নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন জেনারেল ব্লগারের নিজের সম্পর্কে বলার কিছু থাকে না ।

আবদুর রব শরীফ

যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!

আবদুর রব শরীফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

চুরি হয়ে গেল আমাদের ২০১৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ!!!

১৯ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৩৬

বৃহস্পতিবার মেলবোর্নে ভারতের কাছে ১০৯
রানের পরাজয় কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না
টাইগার সমর্থকরা।

যেখানে আম্পায়ারদের জোচ্চুরি
ছিল দেখার মতো। কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্ত
কাঠগড়ায় দাড় করিয়ে দিচ্ছে দুই আম্পায়ার আলিম
দার ও ইয়ান গোল্ডকে।

তবে পিছু হটছে না বাংলাদেশ। এই ম্যাচের বিরুদ্ধে
আপিল করবে বাংলাদেশ। তা জানিয়েছেন
আইসিসির সভাপতি আ হ ম মুস্তফা কামাল (এমপি)।

প্রয়োজনে আইসিসির সভাপতির পদ থেকে সরে
আসার সিদ্ধান্তও নিতে পারেন বলে জানিয়েছেন
মুস্তফা কামাল।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে
কয়েকটি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচিত
হচ্ছেন দুই আম্পায়ার আলিম দার ও ইয়ান গোল্ড।

ভারতের ইনিংসে রোহিত শর্মা আউট হয়ে যেতেন
৯০ রানেই। রুবেলের বলে তিনি ক্যাচ দেন ইমরুলের
হাতে। তবে সবাইকে অবাক করে দিয়ে নো বল দেন
ইয়ান গোল্ড।

আবার মাশরাফির বলে এলবিডব্লিউর শিকার
হয়েছিলেন সুরেশ রায়না। আম্পায়ার নট আউট দেন।
বাংলাদেশ রিভিউ চায়। সেখানে দেখা যায় বল
নিচু হয়েই লেগ স্ট্যাম্প আঘাত করত। কিন্তু
আম্পায়ার সিদ্ধান্ত বদলায় নি।
বাংলাদেশ ইনিংসেও আম্পায়াররা হেটেছে
ভারতের পক্ষেই। মাহমুদুল্লাহর ক্যাচ সীমানার
কাছাকাছি নিয়েছিলেন শিখর ধাওয়ান। যাতে মনে
হয়েছিল তার পা স্পর্শ করেছে সাইডলাইন। কিন্তু
রিপ্লেতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করেও রিয়াদকে
আউট দেন আম্পায়ার।
পাকিস্তানের আম্পায়ার আলিমদার আর ইয়ান
গোল্ড ইংল্যান্ডের।

সূত্রঃ বাংলামেইল২৪ডটকম/এমএনসি


রোহিত শর্মাকে রুবেল হোসেনের করা ৪০তম ওভারের
চতুর্থ বলে আম্পায়ারের ‘নো’ ডাকা নিয়ে ক্রিকেট
দুনিয়ায় ঢের বিতর্ক। আম্পায়ার ইয়ান গৌল্ডের দেওয়া
‘নো’ বলটা যে স্পষ্ট ভুল ছিল, তা প্রমাণ হয়েছে এরই
মধ্যে। প্রশ্ন আছে মাহমুদউল্লাহর আউটটি নিয়েও।
বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ
ম্যাচে এমন আম্পায়ারিংয়ে ক্ষুব্ধ, স্তব্ধ বাংলাদেশের
দর্শক-সমর্থকেরা। একই প্রতিক্রিয়া জানালেন
বাংলাদেশ দলের সাবেক তারকা ও বর্তমানে
ধারাভাষ্যকার আতহার আলী খানও।
ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িয়ে আছেন দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে।
ঘরোয়া ক্রিকেট, কখনো কখনো আন্তর্জাতিক
ক্রিকেটেও বাজে আম্পায়ারিং দেখেছেন। তাই বলে
বিশ্বকাপে এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে! সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে
ক্ষোভের সঙ্গেই আতহার বললেন, ‘কোয়ার্টার ফাইনালে
এমন বাজে আম্পায়ারিং! বিশ্বাসই করতে পারছি না
এমন প্রশ্নবিদ্ধ আম্পায়ারিং দেখতে হবে। আই অ্যাম
শকড!’

