নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাজিদ উল হক আবির

সাধু সাবধান ! ব্লগের মালিক বঙ্গালা সাহিত্যকে ধরিয়া বিশাল মাপের ঝাঁকি দিতে নিজেকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে প্রস্তুত করিতেছেন। সেই মর্মে তিনি এখন কিটো ডায়েটিং, ডন-বৈঠক ও ভারোত্তলন প্রশিক্ষণে ব্যস্ত। প্রকাশিত গ্রন্থঃ১। শেষ বসন্তের গল্প । (২০১৪)২। মিসিং পারসন - প্যাত্রিক মোদিয়ানো, ২০১৪ সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী (অনুবাদ, ২০১৫) ৩। আয়াজ আলীর ডানা (গল্পগ্রন্থ - ২০১৬ ৪। কোমা ও অন্যান্য গল্প(গল্প গ্রন্থ, ২০১৮) ৫। হেমন্তের মর্সিয়া (কবিতা, ২০১৮) ৬। কাঁচের দেয়াল (গল্পগ্রন্থ, ২০১৯)

সাজিদ উল হক আবির › বিস্তারিত পোস্টঃ

আর বুড়ো বুড়ো মেঘেদের দল ...

০২ রা মে, ২০২০ রাত ৩:০১

অথচ হয়তো মিনিট পাঁচেকের জন্যেই খাটে চিত হয়ে শুয়েছিলাম সিলিং এর দিকে তাকিয়ে। শুয়ে ভাবছিলাম যে - একটা সময় দুশ্চিন্তা বা কাজের চাপ ছাড়া এভাবে চিত হয়ে সিলিং এর দিকে তাকিয়ে শুয়ে থাকতে পারা, তা পাঁচ মিনিটের জন্যে হলেও ভাগ্যের ব্যাপার মনে হত। অথচ এখন, শুয়ে থাকাই কাজ। পিসিতে খুব হালকা নয়েজে The Paper Kites নামে এক আন্ডাররেটেড ব্যান্ডের গান বাজছে। আমার হঠাৎ মনে হল, এই গানটার সাথে মিলিয়ে এই মুহূর্তে আমার উচিৎ হত আসেপাশে অরণ্যে ঘেরা কোন এক কাঠের বাড়িতে শুয়ে থাকা। জায়গাটা জাপানে হলে ভালো হত, হারুকি মুরাকামির উপন্যাসের চরিত্র কাফকার মত, অথবা ইউরোপের স্ক্যান্ডিনেভিয়ান কোন দেশে, অথবা অ্যামেরিকার দক্ষিনাঞ্চলে। তারপর আমার মনে হল, এর কোনটাই সম্ভব না, অন্তত এই মুহূর্তে, কেননা আমি বাংলাদেশি, কিন্তু বাই চয়েজ না, জন্মসূত্রে। তারপরেই আমার মনে হল - পুরো ব্যাপারটা কি অদ্ভুত। আমাদের অস্তিত্বের চাওয়া বা না চাওয়ার ওপর আমাদের অস্তিত্বশীল হয়ে ওঠা নির্ভরশীল নয়, অথচ অস্তিত্বটা কোনক্রমে পেয়ে যাওয়ার পরে আমার এই অস্তিত্বের চে' গুরুত্বপূর্ণ আর কিছু হয়ে ওঠে না, সাধারণত। তারপর আমার মাথায় এলো আকাশে অ্যারোপ্লেন ভেসে যাওয়ার একটি দৃশ্য। এইতো কয়েকদিন আগেই মাঝরাতে ঘুম ভেঙ্গে বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ানোর