নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাজিদ উল হক আবির

সাধু সাবধান ! ব্লগের মালিক বঙ্গালা সাহিত্যকে ধরিয়া বিশাল মাপের ঝাঁকি দিতে নিজেকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে প্রস্তুত করিতেছেন। সেই মর্মে তিনি এখন কিটো ডায়েটিং, ডন-বৈঠক ও ভারোত্তলন প্রশিক্ষণে ব্যস্ত। প্রকাশিত গ্রন্থঃ১। শেষ বসন্তের গল্প । (২০১৪)২। মিসিং পারসন - প্যাত্রিক মোদিয়ানো, ২০১৪ সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী (অনুবাদ, ২০১৫) ৩। আয়াজ আলীর ডানা (গল্পগ্রন্থ - ২০১৬ ৪। কোমা ও অন্যান্য গল্প(গল্প গ্রন্থ, ২০১৮) ৫। হেমন্তের মর্সিয়া (কবিতা, ২০১৮) ৬। কাঁচের দেয়াল (গল্পগ্রন্থ, ২০১৯)

সাজিদ উল হক আবির › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফটোস্টোরিঃ দ্যা শ্যাটারড আর্টিস্ট

১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:১৯

কনসেপচুয়াল ফটোস্টোরি - সাম্প্রতিক সময়ে জনপ্রিয় ধারার প্রচলিত একটি আর্টফর্ম। আমি ছবি তুলতে পারি না, কিন্তু কিছু দৃশ্য, কিছু ফটোগ্রাফ - খণ্ডখণ্ড ভাবে, আবার সিকোয়েনশিয়ালি আমার মাথায় দীর্ঘদিন যাবত ঘুরে বেড়াচ্ছিল। আমার প্রাক্তন ছাত্র, এবং ফটোগ্রাফার রাশেদ কবির সৌমিকের সাথে আইডিয়াগুলো শেয়ার করবার পর আমরা দু'জন মিলে ছবিগুলির ছক কষি, স্পট রেকি করি, এবং ২০ - ২২ টি ছবির জন্যে প্রায় দেড় হাজার ক্লিকের পর কাঙ্খিত দৃশ্যকল্পগুলি যথাযথ, বা তার কাছাকাছি আঙ্গিকে বাস্তবে ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হই।

এখানে ছবিগুলিতে মডেল হিসেবে কাজ করেছি আমি নিজেই, তবে যে গল্পগুলো উঠে এসেছে ছবিগুলির মাধ্যমে - আমারি, আবার আমার নয়। আবার একেবারেই আমার না বলাটাও ঠিক হবে না। আমার জীবনের ছায়া আছে। যেকোনো সৃষ্টিশীল মানুষই এই ছবিগুলির কোনকোনটার সাথে নিজেকে রিলেট করে নিতে পারবেন। এখানে আছে প্রেমে পড়ার ও প্রেম হারানো গল্প, আছে বিদ্ধস্ত অবস্থায় নিজেকে খুঁজে ফেরার গল্প, আছে বার বার নিজের ভেতরে উঁকি দিয়ে নিজের সাথে একটা বোঝাপড়ায় আসার গল্প, আছে নিজের শৈশবে ফিরে যাবার চেষ্টা, শেষমেশ আত্মশক্তিতে বলীয়ান হয়ে নিজেকে খুঁজে পাওয়ার আশাবাদী সমাপন।

সৃষ্টিশীলতার ব্যাপক পরিসরে আমার আগ্রহ, আমার কাজ। কনসেপচুয়াল ফটোগ্রাফি আমার আগ্রহের খাতায় নূতন সংযোজন।

আমি ব্যক্তিজীবনে অধূমপায়ী, ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্যে ক্ষতিকর।

১।

"If we ever stop talking send me a song"

