নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাজিদ উল হক আবির

সাধু সাবধান ! ব্লগের মালিক বঙ্গালা সাহিত্যকে ধরিয়া বিশাল মাপের ঝাঁকি দিতে নিজেকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে প্রস্তুত করিতেছেন। সেই মর্মে তিনি এখন কিটো ডায়েটিং, ডন-বৈঠক ও ভারোত্তলন প্রশিক্ষণে ব্যস্ত। প্রকাশিত গ্রন্থঃ১। শেষ বসন্তের গল্প । (২০১৪)২। মিসিং পারসন - প্যাত্রিক মোদিয়ানো, ২০১৪ সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী (অনুবাদ, ২০১৫) ৩। আয়াজ আলীর ডানা (গল্পগ্রন্থ - ২০১৬ ৪। কোমা ও অন্যান্য গল্প(গল্প গ্রন্থ, ২০১৮) ৫। হেমন্তের মর্সিয়া (কবিতা, ২০১৮) ৬। কাঁচের দেয়াল (গল্পগ্রন্থ, ২০১৯)

সাজিদ উল হক আবির › বিস্তারিত পোস্টঃ

চিন্তার কারখানা ৪ঃ তৃতীয় বিশ্বের অনুন্নত দেশগুলি \'গণতন্ত্র\' চর্চার জন্যে কতোটুকু প্রস্তুত?

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ২:১৩



“Under the spreading chestnut tree
I sold you and you sold me:
There lie they, and here lie we
Under the spreading chestnut tree.”


― George Orwell, 1984

১।
আমরা কি এশিয়া আর আফ্রিকার দরিদ্র্য দেশগুলিতে গণতন্ত্র'র সক্ষমতা ও সম্ভাব্যতা নিয়ে বেশী রোম্যান্টিসাইজ করে ফেলছি? যে মৌলিক সংজ্ঞায় ও যে প্রতিশ্রুতিতে গণতন্ত্রের জন্ম, তা এই সমস্ত অঞ্চলে প্রয়োগ সম্ভব কি না এই প্রশ্ন কি কখনো আমাদের মাথায় আসে? এমন গণতন্ত্র কেন এতটা জরুরী আমাদের, যারে সামরিক বাহিনী এক ফুঁয়ে উড়ায়ে দিতে পারে? এমন গণতন্ত্রের কি যৌক্তিকতা, যার আড়ালে দুর্নীতি দুর্বৃত্তায়ন করেও, স্রেফ নিজের 'গণতন্ত্রের ধ্বজাধারী' ইমেজকে পুঁজি করে রাজনীতিতে টিকে থাকা যায়?

গণতন্ত্রের সবচে বড় সমস্যা, উপর্যুক্ত রাষ্ট্রসমূহের প্রেক্ষিতে, হল - এটা আপনাকে ভোটের রাজনীতির রূপকথা শুনায়। আপনাকে স্বপ্ন দেখায় ব্যালট বক্সের মাধ্যমে ক্ষমতা পরিবর্তনের। পৃথিবীর অধিকাংশ অনুন্নত ও দরিদ্র্য দেশের ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, সে রূপকথা বাস্তবে পর্যবসিত হয় না। স্বপ্ন থেকে যায় স্বপ্নের জায়গায়। শাসক শাসনক্ষমতা অধিকার করে পেশীর জোরে। আর্মি - প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে। তারপর, 'আপনার' ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি দেশ - দশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোন কাজেই আপনার পরামর্শ চায় না। আপনার মতামতের তোয়াক্কা করে না। স্বেচ্ছাচারীর মতো সিদ্ধান্ত নেয়। এদিকে আপনি বসে থাকেন পরবর্তী ইলেকশনের জন্যে। সুষ্ঠ - গনতান্ত্রিক নির্বাচনে ক্ষমতা বদল করবার।

