নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন জেনারেল ব্লগারের নিজের সম্পর্কে বলার কিছু থাকে না ।

আবদুর রব শরীফ

যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!

আবদুর রব শরীফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডাক্তার জেরিন ক্ষমা করো আমাদের,তবে কি হেরে গেল আমাদের ভালবাসা!!

২০ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:২৬

২০/০৩/১৫, একটু আগে রাতের খাবার শেষে চ্যানেলগুলোতে চোখ বুলাচ্ছিলাম এমন সময় চোখ স্থির হয়ে গেল 'বাংলা ভিশন' চ্যানেলে একটি সচিত্র প্রতিবেদন দেখে, চোখ ছলছল করে উঠল, বউয়ের প্রতি এক হাজবেন্ডের ভালবাসায় মুগ্ধ হলো হৃদয়, খুঁজে নিলাম কিছু পুরনো নিউজ, নিম্নে দিলাম আপনাদের মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য,



একজন চিকিৎসক, মানুষের সেবা করবেন

এই আশায় যোগ দিয়েছিলেন সরকারি

হাসপাতালে। কিন্তু কর্মস্থলে

যোগদানের দিনেই ছিনতাইকারীর

কবলে পড়ে মাথায় মারাত্মক চোট পান

তিনি। চলে যান জীবন মৃত্যুর

সন্ধিক্ষণে। আড়াই মাস ধরে পিজি

হাসপাতালের আই.সি.ইউ.তে মৃত্যুর

সঙ্গে লড়ছেন তিনি। কেমন আছেন

ডাক্তার জেরিন? ছিনতাইয়ের মত

অপরাধ রাজধানীতে অহরহ ঘটলেও

পুলিশ কেন উদাসীন?



একটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ওলট-পালট করে

দিল জীবনের সব হিসাব। হল না

কর্মস্থলে যোগদান। শেষ হয়ে গেল

ডাক্তার হিসেবে মানুষকে সেবা করার

সব আশা। গত ২৪ আগস্টে কর্মস্থল

ফেনীতে যোগ দিতে কমলাপুর রেল

স্টেশনে যাচ্ছিলেন ডাক্তার জেরিন ও

তার স্বামী। এ সময় ছিনতাইকারীর

কবলে পড়েন তিনি। দ্রুত গতির

মাইক্রোবাস থেকে আসা

ছিনতাইকারীদের টানে রাস্তায় পড়ে

গুরুতর চোট পান মাথায়।



রাজধানীতে ছিনতাইয়ের মত অপরাধ

অহরহ ঘটলেও এসব ব্যাপারে পুলিশ কেন

কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না এমন

প্রশ্ন করলে পুলিশের এক কর্তাব্যক্তি

জানান, এই ধরনের ছোটখাটো অপরাধে

পুলিশের কাছে অভিযোগ বা মামলা

করে না সাধারণ মানুষ।



এ প্রসঙ্গে ডিএমপি'র মিডিয়া অ্যান্ড

পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ পুলিশ

কমিশনার মাসুদুর রহমান বলেন, 'এ

ব্যাপারে যদি কেউ অভিযোগ করেন

তাহলে আমাদের একটি আইনগত ভিত্তি

তৈরি হয়। মামলা রজু হলে আমাদের

আইনগত বাধ্যবাধকতা রয়েছে সেই

মামলাটির তদন্ত সম্পন্ন করা এবং এর

সঙ্গে কারা জড়িত রয়েছে তাদেরকে

গ্রেফতার করা।'



ডাক্তার জেরিনের ঘটনায় মামলা

করেছেন স্বামী ডা: মুনতাহীদ আহসান,

আর এতদিনেও কোনো সুরাহা হয়নি সে

মামলার। ডাক্তার জেরিন অল্পের জন্য

বেঁচে গেছেন মৃত্যুর হাত থেকে। কিন্তু

পুরোপুরি ফিরে আসতে পারেননি

জীবনেও। জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে পার

করেছেন দীর্ঘ আড়াই মাস। এদিকে তার

ব্যয়বহুল চিকিৎসার খরচ মেটাতে

হিমশিম খাচ্ছেন পরিবার।

এ প্রসঙ্গে তার স্বামী জানান, 'যে

যেভাবে পারছি সাহায্য করছি কিন্তু

টাকার পরিমাণটা এতই বেশী যে সেটা

আমার জন্যে বহন করাটা কষ্টকর হয়ে

যাচ্ছে। সরকারি চাকুরীজীবীরা যে

ধরণের সুযোগ-সুবিধা পায় সেটা পেলেও

তার চিকিৎসা সেবাটা চালিয়ে

যাওয়া আমার জন্য সহজ হতো।'