পর একটা অ্যারোপ্লেনকে শুটিং স্টার মনে করে সে কি এক্সাইটমেন্ট আমার! আমার ঘুমন্ত বউকে পারলে ডেকে টেনে এনে দেখাই সেটা। চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু কপাল ভালো ও আমার ডাকে সাড়া দেয় নি। নইলে মাঝরাত্রে শুটিং স্টারের নাম করে অ্যারোপ্লেন দেখানোর জন্যে কি ঝাড় যে খাওয়া লাগত! যাইহোক, এই অ্যারোপ্লেন জিনিসটাকে আমার সবসময়ই টাইম মেশিনের মত লাগে। যন্ত্রটা মানুষের পরিচয় বদলে দেয়, রিয়েলিটি চেঞ্জ করে দেয়। ওতে চড়ে বসবার মুহূর্তটায় হয়তো সে পুরোদস্তর বাঙ্গালী, কিন্তু প্লেন গিয়ে নামলো ধরুন ইউরোপের কোন এক দেশে, অথবা সৌদি আরবে, অথবা আফ্রিকায়। সাথে সাথে কিন্তু সেই বাঙ্গালীর রিয়েলিটিটা বদলে গেলো। তার এখন আচরণ করতে হবে সেই দেশ, সেই জাতির সঙ্গে মিলিয়ে। সে তখন ভোগ করা শুরু করবে সে জাতির হাজার বছরে বয়ে আসা সভ্যতার সুফল। তারপর আমার একটা অ্যারোপ্লেনে চড়ে বসতে মন চায়। মন চায় অ্যারোপ্লেনে করে এমন একটা দেশে চলে যেতে, যার শহরের পাসে গভীর নীল একটা সমুদ্র আছে। যেখানে আবহাওয়া নাতিশীতোষ্ণ। যেখানে আমার পেশাজনিত কোন হুড়ো থাকবে না, লেখক হবার বাসনাজনিত তাড়া থাকবে না, হাতে এই মুহূর্তে যেমন -প্রাকউপনিবেশিক বাংলার দর্শনের একটা মাথায় চাপ ফালানোর মত বই, এরকম নয়, বরং খুব সফট একটা বই থাকবে, হয়তো তা রুমির , বা বদলেয়রের বা নেরুদার বা জয় গোস্বামীর কবিতার সংকলন, পাশে একটা গিটার থাকবে, আর থাকবে দু'চারজন প্রিয়, পছন্দের মানুষ। আমরা বসে একসঙ্গে গল্প করে কিছুক্ষণ যে যার মত বালুকাবেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসে ঐ অপার্থিব সৌন্দর্য দেখব। কারো উপস্থিতি কারো ওপর চাপিয়ে দেবো না, কারো উপস্থিতি কাউকে কষ্ট দেবে না। তারপর মনে পড়লো, রবিঠাকুরের ছিন্নপত্রাবলী পড়ে শেষ করলাম দিন কয়েক আগে। ওনার মত পদ্মার বুকে একটা বজরা নিয়া বের হইয়া পড়তে পারলে মন্দ হইত না। তবে সময়টা হওয়া দরকার ছিল ১৯১৫ সাল, তাইলে কিছুদিন ধরেন এইপারে ঘোরাঘুরি শেষ করে বিনা পাসপোর্টে গিয়া শান্তিনিকেতনে নন্দলাল আর গগন ঠাকুরের পরিকলপনায় শান্তিনিকেতনের নববর্ষ বরন দেখতে পারতাম। তারপর মনে পড়লো একটা গান, মনে পড়লো - 'আজি নূতন রতনে