নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাজিদ উল হক আবির

সাধু সাবধান ! ব্লগের মালিক বঙ্গালা সাহিত্যকে ধরিয়া বিশাল মাপের ঝাঁকি দিতে নিজেকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে প্রস্তুত করিতেছেন। সেই মর্মে তিনি এখন কিটো ডায়েটিং, ডন-বৈঠক ও ভারোত্তলন প্রশিক্ষণে ব্যস্ত। প্রকাশিত গ্রন্থঃ১। শেষ বসন্তের গল্প । (২০১৪)২। মিসিং পারসন - প্যাত্রিক মোদিয়ানো, ২০১৪ সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী (অনুবাদ, ২০১৫) ৩। আয়াজ আলীর ডানা (গল্পগ্রন্থ - ২০১৬ ৪। কোমা ও অন্যান্য গল্প(গল্প গ্রন্থ, ২০১৮) ৫। হেমন্তের মর্সিয়া (কবিতা, ২০১৮) ৬। কাঁচের দেয়াল (গল্পগ্রন্থ, ২০১৯)

সাজিদ উল হক আবির › বিস্তারিত পোস্টঃ

সূতির খালের হাওয়া ৪০ঃ ভৌগ ম্যাগাজিন ফ্রান্স - এর হিজাব বিতর্ক এবং আমার কিছু ভাবনা।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:২১



ভৌগ ফ্রান্স - ম্যাগাজিনে হেডস্কার্ফ পরিহিত অ্যামেরিকান অভিনেত্রী জুলিয়া ফক্স

১।
করোনাকালে ডিনার করতে করতে আমার আর আমার স্ত্রীর সময় কাটানোর অন্যতম উপায় ছিল অ্যামেরিকান সিটকম / সিচুয়েশনাল কমিডিগুলো। ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে নিয়ে আজ পর্যন্ত দেখলাম ফ্রেন্ডস, হাউ আই মেট ইওর মাদার, ইয়াং শেলডন, এবং সর্বশেষ যেটা দেখে শেষ করলাম, দা বিগ ব্যাং থিওরি। দা অফিস আমার বৌয়ের পছন্দ না। সামনে হয়তো ব্রুকলিন ৯৯ দেখা শুরু করবো। এই কমেডি এন্টারটেইনমেন্ট সিরিজগুলো দেখতে গিয়ে বুঝেছি, এন্টারটেইনমেন্ট বিজনেস কতো গুরুত্বপূর্ণ। এমনিতে প্রায় সারাদিন ডিপশিট নিয়ে কাজকর্ম, চিন্তাভাবনা; কঠিন দার্শনিক প্রপোজাল না থাকলে কোন লেখা বা চলচিত্রকে ধর্তব্যের মধ্যেই আনিনা। এই করোনার দিনগুলোতে এসে বুঝেছি, দিনের যে নির্দিষ্ট সময়টুকু পরিবারের ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে হাসি - আনন্দে আমি, আমরা কাটাই, সে সময়টুকুকে উজ্জ্বল করে রাখার জন্য এই এন্টারটেইনমেন্ট কনটেন্ট নির্মাতারা কি অসাধারণ এবং অমূল্য ভূমিকা রাখেন।

যা হোক, এই টিভি সিরিজগুলো কিন্তু অ্যামেরিকার সাধারণ জনজীবনের গত ৩০ বছরের মোটামুটি একটা ডকুমেন্ট। ফ্রেন্ডস যখন শেষ হয় প্রায় তখনই হাউ আই মেট ইওর মাদার শুরু হয়, হাউ আই মেট ইওর মাদার চলতে চলতেই দা বিগ ব্যাং থিওরি শুরু হয়। এই সিরিজটা শেষ হল ২০১৮তে। ইয়াং শেলডন বিগব্যাং থিওরির প্রিক্যুয়াল যেটা এখনও চলছে, এবং ৮০র দশকের অ্যামেরিকার সাউদারন অংশের জীবনযাত্রার উপর নির্মিত।

এই সিরিজগুলির একটাতেও কোন প্রধান ক্যারেক্টারে, এমনকি সাইড ক্যারেক্টার হিসেবেও কোন মুসলিম ক্যারেক্টারের উপস্থিতি নাই। হাউ আই মেট ইওর মাদার টিভি সিরিজটায় রঞ্জিত নামে এক বাঙালি ক্যাব ড্রাইভার থাকে, খুবই মাইনর একটা ক্যারেক্টার এবং সেও মুসলিম না। দা বিগ ব্যাং থিওরিতে রাজেশ রামায়ণ কুথ্রাপালি, ওরফে রাজ কুথ্রাপালি নামে এক প্রধান ক্যারেক্টার থাকলেও, নাম থেকেই বোঝা সম্ভব - সে মুসলিম না।