ডাক্তার জেরিনের সঙ্গে লড়ছেন তার

পরিবার। কঠিন বাস্তবতার সঙ্গে

তাদের সেই লড়াই। আর এমন দুর্বিসহ

অবস্থা যেন আর কারো জীবনে না আসে

সেই আশাই করছেন তারা।

সূত্রঃ সময় নিউজ





ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে আড়াই মাস

ধরে পিজি হাসপাতালের আই.সি.ইউ.তে মৃত্যুর

সাথে লড়ছেন ডাক্তার জেরিন। মাথায় মারাত্মক

চোট পেয়ে ছিলেন জেরিন। তিনি কর্মস্থলে

যোগদানের প্রথম দিনেই ছিনতাইকারীর কবলে

পড়েন । পুলিশ জেরিনের ছিনতাইকারীদের এখনো

গ্রেফতার করতে পারেনি।

গত ২৪ অক্টোবর কর্মস্থল ফেনীতে যোগ দিতে

কমলাপুর রেল স্টেশনে যাচ্ছিলেন ডাক্তার জেরিন ও

তার স্বামী। এ সময় ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন

তারা । দ্রুত গতির মাইক্রোবাস থেকে আসা

ছিনতাইকারীদের টানে রাস্তায় পড়ে গুরুতর চোট

পান মাথায়।

এ ঘটনায় মামলা করেছেন স্বামী ডা: মুনতাহীদ

আহসান। আর এতদিনেও পুলিশ গ্রেফতার করতে

পারেনি ছিনতাইকারীদের। তার ব্যয়বহুল চিকিৎসার

খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন পরিবারটি।

ডাক্তার জেরিন অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন মৃত্যুর

হাত থেকে। কিন্তু পুরোপুরি ফিরে আসতে পারেননি

জীবনে। জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে পার করেছেন দীর্ঘ

আড়াই মাস।

আহত জেরিনের স্বামী ডা: মুনতাহীদ আহসান

জানান, একজন চিকিৎসক, মানুষের সেবা করবেন এই

আশায় ডাক্তার জেরিন যোগ দিয়েছিলেন সরকারি

হাসপাতালে। একটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ওলটপালট

করে দিল জেরিনের জীবনের সব হিসাব। জেরিন

এখন পিজি হাসপাতালের আই.সি.ইউ.তে জীবন

মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে । তার ভাগ্যে আর হল না কর্মস্থলে

যোগদান। শেষ হয়ে গেল ডাক্তার হিসেবে মানুষকে

সেবা করার সব আশা।

তিনি আরো জানান, জেরিনের চিকিৎসায় যে

টাকার পরিমাণ দরকার সেটা আমার জন্যে বহন

করাটা কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। সরকারি চাকুরীজীবীরা

