নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাজিদ উল হক আবির

সাধু সাবধান ! ব্লগের মালিক বঙ্গালা সাহিত্যকে ধরিয়া বিশাল মাপের ঝাঁকি দিতে নিজেকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে প্রস্তুত করিতেছেন। সেই মর্মে তিনি এখন কিটো ডায়েটিং, ডন-বৈঠক ও ভারোত্তলন প্রশিক্ষণে ব্যস্ত। প্রকাশিত গ্রন্থঃ১। শেষ বসন্তের গল্প । (২০১৪)২। মিসিং পারসন - প্যাত্রিক মোদিয়ানো, ২০১৪ সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী (অনুবাদ, ২০১৫) ৩। আয়াজ আলীর ডানা (গল্পগ্রন্থ - ২০১৬ ৪। কোমা ও অন্যান্য গল্প(গল্প গ্রন্থ, ২০১৮) ৫। হেমন্তের মর্সিয়া (কবিতা, ২০১৮) ৬। কাঁচের দেয়াল (গল্পগ্রন্থ, ২০১৯)

সাজিদ উল হক আবির › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুসলমানমঙ্গল - জাকির তালুকদারঃ পাঠ প্রতিক্রিয়া

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:২৯



মধ্যযুগীয় বাংলার মঙ্গলকাব্যের দ্যোতনায় রাখা নামের এ বইটা পড়া শেষ হয়েছে নভেম্বর মাসের শেষ দিন, ত্রিশ তারিখ। বইটির বিষয়বস্তুর ব্যাপকতার জন্যে খানিকটা গুছিয়ে নিয়ে ফের রিভিউ লিখতে বসা।

মুসলমানমঙ্গল বইটির ব্যাকফ্ল্যাপে প্রতিশ্রুতি দেয়া আছে যে এই বই তার পাঠককে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা বাঙ্গালী আর মুসলিম - এই দুই সাংঘর্ষিক আইডেন্টিটির মধ্যে একটা বোঝাপড়ার সম্মুখীন করবে। সকল চিন্তাশীল বাঙ্গালী মুসলিমদের মতই এই ক্রাইসিসটা দীর্ঘদিন ধরে আমার নিজেরও এক ব্যক্তিগত ক্রাইসিস। জাকির তালুকদারের বইটি বিশ্বসাহিত্যকেন্দ্র লাইব্রেরী থেকে হায়ার করতে আমার দ্বিতীয়বার ভাবা লাগে নি। লেখক আমাদের বাংলাদেশের সাহিত্যাঙ্গনে মোটামুটি পরিচিত। সৈয়দ শামসুল হক সাহেব ওনার ব্যাপারে ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

কি কারণে বইটি পাঠ, তা স্পষ্ট করলাম। এখন বলি বইটার উপজীব্য বিষয় আসলে কি, এবং কোন কনট্যাক্সটে, কোন কোন চরিত্রকে ব্যবহার করে কিভাবে লেখক তার লক্ষ্যে পৌঁছেছেন।

উপন্যাসের কাঠামো বিবেচনায় আমি এই বইটিকে খুব একটা ভালো মার্ক দেবো না এই কারণে যে - উপন্যাসের শুরুতে যে গুরুগম্ভীর একটা বর্ণনার মাধ্যমে পাঠক উপন্যাসের ভেতর প্রবেশ করে তা আর লেখক বাকি উপন্যাসে বজায় রাখতে পারেন নি। পুরো উপন্যাস বিবেচনায় এই শুরুয়াদ বরং খানিকটা আরোপিত লাগে। দুটো জায়গায় বা দুটো পর্বে জাকির তালুকদারের বইটি বিভক্ত। এক, যখন উপন্যাসের নায়ক ইউসুফ গ্রামে তার বুবুর শ্বশুরবাড়ি যায়, ঔপন্যাসিক যার নাম দিয়েছেন আত্মসমালোচনাপর্ব। এই পর্বে তিনি প্রচলিত সকল ইসলামী ধ্যানধারণাকে কচুকাটা করেছেন ইসলামের নামে। দ্বিতীয় পর্বে, যার নাম মোকাবিলাপর্ব, তাতে ইউসুফ তার শহুরে বন্ধুদের সাথে মিলে ইসলামকে রিনোভেট করার প্রকল্প হাতে নিলে তাদের ব্যাপারে সমাজের প্রতিক্রিয়া হয়ে ওঠে মুখ্য। শেষে ইউসুফকে জালিয়াতি করে ইসলামের বিরুদ্ধ পক্ষের মুরতাদ - কাফের ঘোষণা করে সক্রেটিসের মত এক ফলস বিচারের সম্মুখীন করা হয়।

