নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাজিদ উল হক আবির

সাধু সাবধান ! ব্লগের মালিক বঙ্গালা সাহিত্যকে ধরিয়া বিশাল মাপের ঝাঁকি দিতে নিজেকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে প্রস্তুত করিতেছেন। সেই মর্মে তিনি এখন কিটো ডায়েটিং, ডন-বৈঠক ও ভারোত্তলন প্রশিক্ষণে ব্যস্ত। প্রকাশিত গ্রন্থঃ১। শেষ বসন্তের গল্প । (২০১৪)২। মিসিং পারসন - প্যাত্রিক মোদিয়ানো, ২০১৪ সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী (অনুবাদ, ২০১৫) ৩। আয়াজ আলীর ডানা (গল্পগ্রন্থ - ২০১৬ ৪। কোমা ও অন্যান্য গল্প(গল্প গ্রন্থ, ২০১৮) ৫। হেমন্তের মর্সিয়া (কবিতা, ২০১৮) ৬। কাঁচের দেয়াল (গল্পগ্রন্থ, ২০১৯)

সাজিদ উল হক আবির › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডুব - মোস্তফা সরোয়ার ফারুকি - রিভিউ

২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫০

যেই রিভিউ আপনারা এখন পড়তে যাচ্ছেন সেটা আমি আমার ফেসবুকে শেয়ার করার পর যে কমন গালিটা আমার দিকে সাধারণভাবে ধেয়ে আসছে তা হল - "নিজে কোন বা* ছিড়সে যে অন্যের মুভি নিয়া কথা বলে? সে নিজে কি এমন একটা মুভি বানাইতে পারসে?" আমি নিজে তাদের এই সহিংস আচরণের মর্মার্থ উৎঘাটনে সক্ষম হই নাই। আমি টেকআউট বার্গারের ফ্যান। পয়সা দিয়া সে বার্গার কেনার পর যদি দেখি বার্গারের স্বাদ খারাপ হইসে, আমি কি সেটা নিয়ে কোন কথা বলতে পারবো না? সেই জন্যে আমার বার্গার বানাইতে পারা লাগবে? পয়সা দিয়া কিনা জিনিস নিয়া আলোচনা সমালোচনা করার অধিকার সকল ভোক্তারই আছে - যদি এই কথা মানেন , তবে এই পোষ্টের 'বাকি অংশ পড়ুন' লিংকে একটা খোঁচা দিয়ে দেখতে পারেন।

