নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাজিদ উল হক আবির

সাধু সাবধান ! ব্লগের মালিক বঙ্গালা সাহিত্যকে ধরিয়া বিশাল মাপের ঝাঁকি দিতে নিজেকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে প্রস্তুত করিতেছেন। সেই মর্মে তিনি এখন কিটো ডায়েটিং, ডন-বৈঠক ও ভারোত্তলন প্রশিক্ষণে ব্যস্ত। প্রকাশিত গ্রন্থঃ১। শেষ বসন্তের গল্প । (২০১৪)২। মিসিং পারসন - প্যাত্রিক মোদিয়ানো, ২০১৪ সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী (অনুবাদ, ২০১৫) ৩। আয়াজ আলীর ডানা (গল্পগ্রন্থ - ২০১৬ ৪। কোমা ও অন্যান্য গল্প(গল্প গ্রন্থ, ২০১৮) ৫। হেমন্তের মর্সিয়া (কবিতা, ২০১৮) ৬। কাঁচের দেয়াল (গল্পগ্রন্থ, ২০১৯)

সাজিদ উল হক আবির › বিস্তারিত পোস্টঃ

সূতির খালের হাওয়া - ৩

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৬

হুমায়ুন আহমেদের সবচে' বড় গুরুত্ব, আমার মতে, কোলকাতার বইবাজারে হামলা দেয়া। "পাঠক তৈরি" নয়, বা হিমু - মিসির আলী লেখা নয়।

বর্তমান বিশ্বে অর্থনৈতিক সাম্রাজ্যবাদই মূল। কেউ আর স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পাশের দেশ দখল করার চেষ্টা করে না। পাশের দেশের বাজারে নিজের প্রোডাক্ট ঢুকিয়ে দিয়ে তাদের অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে আনতে পারলেই হয়। কোনদিন স্বপ্ন, মিনা বাজার, বা আগোরায় গেলে খেয়াল করে দেখবেন, কোন দেশী পন্যে তাদের তাক সয়লাব। চীনা পন্য ভারত, বা অ্যামেরিকা তাদের বাজারে ঢুকতে না দিলে চীন তাদের ওপর উল্টো অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করে। টার্কি প্রেসিডেন্ট তাইয়েব এরদোয়ান ফ্রান্সের সঙ্গে সরাসরি লড়াইয়ে না নেমে আরব দেশগুলোকে অনুরোধ জানায় তাদের পণ্য বয়কট করবার। কোন একটা প্রোডাক্টের অভাব না থাকলেও আমাদের মাঝে কৃত্রিম অভাব তৈরি করা হয়। সমাধানের বদলে সমস্যা বিক্রি করা হয়। বৈশ্বিক পূঁজি, ও অর্থনৈতিক সাম্রাজ্যবাদের এই মজার খেলগুলি আমি - আপনি ধরতে না পারলেও সমস্যা নাই। আমাদের বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রসমূহ আমাদের হয়ে আমাদের উন্নতির জন্যে এ সমস্ত বিষয়ে প্রতিনিয়ত চিন্তা করেই যাচ্ছে।

যেখানে আমাদের দেশে প্রায় সবক্ষেত্রেই ভারতীয় পণ্যের আধিপত্য , একা হুমায়ুন আহমেদ তখন কোলকাতায় বাংলা ভাষাভাষী পাঠকসমাজে সুনীল - সমরেশ - শীর্ষেন্দুর বাজারের ফাঁক গলে খুব মসৃণভাবে ঢুকে পড়েছিলেন। হুমায়ুন আহমেদ মারা যাওয়ার পর সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের এক ওভার দা ফোন ইন্টারভিউতে শুনেছিলাম, সুনীল বলছিলেন - 'আমাদের উপন্যাস প্রতি পূজো সংখ্যায় দেশ পত্রিকায় বেরুতো কিনা তার ঠিক ছিল না, কিন্তু হুমায়ুনের উপন্যাস টানা পাঁচ পূজোতে দেশ পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল, এ আমার মনে আছে।' সুনীলের এ কথার তাৎপর্য বোঝা দরকার। হুমায়ুন কখনো আনন্দ পুরস্কার পান নি। কাজেই আনন্দবাজার গ্রুপের সবচে প্রেস্টিজিয়াস পত্রিকার পূজো সংখ্যায় পর পর বছরগুলিতে হুমায়ুনের উপন্যাস ছাপা হওয়ার কারন হুমায়ূন আহমেদের প্রতি তাদের ভক্তি বা অপত্য স্নেহ নয়। বরং কারনটা বিশুদ্ধ বাণিজ্যিক। হুমায়ূনের পাঠকপ্রিয়তা। হুমায়ূনের উপন্যাস মানে দেশ পত্রিকার পূজো সংখ্যার আরও কয়েকশো কপি অধিক বিক্রি।