আমার মনে গতকালই প্রশ্নটা এলো - কেন ব্যাপারটা অমন? অ্যামেরিকায় বা ইয়োরোপে গত ৩০ বছরে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে অভিবাসি মুসলিমদের সংখ্যা কি কম? তাহলে অ্যামেরিকার মেইনস্ট্রিম টিভি সিরিজগুলিতে মুসলিম ক্যারেক্টার একেবারে নাই ই কেন?
ইন্সট্যান্ট আমার মাথায় যে উত্তর এসেছে, তা হল, সম্ভবত নির্মাতা মুসলিম অভিবাসিদের পছন্দ করেন না, এবং তাদের নিজেদের টিভি সিরিজে উপস্থাপন করতে চান না মুসলিমদের নিজেদের কালচার , রিলেজিয়ন, এবং এথনিসিটি নিয়ে প্রচণ্ডরকমের রিজিড বা গোঁড়া হওয়ার কারনে।

বিগব্যাং থিওরিতে ইন্ডিয়ান এবং হিন্দু কালচারকে নিয়ে মার্সিলেসলি হিউমার করা হয়েছে। হাউ আই মেট ইওর মাদারে ভয়াবহ রেসিস্ট জোক আছে। এগুলোর সমপরিমানে একটা জোক বা স্যাটায়ারো যদি অ্যামেরিকান বা ইউরোপিয়ান মুসলিমদের নিয়ে করা হতো, সম্ভাবনা ছিল যে মুসলিম কমিউনিটি অফেন্সড ফিল করতো, এবং নির্মাতাদের জীবন ঝুঁকির মুখে পড়তো।

২।
গতকাল তুরস্কের টিআরটি মিডিয়ার কল্যানে আর একটা খবর চোখে পড়লো। তুরস্ক আর ফ্রান্স তো মিডিয়া ওয়ারে জড়িত এরদোয়ানের আমল থেকেই। তুরস্ক, ফ্রান্সের এরকম মাখো মাখো খবর ফলাও করে প্রচার করতে কোন কসুর করে নি।

ভৌগ ম্যাগাজিন ফ্রান্স সম্প্রতি অ্যামেরিকান অভিনেত্রী জুলিয়া ফক্সের হেডস্কার্ফ পরিহিত ছবি শেয়ার করে ক্যাপশন দিয়েছে - 'ইয়েস টু দা হেডস্কার্ফ' । এটা নিয়ে সমগ্র মুসলিম মিডিয়া ওয়ার্ল্ড সরগরম। ফ্রান্সে আইন পাশ করে যেখানে মুসলিম নারীদের হিজাব পরা ব্যান করে দিচ্ছে, সেখানে স্টাইল কা ওয়াস্তে কোন অভিনেত্রী হেডস্কার্ফ পড়লে তাকে ইয়েস বলা, কাভারে তুলে আনা - এই ডাবল স্ট্যান্ডার্ড নিয়েই মুসলিম মিডিয়া পাড়ার ক্ষোভ এবং উদ্বেগ।

৩।
ইউরোপে বা ওয়েস্টে ইন জেনারেল, মুসলিমদের নিয়ে এই ডাবল স্ট্যান্ডার্ডই বলেন, বা বৈষম্যমূলক লিগ্যাল স্টেপসই বলেন - আমার এতে খুব বেশী বিস্ময় কাজ করে না। কারন, বিষয়গুলি এমনই হবার কথা।