.
যা ভালো লাগে নাইঃ
.
১। হুমায়ূন আহমেদের ব্যক্তিগত জীবনের টানাপোড়েন খুবই আধাখেঁচড়া ভাবে তুলে আনা হইসে। সাংসারিক জীবনের জটিলতা খুবই স্পর্শকাতর বিষয়, হুমায়ূন আহমেদের মত দেশব্যাপী জনপ্রিয় মানুষের সাংসারিক জীবনের জটিলতা আরও স্পর্শকাতর বিষয়, আর সেইটা পর্দায় তুলে আনতে যেই মুনশিয়ানা দরকার সেটা শতভাগ , ফারুকির ছিল না, বা নাই। তদুপরি হুমায়ূন আহমেদের মত একজন মানুষের সাথে তার প্রাক্তন স্ত্রী - তার পুত্র কন্যা এবং তার দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে সম্পর্কের একটা ইকুয়েশন দাঁড় করানোর চেষ্টা ফারুকি করসেন তার মেধার কেপাসিটি অনুযায়ী। আমারে, একজন দর্শক হিসেবে তিনি সন্তুষ্ট করতে পারেন নাই।
.
২। যেই জায়গায় ফারুকি তার সৃজনশীলতা দেখাইতে পারতেন, অর্থাৎ জাবেদ (হুমায়ূন আহমেদ) এর সাথে তার দ্বিতীয় স্ত্রী নিতু (শাওন) এর সম্পর্কটা ঠিক কিভাবে গড়ে উঠলো - তথা, হুমায়ূন আহমেদের পর্যায়ের সফল একজন মানুষ যার সুখের একটা সংসারও আছে, তিনি কেন তার মেয়ের এক বান্ধবীর প্রেমে পড়লেন, আর, চাইলে বাংলাদেশের অসম্ভব সুন্দরী প্লাস মেধাবী কোন মেয়েকেও তিনি বিয়ে করতে পারতেন - ঠিক শাওন ই কেন তার মনোজগৎ দখল করে নিলো - এই নিয়ে নিজস্ব একটা মতামত ফারুকি দিতে পারতেন। তিনি দেন নাই। নিতু (শাওন) এর সাথে জাবেদ (হুমায়ূন) এর সম্পর্ক ঠিক গড়ে উঠলো কিসের ভিত্তিতে, সেকি স্রেফ রূপ বা যৌনতা বা মেধা না সবকিছুর এক মিশ্রন - কিছুই বোঝা যায় না। একটা সিনও নাই তাদের সম্পর্ক stublish করার জন্যে।
.
৩। নিতু (শাওন) এর চরিত্রটার উপর অবিচার করা হইসে। একে ডেভলাপ করা হয় নাই মোটেও। কোলকাতার অভিনেত্রী পার্ণো মিত্র চরিত্রটাতে অভিনয় করসেন। তার ভালো কিছু কাজ আগেও দেখসি। তিনি অভিনয়ের সুযোগ পান নাই। পর্দায় তার উপস্থাপন পুরা কুটনি মহিলার মত, যার আগমনই ঘটসে হুমায়ূনের সংসার ভাঙ্গার জন্যে। কিছু বক্তব্য নিশ্চয়ই শাওনের দিক থেকেও আছে। কিন্তু সেই দিকটা নির্মাতা ফারুকি নির্মমভাবে এড়ায়ে গিয়ে পপুলার মতামতের পক্ষেই হেলে রইসেন। মানে - মানুষ যেটা শুনতে চায় - যে হুমায়ূনের আসলে শাওনের সাথে বিয়ে করা ঠিক হয় নাই - শাওনের চরিত্রকে স্পেস না দিয়ে তিনি সেটার পক্ষেই সাফাই গাইসেন।
.
৪। সিনেমার সিনেমাটোগ্রাফি নিয়ে অনেক বড় বড় প্রশংসাসূচক কথাবার্তা অ্যাড করা হইসিল পোস্টারে। আমার অমন আহামরি কিছু লাগে নাই। আয়নাবাজির সিনেমাটোগ্রাফি এর চে ভালো লাগসে আমার।
.
৫। সিনেমার স্টার্ট আর এন্ডিং - দুইটাতেই শাওন আর পার্ণোরে স্কুল রিইউনিয়নে পাশাপাশি বসে থাকতে দেখা গেসে। এই দৃশ্য দিয়ে শুরু কেন, আর শেষই বা কেন, হুমায়ূন কন্যা আর তার দ্বিতীয় স্ত্রী যারা একসময় বান্ধবী ছিল তাদের মধ্যে কোন মিলমিশ হইসে কিনা কিছুই বোঝা যায় নাই। যে ডায়লগ এই সিনদুটিতে তাদের মধ্যে চালাচালি হয় - তাতেও কিছুই স্পষ্ট হয় না।
.
৬। পরিশেষে - মুভির নাম ডুব কেন, তাও বুঝলাম না। কে ডুবলো, কেন ডুবলো, আদৌ ডুবলো কিনা - কিছুই স্পষ্ট না।
.
৭। ফারুকির ডুব - অডিয়েন্স সিলেকশনে অল ইনক্লুসিভ না। ইরফানের চরিত্রটি র‍্যানডম ইংরেজিতে কথা বলতে থাকে, আর তার বাংলা কোন সাবটাইটেল স্ক্রিনে আসে না। স্বাভাবিক ভাবেই পড়ালেখা না জানা, বা ইংরেজি ভালো বোঝে না এমন মানুষরা পয়সা দিয়ে টিকিট কেটে এই মুভি দেখতে গিয়ে হতাশ হবে।
