم هذا اليوم فقال عليه الصلوة والسلام ان الله فتح لك ابواب الرحمة والملائكة كلهم يستغفرون لك من فعل فعلك نجى نجتك.
অর্থ: হযরত আবূ দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, একদা তিনি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে হযরত আমির আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার গৃহে উপস্থিত হয়ে দেখতে পেলেন যে, তিনি উনার সন্তান-সন্তানাদি এবং আত্মীয়-স্বজন, জ্ঞাতি-গোষ্ঠী, পাড়া-প্রতিবেশীদেরকে নিয়ে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে বিলাদত শরীফ-এর ঘটনাসমূহ শুনাচ্ছেন এবং বলছেন, এই দিবস অর্থাৎ এই দিবসে রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যমীনে তাশরীফ এনেছেন। এমন সময় হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তথায় উপস্থিত হলেন। (তিনি যখন উপস্থিত হলেন সমবেত লোকজন দাঁড়িয়ে উনাকে সালাম পেশ করতঃ অভ্যর্থনা বা স্বাগত জানিয়ে আসনে বসালেন।) তিনি লোকজনের মীলাদ শরীফ-এর অনুষ্ঠান এবং বিলাদত শরীফ-এর কারণে খুশি প্রকাশ করতে দেখে উনাদেরকে উদ্দেশ্য করে বললেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা তোমাদের জন্য রহমতের দরজা উমুক্ত করেছেন এবং সমস্ত ফেরেশতা তোমাদের জন্য মাগফিরাত তথা ক্ষমা প্রার্থনা করছেন এবং যে কেউ তোমাদের মত এরূপ কাজ করবে, তোমাদের মত উনারাও রহমত ও মাগফিরাত লাভ করবে এবং নাজাত লাভ করবে। সুবহানাল্লাহ! (কিতাবুত তানবীর ফী মাওলিদিল বাশীর ওয়ান নাযীর, সুবুলুল হুদা ফী মাওলিদে মুস্তফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হাক্বীক্বতে মুহম্মদী ও মীলাদে আহমদী পৃষ্ঠা- ৩৫৫)
হাদীছ শরীফ-এ আরো বর্ণিত রয়েছে-
عن ابن عباس رضى الله تعالى عنهما انه كان يحدث ذات يوم فى بيته وقائع ولادته صلى الله عليه وسلم لقوم فيستبشرون ويحمدون الله ويصلون عليه صلى الله عليه وسلم فاذا جاء النبى صلى الله عليه وسلم قال حلت لكم شفاعتى.
অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি একদা উনার নিজ গৃহে সমবেত ছাহাবীগণকে আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ-এর ঘটনাসমূহ শুনাচ্ছিলেন। এতে শ্রবণকারীগণ আনন্দ ও খুশি প্রকাশ করছিলেন এবং আল্লাহ পাক উনার প্রশংসা তথা তাসবীহ-তাহলীল পাঠ করছিলেন এবং আল্লাহ পাক-উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শানে ছলাত-সালাম (দুরূদ শরীফ) পাঠ করছিলেন। এমন সময় হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেখানে উপস্থিত হলেন। (তিনি যখন উপস্থিত হলেন সমবেত লোকজন দাঁড়িয়ে উনাকে সালাম পেশ করতঃ অভ্যর্থনা বা স্বাগত জানিয়ে আসনে বসালেন।) তিনি লোকজনের মীলাদ শরীফ-এর অনুষ্ঠান এবং বিলাদত শরীফ-এর কারণে খুশি প্রকাশ করতে দেখে উনাদেরকে উদ্দেশ্য করে বললেন, তোমাদের জন্য আমার শাফায়াত ওয়াজিব। (কিতাবুত তানবীর ফী মাওলিদিল বাশীর ওয়ান নাযীর, সুবুলুল হুদা ফী মাওলিদে মুস্তফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হাক্বীক্বতে মুহম্মদী ও মীলাদে আহমদী পৃষ্ঠা-৩৫৫)
