নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রবাসে অশান্তির নীড়।

No matter what happens, or how bad it seems today, life does go on, and it will be better tomorrow.

প্রবাসী পাঠক

প্রবাসী পাঠক › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহান ভাষা আন্দোলন, স্বজাতীয় কিছু কুলাঙ্গার এবং একদল মহীয়সী নারী।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:০৮




স্রষ্টা মানুষকে একটা সামাজিক জীব হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। সমাজবদ্ধ হয়ে বেঁচে থাকতে হলে একে অপরের সাথে মনের ভাব প্রকাশ করতে হবে। মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য প্রয়োজন হয় ভাষার। মানুষের মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য যতগুলো মাধ্যম রয়েছে তার মধ্যে প্রধান হচ্ছে মানুষের মুখের ভাষা। মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য বিভিন্ন আদিম জনগোষ্ঠীর মধ্যে উদ্ভাবিত হয়েছে এই ভাষা। সেই আদি কাল হতে আজ পর্যন্ত সকলেই লালন করে আসছে তাঁদের নিজস্ব ভাষাগুলো। মানব প্রজাতির বিকাশের সাথে সাথে ভাষার উৎপত্তি হয়েছে প্রতিনিয়ত। আবার এর পাশাপাশি আদি সমাজের বিলুপ্তির সাথে সাথে অনেক ভাষার হয়েছে মৃত্যু। এই ভাষার মৃত্যু কিন্তু একদিনেই হয় নি। সামাজিক- রাজনৈতিক চাপ, সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সাথে তাল মেলাতে গিয়ে আবার কখনো কখনো মাতৃভাষাকে অবজ্ঞা করে বিদেশী ভাষা গ্রহণের কারণেও এই আদি ভাষাগুলোর অপমৃত্যু হয়েছে। একটি ভাষার মৃত্যুতে শুধুমাত্র সেই ভাষার মৃত্যুই হয় না! একটি ভাষার সাথে জড়িয়ে থাকে একটি জাতির আদিম ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি। একটি ভাষার মৃত্যুর সাথে সাথে সেই আদিম জাতির ইতিহাসেরও মৃত্যু হয়। আমাদের বাংলা ভাষার পরিণতিও এমন করুণ হতে পারত। ১৯৪৭ সালে দ্বি জাতিতত্ত্বের মাধ্যমে জন্ম নেয়া পাকিস্তান। পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী প্রথমেই আঘাত হানে আমাদের মাতৃভাষার উপর। তখন সালাম, রফিক, জব্বারের মত অকুতোভয় বাঙ্গালীরা নিজের বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে মাতৃভাষার অধিকার ছিনিয়ে আনেন। সালাম, রফিক, জব্বারের মত বীরদের যেমন জন্ম দিয়েছিল বাংলা। ঠিক তেমনি মীর জাফরদের মত কিছু কুলাঙ্গারেরও জন্মভুমি এই বাংলা। তথাকথিত কিছু বুদ্ধিজীবী এবং সংবাদপত্র প্রকাশ্যে বাংলা ভাষার বিপক্ষে অবস্থান নেয়। বাংলা ভাষার বিপক্ষে অবস্থান নেয়া পত্রিকাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য মর্নিং নিউজ, পাসবান, সাপ্তাহিক আসাম হেরাল্ড, জুগভেরী

১৯৪৭ এর ডিসেম্বরে করাচীর শিক্ষা সম্মেলনের পর ' মর্নিং নিউজ ' উর্দুর সপক্ষে বিশাল একটি সম্পাদকীয় প্রকাশ করে। মর্নিং নিউজ তাদের ১৭ ই ডিসেম্বরের একটি দীর্ঘ সম্পাদকীয় নিবন্ধে বলেন, - পশ্চিম পাকিস্তানের প্রধান প্রধান কথ্য ভাষা পুস্তূ, পাঞ্জাবী, ব্রাহমি ও সিন্ধী। এবং পূর্ব পাকিস্তানের প্রধান কথ্য ভাষা বাংলা। প্রত্যেকটি গ্রুপই যদি নিজের ভাষাকে সরকারী ভাষা রূপে চালু করার জন্য জোর দেয় তাহলে পাকিস্তানের বিভিন্ন অংশের মধ্যে সহযোগিতা, ভাবের আদান প্রদান এবং পারস্পরিক সম্পর্কের অবসান ঘটবে। যার সামান্য কিছু বুদ্ধি আছে সে কখনোই এ কথা বলতে পারে না যে একজন পাঠান অথবা পশ্চিম পাঞ্জাবী তার পরিবারের লোকজনের সাথে পাঞ্জাবীতে কথা না বলে উর্দুতে কথা বলবে। এই একই মন্তব্য সিন্ধী, বালুচ এবং বাঙ্গালীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ঢাকার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ব্যক্তিদের করাচীতে গৃহীত সিদ্ধান্তকে এতো খারাপভাবে ব্যাখ্যা করার অর্থ এ ছাড়া আর কিছুই নয়।

সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে এমন একটি ভাষা নির্বাচনের প্রশ্নে উর্দুর সপক্ষে মর্নিং নিউজ সম্পাদকীয়তে আরও বলেন, - এ রকম একটি ভাষা আমাদের হাতের কাছে আছে। সেটা হল উর্দু, যাকে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের লোকেরা নাম দিয়েছিলেন হিন্দুস্থানি। উপমহাদেশের অর্ধেকের বেশি লোক এই ভাষায় কথা বলে এবং সাধারণ ভাবে সকলেই তা বোঝে। এর থেকেও বেশি এই যে, পোর্ট সাইদ থেকে সাংহাই পর্যন্ত এই ভাষায় কথা বলা হয় এবং লোকে তা বুঝে। উর্দু একটি আন্তর্জাতিক ভাষার পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে এবং এটা হলো দুই ডোমিনিয়নের ' লিঙ্গুয়া ইন্ডিকা ' যা আরবি এবং দেবনাগরী, এই দুই অক্ষরেই লেখা হয়। যদি তারা ইংরেজিকে চালু রেখে তাকে হিন্দুস্থানি এবং পাকিস্তানিদের চিন্তার উপর রাজত্ব করতে না দেন, তাহলে উৎসাহী মাতৃভাষাওয়ালাদের হাতে সবকিছু ছেড়ে দিলে আন্তঃপ্রাদেশিক এবং আন্তডোমিনিয়ন সামাজিক, আধিমানসিক এবং বাণিজ্যিক লেন্দেন এক অচল অবস্থায় এসে দাঁড়াবে।

আমাদের মাতৃভাষা বাংলাকে অবমূল্যায়ন করার লক্ষে ' মর্নিং নিউজ ' ভাষার সাথে ধর্মের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে আসেন সম্পাদকীয়টাতে। ধর্ম নিয়ে ' মর্নিং নিউজ ' বলেন ,- বাংলা ভাষায় ইসলাম এবং ইসলামী ইতিহাসের উপর কোন বই পুস্তক নেই বললেই চলে। আমরা এ বিষয়ে নিঃসন্দেহ যে আজকের একজন বিক্ষুব্ধ যুবক আগামী দিনে তার সন্তানরা যাতে আরও ভালো মুসলমান হয় সেটাই চায়। যুবকেরা যাতে তাদের ইসলামী ঐতিহ্য সম্পর্কে গর্ববোধ করে সে ব্যবস্থা করতে হবে এবং নিজেদের দায়িত্ব যাতে সাহস ও আত্ম বিশ্বাসের সাথে পালন করার জন্য প্রস্তুত হয়, তারও দিকে খেয়াল রাখতে হবে। তারপক্ষে আরবিতে লিখিত তথ্যের সাথে পরিচিত হওয়া খুব অসুবিধাজনক, ফার্সি তর্জমাও তার পক্ষে বিরক্তিকর হবে। অন্যপক্ষে ইসলাম বিষয়ক এক বিশাল সাহিত্য উর্দুতে রয়েছে। বাংলাদেশের মুসলমানেরা ধনি দরিদ্র নির্বিশেষে সকলেই উর্দু বলতে এবং বুঝতে পারে। তারা দিল্লি, আলীগড় অথবা লাখনৌ এর লোকদের মতো চমৎকারভাবে উর্দুতে কথা বলতে না পারলেও প্রত্যেক মুসলমান শিশুই কোরআনের বর্ণমালার সাথে পরিচিত, কাজেই উর্দু শেখা তার পক্ষে সহজই হবে। করাচীর সিদ্ধান্তের তাৎপর্য এখানেই। এর মধ্যেই পূর্ব পাকিস্তানি মুসলমানদের মুক্তি এবং গৌরবময় ভবিষ্যৎ নিহিত।

মর্নিং নিউজের পাশাপাশি সিলেটের কিছু সংখ্যক শিক্ষাবিদ, ডাক্তার, সংস্কৃতি সেবী পূর্ব বাংলার প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিনের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। স্মারকলিপিতে তারা উর্দুর সমর্থনে কিছু যুক্তি তর্কের অবতারনা করেন -

একদল লোক নিজেদেরকে বিরাট সাহিত্যিক, শিল্পী ও পণ্ডিত বলে জাহির করে উর্দুর বিরুদ্ধে দারুণ প্রচারনা শুরু করেছে। পূর্ব বাংলার লোকেরা একটি জাতি, এই উদ্ভট ধারনার বশবর্তী হয়ে তারা উর্দুকে জাতীয়তা বিরোধী ও বিদেশী ভাষা হিসাবে বর্জন করতে বদ্ধ পরিকর হয়েছে। সীমিত দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দেশপ্রেমের মুখোশ পরে তারা বাংলাকে পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার জন্য চারিদিকে তোলপাড় আরম্ভ করেছে। জনমতের প্রতিনিধিত্ব করার ভাব দেখিয়ে তারা নিজেরাই বাংলার মত এমন এক ভাষার দাবী তুলেছে, যে ভাষার একটি মুসলিম রাষ্ট্রের জাতীয় ভাষার মর্যাদা লাভের মত যোগ্যতা একেবারেই নেই। মুসলিম সংস্কৃতির গৌরবময় ঐতিহ্যবাহী উর্দু ভাষাকে বর্জন করার এই নির্লজ্জ প্রচেষ্টা যে শুধু ধ্বংসাত্মক তাই নয়, তা পশ্চাদমুখী, নিন্দনীয় এবং সর্বোপরি সার্বজনীন ইসলামী ভ্রাতৃত্বের প্রতি চ্যালেঞ্জস্বরূপ। তারা যদি বাংলাকে একটি বিশেষ পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষার মাধ্যম হিসাবে চালু করা এবং উর্দুকে ইংরেজির জায়গায় রাষ্ট্রভাষা করার কথা বলত তাহলে সেটা বোঝা যেতো। কিন্তু বাংলার সমর্থকেরা উর্দুকে পূর্ব বাংলা থেকে তাড়িয়ে দিতে চায় এবং আমাদের সুচিন্তিত মতানুসারে সেটা পূর্ব পাকিস্তানের মুসলমানদের পক্ষে আত্ম হত্যার শামিল।

স্মারকলিপিতে তারা বাংলা ভাষাকে এভাবে কটাক্ষ করেন, - রবীন্দ্রনাথ- নজরুল ইসলামের বাংলা ভাষায় ' প্রাদেশিক দেশপ্রেম' প্রচার করা যায় কিন্তু কোনো সামরিক কাজকর্ম সে ভাষার মাধ্যমে সম্ভব নয়। বাংলা বর-কনের আলাপের উপযোগী হতে পারে কিন্তু তার মাধ্যমে বীরত্ব ব্যঞ্জক কিছু ব্যক্ত করা চলে না। বাংলার তুলনায় উর্দু একটা বীর্যপূর্ণ ভাষা এবং তার চরিত্রে পুরুষত্ব আছে!