যে চরিত্রগুলি উপন্যাসের সময়ে সময়ে গুরুত্বের সাথে উঠে এসেছে তারা হল - উপন্যাসের নায়ক ইউসুফ, প্রাথমিকভাবে ধর্মের প্রতি উন্নাসিক এবং উদাস এবং পরবর্তীতে পরিবর্তিত হয়ে আধুনিক ইসলামী চিন্তাবিদ হয়ে ওঠা। ইউসুফের দুলাভাই গ্রামের সামন্ততান্ত্রিক মোড়ল, গোঁড়া মুসলিম, নিজের মত করে ইসলাম বোঝা মানুষ এবং নিজ সীমানার ভেতর ইসলামী শরিয়া আইনকানুন প্রয়োগে একদম খড়গহস্ত। আছে প্রচলিত ইসলামী রীতি রেওয়াজ থেকে দূরে থাকা গ্রাম্য মৌলোভী আবদুল খালেক, ইউসুফের হিন্দু ধর্মাবলম্বী এবং দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যাওয়া এককালীন প্রেমিকা উপমা, হিন্দু ধর্মাবলম্বী বন্ধু ধীমান , যেহেতু মুসলমানের মুখে এক কালীন সনাতন ধর্মাবলম্বী জমিদারদের অত্যাচারের সমালোচনা ঠিক গ্রহণযোগ্য হয় না - বাংলাদেশের হিন্দু কমিউনিটির আচরণের ব্যাপারে খুবই ক্রিটিকাল সনাতন ধর্মাবলম্বী ধীমানের কণ্ঠ ব্যাবহার করে তাই লেখক সচ্ছন্দে হিন্দু ধর্মের ক্রিটিসিজম উপন্যাসে করেছেন। উপন্যাসে আরও আছে স্টেরিওটিপিক্যাল আমেরিকার মেয়ে লিসবেথ, যার ইসলাম নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই। লিসকে ইসলাম শেখাতে গিয়ে ইউসুফ গোটা অ্যামেরিকাকেই যেন ইসলাম শিখিয়ে ছাড়ে। কিন্তু টিপিক্যাল যুক্তিবাদী অ্যামেরিকানদের মত করে লিস কোন তর্কে যায় না ইউসুফের সাথে। সর্বশেষ চরিত্র, খলচরিত্র, বর্তমান তথাকথিত সেকুলারপন্থীদের চেনা ছক অনুযায়ীই এক টুপী দাঁড়ি - তথা লেবাসধারী মুসলিম শামসুল হক, যে কিনা হেন দুষ্কর্ম নাই যা করে নি।

গল্প কথক হিসেবে এই উপন্যাসটিতে আমি জাকির তালুকদারকে খুব বেশী নম্বর দিতে রাজি নই, কিন্তু তার বইটাকে যদি একটি তুলনামূলক রিসার্চ হিসেবে ধরা হয়ে থাকে তবে তাতে তিনি এ প্লাস সহ পাশ করবেন। প্রচুর তথ্য উপাত্য ঘেঁটে ক্রমানুযায়ী তিনি সারা বিশ্বে ইসলাম ছড়িয়ে পড়ার ইতিহাস সাজিয়েছেন। যে সব ইস্যু টাচ করা হয়েছে বা প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়েছে -