২।

Facing the inner Demon
.
"আমরা কেবল পালাই" - the shattered artist continues, "আমরা সিচুয়েশন থেকে পালাই, আমরা নতুন কিছু একটা পাওয়ার সম্ভাবনা থেকে পালাই, নতুন কিছু একটা তৈরি করার সম্ভাবনা থেকে পালাই, পালাই কিছু একটা পরিবর্তন দেখলেই। আমাদের ভয় হয়। আমাদের মনে হয় এই পরিবর্তন স্থায়ী হবে না। মনে হয় - যে সুযোগটা সামনে আছে, এটা আমি ধরে রাখতে পারবো না। এবং , একই সাথে নিজেদের পরিচিত অ্যাটমস্ফেয়ারে গুটিশুটি মেরে বসে থাকার যে আরাম, সেইটাও ছাড়তে চাই না। যাকে ইঞ্জিরিতে বলে - stuck in comfort zone"
.
এই ইনসিকিওরিটির কোথায় জানেন? আমরা প্রত্যেকেই জীবনে নিজেদের একটা পার্টিকুলার অবস্থানে দেখতে চাই। আমাদের ব্রেইনে আমাদের নিজেদের একটা আইডিয়াল ইমেজ সেভ করা আছে। সেইটা আমাদের আদর্শ রূপ। যেমন একজন ছাপোশ কেরানীর হয়তো মনে মনে বড় অভিনেতা হবার শখ। সে যখন একদম একা থাকে, সে হয়তো ঘরের দরজা আটকে আয়নার সামনে দাঁড়ায়ে নবাব সিরাজদ্দৌলার ডায়লগ অনর্গল মুখস্ত বলতে থাকে। অথবা ধরেন আপনি স্বপ্ন দেখেন সিনেমা বানানোর, সত্যজিৎ রায়ের মত, অথবা হালের ক্রিস্টোফার নলানের মত। কিন্তু সিচুয়েশন এলাও করতেসে না আপনাকে। অথবা, খুব কমন একটা উদাহরণ - একজন স্টুডেন্টের জন্যে ডিপার্টমেন্টের সবচে ভালো স্টুডেন্ট হওয়া হয়তো তার আইডিয়াল ইমেজ।
.
যখন আপনি আপনার সেই আকাঙ্খিত ইমেজের ধারকাছ দিয়েও হাঁটবেন না, আপনারে ইন্সিকিওরিটি জেঁকে ধরবে। কারণ, আপনার বর্তমান সেলফরে আপনি সম্মান দিতে পারতেসেন না।
.
প্রতিকুলতা এড়ায়ে আপনার আকাঙ্খিত পজিশনে পৌঁছাইতে আপনার হয়তো অনেক সময় লাগবে, কিন্তু এই হতাশা এড়ানোর একটা তাৎক্ষণিক পদ্ধতি হইল - আপনি পথে নামেন, হাঁটতে থাকেন, আপনার স্বপ্নের রাস্তায়। রাস্তাটারে ভালোবাসেন। চূড়ান্ত ফলাফলটারে না। এভাবে, হয়তো আপনি আপনার চাওয়ার থেকেও অনেক বড় কিছু পাবেন। অথবা, হয়তো কিছুই পাবেন না, শুধু - "হার মানি নাই, জীবনের কাছে পড়ে পড়ে মাইর খাই নাই" - মনে মনে শান্তিটুকু ছাড়া।

যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি আপনার নিজের লাইফস্টাইলরে সম্মান করতে না পারতেসেন, যতক্ষণ আপনি নিজে নিজের লাইফের হিরো হইতে না পারতেসেন, আপনার ইনসিকিওরিটি কাটবে না। আপনার সবসময় মনে হবে আপনি কোন সাফল্যের উপযুক্ত না, আপনার আশেপাশের সবাই একসময় আপনারে অকর্মণ্য ভেবে চলে যাবে। আর নেতিবাচক চিন্তার জের ধরে ঘরের অন্ধকার কোনায় তেলাপোকার মত গুটিসুটি পাকায়ে বসে থাকতেই আপনার ভালো লাগবে।
.
Face your inner Demon! ঐটার মুখোমুখী দাঁড়ান। আপনার অন্তরের ভিতরে পুরা পৃথিবীর জন্ম। পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে প্রতিমুহূর্তে যে পরিমাণ পজিটিভ এনার্জি রেডিয়েট হচ্ছে, কানেক্ট ইওরসেলফ উইথ ইট! আপনার আত্মা আপনারে যে পথে টানে, সেই পথে প্রথম পা টা ফেলেই দেখেন - জীবন একদম ভোজবাজির মত পাল্টায়ে যাবে।"
.
বোকার হাসি হেসে The Shattered Artist বলেন - "উপদেশ দিই নাই বাহে, অনুভবের জায়গা থেকে কথাগুলি বললাম। ভাবে আইসা গেলে আর থামবার মন চায় না।" :3