আমার মতে, অনুন্নত ও দরিদ্র দেশগুলিতে ভোটের রাজনীতি হল এক 'বাবল' (bubble), যার ভেতরে আটকা পড়ে জনগন আর সিস্টেমকে প্রশ্ন করতে পারে না। কারন, সিস্টেম থেকে তাকে বোঝানো হয়, তুমি আমাকে প্রশ্ন করা মানে গণতন্ত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করা (কারন যে সিঁড়ি বেয়ে সিস্টেমটা উপরে উঠে এসেছে সেট গণতন্ত্র), মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে প্রশ্ন করা(কারন সিস্টেমটা 'জনগনের ভোটে' নির্বাচিত), সমাজে নৈরাজ্য সৃষ্টি করা, এবং সর্বোপরি রাষ্ট্রদ্রোহীতা করা। কাজেই সিস্টেমকে প্রশ্ন করার সাহস কোন একক সত্ত্বার হয়ে ওঠে না, স্বপ্ন স্বপ্নের জায়গায় থেকে যায়। পেশীর জোর যার বেশী - সে গণতন্ত্রের নামে, ভোটের রাজনীতির নামে নিজের ক্ষমতা ধরে রাখে।

'ব্যালট বক্সের মাধ্যমে ক্ষমতার পরিবর্তন হয়' - এই বাবল থেকে অনুন্নত দেশের জনগোষ্ঠী বের হয়ে আসা মাত্রই এই নগ্ন সত্য উপলব্ধি করতে পারবে যে রাজনীতি রুথলেস মানুষের খেলার জায়গা। 'লড়বো লড়বো জিতবো রে' এই খেলার থিম সং। সুশীলদের জায়গা রাজনীতিতে নাই। এটা এতো বড় বাজি যেখানে আপনার সবকিছু হারানোর বিনিময়ে / রিক্স নিয়ে সবকিছু জিতার দুঃসাহস দেখাইতে হবে।

অনুন্নত, দরিদ্র দেশ সমূহের হাজার বছরের ইতিহাসে আমজনতার 'গণতান্ত্রিক' ও 'রাইচুয়াস' আন্দোলন কখনোই কোন পরিবর্তন আনে নাই, এবং রাজনীতিতে তার কোন হক আদৌ নাই এইটা সে তখন বুঝতে পারবে। সে অনুধাবন করবে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন রক্তপাত দাবী করে। তখন সে অনুধাবন করবে একটা জীবন আফসোস কইরা কাটায়ে দেয়ার অর্থ নাই। তখন সে আসেপাশের ফুল - লতাপাতা - পাখির দিকে আরও রোম্যান্টিক দৃষ্টিতে তাকানো শুরু করবে। বসন্ত ঋতু নিয়া কবিতা লিখবে। প্রেমের উপন্যাস লিখবে।

২।
উপর্যুক্ত দেশসমূহ, যাদের প্রসঙ্গে এই লেখার শুরুয়াদ, চিন্তা করে দেখেন, সচরাচর এ সমস্ত দেশে ক্ষমতার হস্তান্তর প্রক্রিয়া সুখকর হয় না। নির্বাচন হোক বা যাই হোক, ঐ সময় মানুষের লাশ পড়ে, আদিম কৌম সমাজের মতো সম্মুখ সমরে। অর্থাৎ, ক্ষমতার হস্তান্তরে বা পালাবদলে পেশীশক্তির প্রয়োগ বরাবরই এই সমস্ত দেশে প্রাসঙ্গিক।

কোন রাষ্ট্রে গণতন্ত্রের চর্চাটা না থাকলে পেশীশক্তি দিয়ে টিকে থাকা একটি রেজিম রে পেশীশক্তি দিয়ে আরেকটা রেজিম লিগ্যালি উৎখাত করতে পারে। গণতন্ত্র থাকলে যে সুশীলিয় মুখোশটা পড়ে ভায়োলেন্স করা লাগে, সেই মুখোশ পড়ার প্রয়োজন পড়ে না। আবার এই রেজিমরে যদি পূর্ববর্তী রেজিম কোনভাবে ছলে বলে কৌশলে রিপ্লেস করতে পারে, তবে তারে 'অগণতান্ত্রিক' , 'স্বৈরতান্ত্রিক' ইত্যাদি বালছাল টাইটেলে ভূষিত করার প্রয়োজন থাকে না। সমস্যা জর্জর সবাই। ক্যারেক্টার অ্যাসাসিনেশন, আর কষ্ট করে এক - দুই দশক পর নতুন করে ইতিহাস রচনার প্রয়োজন পড়ে না।

