নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাজিদ উল হক আবির

সাধু সাবধান ! ব্লগের মালিক বঙ্গালা সাহিত্যকে ধরিয়া বিশাল মাপের ঝাঁকি দিতে নিজেকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে প্রস্তুত করিতেছেন। সেই মর্মে তিনি এখন কিটো ডায়েটিং, ডন-বৈঠক ও ভারোত্তলন প্রশিক্ষণে ব্যস্ত। প্রকাশিত গ্রন্থঃ১। শেষ বসন্তের গল্প । (২০১৪)২। মিসিং পারসন - প্যাত্রিক মোদিয়ানো, ২০১৪ সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী (অনুবাদ, ২০১৫) ৩। আয়াজ আলীর ডানা (গল্পগ্রন্থ - ২০১৬ ৪। কোমা ও অন্যান্য গল্প(গল্প গ্রন্থ, ২০১৮) ৫। হেমন্তের মর্সিয়া (কবিতা, ২০১৮) ৬। কাঁচের দেয়াল (গল্পগ্রন্থ, ২০১৯)

সাজিদ উল হক আবির › বিস্তারিত পোস্টঃ

করোনা প্রতিরোধে ইসলামকে যেভাবে ব্যাবহার করা যায়

২৪ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৩৫

একটা বৈশ্বিক মহামারীকে সামস্টিকভাবে আমরা কিভাবে অ্যাপ্রোচ করছি, তা জাতি হিসেবে আমরা কতটুকু সচেতন, কতটুকু সৎ, শিক্ষার আলো আমাদের মধ্যে কতটুকু পৌঁছেছে - তা নিজেদের সামনেই স্পষ্ট করে তুলে ধরছে।

অত্যন্ত ব্যাথা ভরা হৃদয়ে আমি লক্ষ্য করেছি, কথিত ধর্ম ব্যাবসায়ি স্বপ্নের মাধ্যমে প্রাপ্ত করোনা ভাইরাসের সাথে কথোপকথন এবং তার তদবির নিয়ে জনসমাবেশে আমজনতার মধ্যে উন্মাদনা সৃষ্টি করতে। যখন এই ভিডিও আমি ইউটিউবে জোরে সাউন্ড দিয়ে বাসায় বসে শুনছিলাম, সেই বিখ্যাত সূত্র - 1 + Q . 7+ 6 = 13 আসা মাত্রই আমার মা (যিনি বছরখানেক আগে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জয়েন্ট ডাইরেক্টর হিসেবে রিটায়ার করেছেন), হামলে পড়ে একটা কাগজে সে সূত্র লিখে নিলেন। এই যদি হয় একজন উচ্চপদস্থ রিটায়ার্ড সরকারী কর্মকর্তার অবস্থা, তাহলে এই অসাধু ধর্ম ব্যাবসায়িরা - যে অঞ্চলের মানুষদের মধ্যে শিক্ষার হার কম, যাদের যাচাই বাছাই করে একটা তথ্য গ্রহণ বা বর্জন করবার সক্ষমতা বা অভ্যাস নেই, তাদের কিভাবে প্রভাবিত করছে - তা আমাকে দুশ্চিন্তাগ্রস্থ করে তুলছে।

আবার কাউকে কাউকে দেখছি , বিবিধ দোয়াকালামের আশ্রয়ে কিভাবে করোনা মোকাবেলা করা যায় এ নিয়ে আমজনতাকে নসিহত করতে। ব্লগেও এ নিয়ে লেখা দেখেছি। হয়তো এসব দোয়াকালামে কাজ হবে। কারণ, আমি যে ধর্মের অনুসারী - তাতে আমার রবকে আমি রহিম, রাহমান - এই নামে চিনি। যিনি সর্বময় দয়ার অধিকারী। যার ক্রোধের উপর দয়া বিজয়ী হয় বরাবর। দয়া নামক বস্তুটিকে একশো ভাগে ভাগ করবার পর মাত্র একভাগ পৃথিবীর সমস্ত প্রাণীর মধ্যে ভাগ করে দেবার পর নিরানব্বই ভাগ দয়া যিনি নিজের জন্যে রেখে দিয়েছেন। কাজেই , আমি যতই খারাপ চরিত্রের অধিকারী হই না কেন, আমি যতই মানুষের হক মেরে খাই না কেন, হয়তো এই সব দোয়ার বদৌলতে তারপরেও আমি করোনার প্রভাব থেকে বেঁচে যাবো।