যে ধরণের সুযোগ সুবিধা পায় সেটা পেলেও তার

চিকিৎসা সেবাটা চালিয়ে যাওয়া আমার জন্য সহজ

হতো।

ডাক্তার জেরিনের সাথে সাথে লড়ছেন তার

পরিবার। কঠিন বাস্তবতার সাথে তাদের সেই

লড়াই। আর এমন দুর্বিসহ অবস্থা যেন আর কারো

জীবনে না আসে সেই আশাই করছেন তারা।

রাজধানীতে ছিনতাইয়ের মত অপরাধ অহরহ ঘটলেও

এসব ব্যাপারে পুলিশ কেন কোন কার্যকর ব্যবস্থা

নিচ্ছে না এমন প্রশ্ন করলে পুলিশের এক কর্তাব্যক্তি

জানান, এই ধরনের ছোটখাটো অপরাধে পুলিশের

কাছে অভিযোগ বা মামলা করে না সাধারণ মানুষ।

এ প্রসঙ্গে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক

রিলেশনস বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার মাসুদুর

রহমান বলেন, এ ব্যাপারে যদি কেউ কমপ্লিন করেন

তাহলে আমাদের একটি আইনগত ভিত্তি তৈরি হয়।

মামলা রজু হলে আমাদের আইনগত বাধ্যবাধকতা

রয়েছে সেই মামলাটির তদন্ত সম্পন্ন করা এবং এর

সঙ্গে কারা জড়িত রয়েছে তাদেরকে গ্রেফতার করা।

সূত্রঃ যমুনা নিউজ





২৪ আগস্ট ২০১৪। তিনদিন আগে ৩৩তম

বিসিএস ক্যাডারদের পদায়নের ঘোষণা

এসেছে। সবার চোখে মুখে উত্তেজনার ছাপ।

নতুন চাকরী, নতুন কর্মস্থল, আড়াই বছরের

দীর্ঘসূত্রিতার অবসান এই বুঝি হল। তর সইছে

না যেন কবে যোগ দেব কাজে। এমনিই দুচোখ

ভরা স্বপ্ন নিয়ে ওরা দুজন কর্মস্থলের

উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল। কিন্তু পৌছানো

গেল না। স্বপ্নের খুব কাছে এসে সব

এলোমেলো হয়ে গেল।

ডাঃ জেরিন ছিনতাইকারীদের নিষ্ঠুরতার

শিকার হয়ে আজ প্রায় তিন মাস

বিএসএমএমইউ এর আইসিইউ তে ভর্তি।

সি ব্লক আইসিইউ ৭ নং বেডের পাশে থমকে

দাড়িয়েছিলাম পাচটা মিনিট। হাসিখুশী

প্রাণোচ্ছল যে মেয়েটার আজ রোগীর সেবা

দেয়ার কথা, মৃত্যুপথযাত্রী রোগীকে

বাচিয়ে তোলার কথা সে পড়ে আছে জীর্ণ

শীর্ণ শরীর নিয়ে সম্পূর্ণ অচেতন হয়ে, মাঝে

মাঝে চোখ খোলে অচেতন ভাবেই। স্বাস

প্রশ্বাস চলছে ট্রাকিওস্টমি টিউব দিয়ে।

নাকের নল দিয়ে চলছে খাওয়া দাওয়া।

তাপমাত্রা ১০১ এর উপরে।

স্বপ্ন দেখার ক্ষমতা তর আর নেই। তাকে

নিয়ে বাবা মা ভাইয়ের দেখা স্বপ্নগুলোও

গেছে তছনছ হয়ে। আর স্বামীর কন্ঠে

আর্তনাদের মত শুনি “জেরিন সম্পূর্ণ

স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাবে সে আশা

আমরা করি না, দোয়া করেন সে যে বেচে

আছে এই কথাটুকু যেন সে অন্তত সে বুঝতে

পারে”। মস্তিষ্কে অপারেশন হয়েছে দুবার,

থেতলে গেছে পেছনটা, খানিকটা কেটে বাদ

দিতে হয়েছে, জমে থাকা সি এস এফ

ব্রেইনে চাপ দিচ্ছে, অপারেশনের দরকার

হতে পারে আবারও। এ অবস্থায় এর চেয়ে

বেশী আর কি আশা করতে পারে

প্রিয়জনেরা।

‘আমার মাথায় প্রচণ্ড ব্যথা, আমার মাথার

সিটিস্ক্যান করাও’ এটা ছিল ডাঃ

জেরিনের শেষ কথা। আচ্ছা একজন মানুষ যখন

বুঝতে পারে তার আঘাতটা ভয়ঙ্কর তখন তার

কেমন লাগে। ডাঃ জেরিন আমরা কখনও

জানতে পারব না কি ভয়ঙ্কর অনুভূতির মধ্য

দিয়ে আপনি গেছেন। আমরা লজ্জাবোধ করি