অতএব প্রমাণিত হলো যে, আল্লাহ পাক- উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার যামানাতেই অর্থাৎ খইরুল কুরুনের প্রথম যুগেই হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ ‘ঈদে মীলানদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ উপলক্ষে মাহফিল করেছেন এবং সে মাহফিলে স্বয়ং আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপস্থিত হয়ে ‘ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ উদযাপনকারীগণকে রহমত, মাগফিরাত, নাজাত ও শাফায়াত লাভের সুসংবাদ দান করেছেন। সুবহানাল্লাহ! শুধু তাই নয়, ক্বিয়ামত পর্যন্ত যারা ‘ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ উপলক্ষে মাহফিল করবে উনাদের জন্যেও একই সুসংবাদ দান করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
অতএব, ‘খইরুল কুরুনের মধ্যে কেউ এমন কোন ঈদ, উৎসব পালন করেননি’ উলামায়ে সূ’দের এ কথা সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা প্রতিপন্ন হলো এবং সাথে সাথে তাদের জিহালতীও পরিস্ফুটিত হলো।
উল্লেখ্য, কোন আমল খইরুল কুরুনের মধ্যে না থাকলে যে তা পরিত্যাজ্য হবে এ কথা সম্পূর্ণরূপে অশুদ্ধ ও কুরআন-সুন্নাহ’র খিলাফ। বরং কোন আমল গ্রহণীয় কিংবা বর্জনীয় হওয়ার জন্য খইরুল কুরুন শর্ত নয়। শর্ত হচ্ছে সে আমল কুরআন-সুন্নাহ সম্মত কি না? যদি কুরআন-সুন্নাহ সম্মত হয় তাহলে তা গ্রহণীয়। আর যদি কুরআন-সুন্নাহ সম্মত না হয় তবে তা বর্জনীয় বা পরিত্যাজ্য।
যেমন এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে-
عن جرير رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من سن فى الاسلام سنة حسنة فله اجرها واجر من عمل بها من بعده من غيره ان ينقص من اجرهم شىء .
অথ: হযরত জারীর ইবনে আব্দুল্লাহ বাজালী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি দ্বীন ইসলামে কোন উত্তম বিষয় বা আমলের প্রচলন করলো, তার জন্য প্রতিদান বা ছওয়াব রয়েছে এবং তার পরে যারা এই আমল করবে তাদের জন্য ছওয়াব বা প্রতিদান রয়েছে, অথচ এতে তাদের ছওয়াবের কোন কমতি করা হবে না।’ (মুসলিম, মিশকাত)
অতএব, খইরুল কুরূনের মধ্যে কেউ এমন কোন ঈদ, উৎসব পালন করেননি’ বদ আক্বীদার মৌ-লোভী বা তাদের দ্বারা প্ররোচিত বিভ্রান্ত লোক এবং জামাতী-খারেজী-তবলীগি-দেওবন্দী-তথাকথিত হেফাজতিদের এ বক্তব্য সম্পূর্ণ ভুল ও কুরআন-সুন্নাহ’র খিলাফ তথা কুফরী বলে প্রমাণিত হলো।
৫| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৫০
ইখতামিন বলেছেন:
১/ ওই দিন কি আমাদের দুই ঈদের চাইতেও বেশি খুশির দিন?
২/ রহমত প্রাপ্তির কারণে আমাদের কি একদিন খুশি প্রকাশ করা-ই দায়বদ্ধতা? নাকি সারা বছর জুড়ে খুশি প্রকাশ করা আবশ্যক?
বুঝে আসলনা
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৬
েফরারী এই মনটা আমার বলেছেন: ধন্যবাদ।অত্যান্ত সুন্দর প্রশ্ন।
১। ওই দিন কি আমাদের দুই ঈদের চাইতেও বেশি খুশির দিন?
উত্তরঃঅবশ্যই।পবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ,সেদিন পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা 'হয় আর সেদিনই হচ্ছেন প্রত্যেক ইমানদারদের সবচেয়ে সেরা খুশীর দিন ।
২।রহমত প্রাপ্তির কারণে আমাদের কি একদিন খুশি প্রকাশ করা-ই দায়বদ্ধতা? নাকি সারা বছর জুড়ে খুশি প্রকাশ করা আবশ্যক?
উত্তরঃঅবশ্যই সারা বছর জুড়ে খুশি প্রকাশ করতে হবে।
৬| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৫১
ইখতামিন বলেছেন: ১/ ওই দিন কি আমাদের দুই ঈদের চাইতেও বেশি খুশির দিন?