বাংলাদেশে আজ যদি হঠাৎ মাথা কামানো টিকিধারী গেরুয়া সন্ন্যাসীর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, মুসলমানরা ভ্যাবাচ্যাকা খায়া যাবে না? কাশীধামে যদি অধিকাংশই জোব্বা পরিহিত দাড়ি টুপিওয়ালা মুসলিম মৌলোভীর সংখ্যা বাড়ে - ঐখানের হিন্দুরা থ' বনে যাবে না? তেমনি ইউরোপ বা ওয়েস্টের মানুষজনের যে জীবন দর্শন তার সঙ্গে আমাদের মুসলিমদের দর্শন মিলে না। মেলা সম্ভব না। ব্যক্তিগত জীবনাচরণ থেকে ধর্মকর্ম তাদের অনেক দূরে। কার্পেডিয়াম থিম, বা 'সীজ দা ডে' , বা আজকের জন্যে বাঁচো - এই হচ্ছে তাদের ভোগবাদী (নিন্দার্থে শব্দটা ব্যবহার করছি না) জীবনের মূল কথা। এই জীবনকেই সিনেমা, টিভি সিরিজের মতো পপুলার কালচারে তারা নিয়মিত গ্লামারাইজড করে উপস্থাপন করে। সেখানে একজন মুসলিম, যে উইকেন্ড সেলিব্রেট করতে বারে যাবে না, পার্টি করবে না, মদ খাইতে রাজি না, ক্যুয়ার ইস্যুতে অনড় - সে ফিট করে কীভাবে? লন্ডন - প্যারিস - বার্লিন - নিউইয়র্কে তবুও তো হিজাবধারী, বা দাড়িওয়ালা মুসলিমদের সংখ্যা নেহায়েতই কম নয়।

আমার তো মনে হয় (কলোনিয়ালিজম, এবং হালের গ্লোবাল ইম্পেরিয়ালিস্ট প্রোপ্যাগান্ডার মাধ্যমে প্রাপ্ত) পাশ্চাত্যের উন্নত জীবনযাত্রার প্রতি মুসলিম কমিউনিটির আকৃষ্ট হয়ে পিপীলিকার মতো ঐ সমস্ত দেশে অভিবাসন প্রত্যাশী না হওয়াই উত্তম। যদি ধর্ম ধরে রাখা খুব ইম্পরট্যান্ট হয়, তাহলে আমার কোরআনের আন্ডারস্ট্যান্ডিং বলে যে দেশে কুফরের চর্চা হয়, সেদেশ থেকে হিজরত করে বরং মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে চলে আসার বিধান। পাশ্চাত্যের দেশগুলিতে অভিবাসন প্রত্যাশী হওয়ার কি যৌক্তিকতা তাহলে? নিজ দেশকে এমনভাবে তৈরি করুক এই মুসলমানেরা, যাতে করে তাদের দেশগুলি বিশ্বমানবতার উপকারে এক একটা মডেল হিসেবে উপস্থাপন যোগ্য হয়।

সেই কাজ করতে কি আমরা পারব?

মনে রাখতে হবে, ইসলামের বয়স আজকে দেড় দশক, দেড় শতক না, বরং দেড় হাজার বছর। এখন ওয়াজ মাহফিলে দেড় দুই কিলোমিটার ধরে মাইক লাগায়ে অন্যান্য ধর্মের অনুসারীদের মনে কষ্ট দিয়ে কেবল মুখে চিৎকার করে বললে হবে না যে ইসলাম পৃথিবীর সেরা ধর্ম। ইসলামকে অন্যান্য ধর্মের অনুসারীরা মুসলমানদের গত দেড় হাজার বছরের কৃতকর্মের বিবেচনাতেই বিচার করবে। মুখে মুখে আমরা যতই বলি ইসলাম শান্তির ধর্ম, সমগ্র মানবজাতিরে ভ্রাতৃত্ববন্ধনে আবদ্ধ করার ধর্ম, জাতভেদের শৃঙ্খল ছিন্ন করার ধর্ম - যদি আমাদের কাজে কর্মে তার প্রতিফলন না হয়, মুখের কথায় কোন কাজ হবে না। যদি সহি ইসলাম শিক্ষা দেয়ার নামে আমরা একে অপরকে স্রেফ কতল করতে থাকি, ভিন্ন ধর্ম এবং সংস্কৃতির প্রতি কোন রকমের সহনশীলতা - সহানুভূতি প্রদর্শন করতে ব্যারথ হই, যদি আমরা হোস্ট কান্ট্রিতে গিয়ে তাদের কালচারকে ঘৃণা এবং জাজমেন্টাল চোখে দেখি, নিজেদের ধর্মীয় মূল্যবোধের ভিত্তিতে তাদের জীবনাচরণকে কাটাছেড়া করে দূরে সরে থাকি, তাহলে আমরা তাদের চোখে পশ্চাৎপদ একটা জনগোষ্ঠী হিসেবেই চিহ্নিত হবো।