উপরোক্ত স্মারকলিপিতে স্বাক্ষরকারী উল্লেখযোগ্য কিছু কুলাঙ্গার আসাম সরকারের ভূতপূর্ব মন্ত্রী মুদাব্বির হোসেন, নজমুল হোসেন- সভাপতি মুসলিম সাহিত্য পরিষদ, শামসুজ্জামান চৌধুরী- দর্শনের সিনিয়র অধ্যাপক, আব্দুল হাই - দর্শনের অধ্যাপক, মিসবাহুল চৌধুরী, খায়রুন্নেসা খানম, মৌলানা রাজিউর রহমান- সম্পাদক আসাম হেরাল্ড।

সিলেটের এই সকল কুলাঙ্গার শিক্ষাবিদরা যখন বাংলা ভাষার অবমানায় ব্যস্ত। ঠিক তখন সিলেটের কয়েকজন বিশিষ্ট মহিলা তৎপর ছিলেন বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষার আন্দোলনে। তাঁরা পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিনের কাছে বাংলাকে পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার দাবী জানিয়ে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। এতে যারা সাক্ষর করেন তাদের মধ্যে অন্যতম - মহিলা মুসলিম লীগের জেলা কমিটির সভানেত্রী বেগম জোবেদা খাতুন চৌধুরী, সহ- সভানেত্রী সৈয়দা শাহেরবানু, সম্পাদিকা সৈয়দা লুতফুন্নেসা খাতুন, সৈয়দা নজিবুন্নেসা খাতুন এবং সিলেট রাজকীয় বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষয়ত্রি রাবেয়া খাতুন। এই স্মারকলিপি প্রেরণের সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর সিলেটের ইস্টার্ন হেরাল্ড পত্রিকায় এই স্মারকলিপির সম্পর্কে কতগুলো অশোভন ও বিরূপ উক্তি করা হয়। এই উক্তির প্রতিবাদে সাপ্তাহিক নওবেলাল এ ১১ই মার্চ স্মারকলিপির অন্যতম স্বাক্ষরকারী সৈয়দা নজিবুন্নেসা খাতুনের একটি বিবৃতি প্রকাশিত হয়। মর্নিং নিউজ, জুগভেরী, হেরাল্ড যেখানে বাংলার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল সেখানে পুরোপুরি ভাবে মাতৃভাষা আন্দোলন সমর্থন করে সামনে এগিয়ে আসে সাপ্তাহিক ইনসাফ, জিন্দেগী, দেশের দাবী, সিলেটের সাপ্তাহিক নওবেলাল । সাপ্তাহিক নওবেলালে প্রকাশিত বিবৃতির উল্লেখযোগ্য কিছু অংশ, -

যাহারা পূর্ব পাকিস্তানের বাংলা ভাষাভাষী হইয়া মাতৃভাষার বিরুদ্ধাচরণ করেন তাহারা মাতৃভাষার বিশ্বাস ঘাতক কু পুত্র তুল্য। অনেকে আবার না বুঝিয়া, ধর্মের দোহাই শুনিয়া উর্দুর সমর্থন করেন। তাহাদের তত দোষ দেয়া যায় না। কিন্তু যাহারা ধর্মের দোহাই দেন তাহাদের জিজ্ঞাসা করি যে উর্দু ভাষাভিজ্ঞ অপেক্ষা সিলেটের উর্দু অনভিজ্ঞ মুসলমানেরা ইসলাম ধর্মের অনুশাসন পালনে কোন অংশে হীন? বরং এ বিষয়ে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানের মধ্যে সিলেটের মুসলমানদের তহজিব ও তমদ্দুন এক বিশিষ্ট স্থান লাভের অধিকারী বলিয়া অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা মত প্রকাশ করিয়াছেন। আমাদের বক্তব্য ছিল যে উর্দু ভাষাভাষী অধিক সংখ্যক শিক্ষয়ত্রি নিযুক্ত করিয়া পর্দানশীন মহিলাদের শিক্ষা ব্যবস্থা অসম্ভব ফলে অল্প দিনের মধ্যে অল্প শিক্ষিতা নারী জাতি অশিক্ষিতা হইয়া যাইবেন এবং স্বামী পুত্রের সহযোগিতা করিতে পারিবেন না। রাষ্ট্রভাষা যদি বাংলার পরিবর্তে উর্দু হয়, তবে আমাদের মত অল্প শিক্ষিতা নারীদের জন্য উর্দু শিক্ষার কি ব্যবস্থা হইবে, তাহা আমাদের ধারণাতীত।

বাংলা ভাষার পক্ষে সুদৃঢ় অবস্থান নেয়ার কারণে পূর্ব বাংলা সরকারের ডেপুটি ইনস্পেক্টর জেনারেলের আদেশক্রমে নওবেলালের প্রকাশনা ১৯৪৮ এর ১৩ ই সেপ্টেম্বর থেকে ৮ ই ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকে।

মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রক্ষাকল্পে সিলেটের মহিলাদের এই প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানিয়ে তমদ্দুন মজলিসের সম্পাদক আবুল কাশেম মহিলা লীগের সভানেত্রী জোবেদা খাতুনের কাছে একটি চিঠি প্রেরন করেন -

আজ সত্যি আমরা অভূতপূর্ব আনন্দ এবং অশেষ গৌরব অনুভব করছি। সিলেটের পুরুষরা যা পারেন নি তা আপনারা করেছেন। উর্দু সমর্থনে সিলেটের কোনো কোনো পত্রিকা যে জঘন্য প্রচার করছে আর সিলেটের কোনো কোনো পুরুষরা স্মারকলিপি দিয়ে যে কলঙ্কজনক অভিনয় করেছেন তা সত্যি বেদনাদায়ক। কিন্তু আপনাদের প্রচেষ্টা দেখে মনে হচ্ছে আমাদের ভয়ের কোনো কারণ নেই। আপনাদের প্রেরিত স্মারকলিপি আমাদের আশান্বিত করে তুলেছে। নিশতার সাহেবের দেখা করেও আপনারা মাতৃভাষার প্রতি কর্তব্য সম্পাদন করেছেন। তমদ্দুন মজলিস আজ আপনাদের অকৃত্রিম ধন্যবাদ জানাচ্ছে। আপনাদের প্রচেষ্টা জয়জুক্ত হউক। আশা করি আপনাদের নিঃস্বার্থ কর্ম চাঞ্চল্যে বাংলা ভাষা আন্দোলন আরও সক্রিয় - আরও প্রবল হয়ে উঠবে।

মন্তব্য ৭২ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৭২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:২১

বিজন রয় বলেছেন: ভাল লিখেছেন, ভাষার মাসে।
++++

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩৭

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।

২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০৩

বৃতি বলেছেন: প্রবাসী ভাইয়ের লেখা মানে নতুন কিছু জানা :) খুব ভালো পোস্ট। ++++

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩৮

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ বৃতি আপা।

৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪২

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন:
আজ সত্যি আমরা অভূতপূর্ব আনন্দ এবং অশেষ গৌরব অনুভব করছি। সিলেটের পুরুষরা যা পারেন নি তা আপনারা করেছেন।


শ্রদ্ধা।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪১

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: আমাদের ভাষা আন্দোলন, মুক্তিজুদ্ধসহ প্রতিটি সংগ্রামেই নারীরা ছিলেন সামনের সারিতে। যদিও আমরা তাঁদের অবদান কে খুব কমই প্রচার করি।

ধন্যবাদ দিশেহারা রাজপুত্র।

৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০২

আবু শাকিল বলেছেন: আপনার পোষ্টের তথ্য গুলা অজানা ছিল।নতুন করে জানলাম।
একুশ নিয়ে আমার অজানা তথ্য গুলা জানানোর জন্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা ভাই।

একটু আগে বৃতি আপুর পোষ্টে অজানা একুশ নিয়ে ভিন্না আলাপ করে আস্লাম।আপনার সাথেও আলাপ করি
প্রপা ভাই
আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনেক চলচিত্র দেখেছি। একুশ নিয়ে কোন চলচিত্র নির্মিত হয়নি।
বাংলা ভাষার জন্য সালাম-বরকত-রফিক-জব্বারের আত্মত্যাগের কাহিনী , লাল সবুজ পতাকাশোভিত বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের শাশ্বত ইতিহাস এগুলা বাংলা চলচিত্রে স্থান পায় না কেন ??আশা করি আমাদের বাংলা চলচিত্রে মুক্তিযুদ্ধের মত বাংলা ভাষার জন্য সালাম-বরকত-রফিক-জব্বারের আত্মত্যাগের কাহিনী চলচিত্রে স্থান পাবে।মুক্তিযুদ্ধের চলচিত্র সরকারী অনুদানে নির্মিত হতে পারলে আমাদের গৌরবগাঁথা একুশ নিয়েও সরকারী অনুদানে চলচিত্র নির্মিত হতে পারে।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪৩

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: আমাদের ভাষা আন্দোলন নিয়েও কিন্তু চলচিত্র তৈরি হয়েছে। আহমদ সফার বিখ্যাত উপন্যাস ওঙ্কার নিয়ে চলচিত্র নির্মিত হয়েছে শাকিল ভাই।

৫| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৪

উল্টা দূরবীন বলেছেন: পোস্টে অনেক কিছুই জানা হলো। ধন্যবাদ।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৭

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: ধন্যবাদ উল্টা দূরবীন

৬| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৩

দ্যা রয়েল বেঙ্গল টাইগার বলেছেন: অল্প কিছু তথ্য আগেই জানা ছিল। বাকিটা আপনার পোস্ট থেকে জানতে পারলাম! তার মধ্যে বেশ তথ্য একদম নতুন মনে হলো!

চমৎকার তথ্য সমৃদ্ধ পোস্টে অনেক অনেক ভাল লাগা! ভাল থাকবেন ভাই!