ভূষণে যতনে প্রকৃতি সতীরে সাজায়ে দাও'। মনে পড়লো প্রকৃতিরে সতী বলল কেন রবি ঠাকুর? তারচেয়েও গুরুত্বপূর্ণ - আমার এক ছাত্রী গাইছিলো এই গান, আমার আগের ইউনিভার্সিটির বর্ষবরনে। ও গাওনের পর এই গান আর কোনদিন, কারো গলায় ভালো লাগে নাই আমার। কেন লাগে নাই? মনে পড়ে, কিছু জিনিস মনের ফ্রেমে আটকা পড়ে সারাজীবনের মত। মনে পড়ে ক্লাস সেভেনে পড়া অবস্থায় প্রথম আলো আন্তস্কুল বিতর্ক প্রতিজগীতার ফাঁকে আমি যখন স্টেজে আনুশেহ আনাদিলের গাওয়া নামাজ আমার হইল না আদায় গানটা গায়া খুব ভাব নিয়া সিটে আইসা বসলাম, তারপর ভিকারুন্নিসা স্কুলের একটা মাইয়া আইসা গাইল - 'বরিষো ধরা মাঝে শান্তিরো বারি'। তারপর মনে পড়লো, একটা মাত্র আলো পুরা হল ঘর জুইরা, ফ্লাডলাইটের মত, মেয়েটার মুখের উপর, মেয়েটা কারো কাছে শান্তির বারি বর্ষণের প্রার্থনা করতাছে, কিন্তু জিনিসটা কি, বা যার কাছে জিনিসটা আছে, সে এই গান , এই প্রার্থনা শুইনাও না ফেলায়া ক্যামনে কালক্ষেপণ করতেছে, আহারে। মনে পড়ে, এই চিন্তা এখনো আমার মাথায় ঘুরে। তারপর আমি আবার প্রাকুপ্নিবেশিক বাংলার দর্শন পড়ি। রায়হান রাইন সাব কন - তত্ত্বের সার্বজনীনতার গল্প পাশ্চাত্য আমাদের শুনায় বটে, কিন্তু আমদানি করা তত্ত্ব দিয়া আমাগো বুঝতে হইলে আমাগো বুঝতে হইব আমাগো সংস্কৃতির মধ্য দিয়া। তারপর মনে পড়ে , তারপর মনে পড়ে বটবৃক্ষের তলে আইলাম ছায়া পাইবার, আশে ডাল ভাঙ্গিয়া রৌদ্র উঠে আমার কর্মদোষে। তারপর মনে পড়ে, ফ্রেডি মার্কারি যে হালায় পারসি আছিল, তা কয়জনে জানে, আর কয়জনে গুনে। তারপর মনে পড়ে '৭১ এর একটা মূলধারা, নাকি একাধিক মূল ধারা? তারপর মনে পড়ে আমির আজিজ আর শালা সাবকুছ ইয়াদ রাখা জায়গা মাদারটোস্ট! তারপর মনে পড়ে, তারপর মনে পড়ে , আর্টসেল আর কয়দিন এরশাদের গান ভাইঙ্গা খাইবো? তারপর মনে পড়ে দুটো মানচিত্র এঁকে দুটো দেশের মাঝেএএএএএএএএএ। তারপর মনে পড়ে লকডাউন খুললেই গিটার নিয়া ঢাকার রাস্তায় রাস্তায় বাড়ায়া পরমু। গানে গানে আরশিনগর। তারপর মনে পড়লো, মানুষরে জন্মের আগে কেউ জিগায় না ক্যা যে ভাই তুই জন্মাইতে চাস নাকি? তারপর মনে পড়লো আমার কিছু খাওয়া দরকার, যদিও সেহরি খাবো একটু পরেই। তবুও খাওয়া থেকে মনে আসলো , দীর্ঘদিন ঢাবির মোহসিন হলের নুডুস খাই না। তারপর মনে পড়ে ছাত্রজীবনে যখন যাতায়াত - লাঞ্চ - চা নাস্তা - ফটোকপি মিলিয়ে সারাদিনের সাকুল্যে হাতখরচ ছিল ১০০ টাকা , সে সময় মহসিন হলের খিজির ভাইয়ের হাতে বানানো ৩৫টাকার কোকোলা নুডুলস আমার মত অনেক ছাত্রের জীবন সহজ কইরা দিছিল। মনে পড়ে সেই স্মৃতিচারণ করতেই মাসখানেক আগে এক দুপুরে মহসিন হলে গেলাম। খিজির ভাইয়ের সাথে দেখা হইতেই একগাল হাইসে বললেন - উনি আর নুডুলস বিক্রি করেন না। এখন আরও ভারী খাবার (ভাত - মাছ - মাংস ইত্যাদি) বিক্রি করেন। শুনে কষ্ট পাইলাম তো বটেই, একবার মনে হল ওনাকে বলি যে - আপনার নুডুলস বিক্রি বন্ধের সাথে সাথে একটা শিল্পও চিরতরে হারায়া যাইবে। বলি নাই ভালো করছি, বললে কইতেন হালায় গোয়া মারি শিল্পের পেটে নাই খাওন। বলি নাই ভালো করছি কারণ ওনার খুশী খুশী চেহারা দেখে বুঝলাম , ভাত - মাছ বিক্রিতে ওনার লাভ বেশি। ফলে কথাটা আর বললাম না। ছোটখাট ব্যাবসায়ি। যাতে দুইটাকা লাভ হয়, এমন কাজই করুক। যাক, উনি আমারে লইয়া এলেন আর একটা দোকানে। দোকানিকে কইলেন - আমাকে খুব ভালো করে একটা নুডুলস বানিয়ে দিতে। অর্ডার দিয়ে আমি বসে থাকি। ডানে বামে তাকাই। আমার কোন ছাত্রের সাথে দেখা হয়ে যায় কিনা এ নিয়ে চিন্তা করি। পুরনো দিনের কথা মনে করি। মনে পড়ে পরীক্ষার আগে খুব তাড়াহুড়ো করে খিজির ভাইয়ের দোকানে এসে হাম্লে পড়ার কথা, মনে পড়ে বর্ষার দিনে বৃষ্টির ছাঁট বাঁচিয়ে বসে নুডুলস খাবার কথা, মনে পড়ে রমজানের ছুটি শেষে ক্যাম্পাস খুললে খিজির ভাইয়ের বন্ধ দোকানের সামনে - কবে খুলবে এই নিয়ে চিন্তিত মুখে ঘোরাফেরার কথা। মনে পড়ে শীতের দুপুরে নুডুলস খেয়ে এককাপ চায়ে চুমুক দিয়ে মুখ হাঁ করে ধোঁয়া বের করে একটি বয়স্ক ছেলের ড্রাগন সাজার বৃথা চেষ্টা। তখনও ড্রাগন বলতে মানুষ কেবল ডেনেরিস টারগারিয়ানের ড্রাগন বুঝত না। তখনও শীতের দিনে প্রেমিকার ক্লাসরুমের জানালায় প্রেমিক প্রবর বাস্পের সাহাজ্যে লাভ সাইন একে জানালায় প্রেমিকার উদ্দেশ্যে টোকা দিয়ে ঊর্ধ্বশ্বাসে করিডোর ধরে দৌড় দিত। মনে পড়ে খালিদ একদিন আমার পেটের ক্ষুধা বুইঝা আমারে দুইটা নুডুস কিনা দিছিল। হালায় পড়ে সমুদ্রে গেলো গা। সব ভালো মানুষ কেন