যেমন ধরেন, যে বাদশাহ হুমায়ূনরে যখন শের শাহ লৌড়ানি দিয়েছিল, তিনি যখন ইরানি বাদশাহ শাহ তাহমাস্পের বদৌলতে ফিরে এসে যখন শের শাহের গুষ্ঠিরে উপড়ায়ে ফেলে মুঘল সাম্রাজ্যের ঝাণ্ডা বুলন্দ করে, সে শের শাহরে আর যাই বলুক, অগণতান্ত্রিক স্বৈরশাসক ইত্যাদি বলে নাই। সময় নষ্ট তাই না? রাজনীতির খেলাটাই এরকম। লড়বো লড়বো জিতবোরে। শের শাহরে অগণতান্ত্রিক - স্বৈরতান্ত্রিক বলে নাই বইলা কি আমরা হুমায়ূনরে দোষ দিই, বা কম পছন্দ করি?

বাদশাহ হুমায়ূন, বা আকবর, বা শাজাহান, বা জাহাঙ্গীর কখন কারে কোন এলাকার জায়গীর দিবেন - এই নিয়ে মতামত দেয়ার, হাসিঠাট্টা করার দুঃসাহস কি তাদের প্রজারা কখনো দেখিয়েছে? গণতন্ত্র শুধুমাত্র প্রজাদের জন্যে না, শাসকদের জন্যেও নিতান্ত অস্বস্তিকর একটা সিস্টেম।

৩।
যদি আমারে গণতন্ত্রের সংজ্ঞা জিগান, আমি বলবো, গণতন্ত্র তৃতীয় বিশ্বের অনুন্নত দেশগুলিতে চর্চিত স্বৈরতন্ত্র/ পরিবারতন্ত্র/ রাজতন্ত্র ইত্যাদি ফ্যাসিস্ট রেজিমরে মেকআপ দিয়া একটা উপস্থাপনযোগ্য সুরত দেয়ার জন্যে ব্যবহৃত একটা পলিটিক্যালি কারেক্ট টার্ম মাত্র। যদি উপরে উপরে গণতন্ত্রের একটা মুখোশ চাপায়ে যদি সমস্ত দুর্নীতি আর দুর্বৃত্তায়নরে জায়েজ করা সম্ভব হয়, তাইলে অমন গণতন্ত্রের আমাদের কি দরকার, এই প্রশ্নটা নিজেরে করা বোধয় দরকার হয়ে পড়সে।

(ছবিঃ শহীদ নূর হোসেন। সুত্রঃ উইকিপিডিয়া)

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ২:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি কি গণতন্ত্রের বিবর্তন, দেশে দেশে ইহার প্রয়োগ ও ফলাফল নিয়ে লিখতে গিয়ে, পুরো রচনা লিখে ফেলেছেন? গণতন্ত্র গরীব দেশে ও ধনী দেশে একইভাবে কাজ করার কথা, ইহা সরকার গঠন ও সরকারের কার্যক্রম চালনার একটা তত্ব। ইহা সঠকভাবে প্রয়োগ করলে, অনুন্নত দেশগুলো উন্নত হওয়ার কথা; যেহেতু, অনেক দেশ পেছেন পড়ে আছে, ধরে নিতে হবে যে, এসব দেশে গণতন্ত্র সঠিকভাবে প্রয়োগ করা হয়নি।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ২:৫৮

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: পৃথিবীতে বিদ্যমান সমস্ত তত্ত্ব, তন্ত্র, এবং বাদ - ইউটোপিয়ান কনসেপ্ট, চাচা। এইগুলির কোনটারই সর্বজনীন প্রয়োগ সম্ভব না। গণতন্ত্রের কথা যদি বলেন, অনেকগুলি ব্যাকগ্রাউন্ড ইস্যু পেছন থেকে ঠ্যাকা দিয়া রাখলেই কেবল গণতন্ত্র চর্চা সম্ভব। তারমধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটা ইস্যু হচ্ছে পারস্পারিক মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা/সবার মতামতের সমান গুরুত্ব। এই জিনিসের চর্চা তৃতীয় বিশ্বে কখনোই হয় না, হবেও না। খুঁটির জোরেই চলে - চলবে অধিকাংশ জিনিস।