কেন ওই সময় তৃতীয় আম্পায়ারের সহায়তা নিলেন না
মাঠের দুই আম্পায়ার, প্রশ্ন আতহারের, ‘জানি হাতে
প্রযুক্তি আছে। তবুও কেন মাঠের দুই আম্পায়ার তৃতীয়
আম্পায়ারের সহযোগিতা নিলেন না? বিশ্বাসই
হচ্ছে না ব্যাপারটা! রুবেলের বলটা দুই আম্পায়ারই
‘নো বল’ ডেকেছেন। প্রথমে গৌল্ড ডাকলেন, এরপর
আলিম দারও। যেকোনো আউটের সময় কিন্তু
ব্যাটসম্যানকে দাঁড় করিয়ে দেন আম্পায়াররা। কারণ,
সিদ্ধান্ত পরিষ্কার হতে কিছুটা সময় লাগে। কিন্তু
রোহিতের বেলায় কিছুই করলেন না দুজন! যদি তাঁরা
একটু সময় নিতেন, টিভি রিপ্লে দেখতেন, তাহলে
সিদ্ধান্ত বোলারের পক্ষেই থাকত। ধারাভাষ্যে
থাকা শেন ওয়ার্ন পর্যন্ত বললেন, এটা বাজে
সিদ্ধান্ত। কিছুতেই নো বল হয়নি।’
আইসিসিকে বিষয়টি খতিয়ে দেখারও দাবি
জানালেন আতহার, ‘জানি না, আইসিসির আইনে কী
বলা আছে। তবে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে
দেখা উচিত আইসিসির। ‘‘বেনেফিট অব ডাউট’’ কখন
হয়? যখন বিষয়টা পরিষ্কার বোঝা যায় না। তখনই
থার্ড আম্পায়ারের সহায়তা নেওয়া হয়। এ ম্যাচে তা
হলো কি? তবে দেখেন, মাহমুদউল্লাহর আউটটা আবার
তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে গিয়েছে। কিন্তু এমন
সিদ্ধান্তের সময় বারবার ক্যামেরা জুম করে দেখতে
হয়। প্রশ্ন ছিল, ধাওয়ানের পা দড়ি স্পর্শ করেছে কি
করেনি। এমন প্রশ্নের উত্তর পেতে দূর থেকে দেখার
মানে হয় না! ক্যামেরা জুম করে বারবার ধাওয়ানের
বাঁ পা দেখতে পারতেন তৃতীয় আম্পায়ার। কিন্তু
তিনি ওই অ্যাঙ্গেলে দেখলেনই না। কী অবাক
কাণ্ড!’
এটা ঠিক, রোহিতের আউটটা হলেই যে বাংলাদেশ
জিতত, তা নয়। তবে ম্যাচের চেহারাটা নিশ্চয় অন্য
রকম হতে পারত। কারণ, আম্পায়ারের ওই ভুল
সিদ্ধান্তের সময় রোহিতের রান ছিল ৯০। এরপর
বাকি ৪৭ রান করলেন ২৫ বলে। আতহার তাই বললেন,
‘সন্দেহ নেই, ভারত আমাদের চেয়ে শক্তিশালী দল।
বলছি না, সিদ্ধান্ত ভিন্ন হলেই বাংলাদেশ জিতে
যেত। কিন্তু রোহিত ওই সময় আউট হলে ভারতের
সংগ্রহ কম থাকত। ৩০০ রানের বেশি তাড়া করা আর
৩০০ রানের কম তাড়া করা—দুটো ভিন্ন বিষয়।’
তবে এ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রাপ্তি অনেক।
যে লক্ষ্যে খেলতে গিয়েছিল বাংলাদেশ, সেটি পূরণ
হয়েছে। এ কারণে মাশরাফিদের ‘স্যালুট’ দিচ্ছেন
আতহার, ‘আমাদের নায়কদের প্রাপ্য মর্যাদা দিতেই
হবে। কখনো ভাবিনি, বাংলাদেশ কোয়ার্টার
ফাইনাল খেলবে। যে খেলা তারা উপহার দিয়েছে,
সাধুবাদ জানাতেই হবে। হ্যাটস অফ টু আওয়ার
হিরোজ! ’
সূত্রঃ প্রথম আলো


বিশ্বকাপে ভারতকে অতিরিক্ত সুবিধা দিচ্ছে
আইসিসি। আর সেই সুবিধা প্রদানের বড়
হাতিয়ার আলিম দার! আর তাকে যোগ্য সঙ্গ
দিয়েছেন বাংলাদেশ যেই দলকে বিশ্বকাপ
থেকে বিদায় করে দিয়েছে সেই দেশেরই এক
আম্পায়ার ইয়ান গোল্ড। এই দুই আম্পায়ারের
জুটিতে বাংলাদেশ হলো বঞ্চনার শিকার।
খাঁটি দুটি আউট দিলেন না তারা। প্রমাণ করলেন,
আদেশ পালনে সদা প্রস্তুত! মোড়লের পক্ষেই
ভারী হওয়া উচিত সিদ্ধান্তের পাল্লাটা।
আলিম দারদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন প্রাক্তন
ক্রিকেটাররা। এদিকে পাকিস্তানের
ধারাভাষ্যকর রমিজ রাজা তো অগ্রিম শুভেচ্ছা
জানিয়ে রাখলেন আইসিসিকে।
ব্যঙ্গ করে আইসিসি বলতে তিনি বুঝিয়েছেন
ইন্ডিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলকে। তিনি
টুইটবার্তায় লিখেছেন, সাধুবাদ আইসিসিকে
(ইন্ডিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল)। সত্যিই তোমরা
(আম্পায়াররা) বিক্রি হয়ে গেলে।’
সূত্রঃ লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এসএফ