২/ রহমত প্রাপ্তির কারণে আমাদের কি একদিন খুশি প্রকাশ করা-ই দায়বদ্ধতা? নাকি সারা বছর জুড়ে খুশি প্রকাশ করা আবশ্যক?
বুঝে আসলনা
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৬:৫২
েফরারী এই মনটা আমার বলেছেন: প্রশ্ন:প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও যাবতীয় বালা-মুছিবত থেকে উদ্ধার পেতে প্রতিটি ঘরে ঘরে পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা অপরিহার্য কি?
উত্তরঃমুসলিম বিশ্বে যিনি সবচেয়ে বেশি কিতাব লিখেছেন, যিনি দশম হিজরী শতাব্দীর মুজাদ্দিদ ও ইমাম, সুলত্বানুল আরিফীন হযরত মাওলানা জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার ‘ওসায়িল ফী শরহি শামায়িল’ নামক কিতাবে উল্লেখ করেছেন, “যখন কোনো মুসলমান নিজ বাড়িতে বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করে, তখন সেই বাড়ির অধিবাসীগণের উপর থেকে মহান আল্লাহ পাক তিনি অবশ্যই খাদ্যাভাব, মহামারি, অগ্নিকা-, ডুবে মরা, বালা-মুছীবত, হিংসা-বিদ্বেষ, কু-দৃষ্টি, চুরি ইত্যাদি উঠিয়ে নেন। যখন উক্ত ব্যক্তি মারা যান তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি তার জন্য মুনকার-নকীরের সুওয়াল-জাওয়াব সহজ করে দেন। আর উনার অবস্থান হয় মহান আল্লাহ পাক উনার সন্নিধানে সিদকের মাক্বামে।” সুবহানাল্লাহ! (আন নি’য়ামাতুল কুবরা)
কাজেই উপরোল্লিখিত দলীলের মাধ্যমে প্রমাণিত হলো যে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, খোদায়ী আযাব-গযব ও যাবতীয় বালা-মুছীবত থেকে উদ্ধার পেতে হলে প্রতিটি মুসলমানের ঘরে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা অপরিহার্য।
৭| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৭:০৮
ভুলে ভরা জিবন বলেছেন: সমস্ত ঈদের শ্রেষ্ঠ ঈদ
৮| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:২০
েফরারী এই মনটা আমার বলেছেন: ধর্মব্যবসায়ী, আশাদ্দুদ দরজার জাহিল উলামায়ে সূ’রা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা এবং টিভি চ্যানেলে বলেছে, ‘মীলাদুন নবী’ শব্দের শরয়ী কোন ভিত্তি নেই, তাই এটি পরিত্যাজ্য। নাঊযুবিল্লাহ!
এর জাওয়াব হলো- উক্ত উলামায়ে সূ’রা তাদের বক্তব্যে ‘ঈদ’ শব্দটি বাদ দিয়ে শুধু ‘মীলাদুন নবী’ শব্দ ব্যবহার করে প্রমাণ করেছে যে, তারা খোদ ইবলিসেরই একান্ত অনুসারী। কারণ নূরে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যমীনে আগমন উপলক্ষে কেবল ইবলিস ও তার চেলারাই নাখুশি বা নারাজী প্রকাশ করেছিল। অথচ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- উনার আগমন উপলক্ষে স্বয়ং আল্লাহ পাক- উনার নির্দেশে খুশি প্রকাশ করেছিলেন ফেরেশতাকুল, জান্নাতের অধিবাসীগণ এবং বনের পশু-পাখিরা পর্যন্ত। খুশি প্রকাশ করে উনারা ছানা-ছিফত বর্ণনা করেছিলেন এবং পাঠ করেছিলেন ছলাত-সালাম। সুবহানাল্লাহ!
