নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাজিদ উল হক আবির

সাধু সাবধান ! ব্লগের মালিক বঙ্গালা সাহিত্যকে ধরিয়া বিশাল মাপের ঝাঁকি দিতে নিজেকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে প্রস্তুত করিতেছেন। সেই মর্মে তিনি এখন কিটো ডায়েটিং, ডন-বৈঠক ও ভারোত্তলন প্রশিক্ষণে ব্যস্ত। প্রকাশিত গ্রন্থঃ১। শেষ বসন্তের গল্প । (২০১৪)২। মিসিং পারসন - প্যাত্রিক মোদিয়ানো, ২০১৪ সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী (অনুবাদ, ২০১৫) ৩। আয়াজ আলীর ডানা (গল্পগ্রন্থ - ২০১৬ ৪। কোমা ও অন্যান্য গল্প(গল্প গ্রন্থ, ২০১৮) ৫। হেমন্তের মর্সিয়া (কবিতা, ২০১৮) ৬। কাঁচের দেয়াল (গল্পগ্রন্থ, ২০১৯)

সাজিদ উল হক আবির › বিস্তারিত পোস্টঃ

লেখক যখন পাঠক ১ঃ শেষের কবিতা - রাবীন্দ্রিক কানমলার স্বরূপ বিশেষ

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২২

শেষের কবিতা নিয়ে বাঙ্গালীর আবেগের শেষ নেই। গতকাল, বিশ্বসাহিত্যকেন্দ্রের পাঠচক্রে এক সারথি তো বলেই ফেললেন - শেষের কবিতা পড়ে তিনি জীবনের লক্ষ্য স্থির করে নিয়েছেন পাহাড়ের চুড়োয় ওঠে বিয়ে করবার, এখন কেবল মাউন্টেন ক্লাইম্বিং এ অভ্যস্ত এক নারী পর্বতারোহীর অপেক্ষা মাত্র। এই শর্তের ওপর অবিচল থাকলে আমার বন্ধুর অবিবাহিত জীবন কাটিয়ে দেয়ার সম্ভাবনা বেশী। সে যাক, তারজন্যে আমাদের শুভকামনাই থাকলো, কিন্তু আমি বলতে চাইছি যে - শেষের কবিতা আমি যেভাবে পড়েছি, সেভাবে না পড়াটা পাঠের জন্যে আনন্দদায়ক।

প্রথম পাঠের পর দেখলাম, বইটির রচনাকাল ১৯২৮ সাল, প্রকাশ ১৯২৯। রবি ঠাকুরের বয়স তখন ৬৮। প্রথম যে প্রশ্নটি মনে এলো - জীবনের এ পর্যায়ে এসে, নিছক ভাবের আবেশে রবীন্দ্রনাথ দু'জন তরুণ তরুণীকে নিয়ে একটি নিটোল প্রেমের উপন্যাস লিখবেন কি? গান , কবিতা - প্রেমের, লিখছেন অহরহই। সেগুলো জীবনের স্ন্যাপশটের মতোন। প্রেমের গল্পও হচ্ছে, হয়ে উঠছে। কিন্তু একটা আস্ত মননশীল উপন্যাস - তাও প্রেমকে উপজীব্য করে? এতো প্রায় পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা! জীবনের সত্তরতম বর্ষের কাছাকাছি এসে মানব - মানবীর সরল প্রেমের উপাখ্যান এত জটিল করে উন্মোচনের দায় নিয়ে তিনি তার জেবে পোরা জাদুর চেরাগে ঘষা দেবেন বলে মনে হয় কি? হয়তো তাই ই ...

তবুও, সমালোচনাতে সুবিচার প্রতিষ্ঠার সুবিধার্থে ধরে নিলাম , আমরা আদৌ জানি না এ উপন্যাস কবে লেখা। যদিও জানি যে এ উপন্যাস রবি ঠাকুরেরই লেখা, কিন্তু এ জানি না যে, এ উপন্যাস লেখার সময় কবিগুরুর বয়স কত ছিল। এত কিছুর পরেও গোল এড়ানো যায় না এ কারণে যে - কবিগুরু নিজেই এ উপন্যাসের পরতে পরতে , না থেকেও খুব প্রবলভাবে উপস্থিত। ক্ষেত্রবিশেষে - স্বনামেই। দেখতে পাই, কবিগুরুর কবিতার ও কবিজীবনের তুল্যমূল্য বিচার হচ্ছে, তাও কবিগুরুর নিজের কলমেই। তখন খানিকটা নড়ে চড়ে বসতেই হয়। বলতে হয় - রবি ঠাকুরের কাঠগড়ায় আপনাদের স্বাগতম।