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৮

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ দ্যা রয়েল বেঙ্গল টাইগার

৭| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩০

সুমন কর বলেছেন: আশা করি আপনাদের নিঃস্বার্থ কর্ম চাঞ্চল্যে বাংলা ভাষা আন্দোলন আরও সক্রিয় - আরও প্রবল হয়ে উঠবে।

পোস্টে ভালো লাগা।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২৯

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন দা।

৮| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০০

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আহমদ সফার ছফা হবে
আপনার আরেকটি চমৎকার পোস্ট প্রবাসী ভাই ।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৫

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: দুঃখিত মাহমুদ ভাই। অসাবধানতা বশত ভুল হয়ে গিয়েছে। ধন্যবাদ ভাই ভুলটা শুধরে দেয়ার জন্য।

৯| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০২

জয় মন্ডল বলেছেন: সত্যি খুব ভাল লেগেছে

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪৬

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: ধন্যবাদ জয় মন্ডল।

১০| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এই মাসে এমন তথ্য সমৃদ্ধ একটি লেখার খুব প্রয়োজন ছিল।
ধন্যবাদ প্রবাসী পাঠক।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩৬

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন আবুহেনা ভাই।

১১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩২

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: সিলেটের এই সকল কুলাঙ্গার শিক্ষাবিদরা যখন বাংলা ভাষার অবমানায় ব্যস্ত। ঠিক তখন সিলেটের কয়েকজন বিশিষ্ট মহিলা তৎপর ছিলেন বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষার আন্দোলনে। তাঁরা পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিনের কাছে বাংলাকে পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার দাবী জানিয়ে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। এতে যারা সাক্ষর করেন তাদের মধ্যে অন্যতম - মহিলা মুসলিম লীগের জেলা কমিটির সভানেত্রী বেগম জোবেদা খাতুন চৌধুরী, সহ- সভানেত্রী সৈয়দা শাহেরবানু, সম্পাদিকা সৈয়দা লুতফুন্নেসা খাতুন, সৈয়দা নজিবুন্নেসা খাতুন এবং সিলেট রাজকীয় বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষয়ত্রি রাবেয়া খাতুন। এই স্মারকলিপি প্রেরণের সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর সিলেটের ইস্টার্ন হেরাল্ড পত্রিকায় এই স্মারকলিপির সম্পর্কে কতগুলো অশোভন ও বিরূপ উক্তি করা হয়। এই উক্তির প্রতিবাদে সাপ্তাহিক নওবেলাল এ ১১ই মার্চ স্মারকলিপির অন্যতম স্বাক্ষরকারী সৈয়দা নজিবুন্নেসা খাতুনের একটি বিবৃতি প্রকাশিত হয়।


কত শত অজানা কথন। অনেক ভালো লাগলো প্রবাসী ভাই। প্রিয়তে রাখছি।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪০

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: আমাদের সব কয়টি আন্দোলনেই নারীদের অবদান ছিল অপরিসীম। কিন্তু পরিতাপের বিষয় তাদের কথা সেভাবে বলা হয় না। ভাষা আন্দোলনেও তাদের অবদান ছিল উল্লেখযোগ্য। হাবিবুর রহমান শেলির নেতৃত্বে প্রথম দল সেদিন ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। হাবিবুর রহমান এর দলটির পরপরই ইব্রাহিম তাহা, আব্দুস সামাদ, আনোয়ারুল হোক খান, আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ ছাত্রদের নিয়ে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করেন। ঠিক তারপরই ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল নিয়ে বেরিয়ে আসেন এই বাংলার একদল বাঘিনী। যাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন শাফিয়া খাতুন, সুফিয়া ইব্রাহিম, রওশন আরা বাচ্চু, শামসুন্নাহার, সারা তাইফুর প্রমুখ। এই দলটির নেতৃত্বে ছিলেন শাফিয়া খাতুন। সেদিন ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে যারাই মিছিল নিয়ে বেরিয়েছিলেন তাঁদের পুলিশ গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু সেদিন কোন নারীকে গ্রেফতার করা হয় নি।

সেদিনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে শাফিয়া খাতুন বলেন , " ছেলেরা বের হতেই বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছিলো। আমরা ২ জন ২ জন করে দূরত্ব রেখে বের হলাম। গেটের পাশে পানি ভর্তি একটি বালতি রাখা ছিলো। সবাইকে বলা হয়েছিল, রুমাল ভিজিয়ে নেয়ার জন্য। কাঁদানে গ্যাস হতে চোখ রক্ষার জন্য প্রয়োজন হতে পারে। ' আমরা এগিয়ে যাচ্ছিলাম। কয়েকজন সশস্ত্র পুলিশ এগিয়ে আসছিলো বাধা দেয়ার জন্য। পাশের থেকে ওদের কোন অফিসার বোধহয় বলল, ছোড় দো। আর বাধা পেলাম না।

ছাত্রীদের মিছিলে পুলিশের লাঠি চার্জে রওশন আরা বাচ্চু গুরুতর আহত হন, কাঁদানে গ্যাসের জন্য শাফিয়া খাতুন অসুস্থ হয়ে পরেন।

মন্তব্য এবং প্রিয়তে রাখার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন আপা।

১২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৫

জুন বলেছেন: স্মারকলিপিতে তারা বাংলা ভাষাকে এভাবে কটাক্ষ করেন, - রবীন্দ্রনাথ- নজরুল ইসলামের বাংলা ভাষায় ' প্রাদেশিক দেশপ্রেম' প্রচার করা যায় কিন্তু কোনো সামরিক কাজকর্ম সে ভাষার মাধ্যমে সম্ভব নয়। বাংলা বর-কনের আলাপের উপযোগী হতে পারে কিন্তু তার মাধ্যমে বীরত্ব ব্যঞ্জক কিছু ব্যক্ত করা চলে না। বাংলার তুলনায় উর্দু একটা বীর্যপূর্ণ ভাষা এবং তার চরিত্রে পুরুষত্ব আছে!
আর কিছু বলার নেই এসব কুলাঙ্গার সম্পর্কে প্রবাসী পাঠক । অজানা বিষয়টিকে সামনে আনার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ।
+