কিন্তু জানেন কি, আমি কেন যেন এভাবে চিন্তা করতে পারি না। আমার লজ্জা হয়। যে স্রষ্টাকে আমি হাজির নাজির জেনেও মানুষকে কষ্ট দেয়া বন্ধ করি নি, মানুষের হক নষ্ট করা বন্ধ করি নি, আজ বিপদে পড়ে লেজ গুটিয়ে নামাজ পড়া আর দোয়া পড়া বাড়িয়ে দিলেই আমার কাছে গায়েবি সাহায্য আসবে, আমি ধর্ম এভাবে মানতে পারি না।

আল্লাহর হুকুমে মৃত্যু আসবেই, কাজেই মৃত্যু থেকে পালানোর চেষ্টা করে লাভ নেই - শুনতে বেশ ইতিবাচকই শুনায়। আমরা বিশ্বাসীরা এটা আকিদাগতভাবে বিশ্বাসও করি। কিন্তু, কেন যেন মনে হয় - এই আলোচনা তোলার উপযুক্ত সময় এটা না। খানিকটা উন্নাসিকতা, খানিকটা বেপরোয়ামতন এই যুক্তি স্বভাবগতভাবেই অসচেতন, রাস্তায় ক্রমাগত ছ্যাপ থুতু ফেলে চলা এই দেশের মানুষের মধ্যে ধর্মের নামে আরও বেপরোয়াভাব সৃষ্টির সুযোগ তৈরি করে দেবে। তদুপরি, আমরা যারা এই কথা বলছি, আমরা কি আমাদের বাচ্চা কাচ্চা জন্মের পর টিকা দিচ্ছি না? নিজেরা অসুস্থ হলে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করছি না? সে সময় কি একবারও নিজেকে এই বলে প্রবোধ দিই যে - "কেন এই টিকা, কেন এই চিকিৎসা? আল্লাহর হুকুমে মৃত্যু যখন আসবে, তখন তা কোন টিকা বা কোন ডাক্তার ফিরিয়ে রাখতে পারবে না ..."। যদি সাধারণ অসুস্থতা বা নাজুক তবিয়তের সময়ে এই আলোচনা না তুলি, তবে এই মুহূর্তে, যখন সচেতনতা, সামাজিক প্রতিরোধ সবচে গুরুত্বপূর্ণ বস্তু - করোনার প্রাদুর্ভাব রুখতে, এখন কেন দায়সারা ভাবে আল্লাহর কাছে সবকিছু চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা?

তবে এটা সত্য যে, বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ ধর্মভিরু। প্রাত্যাহিক জীবনে প্র্যাকটিস না করলেও তারা মানে এবং বিশ্বাস করে। - কাজেই ধর্মবিশ্বাসকে এড়িয়ে গিয়ে করোনার মোকাবেলা করাটাও বাস্তবসম্মত বলে আমার মনে হয় না। বরং আমার মনে হয়, এ ক্ষেত্রে মসজিদের ইমাম, খতিব, মন্দিরের পুরোহিতরা সচেতন বক্তব্যের মাধ্যমে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।

যেহেতু আমি জন্মসূত্রে, এবং প্র্যাকটিসের দিক দিয়েও একজন মুসলিম, আমার ব্যক্তিগত বুঝ থেকে ইসলামকে কিভাবে করোনা মোকাবেলায় ব্যবহার করা যায় সে সংক্রান্ত একটি সাধারণ প্রস্তাব আছে। তার আগে, আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনে ঘর থেকে বেরিয়ে রাস্তার যে অবস্থা দেখলাম , তা শেয়ার করি।