এক আল্লাহর চোখে ভালো থাকলেই হল, বাকি কে আমাকে কি মনে করে এটা ম্যাটার করে না - এই যদি আমাদের মনোভাব হয়, তাহলে তো তা উত্তম, অনুকরণীয়, এবং আদর্শস্থানীয় সাইকোলজি। কিন্তু এই সাইকোলজি নিয়ে পাশ্চাত্যের দেশে অভিবাসন প্রত্যাশী হওয়াটা, তাদের গ্রিকো - রোমান সিভিলাইজেশনের উপর ভিত্তি করে নির্মিত সংবিধান এবং লেজিস্লেশনকে তাদের দেশে থেকেই অমান্য করাটাও আমার কাছে ইসলামিক আচরন মনে হয় না।

আত্মসমালোচনা - পর্যালোচনাগুলি ইসলামবিদ্বেষীদের থেকে আসার বদলে আমাদের নিজেদের ভেতর থেকেই উঠে আসা উচিৎ বিবেচনায় লেখাটা শেয়ার করলাম।

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:১২

নীল আকাশ বলেছেন: এরা ইসলাম কে ভয় পায়। ভয় পায় যে ফ্রন্ট মিডিয়ায় ইসলামের কাভারেজ আসলে আরো বেশি মানূষজন যদি ইসলামের প্রতি আগ্রহ পায়?

২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:১৪

নীল আকাশ বলেছেন: আরেকতা মূল কারন হচ্ছে ইয়াহুদী দের দৌরাত্ম। এমেরিকায় মিডীয়া জগতে এদের ক্ষমতা অসীমের কাছাকাছি। এদের বিরুদ্ধে কথা বলে অনেক হলিউড নায়ক নায়িকা কাজহীন হয়ে বাদ পরেছে।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫০

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। ইসলাম - অ্যাজ অ্যান ইডিওলজি খুব স্ট্রং, পাশ্চাত্য যে স্রোতে গা ভাসানো ভোগবিলাসবহুল পুঁজিবাদের চর্চা, তার খুবই পুরাতন শত্রু। কাজেই এই ইডিওলজিকে ডেমোনাইজ করবার জন্যে তারা সচেতনভাবে চেষ্টা করছে বহু আগে থেকে। মিডিয়ার শক্তি বাড়ার পর তারা মিডিয়াকে ড্রাইভ করার চেষ্টা করেছে ইসলামকে অনগ্রসর পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর ধর্ম হিসেবে উপস্থাপন করার জন্যে। এসবই সত্য। কিন্তু আমি যেটা বলতে চেয়েছি এই পোস্টে, তা হল আমরা নিজেরাই অনেকাংশে রিঅ্যাকশনারি আচরন করে করে ওদের হাতে আরও উপকরন তুলে দিয়েছি আমাদের ভিলিফাই করার।

মেইনস্ত্রিম মিডিয়া ইসলামের প্রধানতম প্রচারাস্ত্র হওয়া সম্ভব, এমনটা আমি বিশ্বাস করি না। আমার হিসেবে আমার চরিত্র, আমার সামগ্রিক আচার - আচরন, মেধা, মানবতার প্রতি ইন জেনারেল কন্ট্রিবিউশন, কোরআন সুন্নাহ মোতাবেক জীবন যাপনের পাশাপাশি ২০২২ সালের প্রেক্ষিতে এগুলো বেশী গুরুত্বপূর্ণ।

৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:০৫

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আত্নসমালোচনা নিজের ভিতর থেকে যতদিন না উঠবে ততদিন আমরা ভ্রান্তপথ ছাড়া সঠিক পথে উঠতে পারবোনা। চমৎকার একটি লেখার জন্য ধন্যবাদ।





ভালো থাকুন নিরন্তর।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫২

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: আত্মসমালোচনা তো ফিকর - এস্তেগফারেরই অপর নাম। মুসলমানের জীবন চর্চার অবিচ্ছেদ্য অংশ এটা। আপনাকেও ধন্যবাদ মন্তব্যে আপনার অনুপ্রেরনাদায়ি উপস্থিতির জন্য।

৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৫

সোবুজ বলেছেন: মুসলমান ছাড়া বাকি সবাই ইসলামকে ভয় পায়।তালেবান আলকায়দা ও আইএস এর জন্য।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫২

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: সবাই ভীত না, তবে অনেকেই, নিঃসন্দেহে। ওয়েস্টের মিডিয়ার দৌরত্বে মূলত। এটা নিয়ে আমার বড় একটা লেখা আছে পেছনে, বাঙ্গাল মস্তিস্কের বিউপনিবেশায়ন ৩ টাইটেলে। পড়ে দেখতে পারেন।

৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১:৫০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: মুসলমানদেরকে খারাপ বানানো পিছনে কারা। আল কায়দা, আই এসএস কেনো সৃষ্টি হলো

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৩৫

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: মন্তব্যে ধন্যবাদ, প্রিয় নেওয়াজ ভাই। এসমস্ত বিষয়ে হুট করে উত্তর দেয়া মুশকিল। তবে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ব্রিটিশরা আরব ভূখণ্ডের যে প্রবলেমেটিক ম্যাপিং করেছিল, তা থেকেই আজকে মধ্যপ্রাচ্য উত্তপ্ত, এবং একের পর এক মিলিট্যান্ট জনগোষ্ঠীর উদ্ভব হচ্ছে, মোটা দাগে এভাবে বলা যায়।

৬| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৮:৪৩

বিটপি বলেছেন: হিজরত সম্পর্কে আপনার ধারণা ভুল। এ সম্পর্কিত কুরআনের আয়াতগুলো ভালো করে পড়ে দেখুন। হিজরত করা ফরজ, যখনঃ
- আপনার বর্তমান বাসস্থানে আল্লাহ্‌র ইবাদত করা বা ঈমান টিকিয়ে রাখা দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে
- ঈমানদার হিসেবে আপনার জীবন বা সম্মান ঝুঁকির মুখে পড়ে
- আপনার ঈমানী দায়িত্ব পালন করা অসম্ভব হয়ে পড়ে।

টিভি-সিনেমায় মুসলমানদেরকে বা তাদের কালচারকে দেখানো হয়না, এই বাহানায় হিজরত করার কোন মানে হয়না। রুজি রোজগার বা উন্নত জীবন যাপনের আশায় মানুষ বিশ্বের যে কোন প্রান্তে যেতে পারে - ধর্ম এক্ষেত্রে কোন বাধা নয়।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৪৬

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: সিদ্ধান্তমূলক বক্তব্য না রাখার জন্য অনুরোধ করছি। উদাহরণত, 'হিজরত সম্পর্কে আপনার ধারনা ভুল' । আপনি আলেম না, আমিও ট্র্যাডিশনাল অর্থে আলেম না। আমরা আমাদের ধর্ম এবং স্ক্রিপচার সংক্রান্ত আন্ডারস্ট্যান্ডিং শেয়ার করি এখানে, এতটুকুই।

যা হোক, লেখাটা পড়ে আপনি এটাই বুঝেছেন যে - আমি বলছি ফ্রেন্ডস, বিগব্যাং থিওরির মতো টিভি সিরিজে মুসলিম রিপ্রেজেন্টেশন নেই বলে আমি বলছি মুসলিমদের ওয়েস্ট থেকে হিজরত করে চলে আসা উচিৎ? দুর্ভাগ্যজনক আন্ডারস্ট্যান্ডিং। কিছুদিন ধরে তো আমার লেখাপত্রের সঙ্গে পরিচিতি আছে আপনার। আপনার পঠনের দুর্বলতা আমার লেখার ব্যাপারে আপনাকে ভুল ধারনা দিতে পারে, কিন্তু আপনার কমনসেন্স কি একবারও আপনাকে বলল না, আপনার মন্তব্যে আপনি যা উল্লেখ করলেন, এমন বক্তব্য কোন বিচারবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের পক্ষে রাখা অসম্ভব?

ফ্রান্স সরকার আইন পাশ করে সে দেশে মেয়েদের নিকাব - হিজাব পরা নিষিদ্ধ করছে। ভিসা নিয়ে অন্য দেশ থেকে ফ্রান্সে এসে ইমামতি করা আলেম ওলামাদের ভিসা ক্যানসেল করে দিয়ে তাদের নিজ নিজ দেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে আমি বলেছি যে, এমতাবস্থায় ফ্রান্সের মতো, বা যেকোনো দেশ, যেখানে আইন করে মুসলিমদের স্ব স্ব ধর্মকর্ম পালন, এবং ধর্মীয় প্রতীক বহন করাকে সমস্যাসংকুল করে তুলছে, সে দেশ ছেড়ে এসে মুসলিম প্রধান দেশে বাস করা উচিৎ। এটা কি শরিয়া মোতাবেক রিভার্স হিজরত করার জন্যে উপযুক্ত শর্ত না? ভারত থেকে আলাদা হয়ে পাকিস্তানের জন্মের পেছনে আলেম ওলামাদের বক্তব্য কি ছিল তবে?