.
যা ভালো লাগসেঃ
.
১। ইরফান খানের অভিনয়। একদম নিজের মত করে হুমায়ূনের চরিত্রটি সাজিয়ে নিসেন তিনি।
.
২। দুইটা সিন টাচ করসে মারাত্মকভাবে।
.
এক - ইরফানের সাথে পার্ণোর বা হুমায়ূনের সাথে শাওনের সম্পর্ক নিয়ে জানাজানি হয়ে গেসে। ঘরে ইরফানের সাথে তার প্রথম স্ত্রী রোকেয়া প্রাচীর ঝগড়া হইসে। ইরফান বাসা থেকে বের হয়ে যাবেন। পানি পান করতে গিয়ে দেখেন কোথাও পানি নাই। পানি না খেয়েই বের হয়ে যাচ্ছেন এমন সময় তার মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করা নুসরাত ইমরোজ তিশা দৌড়ে গিয়ে পানি হাতে নিয়ে তার বাবার সামনে রাস্তায় গিয়ে দাঁড়ায়। পিতা কন্যার মধ্যে মারাত্মক ইমোশনাল এক সিন।
.
দুই - ছাড়াছাড়ি হয়ে গেসে ইরফান আর তার প্রথম স্ত্রীর। আলাদা থাকেন তারা। ইরফান গোপনে তার ছেলের সাথে দেখা করেন। ছেলেরে জিজ্ঞেস করেন - শুনলাম তুমি তোমার ফ্রেন্ডদের টিজিং এর স্বীকার হয়ে ক্লাসে যাওয়া কমায়ে দিসো। তুমি বোধয় আমারে ডিফেন্ড করার চেষ্টা করো। করবানা। বলবা যে তোমার বাবা অনেক খারাপ মানুষ - যেটা সবাই শুনতে চায়। সবার সাথে তাল মিলিয়ে কথা বললে দেখবা ওরা আর তোমাকে টিজ করছে না। তো একজন বাবার নিজের ছেলেকে শিখায়ে দেয়া যে আমারে খারাপ বলবা যাতে তোমার সমস্যায় না পড়তে হয় - এই সিনটাও ফারুকি তুলে আনসেন মুনশিয়ানার সাথে।
.
৩। ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর ভালো লাগসে, ক্ষেত্র বিশেষে। হুমায়ূন আহমেদ যখন তার প্রথম স্ত্রীর সাথে ছাড়াছাড়ি করে নয়নতারা ফিল্মসিটিতে একাকী বসবাস করা শুরু করেন , তখন মৃদু সুরে কিছু গান ভেসে আসে। একবার দেখলাম , মানে শুনলাম - আমার প্রিয় বেগম আখতার সাহেবার গজল 'জোছনা করেছে আড়ি' ও ব্যাবহার করা হইসে। সাথে সাথে এই ফিল্ডে এ পেলাস বরাদ্দ করে দিসি।
..
শেষ কথাঃ
..
১। আমার পুরা রিভিউ ডুব মুভিটা হুমায়ূন আহমেদের স্ক্যাটারড বায়োপিক - এই বিবেচনায় লেখা। আপনি পাঁড় ফারুকি ভক্ত হলে এবং এই বয়ানে বিশ্বাসী হলে যে - সব চরিত্র কাল্পনিক, কারো সাথে মিলে গেলে তা নেহায়েত কাকতাল, তবে এই রিভিউ আপনার জন্যে না। নইলে , আমি ডুব মুভিটাতে মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, এমনকি হুমায়ূন কন্যা শিলার বর্তমান হাজবেন্ড আসিফ নজরুল সাহেবকেও খুঁজে পাইসি।
..
২। আমি যেকোনো মুভিকে ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ডের সাথে কম্পেয়ার করি। এবং, ঠিক টেকনিক্যালটি না - আপনার গল্পটা আমি কতটুকু মুনশিয়ানার সাথে পর্দায় উপস্থাপন করতে পারলেন সেটা আমার একটা মুভি জাজ করার ক্ষেত্রে প্রধান মাপকাঠি। নোলান - স্করসিস - মায় কোলকাতার সৃজিত এই ঘরানার মুভির ফ্যান আমি। আমার রুচির সাথে আপনার রুচি বা আমার জাজমেন্টের স্কেলের সাথে আপনার জাজমেন্টের স্কেল না মিল্লে এই রিভিউ আপনার জন্যে না।
..
৩। আমি আসলে খুব খুঁতখুঁতে স্বভাবের মানুষ। সবকিছুর মধ্যে পারফেকশন খুঁজি তাই নেতিবাচক কথা বেশী বলি। আসলে হয়তো মুভিটা ভালোই হইসে। নইলে কি কি আন্তর্জাতিক পুরষ্কার পাইসে বলে যে তারা দাবী করতেসে, ওগুলি তো পাওয়ার কথা না।
.
আমার বয়ান আমি দিলাম, আপনারা হলে গিয়ে মুভিটা দেইখেন।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৭