কোলকাতার একটা বইয়ের গ্রুপে ছিলাম। সদ্য লিভ নিয়েছি। ওখানে পশ্চিমবঙ্গের অনেকে সদিচ্ছায় হোক বা পাকনামো করেই হোক, বাংলাদেশী লেখক প্রকাশকদের নাম বিকৃত করে লিখতেন। মাওলা ব্রাদার্সকে মৌলা ব্রাদার্স, আহমদ ছফাকে এহমাদ ছফা, মাশরাফি বিন মুর্তজাকে মশাররফ মুরতাজা ইত্যাদি। আমি প্রশ্নও করেছিলাম একদিন, মূল বইয়ে যেহেতু এরকম বানানে নাম লেখা নেই, তবে এরকম উদ্ভট বানানে নাম লিখবার হেতু কি? প্রপার নাউনে বানান ঠিক - বেঠিক বলে কিছু নেই। যে যেভাবে লিখতে চান সেটাই ধর্তব্য। পোস্টদাত্রী উত্তর দেয়াকে বাহুল্য বিবেচনা করে চুপ থেকে গিয়েছিলেন। কিন্তু সে গ্রুপেও দিনে অন্তত একটা পোস্ট দেখতাম, পশ্চিম বঙ্গের কোন তরুণ বা তরুণীর, যে - হুমায়ুন আহমেদের হিমু সমগ্র /মিসির আলী সমগ্র কিনবো, কোন প্রকাশনীরটা ভাল হবে। বা, হুমায়ুনের অমুক বা তমুক বইয়ের পিডিএফ আছে কি না। অনুপম রয়কেও দেখেছি তার ফেসবুক পাতায় 'মিসির আলীর বই পড়ছি' পোস্ট দিয়ে এই বাংলার ফ্যান ফলোয়ারদের মনে আর একটু জায়গা করে নেয়ার চেষ্টায় রত।

তো এটাই। পূঁজির গোলকায়নের যুগে, যখন আমার বাড়িতে ভারতীয় সাবান, টুথপেস্ট, কাপড়, বিদ্যুৎ, টেকনোলজি, টিভি সিরিজ, সিনেমা, গান হুড়মুড়িয়ে প্লাবনের মতো ঢুকছে, হুমায়ুন আহমেদের শত শত বই তখন জায়গা করে নিয়েছে পশ্চিম বঙ্গের বাঙ্গালীদের বইয়ের তাকে। হুমায়ুন আহমেদ প্রকাশনা বাজারে নিজের বিশাল একটা মার্কেট দুই বাংলায় তৈরি করতে পেরেছিলেন, কোটি কোটি টাকা যেখানে বাণিজ্যের নামে আমাদের দেশ থেকে বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে, হুমায়ুন আহমেদ তার লেখনীর মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা বিদেশ থেকে দেশে এনেছেন - এই জন্যে তাকে হাঁটু গেড়ে বসে এক কৌম বাংলাদেশী হিসেবে আমি সম্মান জানাই। আহমদ ছফা ব্যাপারটা কখনো এভাবে ভেবে দেখলেন না, এটা আমাকে খানিকটা বিস্মিতই করে।