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:০১

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: আমাদের ভাষাকে পশ্চিম পাকিস্তানিরা যতটা আঘাত করেছে তারচেয়ে বেশি আঘাত করার চেষ্টা করেছিল আমাদের স্বজাতীয় বেঈমানরা। বাংলাকে ধ্বংস করার অন্যতম উপায় হিসাবে তারা বাংলা ভাষায় আরবি হরফ প্রবর্তনের উদ্যোগ ১৯৪৭ সাল থেকেই শুরু করেছিলেন। পূর্ব বাংলার প্রতিনিধি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ফজলুর রহমানই ছিলেন এই প্রচেষ্টার মূল প্রবক্তা। প্রাদেশিক শিক্ষা দফতরের সেক্রেটারি ফজলে আহমদ করিম ফজলী এবং ফজলুর রহমান উভয়ে চট্টগ্রামের মৌলানা জুলফিকার আলীকে দিয়ে ' হুরুফুল কোরান সমিতি' এর মাধ্যমে আরবি হরফ বাংলাতে প্রবর্তনের আন্দোলন গঠনের চেষ্টা করেন। ঐ প্রচেষ্টার সাথে টিচার্স ট্রেনিং কলেজের ওসমান গণি এবং আরমানিটোলা স্কুলের মৌলানা আব্দুর রহমান বেখুদও যুক্ত ছিলেন। কেন্দ্রীয় শিক্ষা দফতরের উদ্যোগে ১৮ই এপ্রিল ১৯৫০ পূর্ব বাংলার বিভিন্ন জেলায় মোট ২০ টি কেন্দ্রে আরবি হরফে বাংলা ভাষার মাধ্যমে প্রাপ্ত বয়স্কদের প্রাথমিক শিক্ষা দেয়ার কাজ শুরু হয়।

ধর্মকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে এরা বাংলা ভাষার বিরোধিতা করেন। ধর্মীয় সংগঠন ' জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম' আঞ্চলিক সভায় প্রথম বাংলা ভাষায় পক্ষে নেয়। সিলেটে মুন্সিবাজার ইউনিয়নে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের একটি সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভায় ভাষা প্রশ্নের উপর গৃহীত একটি প্রস্তাবে বলা হয়- পাকিস্তান অর্জনে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। সমস্ত পাকিস্তানের জনসংখ্যার দুই তৃতীয়াংশ বাংলা ভাষাভাষী। সুতরাং গননীতির দিক দিয়া সমগ্র পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানীদের পক্ষে অল্প সময়ে বাংলা ভাষা শিক্ষা সহজ নহে বিধায় বিশেষ বিবেচনা স্থলে তথাকার রাষ্ট্রভাষা উর্দু ও পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা বাংলা এবং পশ্চিমের দ্বিতীয় ভাষা বাংলা, তৃতীয় ভাষা ইংরেজি এবং পূর্বের দ্বিতীয় ভাষা উর্দু তৃতীয় ভাষা ইংরেজি হওয়া উচিৎ। কিন্তু শর্সিনায় কেন্দ্রীয় সম্মেলনে তারা উর্দুর পক্ষে অবস্থান নেয়। সবচেয়ে দুঃখের কথা এই শরসিনার পীর সাহেবকেই আবার বাংলাদেশ একুশে পদকে ভূষিত করে। হায়রে বাংলাদেশ!!!

১৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৬

প্রামানিক বলেছেন: তথ্যবহুল একটি পোষ্ট। ভাল লাগল। ধন্যবাদ

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:২১

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক দা।

১৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৩

জয় মন্ডল বলেছেন: ভাল লাগল। পড়ে খুব ভাল লাগল।আরও লিখুন শুভ কামনা রইল।ভাই আমি ব্লগে নতুন। লেখা প্রকাশ করলাম কিন্তু প্রথম পাতায় আসছে না।আসতে কি কিছু দিন অপেক্ষা করতে হয় নাকি কোন দিন প্রথম পাতায় আসবে না।দয়া করে জানিয়ে দিন।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:২৪

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: ভাই জয় মন্ডল, ব্লগে একাউন্ট খোলার পর এক সপ্তাহ সময় আপনি ওয়াচে থাকবেন। এই সম আপনি অন্য ব্লগারদের লেখায় মন্তব্য করতে পারবেন। কিন্তু আপনার পোস্ট প্রথম পাতায় আসবে না। এক সপ্তাহ পর আপনি জেনারেল হয়ে গেলেই আপনার লেখা প্রথম পাতায় প্রকাশিত হবে।

১৫| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২৩

আলাপচারী বলেছেন: আরেকটি মজার তথ্য যোগ করি।
বাংলা পূর্ব পাকিস্তানিদের মাতৃভাষা। পাঞ্জাবী পশ্চিম পাকিস্তানি পাঞ্জাবের ভাষা। বেলুচ বেলুচিস্থানের ভাষা। ইত্যাদি।
কিন্তু উর্দূ পূর্ব বা পশ্চিম কোনো অঞ্চলেরই স্থানীয় ভাষা নয়। (সূত্র : সৈয়দ মুজতবা আলী)
পরিহাস হোল : অস্থানীয় ঐ ভাষাকেই রাষ্ট্রভাষা বানানোর পায়তারা হয়েছিল। যাতে ঐ সময়ই শতকরা ২% লোক (উভয় পাকিস্তানের ) কথা বলতো।
উর্দূ জবানেই বলি : ঐ ভাষা না ঘারকা (পূর্ব পাকিস্তান) না ঘাটকা (পশ্চিম পাকিস্তান)।
তবু ঐ ভাষা নিয়ে ঐ রকম জেদাজেদি আসলে পাকিস্তানি শাসক মানসের ভন্ডামিরই প্রমাণ। লক্ষণীয় জিন্নাহ্ র ভাষাও উর্দূ ছিল না। জিন্নাহ্ অগ্নি পূজারী পার্শী স্ত্রী নিয়ে আজীবন ঘর সংসার করেছেন। পুরোপুরি বিলাতী ষ্টাইলে চলতেন। ছিলেন নাস্তিক। ভুুল করেও কখনো পশ্চিমে আছাড় খেয়ে পড়েন নি। (সূত্র: ইমেরিটাস অধ্যাপক ড: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী)।