এবং, আমি আরও বলতে চেয়েছি যে, নিজের মাতৃভূমিকে এতোটা স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তোলার দায়িত্ব কাঁধে নেয়া উচিৎ, যাতে মুসলিম বিমুখ রাষ্ট্রে অভিবাসন প্রত্যাশী হওয়া না লাগে।

আশা করি আপনার মিসআন্ডারস্ট্যান্ডিং নিরসন করতে পেরেছি।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:০২

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: আরেকটা বিষয় হচ্ছে, আমি গনহারে সব মুসলিমদের ইসলাম ও মুসলিমদের জন্য সমস্যাসংকুল দেশ ছেড়ে আসার ফতোয়া দিচ্ছি না। ফতোয়া দেয়ার কোন যোগ্যতা আমার নাই। আমি বলতে চেয়েছি, যদি কারো জন্য খুব জরুরী হয় নিজের ধর্মকর্ম স্বাধীনভাবে করা, তবে ফ্রান্সে অভিবাসী হিসেবে বাস করে ফ্রান্সের পাশকৃত আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন মিটিং মিছিল না করে নিজের দেশে চলে আসা ভালো। নইলে, অনেক বংশপরম্পরায় মুসলিমৈ এ সমস্ত দেশে বাস করেন , যাদের জন্যে ফ্রান্স বা সমমনা দেশ যে বৈষম্যমূলক আইন পাশ করছে, তাতে সমস্যা নেই। তারা যদি থেকে কাজ কর্ম করতে চান, আমার তাতে আপত্তি করার কি থাকতে পারে?

৭| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৪৪

বিটপি বলেছেন: ইউরোপের সবচেয়ে বেশি মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হচ্ছে ফ্রান্স। সেদেশের জনগণের ৬% মুসলিম, সংখ্যায় সেটা অর্ধ কোটিরও বেশি। কেবল হিজাব নিষিদ্ধ করার জন্য এই বিপুল জনসংখ্যাকে হিজরত করতে হলে যে মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হবে, তা সামাল দেবার মত অবস্থায় মুসলিম জাতি এখন নেই। এ অবস্থায় মুসলিম দেশগুলোর যদি ইজ্জত সম্মান বলে বলে কিছু থেকে থাকে, মনে করে থাকে যে বিশ্ব সম্প্রদায় তাদের কথা মূল্যায়ন করবে, তাহলে তাদের উচিত ফ্রান্সের উপর চাপ সৃষ্টি করা। অতীতে সেরকম চেষ্টায় সফলতাও এসেছে। শার্লি হেব্দো বা শিক্ষককে গুলি করা নিয়ে ফ্রান্স সরকার খুব বেশি পানি ঘোলা করতে পারেনি।

মুসলিম দেশগুলোর উচিত ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে বিশ্ব দরবারে নিজেদের যোগ্য অবস্থান তৈরি করা, যাতে মুসলিমদের বিরুদ্ধে কোন আইন করার আগে তারা দুবার ভাবে।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:০০

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: যে যুক্তিতে আপনি ফ্রান্সের উপর চাপ তৈরি করতে চাচ্ছেন, একই যুক্তিতে পৃথিবীর বাদবাকি অমুসলিমরা যদি দাবী করে মক্কা শহরে অন্যান্য ধর্মের মানুষদের নিরবচ্ছিন্ন প্রবেশাধিকার, এবং নিজ নিজ ধর্ম চর্চার অধিকার দিতে হবে, আপনার জবাব কি হবে?

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:০৭

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: - "মুসলিম দেশগুলোর যদি ইজ্জত সম্মান বলে বলে কিছু থেকে থাকে, মনে করে থাকে যে বিশ্ব সম্প্রদায় তাদের কথা মূল্যায়ন করবে" আপনার মন্তব্যের এই অংশটুকু খেয়াল করেন।

মুসলিম দেশ কি জিনিস? জাতিসত্ত্বার ভিত্তি ইসলামের নেশন কনসেপ্ট কি?

"তাদের কথা মূল্যায়ন করা" - মুসলিম মেজরিটি যে দেশগুলো পৃথিবীতে আছে, তাদের মুসলিম হিসেবে কোন সম্মিলিত ওয়ার্ল্ড ভিউ, বা "কথা" আছে?