যারা তার লেখায় বুদ্ধিবৃত্তিকতার ছোঁয়ার অভাব আছে বলে অভিযোগ তোলেন, বা বাংলাদেশী অন্যান্য বুদ্ধিবৃত্তিক লেখকদের পাঠকহীনতার অভিযোগ তোলেন, তাদের বোঝা উচিৎ - হুমায়ুন ত্রিশ কোটি বাংলা ভাষাভাষী সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন সুখদুঃখের গাঁথা লিখেছেন, তিনি তাদের ভালোবাসা পেয়েছেন। বুদ্ধিবৃত্তিক লেখকরা সাধারণ মানুষদের জন্যে লেখেন নি, তারা তাদের ভালোবাসা পান নি। তবে এই বলে আমি হুমায়ূন এবং বৌদ্ধিক / ইন্টেলেকচুয়াল ধারার লেখকদের তুল্যমূল্য বিচার করছি না, বা একটি শ্রেণীকে অপর শ্রেণীর ওপর প্রাধান্য দিচ্ছি না। আমি বলতে চাচ্ছি এই যে - শহিদুল জহিরের লেখা বাংলাদেশে জনপ্রিয় নয়, এ বলে আমি দুঃখ করতেই পারি, কিন্তু সাদাত হুসেইন যদি আগামীকাল কোলকাতার বইয়ের মার্কেটে একটা দখল আনতে পারেন, আমি তাকেও পছন্দ করব।

শেষ রসিকতাটা একটু কড়া ডোজের হয়ে গেলো।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: ভারত যদি আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র হয়। কলকাতা তো ভারতের বাইরে নয়।
৭১ কলকাতা এক কোটি বাঙ্গালীকে আশ্রয় দিয়েছিলো। তাদের খাবারের ব্যবস্থাও করে ছিলো।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:৩৩

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: বহুতক্ষণ ভেবেও আপনার এই মন্তব্যের কি উত্তর দেবো বুঝে উঠতে পারলাম না রাজীব ভাই। পরে মনে হল, আমার অ্যানালাইসিস আসলে ভুল। আপনিই ঠিক।

২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৬:৫৯

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদ - যুগে যুগে জন্মায় না।
বহু শতাব্দী পর ১ জন জন্মায়।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:৩৬

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: কেন আপনার এমনটা মনে হয়?

৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:১২

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: আমি খুবই মুর্খ টাইপের মানুষ (অমানুষ)

বই পড়ার হাতে খড়ি - এই মানুষটার (হুমায়ুন আহমেদ) দ্বারা। তারই ধারাবাহিকতায় বইয়ের দোকানে কাজ শুরু করি (২০০৭- ২০১২) ঐ সময়টায় কিছু বই পড়তাম আর তাদের রিভিউ লিখতাাম (অন্যান্য লেখকদের)।

পরে দেখলাম - আসলে শুধু আমি না- অনেকেই তার লিখা পড়ে মানুষ হয়েছে (আমি ছাড়া)।
তাই বল্লাম আর কি।

(হুমায়ুন আহমেদের লিখা নিয়া আলোচনা করা যেতো- যাতে বিষয়টা আরেকটু পরিস্কার হতো, কিন্তু সেই যগ্যতা আমার নাই)

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:০০

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: আচ্ছা। দুটো প্রশ্ন রয়ে গেলো - মানুষ হওয়া বলতে আপনি কি বোঝাচ্ছেন, আর শুধুমাত্র হুমায়ূন আহমেদের লেখা পড়েই অনেকে "মানুষ" হয়ে উঠেছে কিনা।

যদি দেখা যায় হুমায়ূন আহমেদ ছাড়াও অন্যান্য সমসাময়িক আরও অনেক লেখক আছেন, যাদের লেখা আমাদের জীবনকে গভীরভাবে স্পর্শ করেছে, তবে আপনার - "হুমায়ুন আহমেদ - যুগে যুগে জন্মায় না।বহু শতাব্দী পর ১ জন জন্মায়।" এই বক্তব্যটি একটি সেন্টিমেন্টাল জাজমেন্ট বলেই প্রতিভাত হয়।

সমালোচকের চোখ দো'ধারী তলোয়ারের মতো হওয়া উচিৎ।

শুভকামনা।

৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:০১

পদ্মপুকুর বলেছেন: বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সার্ক ট্যুরের অংশ হিসেবে প্রথম বিরতি ছিলো কলকাতায়। সেখানে কোলাকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের একটা ওরিয়েন্টেশন ছিলো। তো ওখানে একটা ছেলের সাথে কিছুটা সখ্যতা তৈরী হয়। ছেলেটি মুসলিম কিন্তু তার বন্ধুরা তাকে ডাকছিলো মুকুলেশ বলে এবং সেও রেসপন্স করছিলো। অনেকক্ষণ থেকে বিষয়টা বুঝতে না পেরে শেষে জিজ্ঞাসা করে যেটা জানলাম, সেটা হলো- ওর নাম আসলে মুখলেস। কিন্তু এই নাম নাকি তার বন্ধুরা উচ্চারণই করতে পারে না!!!