অফটপিক : ১. জিন্নাহ্ কিন্তু নিজ বিবেকের কাছে পরিস্কার ছিলেন। পাকিস্তান কায়েম হওয়ার পর পরই প্রথম ভাষণে বলেন, "এক্ষণে মুসলমানদের নিজস্ব রাষ্ট্র হোল। তবে দেশ চলবে ধর্ম দিয়ে নয়, বিশুদ্ধ গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে।" যদিও কায়েমি স্বার্থের দ্বন্দ্বে তা ধোপে টিকে নাই।
২. ব্রিটিশ বিরোধী সংগ্রামে অবদান বেশী পূর্ব পাকিস্তান বাসীর। পরিহাস "পাকিস্তান" নামকরণ শুধুমাত্র পশ্চিম পাকিস্তানের প্রদেশ গুলোর নামের আদ্যক্ষর নিয়ে। রচয়িতা জামাতিদের পেয়ারে শায়ের (কবি) আল্লামা ইকবাল ! উনি আবার মুসলিম ভ্রাতৃত্বের স্বপ্ন দেখতেন (!!) যেখানে নামকরণের মধ্যেই আমাদের গোণায় ধরেন নি।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৪৩

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: দারুণ কিছু তথ্য দিয়ে পোস্টটিকে সমৃদ্ধ করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন। উর্দুকে ধর্মের চাদরে ঢেকে পশ্চিমারা চেয়েছিল বাংলা ভাষা এবং পূর্ব বাংলাকে শত বছর পিছিয়ে দিতে। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় পাকিস্তানিরা যে উর্দুকে আমাদের উপর চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল, আজও সে উর্দু পাকিস্তানে এক রকম অচল। ১০ ভাগের কম লোক উর্দুতে কথা বলে।

১৬| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩০

আলাপচারী বলেছেন: পশ্চিম পাকিদের মানস আচঁ করে ক্ষেপে গিয়ে করি নজরুল বলেছিলেন, ফাকিস্তান ! (উভয়ার্থে)

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৪৪

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানবেন আলাপচারী।

১৭| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪৭

আরজু নাসরিন পনি বলেছেন:

আব্দুল হাই - দর্শনের অধ্যাপক...মানে কি প্রফেসর সাইয়েদ আবদুল হাই !!! যিনি ১৯৯৪ সালে মারা গেছেন ...খুবই দুঃখজনক । আমার হাতের কাছেই উনার ভারতীয় দর্শন...মনে হচ্ছে ফেলে দেই !

অসাধারণ ! মনে মনে ক'দিন ধরে এমন একটি পোস্টই যেনো আশা করছিলাম..."ভাষা আন্দোলনে নারী"...আপনার পোস্টটি আমার তেমন আশা অনেকটাই পূর্ণ করলো ।

অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রবাসী পাঠক ।


আজ কয়েকজন প্রিয় ব্লগারেরই ভাষা নিয়ে পোস্টে চোখে পড়লো...সারাদিন ঢাকার বাইরে থেকে ফিরে তাদের পোস্টে মন্তব্য করার মতো এনার্জি পাচ্ছিনা...কিন্তু আপনার পোস্টটা লাইন বাই লাইন না পড়ে পারলাম না ।

শুভকামনা রইল ।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৫০

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: হ্যা আপা উনিই সেই সময় মর্নিং নিউজে উর্দুর সপক্ষে কলম ধরেছিলেন। উনার একটা বই আছে মনে হয় মুসলিম দর্শন। সেই সময় উনার মত অনেকেই ধর্ম আর মাতৃভাষাকে মুখোমুখি দাড় করিয়েছিলেন।

আজ একসাথে পাঁচটা পোস্ট মনে হয় এসেছে ভাষা আন্দোলন নিয়ে। প্রতিটি লেখাই অসাধারণ হয়েছে। সারাদিন ভ্রমণ শেষে ক্লান্তি নিয়েও পোস্টটি পড়া এবং মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন পনি আপা।

১৮| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



ভাল পোষ্ট দিছিস। +++++++

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৫০

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: থেঙ্কু থেঙ্কু কান্ডারি ভাইয়া।

১৯| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:২২

আনোয়ারুল করিম বলেছেন: আপনার অসাধারণ লেখাটি নিউজওয়ার্ল্ডবিডি ডট কম (http://www.newsworldbd.com/) অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশ করা হলো...