মুসলিমদের কাছে ইসলাম যতটুকু গুরুত্বপূর্ণ, ফ্রান্স - পৃথিবীর অল্পকিছু এথিস্ট ষ্টেটের একটি হিসেবে সেকুলারিজমকে একই গুরুত্ব দিয়ে চর্চা করে। ফ্রেঞ্চ রেভলিউশানে তারা রক্তের বন্যা বইয়ে দিয়েছে সেকুলার ষ্টেট প্রতিষ্ঠা করার জন্যে। আমি সেকুলারিজমকে ভালো - মন্দ - অনুকরন করার কথা কিছুই বলছি না। ফ্রান্স লিগ্যালি কীভাবে ফাংশান করবে এ ব্যাপারে মন্তব্য করার পূর্বে ফ্রান্সের এই জাতিগত ইতিহাস আমাদের মাথায় রাখতে হবে।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:২২

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: সর্বপরি, আবারো আপনি আমার বক্তব্য ভুল বুঝেছেন। হিজাব নিষিদ্ধ করার কারনে আমি ফ্রান্সের অর্ধকোটি মুসলিমকে ফ্রান্স ত্যাগ করার কথা বলছি না। আমি বলতে চাচ্ছি, যদি কারো জন্য মনে হয় তার নিজের ধর্মবিশ্বাস, এবং ধর্ম পালনে ওখানে সমস্যা হচ্ছে, শুধু সেসমস্ত লোকরাই পৃথিবীতে যেখানে তাদের ধর্ম ও ধর্মভিত্তিক জীবন নিরাপদ, সেখানে চলে আসলে ভালো।

ধর্মের কথাটা এক সাইডে চাপিয়ে রেখে চিন্তা করেন ফ্রান্সের কথা। ফ্রান্সের মুসলিমদের অধিকাংশ অ্যালজেরিয়ান ওয়ার্কার, যারা নিজেদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করার জন্যে ফ্রান্সে এসেছে। তারা অভিবাসী হিসেবে এসে ফ্রান্সের লেজিস্লেশনে হস্তক্ষেপ করাটা কতোটুকু শোভন?

সন্দেহ নাই ফ্রান্স মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে যেভাবে আমাদের রাসুল (সঃ), বা মুসলিমদের যে ডেমনাজেশন করে - সেটা নিন্দাযোগ্য। তবে আমরা ঐ দেশে কামলা দিতে যাবো কেন? মুসলিমদের মধ্যে যারা শিক্ষিত হয়ে কাজ করতে ফ্রান্সে যায় তাদের কতো শতাংশ ধর্ম পালন করে ওখানে গিয়ে? আমার পরিচিতদের প্রায় কেউই এটা নিয়ে কন্সারন্ড না।

৮| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:২০

বিটপি বলেছেন: ফ্রেঞ্চ রেভলিউশানে তারা রক্তের বন্যা বইয়ে দিয়েছে সেকুলার ষ্টেট প্রতিষ্ঠা করার জন্যে - এই কথাটুকু খেয়াল করুন। ফ্রেঞ্চ রেভুলুশনের আগে সমস্ত ক্ষমতা চার্চের হাতে ছিল - সে ক্ষমতার অন্যায় ও যথেচ্ছ ব্যবহার তারা করত। তাদের সৃষ্ট বর্ণবাদের কারণে সমাজের বেশির ভাগ মানুষ ছিল অবহেলিত। সেই রেভুলুশনের সময়ে কেউ ধর্মকে হেয় করেনি। কোন মূর্তি বা ধর্মীয় প্রতীকের অবমাননা করেনি। সেক্যুলার স্টেট প্রতিষ্ঠার জন্য তার দরকারও নেই।

সেক্যুলার স্টেটের কোন নীতি হতে পারেনা যে কেউ চাইলেই অন্যের ধর্মকে খোঁচা দেয়া বা বিদ্রুপ করতে পারে - অন্যের আবেগ অনুভূতিতে আঘাত করতে পারে। ফ্রান্স এই কাজটাই যুগে যুগে করে যাচ্ছে। তারা কেবল ইসলাম ধর্মকে টার্গেট করে মানুষের ধর্মীয় আবেগকে উস্কে দিয়ে মজা লুটছে। অন্য কোন ধর্মের ক্ষেত্রে তারা তা করেনা। নাৎসি হলোকাস্ট নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করা সেদেশে আইন করে নিষিদ্ধ করা আছে, কারণ তাতে ইহুদীদের ধর্মীয় আবেগে খোঁচা লাগে। কিন্তু ইসলাম বা মুসলিমদের নিয়ে যে যাই করুক না কেন, তাতে কোন বাধা নেই। কেউ প্রতিক্রিয়া দেখালে তখন এ্যাকশন নেয়া হয়। এই দ্বিমুখী নীতি তাদেরকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়াই মুসলিম স্টেটগুলোর একটা বড় কাজ হবে।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৩২