কাউয়ার জাত বলেছেন: কিলবিল কিলবিল কিলবিল

২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১০

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: বহুদিন হইল ব্লগে কাউরে ব্লক করি না। সিস্টেমটা ভুলে গেসি। আপনি জানেন? জানলে কাইন্ডলি আমারে জানান। বড় উপকার হয়।

২| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩৩

জাহিদ হাসান বলেছেন: :D

৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২৭

ডি মুন বলেছেন: মুভিটা দেখিনি বলে বিস্তারিত মন্তব্য করতে পারছি না।
তবে আপনার পর্যবেক্ষণগুলো জানা হলো। অনেক রিভিউ পড়েছি এটা নিয়ে। ভালো-মন্দ মিলিয়ে।

ফারুকীর সিনেমা অল্প কিছু দেখেছি। আমার কাছে মনে হয়েছে উনি যখন শুরু করেন মনে হয় দারুণ কিছু হতে যাচ্ছে, ডিফরেন্ট কিছু একটা। কিন্তু শেষমেশ জমিয়ে তুলতে পারেন না। যাহোক, এটা একান্তই আমার অভিমত।

আপনাকে ব্লগে দেখে ভালো লাগল।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:২৯

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: ধন্যবাদ মুন! আপনাকেও অনেকদিন পর ব্লগে পেয়ে ভালো লাগলো!

৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০১

হাসান রাজু বলেছেন: কিছুটা বুঝছি, সমস্যাটা কোন জায়গায় । আসলে আপনি জেনেগেছেন এটা হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে বানানো সিনেমা । আর গিয়ে দেখেছেন ও তাই । উপরে দেখেছেন হুমায়ূন আহমেদের জীবনী । ভিতরে দেখেছেন পরিচালক নিজের ইচ্ছে মত গল্প, আবেগ, চরিত্রের ছড়াছড়ি ঘটিয়ে আপনার জানাশুনা হুমায়ূন আহমেদকে অচেনা করে দিয়েছেন । আপনি বাকি কথায় কান না দিয়ে ফারুকি যেটা বলেছেন সেটা শুনতেন । কিছুটা ধাক্কা কম খেতেন । তিনি হুমায়ূন আহমেদের বায়োপিক বানান নি।
*** আপনি দেখতে গিয়েছেন হুমায়ূন আহমেদের সংসারের তখনকার সাংসারিক জতিলতার রহস্য উম্মুচন করতে, আর সেটা করে দিবেন ফারুকি । আপনার চাহিদা পূর্ণ হয়নি ।
*** আপনি সিনেমা দেখতে গিয়ে খুজেছেন শাওন আর হুমায়ূন আহমেদ এর সম্পর্কটা ঠিক কিভাবে গড়ে উঠলো । আর গিয়ে পেয়েছেন নিতু আর জাবেদের গল্প । আর সেই গল্প আপনার চেনা হয়েও অচেনা।
*** একটা সময়ের পর আপনি সব সময় হুমায়ূন আর শাওনকে দেখেছেন কিন্তু শিলাকে বলতে গেলে দেখেনই নি । আর এখানে সেই শাওন তথা নিতুকে পেয়েছেন কম তাও নেগেটিভ চরিত্রে ।

****** দেখুন আপনি যে রহস্য উদ্ঘাটন করতে গেছেন তা কেউ সিনেমা বানিয়ে আপনাকে সাহায্য করতে পারবে না । কারন এর ভিতরের অনেক গল্প প্রকাশ হয় নি তাই হুবহু বা কাছাকাছি গল্প এখন কেউ সেলুলয়েডে আনতে পারবে না। কেউ সেই দুঃসাহস দেখালে বিভিন্ন পক্ষ বলবে ভুল উপস্থাপন ।
ফারুকি হুমায়ূন আহমেদের উপরের (ছায়া অবলম্বন বলা যাবে না হোয়ত।) গল্পটা নিয়ে ভিতরের আবেগ, গল্প, পরিবেশ নিজের মত করে সাজিয়েছেন মাত্র । এটা বুঝেনিয়ে মেনেনিয়ে সিনেমা দেখলে এতটা হতাশ হতেন না । ভালো ও সুস্থ থাকবেন ।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:২০

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: আপনার জন্যে কিন্তু আমার লেখায় একটা আলাদা প্যারা ছিল -

"আমার পুরা রিভিউ ডুব মুভিটা হুমায়ূন আহমেদের স্ক্যাটারড বায়োপিক - এই বিবেচনায় লেখা। আপনি পাঁড় ফারুকি ভক্ত হলে এবং এই বয়ানে বিশ্বাসী হলে যে - সব চরিত্র কাল্পনিক, কারো সাথে মিলে গেলে তা নেহায়েত কাকতাল, তবে এই রিভিউ আপনার জন্যে না। নইলে , আমি ডুব মুভিটাতে মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, এমনকি হুমায়ূন কন্যা শিলার বর্তমান হাজবেন্ড আসিফ নজরুল সাহেবকেও খুঁজে পাইসি।"