৩।

The Narcissist
.
"মানুষ আজকাল "self love" -এর অনেক ভুল ইন্টারপ্রিটেশন করে। অথচ, যেকোনো ইন্টারনাল ক্রাইসিস থেকে বের হয়ে আসার এর থেকে কার্যকরী উপায় কিন্তু আর নাই। সেলফ লাভ মানেই টিস্যু বক্স আর ল্যাপটপ নিয়ে দিনরাত বসে থাকা না।
.
সেলফ লাভ মানে নিজের কাছে ফিরে আসা। নিজের দিকে তাকানো। যে প্রশ্নগুলি তাড়া করে বেড়াচ্ছে - সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে মানুষের দরজায় দরজায় ঘুরে না বেড়ানো। নিজের ভেতরে উত্তর খোঁজা। আমি কে? আমি কি চাই? কিসে আমার শান্তি? আমি যে কষ্টে আছি, আমি যে হতাশাগ্রস্থ - তার উৎস কই?
.
নিজেরে তীব্রভাবে ভালো না বাসলে কখনোই মেরুদণ্ড শক্ত করে দাঁড়ানো সম্ভব না। এটা কেউ আগে বোঝে, কেউ একটু দেরীতে। আমার বুঝতে দেরী হয়েছে। এখনও পুরোপুরি বুঝে উঠেছি এমন দাবী করবো না। বাট আই অ্যাম অন মাই ওয়ে। চেষ্টা করছি প্রায়োরিটিটা টেনে নিজের ওপর আনার।"
.

৪ ।

"এ বড় দারুণ বাজি, তারে কই বড় বাজিকর
যে তার রুমাল নাড়ে পরানের গহীন ভিতর ৷"
.
The shattered artist continues - " হাততালি ভালো লাগে, যখন গাই, স্টেজে থাকি - নীচে দাঁড়ানো জনতার উদ্দাম চিৎকার ভালো লাগে। ভালো লাগে মেয়েদের চোখের প্রেমময় চাহুনি।
.
কিন্তু, আমাকে এটা বলো - রাত তিনটায়, যখন সবাই ঘুমিয়ে থাকে অথচ আমার চোখে ঘুম আসে না, আর আমি আমার একলা ঘরে আকুল হয়ে গাইতে থাকি -
.
'পারে লয়ে যাও আমায়, পারে লয়ে যাও আমায়',
.
আমার গানের সাথে রাত শেষ হয়, সূর্যের প্রথম কিরণটুকু আমার জানালা দিয়ে প্রবেশ করে,
.
কে শোনে আমার গান সেই সময়?
কাকে উদ্দেশ্য করে গাই আমি?
কার উদ্দেশ্যে পরান পোড়ে তখন?
এই শেষরাতে?
এই রাত্রিভোরে?
কে সে?
চিনো তুমি তারে?"

৫।

"Society loves to talk about individuality, about freedom but it never nurtures your unpolished - raw looks. So you have to start your day wearing a mask - with a representable smiling face that will be appreciable to everyone."