এরই ধারাবাহিকতায় কলকাতায় সোহরাওয়ার্দী হয়ে যান সুরাবর্দী। ওয়াসিম আকরাম হয়ে যান আক্রম, হুমায়ুন আহমেদ হয়ে যান আমেদ বা এ ধরনের আরও অনেক কিছু। এর পেছনে সামান্য দায় থাকে অনভ্যস্থতার আর বেশিরভাগ হয় দাদাগিরির মনোভাব থেকে। এমনকি এই মনোভাব থেকে কলকাতার সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবি সম্প্রদায়ও মুক্ত হতে পেরেছেন বলে মনে হয়না। হুমায়ুন মৃত্যুর অব্যবহিত পরে হুমায়ুন সম্রাট নামে সমরেশ এর একটা দীর্ঘ লেখায়ও তার প্রতিফলন ছিলে প্রকট।

বাই দ্য ওয়ে, আপনি কি সত্যিই মনে করেন যে সাদত হোসাইন হুমায়ূন এর লিগ্যাসিকে কন্টিনিউ করতে পারবে?


০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:০৪

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: আপনি বোধয় সমরেশ মজুমদারের সম্রাট হুমায়ূন নামের এই লেখাটির কথা বললেন। ধন্যবাদ, সেই সূত্রে খুঁজে পড়াও হয়ে গেলো। এরকম বাইপোলার স্মৃতিকথা আমি আমার জীবনে কম পড়েছি। একবার হুমায়ূনকে ঠেলে তুলছেন, তো পরের প্যারাতেই একদম ধড়াম করে আছড়ে মাটিতে ফেলছেন। দেশ পত্রিকায় লেখা ছাপা হওয়ার ব্যাপারে হুমায়ূন আহমেদেরই একটা সাক্ষাৎকার পড়েছিলাম মনে পড়ে, আনন্দবাজার গ্রুপ থেকে তার কাছে একটা উপন্যাস চাওয়া হলে তিনি বলে দেন - স্রেফ দেশে ছাপা হলেই আমি উপন্যাস দেবো, আনন্দবাজার গ্রুপের অন্যান্য কোন পত্রিকার জন্যে নয়। সমরেশের গল্পটা পুরোটাই এর বিপরীত। যেভাবে হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে একাকী মুহূর্তের বিবিধ আলাপচারিতার সূত্র ধরে সমরেশ হুমায়ূনের কোলকাতা ভক্তিকে গগনচুম্বী করলেন, আমার মনে হয় হুমায়ূন এখানে তার স্বাভাবিক বিনয়ের জায়গা থেকে কথাগুলি বলেছেন, সমরেশ আক্ষরিক অর্থে সেগুলো নিয়েছেন, এবং হুমায়ূন মারা যাওয়ার পর যখন কথাগুলি জাস্টিফাই করার কোন উপায় থাকলো না, তখন লিখে হুমায়ূন আহমেদের চোখে তিনি কতোটা শ্রদ্ধেয় ছিলেন, সেটা প্রমাণ করবার চেষ্টা করছেন।

পশ্চিমবঙ্গ - বাংলাদেশের বৌদ্ধিক সম্পর্কের ওপর আরও দু'চারটে কথা রয়ে গেলো। পরে কখনো বিস্তারিত লিখবো।