সে যাক, মানুষ তার বয়স বাড়ার সাথে সাথে যে জিনিসটা হারায় ক্রমান্বয়ে তা হচ্ছে অবাক হবার ক্ষমতা, বা ধাক্কা খাওয়ার ক্ষমতা। ফারুকি সাহেবের সিনেমা দেইখা বড় ধরনের ধাক্কা খাবো - এই আশা আমার খুব একটা ছিল না। ওনার মৌলিক চিন্তা করার ক্ষমতা খুবই সীমিত। টেকনিক্যাল পারফেকশন একজিনিস, আর রুচিশীলতা মানুষের সারা জীবনের অভিজ্ঞতার ফসল। ফারুকি সাহেব টেকনিক্যালি পারফেক্ট হইতে পারেন, চিন্তাভাবনার মৌলিকত্বে তার দৌড় খুব বেশী না।

গল্প বলার ঢং রপ্ত করতে পারলে অল্প সময়ে জীবনের কত জটিল জটিল ক্রাইসিস সেলুলয়েডে তুলে আনা যায় - আপনি যদি বোদ্ধা হন, তবে সেটা আর আমার উদাহরণ দিয়ে বোঝানোর প্রয়োজন নাই। আর যদি বোদ্ধা না হন , তাইলে সেই আলোচনায় গিয়েও সময় নষ্ট।

আপনিও ভালো থাকেন।

৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: রিভিউ টু দ্যা পয়েন্টে হয়েছে। ++++

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৩০

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: থ্যাংকস বোকা মানুষ! দীর্ঘদিন পর!

৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৪

জেন রসি বলেছেন: ফারুকীর ডুব নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে বেশ কিছু প্রতিক্রিয়া পড়লাম। যে যার যার মত একটা মাইন্ডসেট নিয়ে মুভিটা দেখেছে। এবং সেভাবেই জাজ করেছে। দর্শকদের মন মত বা তারা ঠিক যেভাবে চায় সেভাবেই ফারুকীকে মুভি বানাতে হবে এমন কোন কথা নাই। কোন কাজ দিয়ে সবাইকে সন্তুষ্ট করা অবশ্য কোন মানুষের পক্ষেই সম্ভব না। আবার ফারুকী যা বুঝাতে বা দেখাতে চেয়েছে তার কাজ দিয়ে সেটা বুঝতেও দর্শক বাধ্য না। না বুঝে বিরক্ত হওয়ার এবং সমালোচনা করার অধিকার তাদের আছে। শিল্পীর সাথে দর্শকদের একটা দ্বান্দ্বিক সম্পর্ক থাকবেই। মাঝেমাঝে নিজের মাইন্ডসেট থেকে সরে এসে এই দ্বন্দ্বটাকেও সিনেমার মত উপভোগ করা যেতে পারে। যেখানে ফারুকি এবং দর্শক সবাই এক একটা চরিত্র!

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৩১

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: জাঁকালো একটা মন্তব্য করলেন। সব রিভিউর অভারল সামারি না করে আমার রিভিউর হেড টু হেড কমেন্ট করলে আমিও আলোচনায় অংশ নিতে পারতাম।

৭| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৮

সোহানী বলেছেন: আপনি আবার মুভিটা দেখেন তবে মাথা থেকে স্পূর্ন হুমায়ুন আহমেদকে ঝেড়ে ফেলেন........... হয়তো নতুন কিছু দেখবেন। রিভিউতে ++++

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:২৬

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। তাত্ত্বিকভাবে কনটেক্সট থেকে বিচ্ছিন্ন করে পৃথিবীর কোন কিছুর পাঠই সম্ভব না। ঝেড়ে যদি ফেলিও - তবুও কিছু কিছু ঝামেলা আছে এমন - যেটা মুভিটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবেই। যেমন নিতুর সাথে ডিরেক্টরের সম্পর্ক গড়ে উঠলো কিসের ভিত্তিতে, এটা স্তাব্লিশ করাটা জরুরী ছিল। যাক।

৮| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪০

আমি তুমি আমরা বলেছেন: অনেকেই ফারুকীকে মহান সিনেমা পরিচালক হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করেন, তবে আমার সেরকম কিছু মনে হয় নাই। হুমায়ূন আহমেদের ওপর বলেই ভেবেছিলাম এটা দেখব। তবে মুক্তির প্রথম দিন থেকেই এটা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে এত নেগেটিভ রিভিউ দেখে আর মুভি দেখার ইচ্ছা হয় নাই।

পোস্ট ভাল হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.