১। মুসলিমপ্রধান এক অজ পাড়া গাঁ এর বিভিন্ন স্তরের মানুষের মধ্যে সম্পর্কের ডায়নামিকস।
২। প্রাচীন আরবিয় জীবন ব্যাবস্থা। আরবদের গোত্রপ্রথা, তাঁদের প্রাচীন দেব - দেবীরা।
৩। আবদুল ওহাব এবং মুসলিম বিশ্বে ওহাবি আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ার ইতিহাস।
৪। কওমি মাদ্রাসার ডায়নামিক্স।
৫। ইসলামে গান - বাজনা - ছবি আঁকার ব্যাপারে প্রচলিত ফতোয়ার বাইরে একটা ধর্মীয় দৃষ্টিকোণের মদদপুষ্ট ফতোয়া বের করা।
৬। জাল হাদিসের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, সূত্রপাত ইত্যাদি।
৭। ইসলামিক খেলাফাত, খোলাফায়ে রাশেদিনের প্রথম তিন খলিফার ব্যাপারে অতি সমালোচনার দৃষ্টিতে তাকানো এবং অলমোস্ট তাঁদের ক্যারেক্টার অ্যাসাসিনেশন।
৮। সাহাবি হজরত মুয়াবিয়ার রাজত্বকাল।
৯। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহিসসালামের বহুবিবাহের ব্যাখ্যা।
১০। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সমকালীন খেলাফত আন্দোলন।
১১। ভারতীয় উপমহাদেশে সূফীবাদের সম্প্রসারণ।
১২। কেউ কাউকে জোর করে মুরতাদ ঘোষণা করতে পারে, নাকি মুরতাদ স্বঘোষণার ব্যাপার?
১৩। জামায়াতে ইসলামীর জন্ম, মওদুদীর রাজনীতির ব্যাখ্যা।
১৪। এলেম বলতে কি কেবল ধর্মীয় জ্ঞান, নাকি জীবনের প্রয়োজনে যেকোনো জ্ঞান?
১৫। চরমপন্থীর লক্ষণ নিয়ে মিশরের ইসলামী তাত্ত্বিক ডঃ ইউসুফ আল কারজাভির ব্যাখ্যা।
১৬। ত্রিশ - চল্লিশ দশকের বাংলার মুসলিম সাহিত্য সমাজ ও শিখা গোষ্ঠী।
১৭। ফিকাহ শাস্ত্রের উদ্ভব ও পরিণতি।
১৮। মুসলমানদের জন্যে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের কামনা, ব্রিটিশ শাসিত ভারতে - পূর্ববঙ্গের কৃষক সমাজের এই স্বপ্ন কি সাম্প্রদায়িকতা ছিল?
১৯। ভারত - পাকিস্তান - বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িকতা/ দাঙ্গার ইতিহাস।
২০। বঙ্কিম - শরৎচন্দ্রের লেখায় সাম্প্রদায়িকতা
২১। অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের সাথে রসুল সঃ এঁর আচরণ কেমন ছিল?
২২। ইসলামে নারীদের অবস্থান এবং ইসলামিক ফেমিনিজম।
২৩। হুদাইবিয়ার সন্ধির তাৎপর্য।
২৪। দাজ্জালের আগমন
২৫। মুসলমান আর অ্যামেরিকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের তিক্ততার কার্যকারণ।

এরকম ছোট আরও বেশ কিছু ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছেন তিনি। আমার কাছে আলোচনাটা প্রাসঙ্গিক মনে হলেও তার কিছু কিছু অভিমতের সাথে আমি একদমই সহমত পোষণ করতে পারি নি। বিশেষত আমাদের প্রথম তিন খলিফার চরিত্রহননই করা হয়েছে উপন্যাসটির প্রথম দিকে। দ্বিতীয়ত, তার দেয়া রেফারেন্স বইয়ের তালিকায় প্রথম নামটি ছিল মুফতি শফি সাহেব (র) এঁর তাফসিরে মা'আরেফুল কুরআন, আবার একই সাথে ইনি বায়জিদ আহমেদ পন্নিকে একজন প্রধান ধর্ম সংস্কারক মনে করেন , তার পাশ্চাত্য সভ্যতাকে দাজ্জালের সাথে তুলনা করা বইটাও প্রাসঙ্গিক করার চেষ্টা করা হয়। এইধরনের দ্বিমুখী অবস্থান নেয়াটা পূর্বের কোন মতলব তৈরি করা না থাকলে কোন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষের পক্ষে সম্ভব না। তৃতীয়ত - বাঙ্গালী বনাম মুসলিম আইডেন্টিটির লড়াইটাও সেভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারেন নি লেখক। কাহিনির নির্মিতিতে দুর্বলতা আছে।

তবুও, বইটির সফলতা হয়তো এখানেই যে - বইটা দেশের সচেতন যেকোনো নাগরিক / পাঠককে ভাবাবে। পৃথিবী জুড়েই এখন সাম্প্রদায়িকতা। আগেও ছিল, আগে বলতে সৃষ্টির ইতিহাসের প্রায় শুরু থেকে। এখন আরও বেড়েছে। সাম্প্রদায়িকতা নাই - বলে চুপ করে জেদ ধরে বসে থাকলে হবে না। যেকোনো সমস্যা সমাধানের প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে আগে স্বীকার করে নিতে হবে যে সমস্যাটা আমাদের সমাজে এক্সিস্ট করে। তারপরেই না সমাধান। এই সাবকন্টিনেন্ট সাম্প্রদায়িকতা, মৌলবাদ - আগেও ছিল , এখনও আছে, কিন্তু কিভাবে আছে - কে তার ফলভোগী আর কে মারা যাচ্ছে নেতাদের হুকুমে - এসব তথ্য আজ খুব দরকার।

এই বইয়ের জন্যে এ পর্যন্তই। পরবর্তী বই - Stephanie Garber - Caraval.


মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


কষ্ট লেগেছে পড়তে?

২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:০৭

কাউয়ার জাত বলেছেন: প্রথম তিন খলীফার বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানোর প্রবণতা এই টাইপের গবেষকদের জন্য নতুন না। ইতিপূর্বেও এমনটি করেছে হাসান মাহমুদ নামক কানাডা প্রবাসী এক বাঙালি (ব্লগে এক সময় ফতেমোল্লা নিকে লিখত) তার 'শরীয়া কি বলে' গ্রন্থে। সেটাও একদম বইয়ের শুরুতেই।

এর ঐতিহাসিক ভিত্তি হচ্ছে শিয়াদের মিথ্যাচার। কিন্তু এরা এই কথাগুলো খুব জোরেশোরে প্রচার করে মানুষকে বোঝাতে চায় ইসলামের সূচনালগ্ন থেকেই প্রসাদ ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এর ফলে ইসলামে বিকৃতি প্রবেশ করেছে। সেগুলোই এখন মোল্লারা ইসলামের নাম দিয়ে সমাজে আরোপ করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

আর বাস্তবতা হচ্ছে যেটা আপনিও বলেছেন, পূর্ব থেকেই এদের মতলব পোক্ত। ইসলাম সম্পর্কে নির্মোহ বিশ্লেষণ করতে ন্যূনতম যে প্রাথমিক জ্ঞান থাকা প্রয়োজন সেটা এদের নেই। কিন্তু কোন সোর্স থেকে কতটুকু নিলে নিজের ছকে লেখা এগিয়ে নেয়া যাবে এটা বোঝে। এজন্য বায়জিদ খান পন্নিকেও একজন প্রধান ধর্ম সংস্কারক হিসেবে উপস্থাপন করে।

৩| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:০৯

জাহাঙ্গীর কবীর নয়ন বলেছেন:
সবাইকে ঘাম মোবারক

৪| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৯

কাউয়ার জাত বলেছেন: আচ্ছা আপনি ব্লক করা শিখতে চেয়েছিলেন কেন? কাকে ব্লক করতে চেয়েছিলেন, আমি না তো?

৫| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২১

জেন রসি বলেছেন: বইটি পড়া হয়নি। পড়ার ইচ্ছা আছে। যে ২৫ টি পয়েন্টের কথা উল্লেখ করলেন এসব নিয়ে অবশ্য ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে আলোচনা করা যায়। লেখক বিষয়গুলোকে কিভাবে উপস্থাপন করেছে তার কিছুটা ধারণা আপনার রিভিউ থেকে পাওয়া যায়।

৬| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৬

আখেনাটেন বলেছেন: বইয়ের নামেই অনেক কিছু ভাবনার বিষয় চলে আসে। এতে লেখক সম্পর্কে একটি সাধারণ ধারণা না পড়েই করা যেতে পারে। আর রিভিউ পড়ে যত দূর দেখছি উনি দুনিয়ার তাবৎ জিনিস এক মলাটের ভিতরে ঠেসে দিয়েছেন। এতে পাঠকের বদহজম হওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ।

৭| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৫

কালীদাস বলেছেন: এত জিনিষ হান্দাইছে এক বইয়ে যে এইটা অখাদ্য হৈতে বাধ্য।

৮| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫৮

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: এই যে আপনারা এতগুলো বোদ্ধা মানুষ যারা এখানে মন্তব্য করলেন, আপনারা প্রত্যেকে ক্রিটিক্যালি চিন্তা করেন, প্রায় প্রতিটি বিষয়ে নিজস্ব স্পষ্ট মতামত আছে - আপনারা এইসব ফেইক আইডি দিয়ে ব্লগিং কেন করেন? বাংলাদেশের সবচে বড় সমস্যা এটাই যে দরকারি কথাটুকু কারো মেরুদণ্ড শক্ত করে বলার সাহস নাই। দরকারি বিষয়গুলি নিয়ে মুখোমুখি ডায়লগও একই কারণে এখন আর সম্ভব না। জিনিসটা আমাকে হতাশ করে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.