উপন্যাস পড়তে পড়তে মায়া জন্মাবে সবচে বেশী অমিট্রায়ের প্রতি। কারণ, সে পুরো উপন্যাসের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলি , রবি ঠাকুরের নির্মমতায় অমিট্রায়ে হয়েই কাটিয়ে দিয়েছে। অমিত সম্ভাবনা থাকলেও অমিত হয়ে জ্বলে উঠতে পারে নি। দুপ-দাপ বিবিধ মন্তব্যে তার আলোর দীপ্তি চোখে পড়ে ঠিকই ( ফ্যাশানটা হল মুখোশ, স্টাইলটা হল মুখশ্রী; বা , কমল - হীরের পাথরটাকেই বলে বিদ্যে, আর ওর থেকে যে আলো ঠিকরে পড়ে তাকেই বলে কালচার; পূজা জিনিসটাকে একঘেয়ে করে তোলার মত অপবিত্র অধার্মিকতা আর কিছু হতে পারে না -ইত্যাদি) , কিন্তু রবি ঠাকুরের অসীসুলভ মসীর আক্রমণে বেচারা আর উঠে দাঁড়াতে পারল কই?

তার শিক্ষাদীক্ষার ব্যাপারে তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে কবিগুরু ফুটনোট কাটেন - "কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বি এ র কোঠায় পা দেবার পূর্বেই অমিত অক্সফোর্ড ভর্তি হয়; সেখানে পরীক্ষা দিতে দিতে এবং না দিতে দিতে ওর সাতবছর গেল কেটে। বুদ্ধি বেশি থাকাতে পড়াশোনা বেশি করে নি, অথচ বিদ্যেতে কমতি আছে বলে ঠাহর হয় না।" যা, প্রাথমিকভাবে অমিতকে আমাদের সামনে উপস্থাপন করে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শেষ না করা এক হামবাগ হিসেবে। কবিগুরুও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার উপাসনালয়ে উপস্থিত হলেও অর্চনা শেষ না করেই বের হয়ে আসেন, কাজেই এ ক্ষেত্রে হয়তো অমিতকে খানিকটা দায়মুক্তি দেয়াই যায়। কিন্তু অমিতের প্রাচীন গ্রীক দার্শনিক সোফিস্টদের আদলে গড়ে তুলতে কোন কসুর করেন নি। টাকার বিনিময়ে, বা কোন স্বার্থের খাতিরে, বা নেহায়েত তর্কে জিতবার জন্যেই সোফিস্টরা সকালে একপক্ষ নিয়ে তর্ক করে যে পক্ষকে ঘায়েল করতো, বিকেল বেলা স্রেফ তর্কের খাতিরেই অপর পক্ষের দিকে হেলে পড়ে ঘায়েল করে ছাড়ত পূর্বতন পক্ষের প্রবক্তাকে। আমরাও অমিতকে দেখি এই বাহাদুরি কামানোর খাহেশে প্রায়ই প্রলুব্ধ। গঙ্গার ধারের পিকনিকে লিলি গাঙ্গুলিকে নিয়ে নদীর তীরে বসে যে অমিত মুহূর্তটিকে মহাকালের পাতায় অমর করে রাখতে চায় - "গঙ্গার ও পারে ঐ নতুন চাঁদ, আর এ পারে তুমি আর আমি, এমন সমাবেশটি অনন্তকালের মধ্যে আর কোনদিনই দেখা যাবে না।" সে অমিতই "সমাজহিতৈষী অবলাবান্ধব" দের সমাবেশে রমণীকুলের শিরঃপীড়ার উদ্রেক ঘটায় এই বলে - "যে পক্ষের দখলে শিকল আছে সে শিকল দিয়েই পাখিকে বাঁধে, অর্থাৎ জোর দিয়ে। শিকল নেই যার সে বাঁধে আফিম খাইয়ে , অর্থাৎ মায়া দিয়ে, শিকলওয়ালাও বাঁধে বটে, কিন্তু ভোলায় না; আফিমওয়ালী বাঁধেও বটে, ভোলায়ও। মেয়েদের কৌটা আফিমে ভরা, প্রকৃতি - শয়তানী তার জোগান দেয়।"

অমিতের মধ্যে রবি ঠাকুর সিরিয়াসনেসের অভাব তৈরি করেন। এমনিতে বার কাউন্সিলে গিয়ে বসে বসে তাস পিটলেও, লাবণ্যের সাথে - বিবাহ পরবর্তী জীবন নিয়ে কথা বলার সময় - আইন ব্যবসায় থিতু হবার প্রণোদনা হিসেবে বিবাহকে ব্যাবহার করতে চায়। যে কোন মানুষের যেকোনো ফিল্ডে মেরুদণ্ড শক্ত করে দাঁড়াবার ক্ষেত্রে যদি বাহ্যিক প্রণোদনা লাগে, এবং তা যদি বিয়ের মত কিছু হয় - তবে তাকে আর শক্তিশালী চরিত্র হিসেবে ধরি কিভাবে?