সাদত হুসাইনকে নিয়ে যে প্রশ্নটি রাখলেন, প্রশ্নটির উত্তর আমার পক্ষে দেয়া মুশকিল, কারন আমি তার কোন লেখাই পড়ি নি। পড়া উচিৎ, আমারই সমসাময়িক লেখক যেহেতু। পড়বো হয়তো। আর আমি মানুষের অপরিসীম সম্ভাবনায় বিশ্বাস রাখি, কাজেই সাদত যদি সত্যিই আদা জল খেয়ে লাগেন, তবে বাংলা সাহিত্যের বুকে দাগ রেখে যেতে, হয়তো তিনি পারবেন। বই বিক্রির ধারা যদি বিবেচনায় আনেন, তবে হুমায়ূন আহমেদের লেগেসি তিনি ইতোমধ্যেই কন্টিনিউ করছেন। তবে তাকে নিয়ে আমার আজকের দিনের প্রেক্ষিতে চূড়ান্ত মতামত হল - তার সর্বনাশ হয়ে গেছে মাফিয়া প্রকাশনা সংস্থাদের পাল্লায় পড়ে। তারা এখন তাকে টাকার বিনিময়ে চাপ দিয়ে লেখা বের করে নেবে। তার লেখার ব্যাপারে উচ্চ প্রশংসা কারো মুখে শুনিনি এখনো। হয়তো এই চাপে পড়ে বেশী লিখতে গিয়ে তার লেখার মান আরও পড়ে যাবে। তার পরিণতি হয়তো আর একজন সুমন্ত আসলাম হওয়া। তবে এমনটা না হোক এটাই কামনা করি।

শহিদুল জহির আর সাদত হুসেইনের নাম একবাক্যে আনাটাকেই জোক ডিনোট করেছিলাম।

৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৫৯

পদ্মপুকুর বলেছেন: হু, সম্রাট হুমায়ুন নামের সমরেশ মজুমদারের ওই লেখাটার কথাই বলেছি। হুমায়ুন 'দেশ' ছাড়া অন্য কোথাও লেখা দেবেন না- মর্মে লেখা আমিও পড়েছি।

সাদত হোসাইন সম্পর্কে আপনার মনোভাব বুঝতে পেরেছি। আমি নিজেও সাদত হোসাইনকে খুব বেশি পড়িনি। বছর দুই আগে তাঁকে হুমায়ুনের নামে প্রবর্তিত এক পুরস্কার দেয়ার সাথে জড়িত থাকায় কিছু পড়েছি মাত্র।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৪

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন:

সার্ক লিট ফেস্ট ২০১৪ তে British Council, Muse Masters Poetry Contest এর বিজয়ীর পুরষ্কার হাতে তুলে দেয়ার সময় সমরেশ কাক্কু আমারে বলেছিলেন - 'তোমার চেহারা দেখেই বোঝা যায়, তুমি ভাল লেখো' । হুমায়ূন আহমেদের উপর সমরেশের লেখাটা পড়ে বুঝতে পেরেছি, কাক্কু আমাদের সঙ্গে আজীবন রসিকতাই করে গেলেন।

ধন্যবাদ আপনাকে স্যার। দীর্ঘদিন পর অনুগ্রহ করে পদধূলি দিলেন।

৬| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ২:৩৬

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: "মানুষ" - শব্দটা যত ছোটো, আমার কাছে ততোটাই ব্যপক মনে হয়।
স্কুলে স্যররা বলতো বাবারা- মানুষ হও। ব্যপারটা কেমন জানি ধোয়াশা মনে হইতো। এখনো ধোয়ার মধ্যেই আছিরে ভাই।

আর অনেকেই "মানুষ" হয়েছে বলতে বুঝিয়েছি- মানুষ বই পড়া শুরুকরেছে (যা কিনা মানুষের অনেক গুলো বৈশিষ্ট্যের ১ টা )

বুঝাযাচ্ছে আপনি অনেক পড়ুয়া, সেই সাথে লিখিয়ে।
শুভ কামনা।

১১ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:০৯

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: ধন্যবাদ আবারো। আপনার জন্যেও শুভকামনা।

৭| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৫৩

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ওপারের সাহিত্যিকরা মনে করে এপারে অল্প সংখ্যকই লেকক হিসেব্যে গন্য। তাই রশিকতা করতে ছাড়েনা। +++++

১১ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:১১

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: ওপার আমাদের নিয়ে কি ভাবল - এটা নিয়ে চিন্তাভাবনা সম্পূর্ণরূপে বাদ দেয়াই আমি বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের একটা পথ বলে মনে করি। ওপার ওপারে পরিণত হয়েছে কলোনিয়াল আমলে ব্রিটিশ সংস্পর্শে এসে। আমাদেরও নিজেদের সারা পৃথিবীর জ্ঞানবিজ্ঞানের জন্যে উন্মুক্ত করে দিতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.