আগে থেকেই ধারনা করা হয়েছিল
বাংলাদেশের বিপক্ষে যথাসম্ভব সব সিদ্ধান্ত
দেবেন আম্পায়াররা। বাণিজ্যিক দিক থেকে
আর ক্ষতির সম্মুখিন হতে চায় না আইসিসি!
ভারত যদি কোনভাবে হেরেই যায়
বাংলাদেশের কাছে, তাহলে তো ক্ষতি হবে
আইসিসিরই। সুতরাং, মেলবোর্নে যেন ভারতই
জেতে, সে জন্য সব কিছু আগে থেকেই নির্ধারণ
করে রেখেছে ক্রিকেটের তথাকথিত অভিভাবক
সংস্থাটি।
মেলবোর্নের উইকেট দেখলেই বোঝা যায়,
ভারতের ব্যাটিংয়ের জন্য কতটা সহায়ক করে
তৈরী করা হয়েছে সেটা। যেন ভারত নিজেদের
মাটিতেই কোন ম্যাচ খেলছে। উইকেটের কথা
বাদ দিয়ে যদি আম্পায়ারদের কথাই ধরা হয়,
তাহলে নিশ্চিত তারাও ভারতের পক্ষ নিয়ে
মাঠে কাজ করে যাচ্ছে। মাঠে বাংলাদেশের
প্রতিপক্ষ ১১ জন নন, মোট ১৪ জন। সাথে টিভি
আম্পায়ারসহ মোট ৩জন আম্পায়ারকে যোগ করে
নিন।
এই যেমন ধরুন ৪০তম ওভারের চতুর্থ বলে রুবেলের
একটি ফুলটস বলে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ তুলে
দিয়েছিলেন সুরেষ রায়না। ৪০ বলে ৪০ রান
নিয়ে ব্যাট করছিলেন তিনি। শটটি
খেলেছিলেন ক্রিজ ছেড়ে এসে। টিভি
রিপ্লেতে স্পষ্ট দেখা গেছে বলটি ছিল কিছুটা
হাঁটুর ওপরে। কিন্তু ইংল্যান্ডের আম্পায়ার
ইয়ান গোল্ড নো বল ডেকে বসলেন। তিনি
দেখালেন বলটি ছিল কোমরের ওপরে।
এর আগে মাশরাফির একটি বলে স্পষ্ট
এলবিডব্লিউ আউট হলেও ইয়ান গোল্ড সেটিকে
আউট দেননি। মাশরাফি রিভিউর আবেদন করলে
টিভি আম্পায়ার স্টিভ ডেভিস আউন না
দেওয়ার সিদ্ধান্তই বহাল রাখলেন।
সূত্রঃ বিডি২৪লাইভ.কম

ব্যাটে, বলে ভুল
আম্পায়ারিং এর শিকার বাংলাদেশ। ভারতের
কাছে হেরে স্বপ্ন ভঙ্গ বাংলাদেশের।
বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয়
ম্যাচে বিতর্কিত আম্পায়ারিং এ ক্ষুব্ধ আইসিসি
সভাপতি আহম মোস্তফা কামাল (লোটাস কামাল)।
অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশী মিডিয়াকে
তিনি বলেছেন, বিষয়টি আইসিসির পরবর্তী সভায়
বিষয়টি তুলবেন। প্রয়োজনে আইসিসির পদ থেকে
সরে দাঁড়ানোর কথাও জানিয়েছেন তিনি। ম্যাচের
দুই অন ফিল্ড আম্পায়ার ইংল্যান্ডের ইয়ান গোল্ড ও
পাকিস্তানের আলিম দারের বিতর্কিত
সিদ্ধান্তে এলোমেলো হয়ে যায় টাইগারদের
লড়াই। তৃতীয় আম্পায়ার স্টিভ ডেভিসও বিতর্কিত
সিদ্ধান্ত দিয়ে ওই দুই আম্পায়ারের পাশে দাঁড়ান।
ফলে লড়াইয়ে থাকা একটি ম্যাচের পরিণতি হয়
কোন প্রতিদ্বন্ধিতা ছাড়া। বাজে আম্পায়ারিং-এ
আলোচনা সমালোচনা চলছে সারা ক্রিকেট
দুনিয়ায়। দেশের কোটি ক্রিকেট ভক্ত হতাল ক্ষুব্ধ
এমন ঘটনায়। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে
বাংলাদেশী ক্রিকেট প্রেমীদের পাশে
দাঁড়ালেন খোদ আইসিসি সভাপতি।
সূত্রঃ ঢাকার নিউজ

এ কেমন স্বপ্নের উপর চপেটাঘাত!!! কোন আদালতে আমাদের চুরি যাওয়া স্বপ্নের বিচার পাব আমরা? তবে কি এ কেবল দীর্ঘশ্বাস..! ষোল কোটি চোখের জলের কি কেউ জবাব দেওয়ার নেই!!

ধরে নিলাম, আপিল করবে বিসিবি, কিন্তু আপিল করলে কি স্বপ্ন ফিরে পাব!! কেউ কি ফিরিয়ে দিবে আমাদের সোনার স্বপ্নের এই ২০১৫ এর বিশ্বকাপ!!

যার চলে যায়, সে বুজে হায়, বিচ্ছেদের কি যন্ত্রণা....

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.