অতএব, মুসলমানগণ শুধু ‘মীলাদুন নবী’ নয় বরং উনারা ‘ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ পরিভাষা ব্যবহার করে থাকেন।
মূলত ‘ঈদ’ অর্থ হচ্ছে খুশি বা আনন্দ প্রকাশ করা। আর ‘মীলাদ’ ও ‘নবী’ দুটি শব্দ একত্রে মিলে ‘মীলাদুন নবী’ বলা হয়। ‘মীলাদ’-এর তিনটি শব্দ রয়েছে- ميلادমীলাদ, مولد মাওলিদ ও مولود মাওলূদ। ميلاد‘মীলাদ’ অর্থ জন্মের সময়, مولد ‘মাওলিদ’ অর্থ জন্মের স্থান, مولود ‘মাওলূদ’ অর্থ সদ্যপ্রসূত সন্তান। আর النبى ‘নবী’ শব্দ দ্বারা নূরে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
অর্থাৎ আভিধানিক বা শাব্দিক অর্থে ميلاد النبى ‘মীলাদুন নবী’ বলতে নূরে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- উনার বিলাদত শরীফকে বুঝানো হয়ে থাকে। আর পারিভাষিক বা ব্যবহারিক অর্থে ميلاد النبى ‘মীলাদুন নবী’ বলতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে উনার ছানা-ছিফত বর্ণনা করা, উনার প্রতি ছলাত-সালাম পাঠ করা, উনার পুতঃপবিত্র জীবনী মুবারকের সামগ্রীক বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করাকে বুঝানো হয়।
অতএব, ‘মীলাদুন নবী’ শব্দটি যদিও খাছ কিন্তু মাফহূম বা ভাবার্থ হিসেবে এটি আম বা এর অর্থ ব্যাপক। কেননা, ‘মীলাদুন নবী’-এর উদ্দেশ্য হলো নূরে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- উনার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা উনার আহকাম বা নির্দেশাবলী খাছভাবে মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া। যার মাধ্যমে মানুষ তাদের সৃষ্টি, তাদের সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা সম্পর্কে। অবহিত হয়েছে, আরো অবহিত হয়েছে তাদের সৃষ্টির উদ্দেশ্য সম্পর্কে। অর্থাৎ তারা যদি আল্লাহ তায়ালা’ উনার সেই আহকাম মেনে চলে তাহলে তারা আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- উনাদের মুহব্বত-মা’রিফাত, সন্তুষ্টি-রেযামন্দী লাভ করবে।
কাজেই, যেই হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- উনার ওসীলায় সেই আহকাম বা নির্দেশাবলী এই উম্মত লাভ করলো সেই হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- উনার মুবারক আগমন উপলক্ষে উনার স্মরণের জন্য এই উম্মতের উচিত তথা উম্মতের জন্য ফরয খুশি প্রকাশ করা। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ পাক ইরশাদ মুবারক করেন-
قل بفضل الله وبرحمته فبذلك فليفرحوا هو خير مما يجمعون
অর্থ: হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি উম্মাহকে জানিয়ে দিন, আল্লাহ পাক ফযল-করম হিসেবে তাদেরকে যে দ্বীন ইসলাম দিয়েছেন এবং রহমত হিসেবে উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাঠিয়েছেন সেজন্য তারা যেন খুশি প্রকাশ করে। এই খুশি প্রকাশ করাটা সেসবকিছু থেকে উত্তম যা তারা দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য সঞ্চয় করে। (সূরা ইউনুস-৫৮)
এ প্রসঙ্গে বিশ্ব সমাদৃত ও সুপ্রসিদ্ধ ‘আন্ নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম’ কিতাবে বর্ণিত রয়েছে-
قال على رضى الله تعالى عنه وكرم الله وجهه من عظم مولد النبى صلى الله عليه وسلم وكان سببا لقرائته لايخرج من الدنيا الا بالايمان ويدخل الجنةبغير حساب.
অর্থ: হযরত আলী কররামাল্লাহু ওয়াজহাহু রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, যে ব্যক্তি মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বিশেষ মর্যাদা প্রদান করলো এবং তাতে সাধ্য-সামর্থ্য অনুযায়ী খুশি প্রকাশ করলো সে অবশ্যই ঈমানের সাথে দুনিয়া থেকে বিদায় নিবে এবং বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে। সুবহানাল্লাহ!
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১৪
রাজীব হোসাইন সরকার বলেছেন:
মিলাদুন্নবে পালনে কি সহীহ হাদীস আছে ভাইজান?
জানতাম তো বিদয়াত