নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন জেনারেল ব্লগারের নিজের সম্পর্কে বলার কিছু থাকে না ।

আবদুর রব শরীফ

যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!

আবদুর রব শরীফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

২২ মার্চ, নিপাকে ভালবাসার দিন, শীতকালে তোমাকে অনেক মিস করছি আর না!!

২২ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:১৪

যখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলে পড়তাম তখন পানিকে উল্টিয়ে মজা করে বলতাম, নিপা খাবো(পান), নোয়াখালির এক বন্ধুকে চেতিয়ে দিতাম, 'হানি খাবো' বলে, বিঃদ্রঃ এক মেয়ের নাম ছিল 'উম্মা হানি, পানি নিয়ে আরো কত মজার স্মৃতি তা নিয়ে পরে একদিন গল্প করবো,আজ ২২ মার্চ বিশ্ব হানি/নিপা/পানি দিবস,

১৯৯৩ সালে রাষ্ট্রসংঘ সাধারণ সভা ২২ মার্চ
তারিখটিকে বিশ্ব জল দিবস বা বিশ্ব পানি
দিবস (ইংরেজি : World Day for Water বা World Water
Day) হিসেবে ঘোষণা করে।(সূত্রঃ উইকিপিডিয়া)

এর পর থেকে পানি নিয়ে প্রতিপাদ্য বর্ষসমূহ,
১৯৯৪: পানিসম্পদের রক্ষণাবেক্ষণ আমাদের সবার
দ্বায়িত্ব
১৯৯৫: নারী ও পানি
১৯৯৬: তৃষ্ণার্ত শহরের জন্য পানি
১৯৯৭: বিশ্বের পানিঃ আসলেই কি যথেষ্ট?
১৯৯৮: ভূগর্ভস্থ পানিঃ এক অদৃশ্য সম্পদ
১৯৯৯: সবাই আমরা ভাটির দেশের অধিবাসী
২০০০: একবিংশ শতাব্দীর জন্য পানি
২০০১: সুস্বাস্থের জন্য পানি
২০০২: উন্নয়নের জন্য পানি
২০০৩: ভবিষ্যতের জন্য পানি
২০০৪: পানি ও দূর্যোগ
২০০৫: জীবনের জন্য পানি
২০০৬: পানি ও জলবায়ু
২০০৭: পানির আকাল নিরসন
২০০৮: পয়নিষ্কাশন
২০০৯: আন্তসীমান্ত পানি
২০১০: সুস্থ বিশ্বের জন্য নিরাপদ পানি
২০১১: নগরের জন্য পানি
২০১২: পানি ও খাদ্য নিরাপত্তা

বর্ষসমূহের স্লোগানের দিকে তাকালেই বুজা যায়, বান্ধবী নিপার অপর নাম আমাদের বন্ধু জীবন, নিপার অত্যধিক ভালবাসায় জীবনের মরন ও হয়, তাই দরকার সুষ্ঠ নিরাপদ ভালবাসা, এটাই আমার প্রতিপাদ্য,

পানি নিয়ে একটি জনপ্রিয় কৌতুক বলি,
ছেলেঃমা আমার জন্য এক গ্লাস পানি নিয়ে এসো
তো!
মাঃআমি একটু ব্যাস্ত তুই এসে খেয়ে যা!
ছেলেঃআমি পারবনা তুমি নিয়ে এস!
মাঃএকটা থাপ্পর দিব!
ছেলেঃথাপ্পর দিতে আসার সময় পানির গ্লাসটা
নিয়ে এস!

নিমাই ভট্টাচার বলেছেন,
'সোনায় যেমন একটু পানি মিশিয়ে না নিলে গহনা
মজবুত হয় না, সেইরকম ভালোবাসার সঙ্গে একটু
শ্রদ্ধা, ভক্তি না মিশালে সে ভালোবাসাও
দীর্ঘস্থায়ী হয় না |'

পানি নিয়ে একটি অনুবাদ গল্প,
এক দেশে এক লোক ছিল। সে প্রতিদিন কাঁধে
ঝোলানো একটা বাঁশের দু’মাথায় দুটো কলসিতে করে
তার গ্রামে পানি নিয়ে আসতো।
কলসি দুটোর একটা ছিল খুব পুরনো, গায়ের কয়েক
জায়গায় ফুটো। এই কলসির অর্ধেক পানিই বাড়ি
আনতে আনতে রাস্তায় পড়ে যেত।
যে কলসিটা ভাল ছিল, সে নিজের কাজ ঠিকঠাক মত
করতে পেরে তো দারুণ খুশি! কিন্তু অন্য কলসিটার
সবসময় লজ্জায় মুখ ভার হয়ে থাকতো।
একদিন লোকটা যখন পানি আনতে যাবে, বুড়ো কলসি
তখন লজ্জার মাথা খেয়ে বলে উঠলো, “আমাকে দিয়ে
তো তোমার কোন কাজই হয় না। এত কষ্ট করে যে
পানিটা নিয়ে আসো, তার অর্ধেকটাই তো পড়ে
যেয়ে নষ্ট হয়। বাকিটা কাজে লাগে কেবল।”
লোকটা হেসে বললো, “আজ বাড়ি ফেরার পথে,
রাস্তার দিকে একটু খেয়াল কোরো।”
আসার সময় পুরনো ভাঙা কলসিটা অনেক ফুল আর
গাছপালা দেখতে পেলো পথে। লোকটা তাকে
বললো, “দেখেছো তোমার দিকের রাস্তাটা কত
সুন্দর? এমনটা কী করে হয়েছে জানো? বলছি শোনো।
তোমাদের নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে তোমার
অর্ধেকটা পানি পড়ে যাতে নষ্ট না হয়, এজন্য আমি
পথের ধারে গাছের চারা লাগিয়েছি। তোমার
হারানো পানিটা ওদের খুব কাজে লাগে, আর
আমারো! আমি আমার বাচ্চাদের ভালো ভালো
শাকসবজি খাওয়াতে পারি, গোলাপ দিয়ে ঘর
সাজাতে পারি; তোমার কারণেই তো!
আমরা ভাবি বুড়ো হলে আমাদের কাজের ক্ষমতা
কমে যায়, কিন্তু তা কেন হবে? আমরা আগের গুণগুলো
হারিয়ে নতুন কিছু যোগ্যতা অর্জন করি কেবল।
সেগুলো ঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলেই বুড়িয়ে
যাওয়াটা সার্থক।”

আসুন নিপাকে ভালবেসে নিয়মিত পানি পান করি..শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দিলে কিন্তু আপনি ভালো সিন্ধান্ত নিতে পারবেন না(সূত্রঃ ডিসকভারি), মেজাজ খিটখিটে হবে, নিপাকে এভোয়েড এবং কথা কাটাকাটি ফলস্বরূপ হয়ে যেতে পারে ব্রেকআপ.. সাধু সাবধান.. পানি পান করতে যাচ্ছি বাই বাই..

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.