আমি থাকি মুগদা, মান্ডা পেরিয়ে গ্রিন মডেল টাউন নামের একটি আবাসিক এলাকায়। গ্রিন মডেল টাউনে ব্যাংকার, ব্যবসায়ীরা নিজেরা জমি কিনে বাড়ি করে থাকলেও - মুগদা, বিশেষ করে মান্ডা এলাকাটি ঢাকা শহরের সবচে জনবহুল, ঘনবসতিপূর্ণ এবং দরিদ্রতম জনগোষ্ঠীর আবাসস্থল। সরকারী ঘোষণার পরেও আজ দুপুরে বের হয়ে দেখলাম রাস্তা ভর্তি পিঁপড়ের মত মানুষ, যারা খেটে খাওয়া দিনমজুর, অথবা দিনকাবারির ব্যবসায়ী। ক্ষুদ্র ব্যাবসাও যে কত বিচিত্র ধরনের হতে পারে, আমি মুগদা - মান্ডা দিয়ে যাতায়াত না করলে কখনো জানতে পারতাম না।

কথা হচ্ছে, এই সব দরিদ্র মানুষদের ঘরে রাখা যাবে না। কারণ, আক্ষরিক অর্থেই এদের আজকের দিন গেলে কালকের দিনের খাবারের সংস্থান নেই। অদৃশ্য শত্রু করোনার থেকে দৃশ্যমান শত্রু ক্ষুধার আক্রমণ এদের কাছে এখনো ভয়াবহ। এবং এদের জীবন দর্শন আমাদের মত সেইফ চাকুরীর বা ফিক্সড ইনকামের মানুষদের পক্ষে সম্মক উপলব্ধি করা সম্ভব হবে না।

কিন্তু এও সত্য যে - এদের ঘরে রাখা না গেলে করোনা মহামারী প্রতিরোধ করাও সম্ভব হবে না। এই সমস্ত শ্রমিক শ্রেণীর মানুষ জুড়ে আছে বাংলাদেশের সব স্তরের মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সাথে। ওরা নিরাপদ না হলে, প্রকৃতপক্ষে আমরাও নিরাপদ থাকবো না।

এই অবস্থা নিরসনে ইসলামকে যেভাবে কাজে লাগানো যায়, একজন ক্ষুদ্র বিশ্বাসী মুসলিম হিসেবে আমার সে বিষয়ে প্রস্তাবনা হল যাকাত, যা ইসলামের অন্যতম প্রধান এক স্তম্ভ, তা সচেতনভাবে প্রতিটি উপার্জন সক্ষম মুসলমানের এখন থেকেই আদায় করা শুরু করা। বাংলাদেশে যতজন বিশ্বাসী মুসলিম আছে, তারা সবাই যদি যাকাত আদায় করে, আর যারা এখনো উপার্জনক্ষম হইনি, তারা যদি টেকআউটের একটা বার্গার কম খেয়ে সেই পয়সা দান করে দিই - এই গরীব মানুষগুলো হয়তো ভাত, আলুসেদ্ধ খেয়ে বাঁচতে পারবে। তারা যে বাঁচতে চায় না, বা করোনার ব্যাপারে জানে না তা কিন্তু না। সমস্যা হচ্ছে, তারা নিরুপায়। পেট চালাতে হলে বের হতেই হয়। আমরা যদি আমাদের দিক থেকে যাকাত, দান সদকার হাত বাড়িয়ে দিই (যেটা ইসলামের অন্যতম সৌন্দর্যমণ্ডিত একটা দিক) , তবে গরীব মানুষদের জীবন একটু সহজ হয়। আমরাও আর একটু নিরাপদ থাকতে পারি - এই মহামারীর মোকাবেলায়।

পারলে নিজেদের কাজের লোকদের পুরো মাসের বেতন দিয়ে তাদের ছুটি দিয়ে দিই। রিকশায় উঠলে ভাড়া পাঁচটাকা - দশটাকা - বিশটাকা যে যার সামর্থ্য মত বাড়িয়ে দিই। গনপরিবহন ব্যাবহার করলে, তাদের কর্মীদের সাথে আর একটু মানবিক ব্যাবহার করি। এরা সবাই নিজেদের সুবিধামত সময়ে আমার আপনার মত সাধারণ মানুষদের ভুগিয়েছে, দুর্ব্যবহার করেছে, কটু কথা বলেছে। কিন্তু এখন তাদের প্রয়োজনের সময় যেন আমরা, সমাজের খানিকটা সুবিধাভোগী মানুষরা কঠোর না হয়ে পড়ি। আমাদের যেন মনে থাকে যে দিনের শেষে আমি আপনি কোন পাকা দালানের মধ্যেই ঘুমোচ্ছি, তারা কিন্তু ফেরত যাচ্ছে তাদের বস্তিতে। ইসলাম মানে স্রেফ না বুঝে দোয়া আউড়ে যাওয়া তো নয়, এই সমস্ত সুন্দর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের চর্চা আপনাকে আল্লাহর কাছে সেরা মুসলমানে পরিণত করবে, যদিও আপনি মাদ্রাসায় না পড়েন, ইমাম বা খতিব না হন।