'বেহেস্তে/ ইউটোপিয়া নামক রাষ্ট্রে গণতন্ত্রের সঠিক প্রয়োগ' শীর্ষক রচনার ভূমিকা লিখসেন আপনি আপনার মন্তব্যে। আমি বরং বক্সের বাইরে এসে যে চিন্তাটা ছুঁড়ে মারসি, ওটা আরও সজীব, এবং প্রাসঙ্গিক।

২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৩:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি আপনার নিজস্ব ভাবনা মতে, "বক্সের বাহিরে এসেছেন"; রাশিয়ান একটা পুতুল আছে, নাম বোধ হয়, "মামা"; ওখানে এক পুতুলের ভেতরে আরেক পুতুল থাকে, এভাবে ১০/১২ পুতুল থাকে; আপনি কত নম্বর বাক্স থেকে বের হয়েছেন?

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৩:১৩

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: এক নং বক্স থেকেও যদি বের হই, সেইটাও তো একটা অগ্রগতি, নাকি?

আসেন আপনার মগজধোলাই করি। আপনি প্রায়ই মোটাদাগে বা একদম ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইটে চিন্তা করেন। সচল বুদ্ধির মানুষের কাজ হচ্ছে ব্ল্যাক - হোয়াইটের মধ্যে গ্রে এরিয়ার আস্তরটারে ক্রমশ প্রশস্ত করতে থাকা। এছাড়াও, আপনার অনেক চিন্তাভাবনা পাথরের মতো স্থির, এবং প্রিকনসিভড নোশনের ফলাফল। এগুলি আপনার কাটানো দরকার। নইলে মানুষের গালি খাইতে থাকবেন ক্রমাগত। যে উদ্দেশ্য নিয়ে মান ইজ্জত সব রিক্সে ফেলায়ে লিখতেসেন, কমেন্ট করতেসেন, এই প্রচেষ্টা বৃথা যাবে।

৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৩:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


গণতন্ত্রের উপর, সর্বশেষ কোন ক্লাশে পরীক্ষা দিয়ে, কত নম্বরের ভেতর কত পেয়েছেন?

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৫৬

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: উফ চাচা! দারুণ কামব্যাক! ক্ল্যাপ ক্ল্যাপ!

৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৩:৩২

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: যে সমস্ত রাষ্ট্রগুলো বহুজাতিক না তাদের আর্মিকে নিরপেক্ষ রাখা একটা সমস্যা।তারা জনগনেরই একটা অংশ।জনগনের সুখ দুঃখের সাথে তারা অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িত।তাদেরকে শাসন কাজের সাথে জড়িত করে দেখাযেতে পারে।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:০২

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: আপনার মন্তব্যের শুধুমাত্র প্রথম বাক্যের সঙ্গে সহমত। ভারতের আর্মি সংক্রান্ত্র গ্যাঞ্জাম নাই বহুজাতিক রাষ্ট্র বলেই।

৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৪:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


@নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন, "... আর্মিকে নিরপেক্ষ রাখা একটা সমস্যা।তারা জনগনেরই একটা অংশ।জনগনের সুখ দুঃখের সাথে তারা অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িত।তাদেরকে শাসন কাজের সাথে জড়িত করে দেখাযেতে পারে। "

-হাজার হলেও বাংগালী।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:০৫

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: এইটা শুধু বাংলা অঞ্চলের একক সমস্যা, বা হতাশ বাঙ্গালের বিচ্ছিন্ন চিন্তা না চাচামিয়া। আপনার একচোখা মন্তব্যের কারনে পূর্বের ক্ল্যাপ ক্ল্যাপ উইথড্র করা হইল।

৬| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:০২

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: গাজী সাহেব,ঠিকই বলেছেন তবে মায়ানমারের মতো বাংগালী।দেখিয়া শুনিয়া ক্ষেপিয়া গিয়াছি যাই আসে বলি মুখে।উপায় দেখছিনা