সমুদ্রে যায় রে ভাই? একটু পরে হাতে নুডুলস আসে। মুখে দিই। অবাক হইয়া দেখি, অতি অখাদ্য। নুডুলস সিদ্ধ হয় নি, সবজি সিদ্ধ হয় নাই, ডিমের ঝুরিভাজির প্রোপরশন ঠিক হয় নাই, লবন বেশি। মেজাজ খিঁচরাইয়া যায়। মন চায় দোকানিকে ডেকে একটা ঝাড়ি দিই। হালারে কই একটা শিল্পের মায়ের বাপ করার অধিকার তোমারে কে দিছে? ভালো কইরা উঁকিঝুঁকি দিয়া দেখি, আমার বয়সী একজন পুরুষ চুলার ওপারে বসা। কেন যেন মনে হল, - এরে আসলে কটু কথা বইলা লাভ নেই। এই লোক মানুষজনরে নুডুলস বানিয়ে খাওয়ানোর পেশাটা মোটেই উপভোগ করছে না। ঢাকা শহরে সোনার হরিনের খোঁজে আইসা ধরা খাওয়া অনেকের মধ্যে এও একজন। জীবিকার তাগিদে এমন কাজ করতেছে - যার সাথে তার কোন আন্তরিকতা নাই, মনের তাগিদ নাই। চুলার ওপাসে বসা এই টগবগে যুবকটিরো বসে বসে মানুষকে নুডুলস বানিয়ে খাওয়া ভালো লাগার হয়তো কোন কারণ নেই। সে তাকায়ে আছে আনমনে আকাশের দিকে। ওদিকে তার নুডুলস সিদ্ধ হচ্ছে না, চা পানসে হচ্ছে, ডিম - পাউরুটি পুড়ে যাচ্ছে। কিন্তু তার বিকার নাই। তারপর আমার যা মনে হয়, তা উত্তর উপনিবেশিক ঢাকাইয়া দর্শন। এইটা শুদ্ধ বাংলায় মারান জাউক, দর্শন যেহেতু। আমার মনে হয় আমরা বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন কাজে যাই, গিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকের দুরব্যাবহারের স্বীকার হই। যেমন রিকশাচালক, বাসের কন্ডাক্টর, সরকারী - বেসরকারি অফিসের পিয়ন আর্দালি, যেকোনো অফিসের রিসিপশনিস্ট, বাড়ির গেটে বসে থাকা দারোয়ান, রেস্টুরেন্টের ওয়েটার। এদের সাথে ডিল করা মুশকিল, তেরিয়া রকমের দুরব্যাবহারের কারণে। সে ক্ষেত্রে নিজেরা রেগে যাওয়ার বদলে ওইপাশে বসা লোকটার প্রতি খানিকটা সহানুভূতিশীল হতে পারি। হয়তো সে তার জীবন - জীবিকা নিয়ে হতাশাই উগড়ে দিচ্ছে আমার আপনার উপরে। হয়তো তার যাপিত জীবনই তার জন্যে এক উৎকট শাস্তি। এখান থেকে এই শিক্ষাটুকুও নেয়াই যায় যে- একদমই পছন্দ না, এমন একটা প্রফেশনে ঢুকলে হয়তো আমি - আপনিও এরকম জম্বি হয়ে ঘুরবো এই ব্যারথ মানুষে ভরা জনপদে ... সেহরির অ্যালার্ম বাজে। চিন্তা, এই যাত্রা থামো।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা মে, ২০২০ রাত ৩:৪১