প্রতি ওয়াক্তের প্রার্থনা শেষে নিজের, নিজের পরিবারের, নিজের এলাকাবাসীর, নিজের শহরের, নিজের দেশের, নিজের কওমের, সমগ্র বিশ্ববাসীর নিরাপত্তা এবং সচেতনতা বৃদ্ধির নিমিত্তে কায়মনোবাক্যে দোয়া করা জারি রাখি।

একটা ক্ষুদ্র অনুরোধঃ আপনি যদি নাস্তিক হন, আপনার বিশ্বাসের প্রতি আমার শ্রদ্ধা আছে। কিন্তু এই লেখার কমেন্ট সেকশানে আস্তিক নাস্তিক বিতর্ক না সৃষ্টি করার অনুরোধ।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন:

২৪ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:০৮

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: ধর্মান্ধতার চর্চা শুধু ইসলামে নেই। অন্যান্য সকল ধর্মেও আছে। ছবিতে মৌলভির পাশাপাশি একজন পাদ্রি আছেন, একজন বৌদ্ধ ভিক্ষু আছেন এই মিমে তবে কেবল "মুল্লা" দের মেনশন করা কেন? আরও উল্লেখ্য যে, এই ছবিতে কোন পুরোহিতের অনুপস্থিতি এই ছবিটির মূল বক্তব্যের ব্যাপারে আমাকে আরও সন্দিহান করে। মোল্লা শব্দটিকে মুল্লা বানানে লেখে পশ্চিমবঙ্গের লোকেরা। মিমস, বা ছবি শেয়ার করার আগে তার স্পষ্ট এবং অস্পষ্ট বক্তব্য সমুহের বুদ্ধিবৃত্তিক পাঠ জরুরী। নতুবা উক্ত ম্যাসেজ স্প্রেড করার দ্বারা আমরা নিজেদের তাদের একজন হিসেবেই চিহ্নিত করি।

২| ২৪ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৪৮

একনিষ্ঠ অনুগত বলেছেন: ভালো মত উপস্থাপন করেছেন। সবারই উচিৎ সবার পাশে দাঁড়ানো।

২৬ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:২০

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ২৪ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১১:১৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সুন্দর লেখা। পড়ে অভিভূত হলাম। শুভ কামনা আপনার জন্য।

২৬ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:২০

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার জন্যেও শুভকামনা।

৪| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: এই পৃথিবীর রণ-রক্ত সফলতা সত্য;
তবু শেষ সত্য নয়।

৫| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:৫৮

নতুন নকিব বলেছেন:



মূল্যবান পোস্ট। খুব সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন। শুকরিয়া। +++

২৬ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:২৪

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: শুকরিয়া আপনাকেও।

৬| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:৪১

পদ্মপুকুর বলেছেন: সুন্দর একটা বক্তব্যের সুন্দর ও যৌক্তিক ইতিবাচক উপস্থাপন। ভালো লাগলো।
দোয়া পড়লেই রোগ সেরে যাবে- সেটা ঠিক না কিন্তু আমার রাসুল শিখিয়েছেন বিভিন্ন সময়ে কিভাবে এবং কি দোয়া করতে হবে। মানুষ এখন বিপদের সময়ে সেগুলোই বেশি করছে। আর অতিতের অপূণ্যময় কাজের জন্য বর্তমানে আমি চাইতে পারবো না, বা চাইলে সেটা লজ্জার হবে, এমন ভাবনা বোধহয় ঠিক না। একজন প্রস্টিটিউটের একটা কুকুরকে পানি খেতে সাহায্য করার বিষয়ে হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত একটা বিশুদ্ধ হাদিস আছে, যেখানে সংশ্লিস্ট ব্যক্তিকে জান্নাতি হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। (বুখারী শরীফ-৩১৪৩ ও মুসলীম শরীফ- ২২৪৫)। এখন আমি মুসলিম হিসেবে সকল অবস্থাতেই আল্লাহর রহমত কামনা করবো।