৬।

"সুপার হিরো মানেই কেবল ব্যাটম্যান না, সুপারম্যান না, উলভারিন না। সুপার হিরো আকাশে ওড়ে না, উঁচু উঁচু ছাদ থেকে লাফ দেয় না, সুপার হিরো কেইপ পরে না, সুপার হিরো সবসময় মুখোশ পরে না, সুপারহিরোর হাত থেকে স্পাইডারম্যানের মত মাকড়শার জাল বের হয় না, চোখ থেকে অতিপ্রাকৃতিক আলোকরশ্মি বের হয় না, হাত থেকে লোহার শিক বেরোয় না।
.
আমাদের সমাজ, আমাদের পরিবার, আমাদের সবচে কাছের মানুষগুলি লোহার শিকল নিয়ে ঘোরে আমাদের পায়ে পড়ানোর জন্যে। প্রচলিত নিয়মে আর দশজন মানুষ যেরকম, আমাদের ব্যাক্তিস্বাতন্ত্র কেটেছেঁটে সেই রকম গড়পড়তা মানুষের (পড়ুন ভেড়ার পালের) কাতারে নিয়ে সামিল করবার বড় ইচ্ছা তাদের।
.
সুপারহিরো সেই ব্যাক্তি - যে সমাজের এই সব বাঁধা বিপত্তির মুখে বুক চিতিয়ে দাঁড়ায় এবং নিজের একটা আলাদা আইডেন্টিটি তৈরির জন্যে ক্রমাগত যুদ্ধ করতে থাকে। সবাই হাসে, সবাই তাঁকে পাগল বলে, বলে তার কোন ভবিষ্যৎ নাই। কিন্তু সে যা দেখতে পায় অন্ধ সমাজ, বধির সমাজ, পচাগলা সমাজ তা দেখতে পায় না। তাই পড়াশোনার ফাঁকে, চাকরীর ফাঁকে বহু কষ্ট করে হলেও সে দিনে ঘণ্টাখানেক সময় স্রেফ নিজের জন্যে আলাদা রাখে, যখন সে গান লেখে, কবিতার বই পড়ে, উপন্যাসের প্লট নিয়ে কাজ করে বা নিজের পরবর্তী শর্টফিল্মের স্ক্রিপ্ট নিয়ে কাজ করতে থাকে। নতুন কিছু সৃষ্টির উন্মাদনায় পাগল এই লোকগুলিই সুপারহিরো। তাদের হাতেই পৃথিবীর সব বড় বড় পরিবর্তনগুলি আসছে, তারাই সব পরিবর্তন আনবে।"
.
The shattered Artist stops. He puts his head down and whispers -
.
"আমি আমার লাইফের সুপারহিরো। কথাটা তোমার কাছে পাগলের প্রলাপের মত লাগলেও আমার কাছে এইটা পৃথিবীর সবচে বড় সত্য। যেদিন আমি আমার নিজের কাছে সুপারহিরোর পজিশন হারায়ে ফেলব, সেইদিন আমারও মৃত্যু ঘটবে। যে বেঁচে থাকবে সে আমি না, সমাজের প্রচলিত নিয়মের সাথে সন্ধি করা এক জম্বি।"

৭।

"পুরানো ঢাকা ছেড়ে যাবার সময় কোন জিনিস বুকের মাঝে করে নিয়ে গিয়েছি? সে এক অভ্যেস।
.
দরজা লাগাতাম না কখনো আমরা আমাদের। সদর দরজা খোলাই থাকতো। বন্ধুবান্ধব, পাড়া প্রতিবেশী যার যখন মনে চায় আসতো যেতো। দেখার কেউ ছিল না। সবাইকে আপন করে নেয়ার একটা সহজাত প্রবণতা ছিল ভেতরে। পুরানো ঢাকার আমেজটাই এরকম - দিলখোলা, আনন্দ মুখর, আন্তরিক।
.
বড় হয়ে বুঝলাম, আমার হৃদয়ের দরজাও একই ভাবে সব মানুষের জন্যে খোলা থাকে হাট হয়ে, দিনরাত্রি। সাথে সাথে এও বোঝা হয়ে গেল আমার প্যাঁরাগ্রস্থ হয়ে থাকার আরেক কারণ - হৃদয়ের দরজা খোলা থাকা মানুষদের হৃদয় অপরাপর মানুষেরা রেলওয়ে স্টেশনের মতই ব্যাবহার করে।"

৮।

"Life moves on. It moves on depending on the books we read." - says the shattered artist.
.
"I remember, from my college days I started carrying 10 to 12 books in my bag, whether I needed them or not. My bag looked heavy and I felt satisfied. I was satisfied being a bookworm and my friends mocking me as a geek." - He continues.
.
"You know what, if books had genitals, I wouldn't need another woman in my life!" - My jaw drops along with the bomb that shattered artist drops, "Because, books have all the other features of a companion."

