নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাধু সাবধান ! ব্লগের মালিক বঙ্গালা সাহিত্যকে ধরিয়া বিশাল মাপের ঝাঁকি দিতে নিজেকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে প্রস্তুত করিতেছেন। সেই মর্মে তিনি এখন কিটো ডায়েটিং, ডন-বৈঠক ও ভারোত্তলন প্রশিক্ষণে ব্যস্ত। প্রকাশিত গ্রন্থঃ১। শেষ বসন্তের গল্প । (২০১৪)২। মিসিং পারসন - প্যাত্রিক মোদিয়ানো, ২০১৪ সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী (অনুবাদ, ২০১৫) ৩। আয়াজ আলীর ডানা (গল্পগ্রন্থ - ২০১৬ ৪। কোমা ও অন্যান্য গল্প(গল্প গ্রন্থ, ২০১৮) ৫। হেমন্তের মর্সিয়া (কবিতা, ২০১৮) ৬। কাঁচের দেয়াল (গল্পগ্রন্থ, ২০১৯) ৭।শহরনামা (উপন্যাস, মাওলা ব্রাদার্স, ২০২২), ৮। মুরাকামির শেহেরজাদ ও অন্যান্য গল্প (অনুবাদ, ২০২৩), ৯। নির্বাচিত দেবদূত(গল্পগ্রন্থ, ২০২৪), ১০। দেওয়ানেগির চল্লিশ কানুন/ফরটি রুলস অফ লাভ (অনুবাদ, ঐতিহ্য, ২০২৪)
আমি যেখানে বসবাস করি, সেখানে একাকীত্ব নামক বিলাসিতায় গা ভাসানো অসম্ভব। এই যে ধরেন, সকাল সকাল উঠে বাথরুমে প্রবেশ করলাম, সারারাত ধরে আমার অপেক্ষায় থাকা মশকীরা একত্রে আমারে দেখে গুন গুন করে গান গেয়ে উঠলো - ' আও না, পাস আও না ...' আমি অবশ্য আজকে সতর্কই ছিলাম। বেরসিকের মত হাতে বাথরুমেও নিয়ে গিয়েছিলাম মশকী নিধনের একটি ইলেকট্রিক ব্যাট।
.
বাথরুমে পা রেখেই ভীমের গদার মত উক্ত ব্যাট মাথার উপর কয়েকবার ঘুরাবার ফলে মশকী গোষ্ঠীরা কিছু সঙ্গীসাথী প্রাণহারায় এবং তাদের মধ্যে হতাশার সঞ্চার হয়। প্রাথমিক সাফল্যে আপ্লুত আমি হাইকমোড নামক সিংহাসনে সমারুঢ় হই। কিন্তু খেয়াল করি , উক্ত মশকীবৃন্দ বিবিধ দূরবর্তী স্থানে বসে আমার দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে।
.
কিছুক্ষণ পর, তাদের গ্রুপের একটি মশকী আমার দিকে জেট প্লেনের মত ডানে বামে নড়ে চড়ে উড়ে উড়ে এগিয়ে আসলে আমি একটি আমার হাতের ব্যাটের একটি সার্থক বাড়িতে তাকে ভূপতিত করি। কিন্তু সারারাত ধরে সার্ভিস দেয়ার পর চার্জ না খাওয়ানোর ফলে আমার ব্যাটটা তাকে পুরোপুরি নিহত করতে পারে নাই। উক্ত মশকী মাথাপাগলার মত বেশ কয়েকটা চক্কর দিলো মাটিতে পড়ে। সেকেন্ড পাঁচেকের মধ্যে জ্ঞান ফিরে পাবার পর সে সঙ্গে সঙ্গে পুনরায় হামলে পড়লো আমার পায়ের উপর, রক্তপানের নিমিত্তে। এবার আর ব্যাটের উপর নির্ভর না করে আমি আদিম পন্থায় হাতের নিখুঁত এক চপাটে তার স্বপ্ন ধূলিসাৎ করে দেই এবং তার সংক্ষিপ্ত ইহজীবনের ইতি টেনে দিই। মারা যায় উক্ত মশকী। কিন্তু তার সংগ্রামময় জীবন আমাকে একটা গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা দিয়া গেল সকাল সকাল।
.
আমাদের মধ্যেও যারা জীবন নামক ইলেকট্রিক ব্যাটের বাড়ি খাবার পরেও উক্ত মশকীর মত প্যাশান নিয়ে জীবনের কাঙ্খিত লক্ষের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ি, তারাই জীবনে সফলে হই। হয় সাফল্য অর্জিত হয়, নতুবা আমরা মারা যাই, কিন্তু প্রতিপক্ষের সম্মান অর্জন করে। আমাদের মৃত্যু, আমাদের আত্মত্যাগ আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্যে উদাহরণ হয়ে থাকে
সংগ্রামী নিম্নবর্গীয় স্পিসিসের মৃত্যুতে অপর এক বুর্জোয়া স্পিসিসের তরফ থেকে লাল সালাম।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:২০
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: হা হা। তা বটে। ব্যাটগুলি কমবেশী সবই চাইনিজ, এবং এত অসংখ্য কোম্পানি ব্যাট বানায় যে ভালোমন্দ আলাদা করা মুশকিল। এখন যেটা ব্যাবহার করছি এটা প্রায় মাস ছয়েক ধরে সার্ভিস দিচ্ছে। অবাকই লাগে।
আর মশক না, মশকী হবে। যদ্দুর জানি পুরুষ মশারা রক্তটক্ত খায় না।
শুভেচ্ছা জানবেন। জাস্টিন ট্রুডো কোয়ারেন্তিন থেকে বের হইলে আমার সালাম দিবেন।
২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:২৩
ওমেরা বলেছেন: ছোট - খাট বিষয় থেকে শিক্ষা নেওয়ার মত প্রতিদিন ই আমাদের জীবনে কিছু না ঘটে শুধু চিন্তাশীল একটা মন যদি থাকে।
ধন্যবাদ নিবেন।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:২৩
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: একমত। আপনাকেও ধন্যবাদ, এবং শুভেচ্ছা।
৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: বুকের গভীর থেকে সব সময় সত্য কথাই বেরিয়ে আসে।
৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:০৯
নেওয়াজ আলি বলেছেন: প্রতিদিনের জীবন। সফল হতেই হবে বেঁচে থাকতে হলে
৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৩
সোহানী বলেছেন: জাস্টিন ট্রুডো কোয়ারেন্তিন থেকে দুই দিনের মাথায় জাতির কথা চিন্তা কইরা বের হইছে রে ভাই। কাল সে বাচ্চাদের সাথে মিটিং করবে অনলাইনে। কোন প্রশ্ন থাকলে আজকের মধ্যে মেইল করতে পারবেন
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:১৬
সোহানী বলেছেন: দেশে থাকতে ব্যাট কিনতে কিনতে ফতুর হয়ে যেতাম। তিনদিনও টিকতো না.....।
খারাপ না, মশক থেকে শিক্ষা