তবে আপনার লেখা পড়ে আমার দাস স্পোক যরোথ্রুস্ট-এ নিৎসের বলা গড ইজ ডেড থিয়োরির কথা মনে পড়ে যাচ্ছে।

ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

২৬ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৩৮

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।

নিজের পঙ্কিল জীবনের কথা চিন্তা করে স্রষ্টার সামনে হাত তুলতে লজ্জা তো লাগে বইকি। কিন্তু প্রার্থনা ছাড়া কোন কাজ করাও তো মুশকিল। গুনাহ করলে আর স্রষ্টার সামনে দাঁড়ানো যাবে না, এ আমার কথা নয়। বরং আমি একটা ব্যক্তিগত অনুভূতিই শেয়ার করেছি এখানে।

যেমন বলা হয়, নামাজ মানুষকে সমস্ত পাপকাজ থেকে বিরত রাখে। কিন্তু কিভাবে? এর ব্যাখ্যা , আমার যেটা বুঝে আসে, তা হল যে - যে ব্যক্তি নামাজ আদায় করে (খেয়াল করবেন আমি আদায় করে বলছি, পড়ে বলছি না), তার পক্ষে পাপকাজ এই কারণে করা মুশকিল যে - সে একজন দয়াময় সত্তায় বিশ্বাসী, যার সামনে কিছুক্ষণ পর গিয়েই তার আবার উপস্থিত হতে হবে। নামাজে দাঁড়াতে হবে। এই লজ্জায় তারপক্ষে পাপকাজ করা মুশকিল হয়ে যায়। আর যদি সে পাপকাজ করে ফেলেই (যেটা একজন সাধারণ বিশ্বাসী হিসেবে আমার অবস্থা) , তার পক্ষে লজ্জিত হওয়াটা স্বাভাবিকই, যদি সে নামাজ আদায় করতে চায়। আর যদি ধুপধাপ রুকু সিজদাহ দিয়ে শেষ করে ফেলা যায়, তবে তো আর লজ্জিত হবার সুযোগ নেই।

নীটসের তত্ত্বটি বেশীরভাগ ক্ষেত্রে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়। আমার কাছে পিটারসনের এই ব্যাখ্যা ভালো লেগেছে -

Jordan Peterson - God is Dead (reading Nietzsche)

আপনার জন্যেও শুভকামনা।

৭| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: আজ পচিশে মার্চ, মৃত্যুর সংখ্যা পাচ।

মৃত্যু এখন আসলেই সংখ্যা। আমি আপনিও সিরিয়ালে আছি । সবার হাতে অদৃশ্য টোকেন। কার সিরিয়াল আগে সেটা বলা যাচ্ছে না।

সাবধান থাকি। পরিবারের সাথে থাকি।

৮| ২৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৫৪

নায়লা যোহরা বলেছেন: অনেক ভাল লিখেছেন।
আজ একটা ভিডিও দেখলাম এক ভদ্র লোক প্রায় আমাদের নানা দাদার বয়সী, উনি মাস্ক ছাড়া রাস্তায় ঘুরছেন আবার নামাজ পড়তে মসজিদেও গিয়েছেন। এখন ওনার আবার ঠান্ডা সর্দি তাই এলাকার কিছু লোক তাকে জেরা করছে। বলছে নিজে অসুস্থ অন্য সবাইকেও অসুস্থ বানাচ্ছে। সেই ভদ্র লোক বললেন হায়াত মউত আল্লাহ্‌র হাতে।

৯| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৫৪

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: ধন্যবাদ। কমনসেন্স ছাড়া হওয়াটা কি ধর্মের শিক্ষা? আমিতো এভাবে ধর্মচর্চা শিখিনি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.