৯।

- 'You see the tree at the corner, where the street takes a sharp turn to the left?'
- 'Yeah'
- 'You see how beautifully bloomed it is?'
- 'Yeah, I do'
- 'That's what HIS love turned me into. It made me bloomed both from inside and outside. It made me bloomed in a season when I wasn't even sure what to expect from life.'
.
I feel an indomitable urge to argue. Every single molecule of my body that makes me the person I am, wants so shout and tell her that - there is no specific reason or season for/of falling in love.
.
But I don't.
Let's say, I can't.
.
I am stuck somewhere else. Whatever she has said has pushed me into another space. A puzzled space.
.
It is almost winter. I walk through this street every day. It's on my way to office.
Why I never noticed this tree before?
And for God's sake what kind of tree is it that blooms in winter?
.
I do struggle to gather all my shattered piece of mind and to bring me back in the coffeehouse again. I take a long sip of coffee and try to focus fully on her. That's a bad trap where I am stumbling almost every time these days. I can't take a single reminiscence of the man she used to date. Not even a metaphoric one.
.
- 'How do you define of a cursed flower?' She asks in a rhetorical manner - 'A cursed flower is that which doesn't know for whom it has sprout. I never felt like that would be me someday. Believe me Aabir, I mean it when I say. I saw home in his eyes. It made a restless heart, for the first time, willingly ready to settle down. But when he was gone and I was left aback, without any explanation, without a single prior sign - I was lost. I suddenly found that it was spring all around, but I have become that fallen flower, a fully sprout flower with all its beauty and fragrance, waiting to be crushed brutally under feet of peasants.'
.
Strangling always hearts. It takes your life. Even if you are strangled with the soft hair of your beautiful bride, you will eventually die. But it hurts the most when you are strangled and choked with words. Because, being strangled, whether with rope or soft hair, ensures your death. A cold blooded death. But strangling with words snatches your breath away without killing you.
.
I lose the knot of my tie, open the upper button of my shirt.
Since when winter has become so humid and suffocating?
.
- 'I am still waiting to meet him for one last time. I have that one question to ask him that ...'
.
Suddenly she finds the book that has been peeping through the envelop I was carrying.
It was Soul Fury , a collection of poetry by Persian mystic poet Rumi.
.
- 'Wah! Give it to me ...'
.
she almost snatches it away from me. That's the paradox of falling in love with a girl who loves poetry. You make her happy just by gifting her a collection of poetry that she loves, and when she's all nostalgic, she will kill you by representing her previous romantic affiliation poetically!
.
- 'Will You recite a verse for me from it?' I ask her.
- 'Oh sure!' she quickly goes through a few pages and finds one. Her face brightens up!
- 'Okay listen, don't judge me, ha? I am not good at recitation.'
- 'As if I ever have done before?'
she replies with a smile and continues -
.
"Love came and said
that I should be only with it,
that I should avoid being
sensible, steady, intellectual.
.
So love and I kept visiting,
back and forth, until now.
I did not go home.
.
I live here now, inside
this new annihilation"
.
- 'How accurately this poem speaks of my mind! I wish I could recite it while he was here, I wish I could recite it to him, straight looking at his eyes!'
.
She utters each of the words with so much innocence that it almost brings tear in my eyes. I feel sobbing like a baby and telling her that these words represents me too. I want to tell her that I was expecting a different response, where I am present as well, even in its tiniest part. I want to ask her - with a prior notion that all poetic souls are sensible, how could she not understand the amount of love I carry for her? How could she be so careless about me?
.
But I don't.
Let's say, I can't.
.
And each of words that she utters, each of letters in it, stabs me. Stabs me direct in my heart.
.
I never met that person with whom she has been in love,but I want to. I want to meet this person to whom I feel this much helplessly defeated. I don't hate him anymore. I have overcome this. I just want to know that how he has touched her (with whom I am in helpless love for past one year, whom I met every now and then, try to be by her in all her ups and downs) so deeply, with so much intensity? If it is his luck, then how can someone buy luck like this?
.
- 'Okay, leave it.' I say - 'You said you would like to ask him a question. You didn't finish. What was it?'
.
Her eyes, while answering me, defined melancholy -
.
- 'If I find him ever, I will ask - has he found the love in quest of which he abandoned me?
.
Could he manage to find that love?'
.