৭| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৩১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলি না "গণতন্ত্র" চর্চার জন্য প্রস্তুত না ক্ষমতশীনরা গণতন্ত্র দেবার জন্য প্রস্তুত। এসব দেশে গণতান্ত্রিক লেবাসে
স্বৈরতন্ত্র,সেমি রাজতন্ত্র চলে তবে মাঝে মাঝে নির্বাচন নামক প্রহসনের মাধ্যমে তাতে গণতন্ত্রের লেবাস পরানো হয় এই যা।

আর প্রশাসন (সিভিল/সামরিক) সবসময় সরকারের বংশবদ হয়ে থাকে ।আর সরকারও তার অবৈধ ক্ষমতার রক্ষাকর্তা হিসাবে প্রশাসনকে নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে তাদের নিয়ন্ত্রনে রাখে বিনিময়ে প্রশাসন সরকারকে রক্ষার মহান দায়িত্ব পালন করে।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:১১

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: গণতন্ত্রের নামে যা কিছু হয় বললেন, তা কি আদৌ গণতন্ত্র? যদি না হয়ে থাকে, তবে গণতন্ত্রের পরিবর্তিত সঙ্গায়ন, এবং প্রয়োগরে খুঁটিয়ে বুঝার প্রয়োজন আছে কি না?

৮| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: আমি ভাই এত কঠিন কথাবার্তা বুঝি না। বুঝতে চাইও না। কোনো ভাবে জীবনটা ভালোয় ভালোয় পার করতে পারলে বাঁচি।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:১৩

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: সহজ কথা সহজে বলা যায় না আর রাজীব ভাই। এছাড়া, এই সমস্ত আলোচ্য বিষয়ই এক সপ্তাহের মধ্যে প্রাসঙ্গিকতা হারাবে। কাজেই যা লিখসি উপরে, তা না বুঝলে কোনই সমস্যাই নাই।

৯| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:১৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: গণতন্ত্রকে দেশে এক সময় চিড়িয়াখানায় পাঠানো হবে

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৮

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: তৃতীয় বিশ্বে গণতন্ত্র কোন দিকে মোড় নেয়, তা আমরা আগ্রহ নিয়ে পর্যবেক্ষণ করছি। ধন্যবাদ নেওয়াজ ভাই।

১০| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৫৪

আমি সাজিদ বলেছেন: আজকে আমার এক পাকিস্তানি কলিগের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলাম। প্রসঙ্গ এইটাই। আমি বললাম আমেরিকার নিউইয়র্কে ১৯১০ বা ১৯২০ এর দিকে মেট্রোরেল হয়েছে, আর সাউথ এশিয়ান দেশগুলোয় একশ বছর পর এখন হচ্ছে, সেটা কথা না৷ কথা হলো আমরা একশত বছর মেন্টালিটির দিক দিয়েও পিছিয়ে আছি। পশ্চিমে দায় নিয়ে মন্ত্রী পদত্যাগ করে৷ এইটাই গনতন্ত্রের মডেল৷ ত্রুটি বিচ্যুতি আছে অবশ্যই সেটা অস্বীকার করবো না। কিন্তু সাউথ এশিয়ান দেশে সিংঘাম স্টাইলে গনতন্ত্র চলে।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৪

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: মন্তব্যে ধন্যবাদ সাজিদ। উন্নয়ন কি, কীভাবে হয়, কবে কোথায় কীভাবে হইসে, আমাদের এখানে কীভাবে হচ্ছে, মেন্টালিটি, জবাবদিহিতা, দায়স্বীকার, আত্মসম্মান, পদত্যাগ, সিঙ্ঘাম স্টাইলের গণতন্ত্র - এ টপিকগুলির প্রতিটাই অনেক বিস্তৃত আলাপের দাবী রাখে। আপাতত তৃতীয় বিশ্বের গণতন্ত্র সংক্রান্ত আমার চিন্তার মূলভাবের সঙ্গে আপনার মন্তব্যের মূলভাব মিলসে, এতেই আমি খুশী।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.