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: ইসলাম নিয়ে যে স্ট্যাটিক, অরিয়েন্টালাইজড দৃষ্টিভঙ্গি ওয়েস্ট রাখে, আপনার সেকুলারিজমের ব্যাপারে আইডিয়া মোটামুটি সেরকমই। সেকুলারিজমের সংজ্ঞা, উদ্ভট, বিকাশ, প্রয়োগের কোন ধরাবাধা মাপকাঠী নাই। ষ্টেট আর রিলেজিয়নকে আলাদা রাখার জন্যে যা করা লাগে, সেকুলার কান্ট্রিগুলি তা করে। আমি ফ্রান্সের মতবাদ, তাদের কার্যক্রমকে ঘৃণা করতে পারি, কিন্তু তাদের রাষ্ট্র পরিচালনার কাজে হস্তক্ষেপ করতে, বা আপনি যেমন বললেন, চাপ প্রয়োগ করতে আগ্রহী না। আপনার যুক্তিতে ভারত একই কারনে বাংলাদেশে আগামীকাল সৈন্য পাঠায়ে দিতে পারে।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৪৩

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: আপনি বারবার মুসলিম ষ্টেটের কথা বলেন। কোনটা মুসলিম ষ্টেট? সৌদি রাজবংশ শাসিত আরব আমিরাত? এরদোয়ানের তুর্কী? আল ফাত্তাহ সিসির মিশর? আয়াতুল্লাহ খোমেনির ইরান? যে যার মতো আঞ্চলিক ক্ষমতা বৃদ্ধিতে নেগসিয়েশন করতে ব্যস্ত। বৈশ্বিক ইসলাম নিয়ে কোন মুস্ললিম অধ্যুষিত রাষ্ট্রনায়কদের মাথাব্যাথা নাই।

আপনার আর আমার অবস্থানের পার্থক্যটা একটু সাম আপ করি। আমি কিন্তু বয়কট ফ্রান্সই বলতেসি। আপনি তার থেকে একধাপ আগায়ে গিয়ে বলতেসেন যে না, শুধু বয়কট করলে হবে না, বরং ফ্রান্সের লেজিস্লেশনে বাইরে থেকে হস্তক্ষেপ করে চেইঞ্জ করতে হবে। আমি এই ক্লেইমটারে রিঅ্যাকশনারি ক্লেইম বলতেসি, এবং সমর্থন করতেসি না।

৯| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৭:৪৭

অগ্নিবেশ বলেছেন: ইসলাম ছবিকে ভয় পায়, নিজের প্রতিচ্ছবিকেও ভয় পায়। আয়নাতে নিজ মুখ দেখতেও ভয় পায়।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:০৩

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: দারুণ কবতে হয়েছে দাদা। ছন্দে ছন্দে অন্ত্যমিল।

১০| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:১১

জ্যাকেল বলেছেন: প্রকৃতপক্ষে ইসলামের কোন মডার্নাইজেসনের দরকারই নাই। হাদীসের নাম করে ইচ্ছেমত বিধান মধ্যযুগের চাহিদা মেটানোর জন্য যোগ করা হইয়াছিল এবং এইগুলার ভাইরাসই আজকের অধিকাংশ জনমুসলিমদের আক্রান্ত করে রেখেছে।

ইসলামে আপাদমস্তক ঢাকার কোন বিধান আসলে নেই, এটা মরুভুমির মধ্যে বসবাসরত মানুষের নিত্য পোষাক ছিল। হিজাব আসলে নান' মহিলাগণ বহু আগে থেকেই ব্যবহার করে থাকেন। এইগুলো নিয়া যারা চিল্লাচিল্লি করে তারা ৯০% মুর্খ আর বাকিরা হইতেছে মোহর মারা অন্তর।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৫৯

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: মন্তব্যে ধন্যবাদ ভাই। এই বিষয়ে এখন আর আলাপ করার মতো মানসিক অবস্থা নাই। মধ্যখান দিয়ে মুসকান ইস্যুতে কতোকিছু গেলো। সে সময়েও বলার মতো কিছু খুঁজে পাই নাই। সেনসিটিভিটি যে সমস্যা সমাধানের মূলমন্ত্র, সেখানে যুক্তির ঘোড়া দৌড়াতে দৌড়াতে সবাই ক্লান্ত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.