১০।

একটা গল্প , একটা মাত্র গল্পের খোঁজে আমি এই শহরের রাস্তায় হেঁটে চলেছি মাইলের পর মাইল। প্রবল আশা নিয়ে তাকিয়েছি হরেক বয়সের, হরেক ব্যাকগ্রাউন্ডের হাজার হাজার মানুষের মুখের দিকে। পড়তে চেষ্টা করেছি তাঁদের চোখের ভাষা, বোঝার চেষ্টা করেছি তাঁদের অঙ্গভঙ্গির মাঝে কোন গল্প ঊহ্য আছে কিনা। হেঁটে চলেছি বৃষ্টির দিনে, হেঁটে চলেছি কনকনে শীতে, হেঁটে চলেছি প্রখর রৌদ্রে বা শরতের মেঘের ছায়ায়। হেঁটে চলেছি দিনে, হেঁটে চলেছি রাতে, হেঁটেছি বিকেলে - সন্ধ্যায়, আবার ভোরেও।
.
এই হেঁটে চলার ফাঁকেই অনেকে আমার সাথে কাঁধে কাধ মিলিয়ে হেঁটেছে। হাতে রেখেছে হাত। পরিণত হয়েছে ছায়াসঙ্গীতে। তারপর, একদিন ছায়াতেই মিলিয়ে গেছে। সৃষ্টিশীলতার পথে যাত্রা এক দীর্ঘ নিঃসঙ্গ যাত্রা। এখানে আদতে কেউ কারো চিরদিনের সঙ্গী হতে পারে না। কেউ কাউকে পথও দেখাতে পারে না। পারে সরবচ্চ নিজের অভিজ্ঞতাটুকু শেয়ার করতে।

.
হাজারো মানুষের দুঃখ নিজের বুকে ধারণ করে বেঁচে থাকা আমার কাজ। তাঁদের দুঃখ-কষ্ট , তাঁদের দৈনন্দিন জীবনকে পুঁজি করেই তৈরি হয় আমার একেকটি গল্প।
.
একজন লেখক আমি। এটাই আমার পরিচয়।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো পোষ্ট দিয়েছেন।
ছবি গুলো ভালো হয়েছে। ফ্রেমিং এ নতুনত্ব আছে। সব ছবিতে মডেল কি একজনই?

১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৫১

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: শুভ নববর্ষ , রাজীব নুর ভাই। সবগুলো ছবির মডেল একজনই, নয় নম্বর ছবিতে একজন নারী মডেল বাদে।

২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৩৩

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: Nicely done.

১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৫২

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: শুকরিয়া।

৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৩৯

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: ফেসবুকে ফটোস্টোরিটা দেখে-পড়ে মোটামুটি ফ্যান হয়ে গিয়েছিলাম। দারুণ ভাবনা।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৫৪

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: অকপট ভালো লাগা জানানোর ব্যাপারটা ব্লগে বহুল চর্চিত নয়। আপনাকে অভিনন্দন, ধন্যবাদ এবং শুভকামনা।

৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৪০

আহমেদ জী এস বলেছেন: সাজিদ উল হক আবির,





এও তো নিজেকেই খুঁজে ফেরা নিরন্তর।
নার্সিসিষ্টিক আইডিয়া।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৫৭

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: বটেই তো। তবে - এটা সেই আত্মপ্রেম, যেটা মোজার্ট চর্চা করেছেন, রবীন্দ্রনাথ চর্চা করেছেন, লালন ফকির চর্চা করেছেন, সৃষ্টিশীলতার সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিটি মানুষ চর্চা করেছেন। নিজের মাঝে ডুবে নিজেকে বোঝার চেষ্টা না করলে সামনে এগুনো সম্ভব নয় না। স্রোতের সাথে ভেসে চলতে হয়।

৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৫২

আমি তুমি আমরা বলেছেন: ভাবনা সুন্দর। ছবি এবং তার পেছনের গপ-খারাপ লাগেনি।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৫৮

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: মতামত জানানোয় শুকরিয়া।

৬| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৪০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: Great ,happy new year

