![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন মুসলিম যে আত্মসমর্পন করে আল্লাহর কাছে নিজেকে, নিজের ইচ্ছাকে।
স্বামী-স্ত্রীর অধিকার
সূরা বাকারা-২২৭> আল্লাহ বলেন, তোমাদের যেমন নারীদের উপর অধিকার রয়েছে, তেমন তাদের জন্যও অধিকার রয়েছে ন্যায্য-যুক্তিসংগত ও নীতি অনুসারে। তবে নারীদের উপর শ্রেষ্ঠত্ব পুরুষদের। আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
সূরা নিসা-১৭> আল্লাহ বলেন, তাদের (স্ত্রীদের) সাথে তোমরা সদ্ভাবে আচরণ কর।
সূরা মায়িদাহ-২> ‘তোমরা সৎকর্ম ও তাকওয়ার (আল্লাহ ভীতির) ব্যপারে পরস্পরকে সহযোগিতা কর।
সূরা আহযাব-৩৩> ‘তোমরা স্ব স্ব গৃহে অবস্থান কর, জাহিলী (অন্ধকার) যুগের নারীদের মতো নিজেদের কে প্রদর্শন করে বেড়াইও না।
সূরা নিসা-৪> ‘তোমরা প্রফুল্ল চিত্তে স্ত্রীদের মোহরানা দিয়ে দাও।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, আল্লাহর বান্দিদেরকে তোমরা আল্লাহর ঘরে (মসজিদে) যেতে বাধা দিয়ো না। (বুখারী-৮৪৯)
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, স্ত্রী স্বীয় স্বামীর ঘরের জিম্মাদার। এ জিম্মাদারির ব্যাপারে তাকে জবাবদিহিতার সম্মুখীন করা হবে (বুখারী-২৫৬৬)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমরা নারীদের কল্যাণকামী হও। কারণ, তাদের পাঁজরের হাড্ডি দ্বারা সৃষ্টি করা হয়েছে, পাঁজরের হাড্ডির ভেতর উপরেরটি সবচে’ বেশি বাঁকা। (যার মাধ্যমে তাদের সৃষ্টি করা হয়েছে।) যদি সোজা করতে চাও, ভেঙে ফেলবে। আর রেখে দিলেও তার বক্রতা দূর হবে না, তোমরা নারীদের কল্যাণকামী হও। (বর্ণনায় বুখারী, মুসলিম, বায়হাকি ও আরো অনেকে)
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, কিয়ামতের দিন আল্লাহর দরবারে সর্ব-নিকৃষ্ট ব্যক্তি সে, যে নিজের স্ত্রীর সাথে মিলিত হয় এবং যার সাথে তার স্ত্রী মিলিত হয়, অতঃপর সে এর গোপনীয়তা প্রকাশ করে বেড়ায়। (মুসলিম-২৫৯৭)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “আমি জাহান্নাম কয়েক বার দেখেছি, কিন্তু আজকের ন্যায় ভয়ানক দৃশ্য আর কোন দিন দেখিনি। তার মধ্যে নারীর সংখ্যাই বেশী দেখেছি। তারা বলল, আল্লাহর রাসূল কেন? তিনি বললেন, তাদের না শুকরির কারণে। জিজ্ঞাসা করা হল, তারা কি আল্লাহর না শুকরি করে? বললেন, না, তারা স্বামীর না শুকরি করে, তার কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে না। তুমি যদি তাদের কারো উপর যুগ-যুগ ধরে ইহসান (ন্যায় বিচার) কর, অতঃপর কোন দিন তোমার কাছে তার বাসনা পূর্ণ না হলে সে বলবে, আজ পর্যন্ত তোমার কাছে কোন কল্যাণই পেলাম না। (মুসলিম-৬: ৪৬৫)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “তোমাদের সেসব স্ত্রী জান্নাতি, যারা মমতাময়ী, অধিক সন্তান প্রসবকারী, পতি-সঙ্গ প্রিয়Ñ যে স্বামী গোস্বা করলে সে তার হাতে হাত রেখে বলে, আপনি সন্তুষ্ট না হওয়া পর্যন্ত, আমি দুনিয়ার কোন স্বাদ গ্রহণ করব না। (আলবানী সহিহ হাদিস সংকলন-২৮৭)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তিনজন ব্যক্তির নামাজ তাদের মাথার উপরে উঠে না। (ক). পলাতক গোলামের নামাজ, যতণ না সে মনিবের নিকট ফিরে আসে। (খ). সে নারীর নামাজ, যে নিজ স্বামীকে রাগান্বিত রেখে রাত যাপন করে। (গ). সে আমিরের নামাজ, যার উপর তার অধীনরা অসন্তুষ্ট। (তিরমিজি-২৯৫)
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন ‘তোমাদের মাঝে সেই সর্বোত্তম যে নিজের পরিবারের কাছে উত্তম। আমি আমার পরিবারের কাছে উত্তম।
(ইবনে মাজাহ-১৯৬৭)
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, যে নারী পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে, রমজান মাসের রোজা রাখে এবং নিজের লজ্জাস্থান হেফাজত করে ও স্বীয় স্বামীর আনুগত্য করে, সে, নিজের ইচ্ছানুযায়ী জান্নাতের যে কোন দরজা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করবে। ( মুসনাদে আহমাদ-১৫৭৩)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জনৈক মহিলাকে জিজ্ঞাসা করেন, “তোমার কি স্বামী আছে? সে বলল হ্যাঁ, রাসূল বললেন, তুমি তার কাছে কেমন? সে বলল, আমি তার সন্তুষ্টি অর্জনে কোন ত্র“টি করি না, তবে আমার সাধ্যের বাইরে হলে ভিন্ন কথা। রাসূল বললেন, ল্য রেখ, সে-ই তোমার জান্নাত বা জাহান্নাম। (মুসনাদে আহমাদ-৪: ৩৪১)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে নারী সুগন্ধি ব্যবহার করে বাইরে বের হল, অতঃপর কোন জনসমাবেশ দিয়ে অতিক্রম করল তাদের ঘ্রাণে মোহিত করার জন্য, সে নারী ব্যভিচারিণী। (মুসনাদে আহমদ, সহিহ আল-জামে : ২৭০১)
আবু হুরায়রা রাদিআল্লাহ আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে একদা জিজ্ঞাসা করা হল, হে আল্লাহর রাসূল, কোন নারী সব চেয়ে ভাল? তিনি বললেন, “যে নারী স্বামীকে আনন্দিত করে, যখন স্বামী তার দিকে দৃষ্টি দেয়। যে নারী স্বামীর আনুগত্য করে, যখন স্বামী তাকে নির্দেশ দেয়, যে নারী স্বামীর সম্পদ ও নিজ নফসের ব্যাপারে, এমন কোনো কর্মে লিপ্ত হয় না, যা স্বামীর অপছন্দ। (সুনানে নাসায়ি-৩০৩০)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “আল্লাহ তা’আলা সে নারীর দিকে দৃষ্টি দেবেন না, যে নিজ স্বামীর কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে না, অথচ সে স্বামী ব্যতীত স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। (সুনানে নাসায়ি)
আলহামদুলিল্লাহ
আল্লাহ আমাদের সবাইকে বুঝার মেনে চলার তৌফিক দান করুন। আমীন!
©somewhere in net ltd.