অমিতের মধ্যে রবিঠাকুর দেখান অনুভূতির গাঢ়ত্বের অভাব। হাল আমলের তরুণ কবিরা যেমন একটি দুর্দান্ত প্রেমের কবিতা (অবশ্যই তাদের নিজ নিজ মতে) রচনার পর ফেসবুকে গোটা দশেক সুন্দরী রমণীর ইনবক্সে সে কবিতা চালান করে দেয়, আমাদের অমিত সেমতে বাগদানের আংটি প্রদান করে পরিপূর্ণ ভিন্ন চরিত্রের দুটি রমণীকে।

কবি হিসেবে অমিত রবি ঠাকুরকে ছাড়িয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে আমদানি করে নবারুণ ভট্টাচার্যকে। কিন্তু আমরা দেখতে পাই উক্ত নবারুণের পংতির মধ্যে কেবলই রবি ঠাকুরের ছায়া হয়ে থাকার প্রবণতা। যেমতে বলা হয়, মিশেল ফুঁকো সহ সকল আধুনিক চিন্তক বেরিয়ে এসেছেন নীটশের পকেট থেকে, ঠিক সে অর্থেই বেশ সার্থকভাবে বলা চলে যে - নিবারণ ভটচাজ্য বা আমাদের অমিট্রায়ে বেরিয়ে আসে রবি ঠাকুরের জেবের পকেট থেকেই।

বলাই বাহুল্য - রবি ঠাকুর অমিট্রায়েকে ঘায়েলও করেন তার নিজের দুটো কবিতা দিয়ে , যে কবিতা লাবণ্য , আমাদের উপন্যাসের নায়িকার নির্বাক প্রেমিক শোভনলাল টুকলিফাই করে রবি ঠাকুরের অপ্রকাশিত কবিতার খাতা থেকে। একটি কবিতার দেখা মেলে "শেষ সন্ধ্যা" নামক পরিচ্ছেদে যেখানে আমাদের লাবণ্যকুমারী বলেন -

"নাই অভিমান, নাই দীন কান্না, নাই গর্ব - হাসি ,
নাই পিছু ফিরে দেখা। শুধু সে মুক্তির ডালাখানি
ভরিয়া দিলাম আজি আমার মহৎ মৃত্যু আনি।"

ঘরপোড়া গরু যেমতে সিঁদুরে মেঘ দেখে তড়পে ওঠে , তেমনি চমকাতে দেখি আমাদের অমিট্রায়ে কে - "বন্যা, বড়ো অন্যায় করলে ... তোমার এ কবিতা এখনই ফিরিয়ে নাও ... " ইত্যাদি ইত্যাদি। এখানে অমিত প্রথমবারের মত অনুভব করে, গোল একটা বাঁধতে যাচ্ছে। লাবণ্য যেখানে পরের পংক্তিতেই বলে ওঠে - "ভয় কিসের মিতা। এই আগুনে - পোড়া প্রেম এ সুখের দাবি করে না, এ নিজে মুক্ত বলেই মুক্তি দেয়, এর পিছনে ক্লান্তি আসে না, ম্লানতা আসে না; এর চেয়ে আর কিছু কি দেবার আছে।" - যা রাবীন্দ্রিক প্রেমের গুঢ় ফিলসফি। অমিট্রায়ের প্রেমে অতো ছাড় দেবার মতন অবকাশ নেই। সে মুক্ত নয়। সে মুক্তি দিতে পারে না। এবং, শেষ কবিতা, বা শেষের কবিতা - যাতে বারংবার দেখা মেলে "বিদায় বিদায়" ইত্যাদির, এতেও ঘায়েল হয় অমিট্রায়, রাবীন্দ্রিক প্রেমী লাবণ্যের কাছে - যে ভালোবাসার নামে "স্বভাবের ওপর পীড়ন" করতে আগ্রহী নয়।

কি শাস্তি মেলে অমিতের?