১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:০৯

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: শুভ নববর্ষ , নেওয়াজ ভাই।

৭| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: শুভ নববর্ষ , রাজীব নুর ভাই। সবগুলো ছবির মডেল একজনই, নয় নম্বর ছবিতে একজন নারী মডেল বাদে।

অনেক বছর আগে কয়েকমাস আমি ফোটোসাংবাদিক হিসেবে কাজ করেছি সমকাল আর যুগান্তর পত্রিকায়। এর পর অনলাইনেও দীর্ঘ দিন কাজ করেছি।

প্রতিদিন ছবি তুলতাম। এখন গত ছয় মাসে একটা ছবি তুলি নাই।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:১২

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: আপনার নামে একজন সাংবাদিক সমকাল পত্রিকায় চাকরি করতেন, এমনটা খুঁজে পেয়েছিলাম। ওনার নামও রাজীব নূর। সেপ্টেম্বর অন টেকনাফ রোড নামে একটা বই আছে ওনার ।

৮| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:১৫

বিজন রয় বলেছেন: অনেক দিন পর আপনাকে।

আপনার মতো ট্যালেন্ট ব্লগাকে মিস করি।

নিয়মিত হন।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৫৩

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: সে তো আপনাকেও বহুদিন পর পেলাম, বিজন রয়! ব্লগ ট্যালেন্ট লালন পালনের জায়গা কি? আমার সাম্প্রতিক পর্যবেক্ষণ তো তা বলে না।
কাজ থেমে নেই। গত পরশুদিন একটা ইন্টারন্যাশনাল জার্নালে আমার ইংরেজি ভাষাতত্ত্ব বিষয়ক একটা গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হল। শহিদুল জহিরের একটা উপন্যাস ইংরেজিতে অনুবাদ করে শেষ করলাম। আমার সপ্তম বই এবং প্রকাশের অপেক্ষায় থাকা প্রথম উপন্যাসের সেকেন্ড ড্রাফ্‌ট শেষ করলাম আজ। নতুন গান লিখেছি প্রায় আধ ডজন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করছি আজ প্রায় আধ - দশক। চোখ মহাকালের পাতায়।

আপনি ভালো থাকুন। মঙ্গল হোক।

৯| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৫

পদ্মপুকুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ব্লগ ট্যালেন্ট লালন পালনের জায়গা কি? আমার সাম্প্রতিক পর্যবেক্ষণ তো তা বলে না।

বুজছি, আপনারও সময় হয়ে এলো..... এ জন্যই আমি আপনার একটা পোস্টে বলেছিলাম- অনুগ্রহপূর্বক লেখা ছেড়ে যাবেন না...
যাই হোক, ইদানিং ব্লগ পড়তে ভালো লাগছে না, লম্বা ছুটি নিরস হয়ে খানিকটা অস্থির সময় কাটছে, আপনার পুরো পোস্টও পড়িনি। কিন্তু অন্যদের মন্তব্য পড়লাম।

একদম উপরের দিকে কনসেপচুয়াল ফটোগ্রাফি এবং সৃষ্টিশীলতার ব্যাপক পরিসরে কাজ করার আগ্রহের কথা বলেছেন, ভাল্লাগলো। কিন্তু আমার একটু মনে হয় এই 'সৃষ্টিশীলতা' কথাটার মধ্যেই একটা বিশাল ফাঁক রয়ে গেছে। এই লেখাটা পড়ে দেখতে পারেন।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৪১

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: মন্তব্যে ধন্যবাদ, জনাব পদ্মপুকুর।

ব্লগে মোটামুটি একটা দীর্ঘ সময় পার করে আসার পর - নিজে যা ভাবছি, নিজে যা লিখছি, এর বাইরে চেষ্টা করি কোনকিছু গায়ে না লাগাবার। কখনো কখনো কেউ কেউ এসে সুচিন্তিত মন্তব্য করেন, তাদের কথা নিয়ে সাময়িক চিন্তাভাবনা করি, এই তো। কখনো কখনো কারো লেখা দেখে সম্ভাবনাময় মনে হয় , উপযাচক হয়ে দুটো ভালো কথা বলি, এমন এমন উত্তর আসে - দেখে হতাশ হতে হয়। তখন মনে হয় - ব্লগে কারো লেখা পড়ে সময় নষ্ট করা কেন? মানুষের সংক্ষিপ্ত জীবন - পড়ার মত মহান লেখকদের অসংখ্য অগনিত বই, দিনে দশঘণ্টা করে পড়লেও তার ১ শতাংশ পড়ে শেষ করা যাবে না আমৃত্যু।