সোহানী বলেছেন: শুনেন ভাই, দেশের মতো শান্তি আর কোথাও নাই। কথাটা খুব খারাপ শোনায় আমার মতো প্রবাসীর মুখে। কিন্তু দেশে থাকতে প্রায় বিদেশ ট্যুরে যেতাম, তখন একটা আলাদা থ্রিল ছিল বিদেশ নিয়ে। কিন্তু যখন সত্যিই চলে আসলাম তখন কম্পেয়ার করতে পারি। যদি থাকা খাওয়ার মতো ব্যবস্থা থাকে তাহলে দেশ অনেক ভালো।

তবে এটা সত্য, সমুদ্রের পাশে বসে নিরিবিলি গানশোনা, বই পড়া বা গিটার বাজানোর জন্য বিদেশই ভালো। কেউই আপনাকে ডিস্টার্ব করবে না।

০২ রা মে, ২০২০ ভোর ৪:০০

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: ধন্যবাদ, আপা। আমি ঢাকারে ১৫ শতকের নদীয়া বানানোর পরিকল্পনায় আছি। দেশ ছাড়ার সম্ভাবনা কম, পড়াশোনার সূত্র ছাড়া। পিএইচডি করতে বাইর হইতে হবে একদিন। ঐ পর্যন্তই। ইনশাআল্লাহ। কানাডায় এখন রাত ইয়াং আছে মনে হয়, আমাদের এখানে ভোর ৩ টা ৫৫। ক্ষুধা পেটে লিখছি বলে অনেককিছুই লিখছি। কাল সকালে উঠে মনে হয় না এই পোস্ট আর রাখতে মন চাবে। তার আগ পর্যন্ত, এই গানটা আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্যে উপহার ~ বন্ধু তোর লাইগা রে । হাওড় এলাকার গান। শেষরাতে ঘরময় সুনামগঞ্জের বাতাস ছড়ায়ে দিলো।

ভালো থাকেন। সুন্দর থাকেন।

২| ০২ রা মে, ২০২০ রাত ৩:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: একটানা লিখে গেছেন।
কোনো স্প্রেস নেই, প্যারা নেই।

০২ রা মে, ২০২০ ভোর ৪:০৪

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: তরমুজওয়ালারা স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তাদের দুই ধরনের তরমুজ নিয়া নারিন্দা আর ভূতের গলির বাঁকে কেন বসতো , জানেন? আমাদের কুটির শিল্পের ইতিহাসের ব্যাপারে খানিকটা ধারণা সকলের অর্জন করা উচিৎ।

৩| ০২ রা মে, ২০২০ রাত ৩:৫৭

শের শায়রী বলেছেন: ব্রাদার প্যারা প্যারা করে দিলে পড়তে সুবিধা হয়। অবশ্য এটা যদি আপনার লেখার কোন এক্সপেরিমেন্ট/ ধাচ হয় সেক্ষেত্রে ভিন্ন ব্যাপার। এলোমেলো ভাবনা গুলো উপভোগ করলাম। আমি অবশ্য মুহসীন হলের না কাছাকাছি অন্য হলে এ্যাটাচড ছিলাম। অনেক আগেই ভার্সিটি ছাড়ছি, অনেক অনেক আগে :)

০২ রা মে, ২০২০ ভোর ৪:০৮

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: উপরে একটা শিল্লুক ভাঙ্গানি দিসি দেখেন, ঐটা থেকে খানিকটা ক্লু পাওয়া সম্ভব আমার এই লেখার প্যাটার্নের ব্যাপারে। আপনি অনেক বিনয়ী মানুষ ভাই। আপনারে আবারো ক্যাচালে জড়ায়ে পড়তে দেখে খারাপ লাগসে। শুভকামনা, ও ভালোবাসা জানবেন!
: )

৪| ০২ রা মে, ২০২০ ভোর ৪:২০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: পড়তে কষ্ট হয়েছে ভাই।

০২ রা মে, ২০২০ রাত ৮:৩৬

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: এটা ইচ্ছা করেই এমনভাবে লেখা নেওয়াজ ভাই। কষ্ট হলে এড়ায়ে যাবেন। সব লেখাই পড়তে হবে, এমনতো নয়।

৫| ০২ রা মে, ২০২০ রাত ৮:৪৬

জুন বলেছেন: আমি চোখে দেখলাম বুড়ো বুড়ো মেয়েদের দল ভাবলাম লিখে আসি বুড়ো না কথাটা হবে বুড়ি । পোস্টে এসে দেখি মেয়ে না "মেঘেদের দল "!

০৩ রা মে, ২০২০ রাত ১২:২৭

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: অমন শিরোনাম দেয়া তো অশালীনতার পর্যায়েই পড়ে যেতো আপা। ভাগ্যিস দেই নি! শিরোনামটা মূলত হালের জনপ্রিয় মিউজিশিয়ান অর্ণব সাহেবের গানের একটা লাইন। ভালো লাগলো আপনাকে আবারো আমার ব্লগে পেয়ে। : )

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.