যে সামান্য নিরাপত্তা আপনাকে আমরা

দিতে পারিনি। কিন্তু আপনি জানবেন

আমরা আপনার পাশে আছি। আর আছে

আমাদের ভালবাসা আপনার জন্য আপনার

পরিবারের জন্য।

আমরা কিছুই করতে পারিনি আপনার জন্য।

অথচ আমরা জানি আপনার চিকিৎসা কত

ব্যয়বহুল। আমরা জানি মাসের পর মাস

আপনার চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।

আপনি চিন্তা করবেন না, আপনার সর্বোচ্চ

চিকিৎসার ব্যবস্থা আমরা করব।

সিনিয়র জুনিয়র সহকর্মী সকল ডক্তার যারা

আমার এই পোষ্ট পড়বেন তাদেরকে বলছি

আমাদের অনেক কিছুই করার আছে। তার

পরিবার তার জন্য সবকিছুই করছে। কিন্তু

তাদের সামর্থ্যও তো সীমিত। ইচ্ছা

থাকলেও হয়ত একসময় অর্থের অভাবে সবচেয়ে

ভাল চিকিৎসার ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে না

তাদের পক্ষে।

আমরা কি চুপ করে বসে থাকব ? আমরা

নভেম্বর মাসের বেতন থেকে একটা অংশ কি

ডাঃ জেরিনের চকিৎসার জন্য খরচ করতে

পারি না ? প্রত্যেকে কমপক্ষে ৫০০-১০০০

টাকা ?

এই টাকায় তার ঔষধ কেনা হবে।

অপারেশনের খরচ জোগানো হবে। প্রয়োজনে

তাকে বাইরে পাঠানো হবে আরো ভাল

চকিৎসার জন্য। এই লেখা যতজন ডাক্তার

পড়বেন আসেন আমরা আমাদের এই সহকর্মীর

পাশে দাড়াই।

শুধু ডক্তার না ছাত্রছাত্রীরাও এগিয়ে

আসবে বলেই আমার বিশ্বস। আর শুধু চকিৎসক

সমাজ কেন একজন মৃত্যুপথযাত্রী মেধাবী

চিকিৎসকের সহযোগীতায় সকল পেশার সব

মানুষের কাছে আমার আবেদন আপনারাও

এগিয়ে আসুন আমরা সবাই মিলে ভালবাসার

হাত বাড়িয়ে দেই অসহায় এই পরিবারটির

দিকে।

ডাঃ জেরিন, আমরা আপনাকে ফিরিয়ে

আনবই আমাদের মাঝে । সেই ৭ আগস্টের

ছবিটার মত আপনারা দুজন বঙ্গবন্ধু সম্মেলন

কেন্দ্রে হাস্যোজ্জল মুখে দাড়াবেন আমার

ক্যামেরার সামনে। আপনি পরবেন সেই লাল

জামা আর ভাইয়া নীল ফুলহাতা শার্ট।

বিশেষ দ্রষ্টব্য : ডাঃ জেরিনের চিকিৎসার

জন্য টাকা পাঠান এই দুটি একাউন্টে

1. BRAC BANK ACCOUNT of Dr. Md Muntahid

Ahsan Rony (HUSBAND of Dr.Sanjana Jerin):

1513202506681001 (Motijheel branch)

2. DBBL Account no of Dr. Khalequzzaman

linckon : 211.151.934 ( Mirpur, Pallabi Branch)

3. BKASH NUMBER : Dr. Khalequzzaman Linckon:

01711232450

সূত্রঃ বিডি ডক্টরস



সচিত্র প্রতিবেদনে আইসিও থেকে হাসবেন্ড বলছিল, "হয়তো আর কখনো পুচকা খাওয়া হবে না, তবে স্মৃতি নিয়ং জীবন কাটাতে চাই" "আমার কখনো মনে হয়নি আমার ভালবাসা কমে গিয়েছে, মনে হলো স্ত্রী'র প্রতি ভালবাসা আরো বেড়ে গিয়েছে"



এখনো আজ অবধি হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছে সেই ডাক্তার, এখনো সাহায্যের আবেদন জানিয়ে আসছে ছলছল চোখের জলে, মুখ দিয়ে কিছু বলতে চেয়ে ও যেন বলতে পারছে না!! এখনো এক প্রকার কোমায় আছে মেয়েটি, হায়রে নিয়তি!!



পড়ার জন্য ধন্যবাদ, শেয়ার করবেন কি না সেটা আপনার বিবেকের বিষয়....

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.