বাংলাদেশের ব্লগিং সামগ্রিক বাংলাদেশের একটা খণ্ডচিত্রই। ফিচার রাইটার , বিদেশী ম্যাগাজিন থেকে অথবা অনলাইন পোর্টাল থেকে তথ্য সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা শেয়ার করছে। সেগুলো আলোচিত ব্লগে পরিণত হচ্ছে। ব্লগাররা সেখানে গিয়ে লাইনে বেলাইনে প্রচুর মন্তব্য করছে। অথচ গুছিয়ে লেখার প্রবণতা বিশিষ্ট এই ব্লগাররা যদি বাংলার চিন্তার ইতিহাস, পৃথিবীর দর্শন, বিজ্ঞান চর্চার ইতিহাস - ইত্যাদি বিষয় নিয়ে ধারাবাহিকভাবে লেখা শুরু করতেন, তবে বাংলাভাষায় আমাদের অনলাইন জ্ঞান ভাণ্ডারটা কত সমৃদ্ধ থাকতো চিন্তা করুন। যারা গল্প লেখে, কবিতা লেখে - তারা সম্প্রতি কার লেখা , বা কবিতা পড়ছেন - প্রশ্ন করলে উত্তর আসে ফেসবুকের আর ব্লগের কবিতা - গল্প পড়েই সময় পাই না আবার বই পড়া!

এমতাবস্থায়, আমি খানিকটা নিজেকে গুটিয়ে ব্লগিং করছি। এই ব্লগের থেকে ভালো প্রকাশ মাধ্যম পাওয়ার আগ পর্যন্ত এই ব্লগ ছেড়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নেই।

'সৃষ্টিশীলতা' - শব্দটির দ্যোতনা একেকজনের কাছে একেকরকম। এটা যার ভেতরে কাজ করে, তার ভেতরে কাজ করে। আলোচনা করে এ বিষয়ে আমার পক্ষে বেশিদূর যাওয়া সম্ভব না। সৃষ্টিশীলতা নিয়ে কেউ ব্যাবসা করে , কেউ এটা বিক্রি করে খায়, কারো জন্যে এটা শুধুই আশীর্বাদ, পয়সাকড়ি উপার্জনের মাধ্যম নয়। আমি সৌভাগ্যবান যে আমার একটা স্থিতিশীল জীবন আছে। আমার লেখা বা সঙ্গীত বিক্রি করে পেট চালাতে হয় না। তাই নানা রকম পরীক্ষানিরীক্ষার মধ্যে আপোষহীন ভাবে নিরন্তর নিজের মত একটা পথ তৈরি করে চলেছি।

আপনার পোস্টটা পড়লাম। যে বেচারা ঐ লোগো কপি করেছে, তার নিজের চৌর্যবৃত্তির স্বভাব তাকে শিল্পী হিসেবে এগুতে দেবে না বেশীদূর। তার অ্যাডফার্মের মালিকেরও যে দূরদৃষ্টির অভাব আছে, তাও বোঝা গেল। তবুও, আমি কামনা করি ঐ লোগো ডিজাইনার বেঁচে থাকুক, আরও ভালো কাজ করুক। বাংলাদেশে কর্পোরেট জগতে সবচে নিষ্পেষিত জনগোষ্ঠী হচ্ছে ডিজাইনাররা। আমি নিজে গ্রাফিক ডিজাইনে শিক্ষকতা করি বলে জানি।

আপনি ভালো থাকুন। ব্লগের বদলে ভালো বই পড়ে, ভালো সিনেমা দেখে, পরিবারকে সময় দিয়ে, নিরাপদে, সুস্থ- সুন্দরভাবে সময় কাটান। শুভকামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.