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৫১

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: ধন্যবাদ আনোয়ারুল করিম ভাই।

শিরনামটা মনে হয় একটু বদলে দিয়েছেন।

২০| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:২৪

কাবিল বলেছেন: আমার অজানা কিছু তথ্য জানতে পারলাম। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ভাষার মাসে ভাষা সৈনিকদের প্রতি শ্রদ্ধা।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৫৩

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: সকল ভাষা শহীদ এবং ভাষা সৈনিকদের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।


ধন্যবাদ কাবিল ভাই।

২১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:২৪

খেয়া ঘাট বলেছেন: পোস্টটি স্টিকি করার জন্য জোর আবেদন জানাচ্ছি।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:৫৪

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় খেয়া ঘাট ভাই।

২২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫১

আরজু পনি বলেছেন:

প্রিয়তে রাখলাম ।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩২

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: ধন্যবাদ পনি আপা।

২৩| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৪

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
ভাষার মাষে তথ্যসমৃদ্ধ পোস্টটি আপনার কাছে পাওনা ছিল প্রবাসী ভাই।


অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪১

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: ধন্যবাদ বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায়।

২৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪৪

গেম চেঞ্জার বলেছেন: অনেক অজানা তথ্যপুর্ণ পোস্ট। সংকলনের জন্য রাখলাম।

আচ্ছা!! আপনার কাছে কি কোন লিংক আছে, যেখানে এইসব পত্রিকার কাটিং/আর্কাইভ পাওয়া যাবে এমন? দিলে খুব ভাল হতো। :)

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫২

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: না ভাই, সেই সময়কার পত্রিকার কাটিং/ আর্কাইভ আমার কাছে নেই। যে বইগুলো থেকে এই তথ্য নেয়া হয়েছে সেখানেও পত্রিকার কোন ছবি নেই। উক্ত রেফারেন্স গুলো - রতন লাল চক্রবর্তী সম্পাদিত ভাষা আন্দোলনের দলিলপত্র, ডঃ মোহাম্মদ হান্নান এর বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাস, বদরুদ্দদিন উমর সম্পাদিত পূর্ব বাংলার ভাষা আন্দোলন ও তৎকালীন রাজনীতি বই থেকে নেয়া।

২৫| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। স্যালুট আপনাকে এমন একটা বিষয় নিয়ে তথ্যবহুল পোস্ট দেয়ার জন্য। আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন। ভালো থাকুন সবসময়।

পোস্টে ++++ এর সাথে ভালো লাগা রইল, সাথে তোলা থাকল প্রিয়তে।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২৬

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় বোকা মানুষ বলতে চায়

২৬| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪৯

পুলহ বলেছেন: ধ্রুপদী ইতিহাসের বাইরে অন্যরকম এক গৌরবময় ইতিহাসের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন! আমার আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন :)
শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০৫

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ জানবেন পুলহ।

২৭| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:০৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ভাষা আন্দোলনের ভিন্ন একটা দিক তুলে আনায় আপনাকে অনেক ধন্যবাদ প্রবাসী!

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৩৪

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় শঙ্কু দা।

২৮| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:৫১

অন্তরন্তর বলেছেন:
ভাষার মাসের তথা ২১শের অন্যতম পোসট। এই চমৎকার পোস্টের জন্য আপনাকে অনেক
ধন্যবাদ। এই মহীয়সী নারীদের সমপপর্কে লিখা হয়েছে কম তাই আমরা কম জানি। আর
এখানেই সমস্যা। যার যতটুকু প্রাপ্য তা আমরা কখনও দেইনি।
শুভ কামনা।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৫

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ সুপ্রিয় অন্তরন্তর ভাই।

২৯| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১১

আবু শাকিল বলেছেন: স্টিকি পোষ্ট মনে হয় স্বজনপ্রীতি হইছে :)

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৬

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: হা হা হা। আমি ভেবেছিলাম ময়ূরাক্ষী আপার পোস্টটা স্টিকি হবে।

৩০| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১০

অগ্নি সারথি বলেছেন: কত্ত কিছু জানিনারে! জানানোর জন্য ধন্যবাদ।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১৬

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: ধন্যবাদ অগ্নি সারথি

৩১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: এসব নিয়ে আরো বেশি বেশি লেখা উচিত। কৃতজ্ঞতা জানানোর জন্যে ইনাদের চরণযুগল আমাদের দরকার।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৭

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: উনাদের চরণযুগল এখন আর পাওয়া মনে হয় সম্ভব হবে না হাসান ভাই। বাংলা ভাষার সঠিক মূল্যায়ন করে আমরা উনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি।

মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন প্রিয় হাসান ভাই।

৩২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৮

মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: প্রিয়তে রাখলাম ।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৩৫

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: ধন্যবাদ মাহবুবুল আজাদ।

৩৩| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:১৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম
ধন্যবাদ প্রবাসী ভাই :)

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৩৬

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন মনিরা আপু।

৩৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:২১

এহসান সাবির বলেছেন: চমৎকার কিছু তথ্য ভরা পোস্ট পড়লাম। কত কিছুই জানি আমি...!! আসলে আমাদের ইতিহাস নিয়ে বেশি বেশি লেখা পড়া করা উচিত আমাদের।

আমার আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন ভাই সুন্দর পোস্টের জন্য।

শুভ কামনা সব সময়।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৭

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় সাবির ভাইয়া।

৩৫| ১২ ই মে, ২০১৬ দুপুর ২:১৯

তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: লেখাটি পড়ে সমৃদ্ধ হলাম। অনেক অজানা বিষয়ে জানলাম।
অনেক অনেক ধন্যবাদ :)

২৬ শে মে, ২০১৬ রাত ১:১০

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: পাঠ এবং মন্তব্যের জন ধন্যবাদ তামান্না

৩৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৫৫

পথহারা পথিক আমি বলেছেন: অনেক ভালো লাগল :)

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৫৪

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.