দিনের শেষে একজন সাহিত্যিক তার সাহিত্যের মারপ্যাঁচে তার অপছন্দের পাত্রকে ঘায়েল করতে যে ব্রহ্মাস্ত্র ব্যবহার করতে পারেন, রবি ঠাকুর সেটা ব্যবহার করেই শাস্তি দেন অমিট্রায়কে। গার্লফ্রেন্ড বলুন বা ফিয়ান্সে - কেড়ে নেন তাকে। বঞ্চিত করেন তাকে লাবণ্যের প্রেম থেকে, যে লাবণ্যের প্রেমের কেন্দ্রে রবীন্দ্রনাথ, অথবা ছায়াস্বরূপ রবীন্দ্রভক্ত শোভনলাল। লাবণ্য যে বলে - "মেয়েদের ভালোলাগা তার আদরের জিনিসকে আপন অন্দরমহলে একলা নিজেরই করে রাখে" অমিতের আর লাবণ্যের সেই অন্দরমহলের জিনিস হয়ে ওঠা হয় না। সে কেতকীকেও লাভ করে না, পায় কেটি মিত্তিরকে, যে কেবলই বিলিতি আধুনিকতার ছায়ামাত্র , যার খোঁপা ব্যাঙ্গাচির নেজ সদৃশ, যার গায়ের পাতলা আবরণ সাপের খোলসের মত, যার হিল জুতো দেখলে ছাগল - জাতীয় জীবের আদর্শ স্মরণ করতে হয়, যে ধূমপান করে "অলংকরণের অঙ্গরূপে" , ধূমপানের উদ্দেশ্যে নয়। অমিট্রায় কে শাস্তি দিতে গিয়ে কেটির প্রতি দারুণ নির্মমতাই দেখিয়েছেন রবি ঠাকুর।

লাবণ্যকে নিয়ে তেমন কিছু বলার নেই। আমার রুচির সাথে মহান প্রেমী লাবণ্য যায় না। রবি ঠাকুরও, মনে হয় না, লাবণ্যের কন্যাদায়গ্রস্থ পিতা হিসেবে উপন্যাসটি রচনা করেছিলেন। তার আগ্রহ ছিল রবীন্দ্রনাথকে অগ্রাহ্য করা, রবীন্দ্রনাথকে উপেক্ষা করা, রবীন্দ্রনাথকে বধে আগ্রহী তরুণ কবির দলকে শাস্তি দেয়া, লাবণ্যকে তিনি টোপ হিসেবে বেশ সফলভাবেই ব্যাবহার করেছেন।

সবকথার শেষকথা হল বিগত দেড়শ বছরে রবি ঠাকুরের শেষকৃত্য রচনায় আগ্রহী সমালোচকদের তো আর অভাব পড়ে নি। অমিট্রায়ে থেকে নিয়ে ডি এল রায়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় থেকে চন্দ্রিল ভট্টাচার্য, এবং ক্ষেত্রবিশেষে জয় গোস্বামী (সম্প্রতি দেশ পত্রিকায় তার একটি প্রবন্ধ পড়লাম, রবি ঠাকুরের কবিতা নিয়ে, যেখানে আমার প্রিয় কবি জয়দাকে বেশ খুশী মনে হল - সমসাময়িককালে কোলকাতার সাহিত্য একাডেমী পুরষ্কার পাওয়া এক মহিলা কবি - ধারাবাহিকভাবে রবি ঠাকুরের কবিতা পড়েন নি, তবুও কবিতা লিখে চলেছেন, এই শুনে।)। ব্যক্তিগত জীবনে সমালোচনার সম্মুখীন হলেও তিনি প্রতিবাদ করতেন না, কিন্তু নিজের লেখা নিয়ে তার হাঁটুর সমান মেধার লোকজনের অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল মেনে নিতে না পেরে চ্যাংড়া কবির দলকে বেশ করে কান মলে দেবার জন্যেই, আমার মতে, কবিগুরুর এই শেষের কবিতার হয়ে ওঠা। তার এই বুদ্ধিবৃত্তিক চাপড় মারবার ক্ষমতায় বিস্মিত হওয়া প্রথম কল্লোলীয় কবি ছিলেন বুদ্ধদেব বসু।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষণ করেছেন।

শেষের কবিতা বইটা আমি প্রতিবছর একবার করে পড়ি। এখনও বিরক্ত লাগে নি।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২০

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:


ম্যাঁওপ্যাঁও টাইপের লেখা

০৮ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:৫১

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: আউচ!

৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: শেষের কবিতা আমার খুবই প্রিয়।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২০

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: সেলিম ভাই, আশা করি ভালো আছেন!

৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ২:৫০

বাকপ্রবাস বলেছেন: শেষের কবিতা ভীষণ ভাল লাগা আর আপনার বিশ্লেষণ মন্দ নয়।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২১

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.